রেসিপি : তেলাকুচা পাতার বড়া
নমস্কার বন্ধুরা,
সবাই কেমন আছেন? আশা করছি ঈশ্বরের কৃপায় আপনারা সকলেই সুস্থ। আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন রেসিপি নিয়ে হাজির হলাম। আজকের রেসিপিটি হলো তেলাকুচা পাতার বড়া।
আজকের রেসিপিটি খুব ছোটো আর সহজ তবে নতুন কিছু শিখলেই আমার ইচ্ছে হয় আপনাদের সাথে তা ভাগ করে নিই। আর সেই সূত্র থেকেই আমার আজকের রেসিপি। যখন তেলাকুচা পাতা নামটা শুনলাম আমি তো বেশ হকচকিয়ে গেলাম। তেলাকুচা আবার পাতার নাম!! নামটা অদ্ভুত। আমার মনে হলো পাতাটা হয়তো চোখেই দেখিনি খাওয়া তো দূরের কথা।
আমার ভুল গুলো ভেঙে গেলো যখন পাতা গুলো আমার সামনে এলো। অবশেষে আমি চিনতে পারলাম। আসলে গাছের পাতা যত না চিনেছি বরং তার ফল থেকে বেশি চিনতে পারলাম। এক পলকে তেলাকুচার গেরুয়া রঙের ফলের কথা মনে পড়লো। সময় নষ্ট না করে রান্না শুরু করে দিলাম।
রান্নার মাঝে একটা মজার ঘটনা ঘটলো। মটর ডাল মিশ্রণ বানাতে গিয়ে চালের গুঁড়ো দিতে বেমালুম ভুলে গেলাম। এক প্রস্তু বড়া ভাজা হয়ে যাওয়ার পর সেটা আমার খেয়াল হলো। কি আর করা তড়িঘড়ি করে আবার চালের গুঁড়ো দিলাম তারপর ভেজে ফেললাম তেলাকুচা পাতার বড়া।
- তেলাকুচা পাতা
- মটর ডাল
- কালো জিরা
- শুকনো লঙ্কা
- হলুদ গুঁড়ো
- চালের গুঁড়ো
- নুন
- তেল
ধাপ ১
- প্রথমেই ডাল সিদ্ধ করে ডালগুলোকে গ্রাউন্ড করে নিলাম তারপর এক চিমটি করে শুকনো লঙ্কা, হলুদ গুঁড়ো ও স্বাদমতো নুন দিয়ে ডাল মাখিয়ে নিলাম। মশলা গুলো ডালের সাথে ভালোমতো মিশে গেলে কালো জিরে দিয়ে সেগুলো ডালের সাথে মিশিয়ে দিলাম।
ধাপ ২
- কালো জিরে মিশিয়ে নেওয়ার পর তেলাকুচা পাতা ডালের মধ্যে দিয়ে ভালোমতো পাতার সাথে ডালের মিশ্রণ নাড়াচাড়া করে নিলাম।
ধাপ ৩
- পাতা ডালের বাটিতে রেখে একটা কড়াই আগুনে বসিয়ে খানিকটা তেল দিয়ে গরম হতে ছেড়ে দিলাম।
ধাপ ৪
- তেল গরম হতেই এক এক করে তেলাকুচা পাতা গুলো কড়াইয়ে দিয়ে ভাজতে শুরু করলাম।
ধাপ ৫
- এক প্রস্ত ভাজার পর ডালের মিশ্রনে কিছুটা চালের গুঁড়ো মাখিয়ে নিলাম তারপর তেলাকুচা পাতা গুলো আগের মতো ডালের মিশ্রনে চুবিয়ে দিলাম।
ধাপ ৬
- এরপর ডালে চোবানো পাতাগুলো কড়াইতে দিয়ে ভাজতে থাকলাম।
ধাপ ৭
- ধীরে ধীরে সমস্ত পাতা এইভাবে ভেজে খুব সহজে তেলাকুচা পাতার বড়া তৈরী করে ফেললাম।
আপনারা আমার রেসিপিটি বাড়িতে করে দেখবেন। আশা করি ভালো লাগবে। আনন্দে থাকুন। ভালো থাকুন। আপনাদের সাথে আবার দেখা হবে আগামীকাল অন্য কোনো ব্লগে। আজকের মতো বিদায়। ধন্যবাদ।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
খুবই মজাদার একটি তেলা কচুর পাতার বড়া রেসিপি আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপনার এই বড়া রেসিপি দেখে জিভে জল এসে গিয়েছে। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমাদের মাঝে রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
গরম গরম ভাতের সাথে অনেক মজা এই বড়া । সাথে কালো জিরা আছে , আরও বেশি খেতে মজা হবে । অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া ।
তেলাকুচা পাতার বড়া দেখে অনেক সুস্বাদু মনে হচ্ছে। আমি কখোনই এই রেসিপি খাইনি। তবে আপনার রেসিপি পরিবেশন দেখতে পেয়ে শিখতে পারলাম। পরবর্তীতে তৈরি করবেন ইনশাল্লাহ। আসলে আপনি তেলাকুচা পাতার নাম শুনে অবাক হয়ে গিয়েছিলেন। তবে ফল দেখে আপনি চিনতে পেরেছেন, বিষয়টি ভালো লেগেছে।
তেলাকুচা দেখে খুবই চেনা চেনা লাগছে। তবে যে দেখেছি এটা মনে পড়ছে না। তবেই আপনি যে তেলাকুচা পাতা দিয়ে বড়া তৈরি করেছেন মনে হচ্ছে খেতে খুব মজা হবে। কেননা বড়া আমার এমনিতেই অনেক বেশি পছন্দের। অনেক ধন্যবাদ জানাই দাদা।
না ভাই তেলাকুচা পাতার নাম শুনে হতচকিত হয়ে যায়নি। এই নামটির সাথে আমরা কম বেশি পরিচিত। এ পাতার অনেক ভেষজ গুণ রয়েছে। তেলাকুচ া পাতা দিয়ে টক রান্না করে খেলেও অনেক স্বাদ পাওয়া যায়। তেলাকুচা পাত ার বড়া কখনো খাওয়া হয়নি একদিন খেয়ে দেখতে হবে নিশ্চয়ই অনেক সুস্বাদু হবে।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া নামটা ভীষণ অদ্ভুত অতি পরিচিত হলেও আমি কখনো তেলাকুচার পাতার বড়া খাইনি। আসলে আমি আপনার এই পোস্টে প্রথম দেখলাম তেলাকুসার পাতার বড়া ভাজি খাওয়া যায় আমি চেষ্টা করব দ্রুত তেলাকুচার পাতার বড়া ভাজি খাওয়ার জন্য।
আমাদের এখানে এটাকে ডায়বেটিস পাতা অথবা তেলাকুচা পাতা বলা হয়।যদিও বড়া খাওয়া হয়না হয়নি।মনে হচ্ছে খেতে বেশ ভালো হবে।প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর করে দেখিয়েছেন। ধন্যবাদ
একদম ভিন্ন রকমের রেসিপি দেখলাম দাদা। তেলাকুচা পাতার বড়া কখনো খাওয়া হয়নাই। দেখে তো জিভে জল চলে আসলো। সেই সাথে খুব সুন্দর উপস্থাপনা করেছেন আপনি। প্রতিটি ধাপের বর্ণনা শেয়ার করেছেন।যা দেখে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে এরকম সুন্দর একটি ইউনিক রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
তেলাকুচা পাতার বড়া দেখে তো আর লোভ সামলাতে পারছিনা খুবই সুস্বাদু একটি খাবার তৈরি করেছেন আপনি এবং আমাদের মাঝে ধাপে ধাপে খুবই সুন্দর ভাবে উপস্থাপনা করেছেন এতে সবার বুঝতে অনেক সুবিধা হয়েছে। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
এই বড়াটা প্রথম দেখেছি কলকাতার কোনো এক ইউটিউবার এর ভিডিওতে।এরপর আজ আপনার রেসিপি দেখলাম।