অন্ধকারের আশ্চর্য: পর্ব ১

in আমার বাংলা ব্লগlast year

নমস্কার বন্ধুরা,


অন্ধকারের আশ্চর্য: পর্ব ১


সুদীপ্ত খুব অ্যাডভেঞ্চারাস। যখনই সময় পায় কোনো না কোনো অ্যাডভেঞ্চারে বেরিয়ে পড়ে। সুদীপ্তর কাছে অ্যাডভেঞ্চার বলতে ট্রেনে বা বাসে করে কোনো নতুন অজানা জায়গা থেকে ঘুরে আসা আর বন্ধুদের সাথে টুকটাক অফবিট জায়গা গুলো যাওয়া। যদিও আগে কলেজে পড়াকালীন যেমনটা সে সময় সুযোগ পেতো তেমন আর বিশেষ সুযোগ হয় না। অর্থ সামাজিকভাবে নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে হওয়ায় ছোটবেলা থেকেই ঘুরতে যাওয়ার প্রবণতা থাকলেও সেটা কখনো হয়ে ওঠেনি।

PXL_20221213_205501496_copy_1209x907.jpg

পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাতে বাড়ি হওয়া সত্বেও গত ১২ বছর ধরে সে কলকাতা বাসী। পড়াশোনা সূত্রে সেই যে কলকাতায় আসা তারপর সে আর বাড়ি ফিরে যায়নি। পড়াশোনা শেষ করে কলকাতাতেই ছোট্ট একটা কাজ পেয়ে যায়। মাইনেপত্র বিশেষ একটা নয় তবে সুদীপ্তর দিন গুজরান মোটামুটি চলেই যায়। আর যেটা বেঁচে থাকে সেটা বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। ঘুরতে না গেলেও মাঝেমধ্যে বাড়িতে একবেলার জন্য মায়ের আদর খেতে চলে যায় বটে। আসলে কলেজে পড়াকালীন বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসার জন্য মায়ের হাতের রান্না খাওয়ার ইচ্ছা করে। কতদিন আর নিজের হাতের ডাল সেদ্ধ ভাতে মনকে শান্ত করে রাখবে।

প্রজাতন্ত্র দিবসে তাই টানা তিনদিন ছুটি মেলায় সুদীপ্ত মায়ের আদর খেতে বাড়ি চলে গেলো, কিছুটা সময় বাড়িতে একটু আরাম করবে আরকি। আর বাড়ি গিয়েই যে তার তথাকথিত নিরস জীবনে অদ্ভুত ঘটনা ঘটবে সেটা সে কল্পনাও করেনি। সুদীপ্তর বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার শেষ প্রান্তে। একদম আজ পাড়া গা বললেই চলে, দূর দূরান্তে পাকা রাস্তা নেই। হালে একটা কংক্রিটের রাস্তা হয়েছে যেটা ধরে তিন কিলোমিটার পথ পেরোলে তবেই পাকা রাজ্য সড়কে গিয়ে পৌঁছানো যায়। বাড়ি থেকে পশ্চিমে কয়েক কিলোমিটার গেলেই উড়িষ্যা। সুদীপ্তর বাড়ি কলকাতা থেকে যেতে অনেকটা সময় লাগে। প্রথমে ট্রেন চড়ে যাওয়া তারপর বাস। বাস থেকে নেমে ফের তিন কিমি হাঁটা পথ তবে এখন টোটো হয়ে কিছুটা সুবিধা হয়েছে।

PXL_20221213_204537691_copy_1209x907.jpg

জনবসতি থেকে অনেক ভেতরে হোক না কেন গ্রামটাতে গেলে যেকারো প্রাণ জুড়িয়ে যাবে। তার কারণ গ্রামটির অদ্ভুত নিস্তব্ধতা। যেটা সব সময় ছড়িয়ে থাকে গ্রামের মধ্যে। মূলত কৃষিকাজ সংক্রান্ত কাজের সাথে জড়িত মানুষজনের এই গ্রামটা। ছোট বয়সে বাড়ি থেকে চলে যাওয়ার গ্রামে আর বিশেষ বন্ধু-বান্ধব নেই। আর যারা ছিল তাদের কারো বিয়ে হয়ে গেছে বা কেউ বাইরে চলে গেছে কাজকর্ম করতে। আছে বলতে পাশের বাড়ি প্রায় সমবয়সী সুকেশ। সুকেশ মূলত তার বাবার সাথে এখন কৃষিকাজ করে এবং গ্রামেই রয়ে গিয়েছে।

সকালে বেরিয়ে সুদীপ্তর বাড়ি পৌঁছতে দুপুর তিনটে বেজেই গেলো। গ্রামের মুখে টোটো থেকে নেমেই সুকেশের সাথে দেখা হয়ে গেল।




IMG_20220926_174120.png

Vote bangla.witness


Support @heroism by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

|| Join HEROISM ||

Sort:  
 last year 

খুবই চমৎকার একটি গল্প লিখেছেন দাদা।সুদীপ্ত মায়ের আদর খেতে বাড়ি চলে যাওয়ার বিষয়টি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। সুদীপ্তের সাথে সুকেশের দেখা হওয়ার পরের কথাগুলো জানার অপেক্ষায় রইলাম।

Coin Marketplace

STEEM 0.16
TRX 0.15
JST 0.028
BTC 56162.63
ETH 2368.26
USDT 1.00
SBD 2.31