উদ্দেশ্যহীন // ১০% লাজুক 🦊-কে
নমস্কার,
মাঝে মাঝে বাড়ি থেকে বেরিয়ে কোথাও ঘুরে আসতে ইচ্ছা করে। ইচ্ছে করে কোনো পিছুটান ছাড়াই নতুন জায়গা চিনতে। ইচ্ছে করে ট্রেনে করে কাছেপিঠে কোথাও যেতে। হয়তো ঘুরতে যাওয়ার থেকে আমার ট্রেনে চড়ার ইচ্ছেটা বেশি থাকে, কিন্তু কোনোটাই সম্ভব হয় না। ঘুরতেও যাওয়া হয়না সাথে ট্রেনে চড়াও। আসলে ভারতীয় রেলের প্রতি আমার বিশেষ ভালো লাগা আছে। কোথাও যেতে হলেই আমার ট্রেন পছন্দ। কাজকর্মে কিংবা কলকাতা থেকে নিজের বাড়ি যাওয়া-আসা, সবেতেই ভারতীয় রেল বিরাজমান। বিভিন্ন কাজের জন্য আমার কাছে ট্রেন ছিলো অপরিহার্য। সময়ের সাথে কাজের সূত্রে আমার বাইরে যাওয়ার প্রয়োজনীয়তা কমতে থাকে সেকারণে কমতে থাকে রেলে চড়া।
কদিন আগে বিশেষ কাজে রেলে চাপতে হয়েছিল সেই থেকেই মনটা উসখুস করছিলো, কোথাও বেরিয়ে আসার জন্য, কোনো কাজ ছাড়াই। আজ সব বাধা কাটিয়ে পুরোপুরি ভালোলাগার বশেই বাড়ি থেকে বেরিয়ে চলে গেলাম বিধান নগর স্টেশন।
চেনাজানা স্টেশনের টিকিট কাউন্টার থেকে টিকিট কেটে প্লাটফর্মে দাঁড়ালাম। সেকি ভীড়! করোনার আগে যেমনটা ভীড়ের হতো। মানুষের সমুদ্র দেখে মন থেকে খুশি ছিলাম, যে অন্তত করোনা মহামারীর প্রকোপ কাটিয়ে শহর কিছুটা হলেও তার ছন্দে ফেরার চেষ্টা করছে।
ভীড় ঠেলে ট্রেনে করে উঠে দাঁড়িয়ে পড়লাম। সোজা নামলাম ব্যারাকপুর স্টেশনে। ব্যারাকপুর ব্রিটিশ আমলের স্টেশন। ভারতীয় সেনাবাহিনীর ব্যারাক এই জায়গাটিতে অবস্থিত হওয়ার জন্য নাম হয়ে যায় ব্যারাকপুর। স্টেশনের ভেতরটা এখনো ব্রিটিশ আমলের কারুকার্য আছে।
স্টেশন বাইরে বেরিয়ে একটা জায়গা দেখে বসে পড়লাম। পড়ন্ত বিকেলে অফিস ফিরতি মানুষের ছটফটানি দেখতে দেখতে পড়ন্ত বিকেল কাটিয়ে দিলাম।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
দাদা সত্যি কথা বলেছেন মাঝে মাঝে মন চায় কোথাও হারিয়ে যায়। একদম নিজের স্বাধীনতায় , এভাবে বাহিরে মাঝে মাঝে ঘুরে বেড়ালে মন ভালো থাকে। তবে আপনার সাথে কিন্তু আমি ও একমত ,ট্রেনে ঘুরে বেড়াতে আমার ও ভালো লাগে ,কলেজ পড়া কালীন প্রতিদিন এ ট্রেনে উঠা হতো। যাই হোক আপনার কথা গুলো পড়ে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ দাদা।
আমারও বেশ ভালো লাগলো। আগে কখন করিনি তবে মাঝে মাঝে করবো। ধন্যবাদ আইরিন ম্যাডাম 🤗
দাদা আপনার মত আমারও ট্রেন প্রীতি আছে। জনসাধারণের চলাচলের জন্য যে যানবাহনগুলো আছে তার মধ্যে ট্রেনই আমার সবচাইতে বেশি পছন্দের। প্রচন্ড শব্দ হলেও এর মধ্যে একটা ভিন্ন ধরনের আনন্দ আছে। আমরা কয়েকজন আছি যারা শুধু ট্রেনে চড়ার আনন্দের জন্যই ভ্রমণ করি। এমনকি প্রাচীন আমলের রেল স্টেশন গুলো দেখতেও আমার ভালো লাগে। বিশাল ফাঁকা রেল লাইনের মাঝে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ছোট্ট স্টেশন এক অন্যরকম সৌন্দর্য হয়ে ধরা দেয়। ভালো লাগলো আপনার পোস্টটি পড়ে। শুভকামনা রইল আপনার জন্য
কলকাতার লোকাল ট্রেন ইলেকট্রিক হওয়ায় আওয়াজ খুবই কম হয়।
শুধুমাত্র ব্যারাকপুর স্টেশনের ভেতরটা নিয়েই আলাদা পোস্ট লেখা সম্ভব। অসাধারণ।
দাদা, আপনার পোষ্ট পড়ে সত্যি আমার খুব ভালো লেগেছে। দাদা, আমারও একেক সময় মন চায় অজানা কোন গন্তব্যে ঘুরে আসতে, অপরিচিত অজানা কোন জায়গায়।
তবে দাদা ঘুরতে ইচ্ছে করে বিশেষ করে রিক্সা দিয়ে কিন্তু ট্রেনে চড়ার ইচ্ছা খুবই কম।কারণ বাংলাদেশের ট্রেনের চড়ারা মানে তিক্ত অভিজ্ঞতা নিজের মনের মধ্যে রাখা। বাংলাদেশে ট্রেনে ওঠা যে কত বিরক্তকর সেটা বলে বুঝানো যাবে না।আর ভারতীয় ট্রেনের ব্যবস্থা আমাদের বাংলাদেশের থেকেও অনেকটা ভালো। তাই আপনার ট্রেনে ঘোরাঘুরি করার একটু বেশি ভালো লাগে।দাদা ট্রেনে ওঠার আগে মানুষের ভিড় দেখে আপনার খুবই আনন্দ লেগেছে। আমারও খুবই আনন্দ লেগেছে লেখাটি পড়ে কারণ পৃথিবী থেকে মনে হয় আস্তে আস্তে করোনা নামক প্রাণঘাতী এই ভাইরাসটি বিদায় নিচ্ছে। দাদা,আপনার উদ্দেশ্যহীন পোস্টটা পড়ে ভাল লেগেছে। অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য
আসলে মাঝে কয়েকবার ট্রেনে যখন উঠেছিলাম তখন মানুষ জন দেখাই যেতো না, এইবার আলাদা দৃশ্য। সেটা দেখেই ভালো লাগলো।