লক্ষ্মী পুজোতে ঘুরে বেড়ানো
নমস্কার বন্ধুরা,
চার বছর পর বাড়িতে কোজাগরী লক্ষ্মী পুজো। সকাল থেকে নানা বিধ কাজকর্মে ব্যস্ত থাকার পর অবশেষে রাত সাড়ে নটায় ছাড়া পেলাম। ছাড়া তো পেলাম তবে তখন আমার ছুটি নেই কারণ ওদিকে যে আবার বেশ কিছু প্রতিবেশীর বাড়িতে পুজোর প্রসাদ নিতে যেতে হবে। প্রতিবেশীদের বাড়ির উদ্দেশ্যে যাওয়ার আগে বাড়ির অন্দরেই ঢুকে এলাম, বাড়ির পুজোর প্রসাদ গ্রহণ করে গায়ে বল নিয়ে এসে তবেই না পাড়ার অন্যান্য লক্ষ্মীপুজোতে গিয়ে দেখে আসা যাবে।
আসলে প্রসাদ বিতরণ সেরে দাড়িয়ে থাকাই আমার পক্ষে একপ্রকার দায় হয়ে গিয়েছিলো। কোনোমতে টলতে টলতে বাড়িতে ঢুকে এলাম। ঢুকেই ঝটপট করে হাতটা ধুয়ে এসে প্রসাদ পাওয়ার আশায় বসে পড়লাম। ফল প্রসাদ দিয়ে শুরু হলো। তারপর এলো খই এবং সিন্নি। সবশেষে লুচি, ছোলার ডাল আর লাবড়া। সাথে পনীরের তরকারিও ছিল তবে প্রাসাদ খাওয়ার তালে সেই তুলতেই ভুলে গেছিলাম 😝।
প্রসাদ পেটে যেতেই শান্তি সাথে গায়ে যেন একটু হলেও বল ফিরে এলো। হাতমুখ ধুয়ে এসেছে বারবার মনে হচ্ছিলো যে থাক আর কোথাও গিয়ে কাজ নেই। আজ না হয় ঘুমিয়ে পড়ি কাল সকালে পাশের বাড়ি গুলো থেকে পুজো দেখে আসব খন। ফের খেয়াল হলো রাতে প্রসাদ পাওয়ার মজা সকালে গেলে পাবো না তাই এখনই ঘুরে আসি।
প্রথমেই চলে গেলাম পাশের বাড়িতে। সেখানে প্রসাদ হিসেবে ছিলো গরম গরম খিচুড়ি আর লাবড়া। আহা! গরম খিচুড়ি যেন অমৃতের স্বাদ। ঝটপট ভোগ খেয়ে নিতে হলো। আসলে দাঁড়িয়ে থেকে যে অল্প আয়েশ করে খিচুড়ি নেবো তার আর সময় ছিল না। রাত অনেকটাই বেড়েছে। ঘড়িতে তখন দশটা পেরিয়ে গেছে তাই সুরসুর করে হাঁটা দিলাম অন্য আরেক বাড়ির উদ্দেশ্যে।
সেখানে গিয়ে এক নতুন অভিজ্ঞতা সন্মুখীন হলাম। আমি যখন পৌঁছেছি ততক্ষনে তাদের প্রসাদ বিতরণ সমাপ্ত হয়ে গিয়েছে। তবে আমি দমে যাইনি, দরজায় ধাক্কা দিতে শুরু করলাম। এতদূর হেঁটে এসেছি যখন প্রসাদ নিয়েই যাবো। কয়েকবার দরজা ধাক্কা দিতেই দরজা খুলে বেরিয়ে এলেন বাড়ির গৃহিণী।
আমাদের দেখে উনি যেন একটু আশ্চর্যই হলেন। রাত্রি দশটা পেরিয়ে গিয়েও ভক্তরা প্রসাদ দিতে এসেছে, আশ্চর্যের কথাই বটে। সেখানে বেশি দেরি না করে পুজোর ভোগ নিয়ে ঠাকুর প্রণাম করে বেরিয়ে আসলাম।
সত্যি কথা বলতে তখন প্রসাদ খাওয়ার মতো আমার পেটে জায়গা যেমন ছিলো না তেমনি ধৈর্য্য প্রায় শেষ। আদপে সারাদিন পরিশ্রম করার পর আর পারছিলাম না তাই প্রসাদ নিয়ে সোজা বাড়ি চলে এলাম।
![](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmVZ2LnjzbteWf1QSr3MqRaJx7dYMMGANXS258rRfzaubR/Division.jpeg)
VOTE @bangla.witness as witness
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
OR
প্রিয় দাদা ধর্মীয় উৎসব পূজো মানেই তো অনাবিল আনন্দ। এমন আনন্দ উৎসবের দিনে ঘুরে বেড়ানোর মজাই আলাদা। প্রিয় দাদা লক্ষ্মী পূজা উপলক্ষে আপনার ঘুরে বেড়ানোর মুহূর্তে খিচুড়ি খাওয়ার বিষয়টা আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। কেননা আমিও খিচুড়ি খেতে খুবই পছন্দ করি।
ঘুরতেই গেলাম খিচুড়ি খাওয়া আর ঠাকুর দেখার জন্য
দুনিয়া যেদিকে যাবে যাক,অসুস্থতা যেদিকে যাবে যাক।তবে আমি যা বুঝলাম তা হলো,আপনার খাওয়া মিস হবেনা।😛খিচুড়িটা লোভনীয় লাগছে বেশ।
হা হা হা 🤣 এটা সেরা ছিল।
সেটা মিস করা যায় নাকি? তাও আবার প্রসাদ। খিক খিক।
দাদা আপনি দেখছি আমার মত নেই পুজোর প্রসাদ খাওয়ার পটু। আমিও পাড়াতে কোন পুজো হলে প্রসাদ খাওয়ার জন্য পাগল হয়ে যাই। যাক মা লক্ষ্মীর প্রসাদ খেয়েছেন মা লক্ষ্মী যেন আপনার উপর কৃপা করে। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
সিদ্ধ হস্ত বলতেও পারেন। মা অল্প কৃপা করলে ভালোই লাগে।
শ্রী শ্রী মাতা লক্ষ্মীকে প্রণাম। পূজার প্রসাদ ভক্তি সহকারে আহার করাও ধর্ম। আরে প্রসাদ যদি কারো কাছে চেয়ে আহার করা যায় তাহলে আরও বেশি ধর্ম হয়। মা লক্ষ্মী আপনার মঙ্গল করুক দাদা।
প্রসাদ পাগল মানুষ আমি। যেখানেই হোক চলে যাই।
দাদা আপনার মত আমিও প্রসাদ পাগল। যেখানেই কীর্তন পূজা হয় সেখানে প্রসাদ নেয়ার জন্য উপস্থিত হয়ে যাই। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।
হায় হায়... এত জায়গা খেয়েও তোমার পেট ভরেনি অন্যের বাড়ি গিয়ে দরজা ভাঙতে হচ্ছে প্রসাদ খাওয়ার জন্য। 🤣🤣 যাইহোক শেষ পর্যন্ত প্রসাদ পেয়েছিলে এটাই অনেক। এই ব্লগটা পড়ে আমাদের ভালো লাগলো নির্মাল্য দা।
পেট তো আগেই ভরে গেছিলো তবে মন মোটেও ভরেনি তাই ঘুরে বেড়ালুম।