স্কুটারে সুন্দরবন রোড ট্রিপ // ১০% পেআউট লাজুক খ্যাঁক-কে

in আমার বাংলা ব্লগ3 years ago



নমস্কার,

দু চাকার রোড ট্রিপ। জীবনে প্রথম দু চাকার রোড ট্রিপ। হাজতবাসের স্বাদ পাওয়ার পর দিনেই বেরিয়ে পড়লাম রোড ট্রিপে, পিসির শশুর বাড়ির উদ্দেশ্যে। আগে থেকে পিসির শশুর বাড়ি আসার কথা স্থির থাকলেও দুচাকায় আসা হবে এটা আচমকাই স্থির হলো। পিসির শশুর বাড়ি কলকাতা থেকে প্রায় ৪০ কিমি ভেতরে সুন্দরবনের গোড়ার দিকে।

সত্যি কথা বলতে স্কুটার চালানো শেখা প্রায় বছর ঘুরতে চললেও আমি বাড়ির আশেপাশ বাদ দিয়ে বিশেষ কোথাও যাইনি। কিংবা যাওয়া হয়ে ওঠেনি। আজ যখন যাওয়ার সুযোগটা এলো, তখন হাতছাড়া করলাম না। নতুন অভিজ্ঞতা। গরিমসি করতে করতে বেরোতে দুপুর হয়েই গেলো।

শুরু হলো ট্রিপ। দুপুর বেলায় রাস্তা ঘাটে গাড়ি ঘোড়া খুবই কম হলেও ধীরে ধীরেই যাওয়া হচ্ছিলো। দূরত্ব অল্পই, মাত্র ৪০ কিমি, সেখানে জোরে গাড়ি চালানোর প্রয়োজনীয়তাই ছিলো না। তাছাড়া আমি ৬০ কিমির উপরে কখন দুচাকা চালিয়েছি কিনা মনে নেই। মিনিট ২০ টানা স্কুটার চালাতেই বিশ্ব বাংলা গেট পেরিয়ে কলকাতা থেকে বেরিয়ে পড়লাম।

কলকাতার রাস্তা পেরিয়ে ঢুকে পড়লাম গ্রামের রাস্তায়। মসৃণ রাস্তা দিয়ে চলতে থাকলাম। শহরের ছিটা ফোটা টুকু দূরে যেতে থাকলো। আমরা সরু রাস্তা ধরে একের পর এক গ্রাম ছাড়িয়ে যাচ্ছি। ঘন্টা খানেক টানা চালিয়ে এসে ফাঁকা জায়গা দেখে দাঁড়ানো হলো।

কিছু সময় একটু জিরিয়ে নিয়ে ফের রাস্তায় উঠে পড়া হলো, এখন বেশ খানিকটা পথ বাকি আছে। কিছুটা যেতেই একটা হালকা শীত অনুভূত হলো, বুঝলাম সুন্দরবনের মধ্যে ঢুকে পড়েছি। সত্যিই তাই হলো, গাছ গাছালি আড়াল পেরিয়ে জলের রাজ্যে গিয়ে পড়লাম।

চারিদিকে শুধুই জল আর জল, এটাই সুন্দরবনের বিশেষত্ব। তবে এগুলো বেশিরভাগই মানুষের বানানো। মাছ চাষের ভেরি। চোখ যেদিকেই যায় চারিদিকে শুধুই ভেরি আর জল। মাছ চাষের জন্য এই দিকগুলোয় ডাঙ্গা মাটি বিশেষ কিছুই নেই, সবই ভেরি হয়ে গেছে। গ্রাম গুলো দ্বীপপুঞ্জের মতো, চারিদিকে জল আর মাঝে উঁচু ঢিপির মতো।

ঘন্টা দেড়েক গাড়ি চালিয়ে অবশেষে গন্তব্য স্থলে পৌঁছালাম।



Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Sort:  
 3 years ago 

স্কুটার যেহেতু মটর সাইকেল আর এই মটর সাইকেলে ঘুরার মজাই অন্য রকম দাদা।অন্য সব গাড়ি থেকে।আমি কখুনো স্কুটারে ঘুরি নাই শুধু বাইকে ঘুরছি।ধন্যবাদ দাদা আপনার সুন্দর মুহুর্ত ভাগ করে নেবার জন্য।

 3 years ago 

দুচাকার একই অনুভূতি। দু চাকার ট্রিপ আমার ও বেশ ভালো লাগলো। ধন্যবাদ 🤗

 3 years ago 

🙃🙃🙃🙂

 3 years ago 

আজ যখন যাওয়ার সুযোগটা এলো, তখন হাতছাড়া করলাম না। নতুন অভিজ্ঞতা। গরিমসি করতে করতে বেরোতে দুপুর হয়েই গেলো।

ঠিক বলেছেন দাদা মাঝে মাঝে কিছু জিনিস হাত ছাড়া করতে নেই। আপনি স্কুটারে করে অনেক সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়েছেন।‌ আমি যদিও কখনো স্কুটার চালাইনি। তবে আপনার স্কুটার চালা দেখে অনেক ভালো লাগলো। আপনার জন্য শুভকামনা রইলো দাদা ভালো থাকুন সবসময় এই কামনাই করি

 3 years ago 

৪০ কিলোমিটার চালিয়ে গেলাম। বেশ ভালো লাগলো। ধন্যবাদ লিমন ভাই 🤗

 3 years ago 

সুন্দরবনের অনেকটা অংশ ভারতের মধ্যে রয়েছে। আমি একবার সুন্দরবন গিয়েছিলাম আহ কী সেই অপরুপ সৌন্দর্য। সেইসময়ে আমি এই রকম মাঠের পর মাঠ মাছের ভেরি দেখেছিলাম। পরে শুনলাম ওদিকে নাকী ঐরকম ভাবেই মাছ চাষ করা হয়।

আমি এখনো স্কুটার বাইক কিছুই চালানো শিখি নাই। আমার দৌড় ঐ সাইকেল পযর্ন্ত 😄😄। বেশ ভালো একটা ট্রিপ ছিল দাদা।

 3 years ago 

হ্যাঁ, হাঁটু জলের মধ্যেই মাছের চাষ হয়। সমুদ্রের মতো বড়ো বড়ো।

শিখতে কতক্ষন। স্কুটার/বাইক কিনে শুরু করলেই কয়েকদিনে হয়ে যাবে।

 3 years ago 

😊😊😊

 3 years ago 

যতগুলো পরিবহন মাধ্যম আছে তার মধ্যে মোটর বাইকে ঘুরতে আমার সবচাইতে বেশি ভালো লাগে। আর সঙ্গে যদি থাকে প্রিয় বন্ধুরা তাহলে তো কথাই নেই। আপনার স্কুটি ভ্রমণের গল্প পড়ে এখন আমারও ঘুরতে যেতে ইচ্ছে করছে

 3 years ago 

শীতের দিনের সকাল আর রাতেই একটু সমস্যা তাছাড়া বাইকের তুলনা নেই। ধন্যবাদ দাদা 🤗

 3 years ago 

স্কুটি নিয়ে সুন্দরবন ঘুরে এসেছো ।শুনে অনেক ভালো লাগলো। বোনের সাথে গেছিলে। সুন্দরবনের কাছে মাছের ভেরির ছবি গুলিও অনেক সুন্দর ভাবে ক্যামেরা বন্দি করেছো। অনেক শুভেচ্ছা রইলো।

 3 years ago 

ধন্যবাদ সিদ্ধার্থ 🤗।

 3 years ago (edited)

ভ্রমন দেখছি বেশ ভালই হচ্ছে দাদা। গ্রামের পথ ধরে এমন স্কুটার নিয়ে এগিয়ে যেতে ভালোই লাগবে। বিশুদ্ধ বাতাস গায়ে লাগবে। সুন্দর বনের দিক কখনো যাওয়া হয় নি। সজীব সুন্দর বনের পাশে কিছু মাস জব করেছে। তখন আমাকে বলতো ওখানে ঘুরতে নিয়ে যাবে 🥰। ওই আশাতেই আছি এখনো। 😊😊

 3 years ago 

স্কুটার ধীরে ধীরে চালিয়ে গেলাম আরো ভালোভাবে চারপাশটা উপভোগ করা গেলো।

সুন্দরবন বোট করে ঘোরা যায়, ২-৩ দিনের জন্য পুরো বোট ভাড়া নেওয়া যায়। ওগুলতে যেতে পারো।

 3 years ago 

বাহ্ ফটোগ্রাফি গুলো দেখেই আলাদা শান্তি লাগলো , আমি কখনো যায়নি সুন্দর বন , আর যাওয়ার ইচ্ছা ও নেই , কারণ আমাদের দেশ থেকে যেতে গেলে অনেক পথ আর অনেক ঝামেলা পোহাতে হয়, কিন্তু আপনার পোস্ট দেখে মনে হচ্ছে আপনার ওখান থেকে কিছুদুরের রাস্তা হচ্ছে সুন্দর বন , তবে আমার কাছে অনেক বেশি ভাল লেগেছে ফটোগ্রাফি গুলো , অনেক এনজয় করলাম দাদা , অবাক ধন্যবাদ আপনাকে।

 3 years ago 

ভিডিওগ্রাফি করলে আরো ভালো হতো। ঝামেলা আমাদেরই বা কম কিসে! আমি কলকাতা থাকি সাথে দু চাকা নিয়ে গেছি তাই সহজেই যেতে পারলাম। বাস/অটো যা দেখলাম, সকালে বেরোলে রাতের আগে পৌঁছানো যাবে না। 😆

 3 years ago 

আচ্ছা এই মাছ চাষের ভেরি মানে কি?
মানে মাছ চাষের জন্য পুকুরের মতো বানায়?
কখনো সুন্দরবন যাওয়া হয়ে উঠলোনা।

 3 years ago 

হ্যাঁ। পুকুরের মতোই বানায়, তবে বিঘের পর বিঘে। ১৪০০-১৫০০ বিঘের বানায়।

যাওয়া হয়নি তবে ভবিষ্যতে অবশ্যই হবে।

 3 years ago (edited)

আমার কাছে স্কুটারে চরতে ভীষণ ভালো লাগে। কখনো স্কুটার চালানোর সুযোগ আমিও হাতছাড়া করি না। স্কুটার করে সুন্দরবনের রাস্তা ভ্রমণ করেছেন, সময়টা মনে হচ্ছে খুব ভালোই কাটিয়েছেন। কখনো সুন্দরবনে যাওয়া হয়নি আমার। তবে যাওয়ার খুব ইচ্ছা আছে। আপনার সুন্দর মুহূর্ত গুলো আমাদের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।

 3 years ago 

খুবই ভালো কেটেছে। ধীরে ধীরে বাইকে পৌঁছে গেলাম কলকাতা থেকে অনেক ভেতরে। যাওয়া হয়নি অসুবিধা নেই, তবে একবার ঘুরে আসুন ভালো লাগবে। ধন্যবাদ 🤗

দাদা খুব সুন্দর একটা ট্রিপ দিলেন তাও আবার স্কুটারে। জীবনে একবার ইচ্ছা আছে কলকাতায় যাবার ইনশাআল্লাহ, যেয়ে বাইক চালাবো 💓

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.13
JST 0.028
BTC 59926.69
ETH 2622.88
USDT 1.00
SBD 2.38