বিল্ডিংয়ের বাৎসরিক সভায় // ১০% লাজুক 🦊-কে
নমস্কার,
বিগত কয়েক সপ্তাহ প্রচন্ড কাজের চাপের মধ্যে দিয়ে চলেছি। সবদিক সামলাতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে। আগে থেকেই কাজের সিডিউল বানিয়ে রাখলেও সময়ের মধ্যে শেষ করে উঠতে পারছি না। বাড়ি ফিরতেও অনেকটা রাত হয়ে যাচ্ছে। বাড়ি ফিরেও শান্তি নেই, গরমে জীবন অতিষ্ঠ। গরমের চোটে রাতের ঘুমটাও কমে গেছে তাই যখনই রোববার আসে মনে খুশির হাওয়া বয়ে যায়।
আসলে রবিবার বাইরে যাওয়ার তাড়া নেই তাই বেলা পর্যন্ত ঘুম আর সারাদিন স্লথের মতো দিন কাটানো, এই নিয়মেই অল্প অভ্যস্ত হয়ে পড়েছি। এই রোববারেও তার বেনিয়ম হলোনা। বেলা করেই ঘুম থেকে উঠে স্লথের গতিতে চলছি ঠিক সেই মুহূর্তে পিসের ফোন আর সাথে হাতে চলে এলো নতুন ফ্যাকড়া।
আপনাদের খোলসা করে বলি, আসলে আমি যে বিল্ডিংটিতে থাকি সে বিল্ডিংয়ে প্রতি বছর একটি বার করে মিটিং ডাকা হয় যেখানে আসন্ন বছরের বিল্ডিং প্রেসিডেন্ট ও কোষাধক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়। আমার জানা ছিল না যে আজ বিকেলেই সেই মিটিং আছে।
বিকেলে অল্প ঘুম দিয়েই সোজা ছাদে চলে গেলুম, দেখি ছাদে বেশ কয়েকটা ফাঁকা চেয়ার রয়েছে তবে জনমানুষের পাত্তা নেই। মিনিট দশেক বসার পর বর্তমান কোষাধ্যক্ষের আসলেন তারপর ৫:৩০ টায় এলেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট। বিকেল পাঁচটায় শুরু হওয়া মিটিংয়ে ৫:৪০ মিনিট পর্যন্ত সর্বসাকুল্যে ৬ জন উপস্থিত। দারোয়ানকে নিয়ে ৭ জন। অগত্যা উপায় না দেখে বাকিদের আসার অপেক্ষা ছেড়ে মিটিং শুরু হলো।
মানুষ কম তাই বাক বিতণ্ডাহীন ভাবে কমিটি তৈরী হয়ে গেলো। পুরাতন কমিটিই বহাল। সাথে আরো কিছু সিন্ধান্ত নেওয়া হলো। ফ্ল্যাট মালিকদের বাকি থাকা টাকা-পয়সা পুনরুদ্ধার ও বিল্ডিংয়ের কিছু কাজ কর্মের জন্য একটি এজেন্ডা তৈরি করে চিঠি আকারে লিখে উপস্থিত সবাই সই করে সভার সমাপ্তি টানা হলো। মিটিং শেষে চা-সিঙ্গাড়ার ব্যবস্থা হলো।
চা-সিঙ্গাড়া পেটস্থ করে ধীরেসুস্থে সবাই নিজ নিজ ফ্ল্যাটে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে ঠিক তখনই বিল্ডিংয়ের আরেক সদস্যের আগমন হলো। মিটিংয়ের সময়সীমা ততক্ষণে অতিক্রম করেছে। তার আগমন হওয়া মাত্র ঝড়ের আশঙ্কা হলো। তাকে মিটিংয়ের সব এজেন্ডা বুঝিয়ে বলার পর তিনি তারস্বরে শুরু করে দিলেন তিনি এই কমিটি মানেন না। মিনিট ৩০ ধরে চললো নানান বাক বিতণ্ডা। উপায় না দেখে সর্বশেষে তাকেই বলা হলো যদি পুরাতন কমিটি তিনি না মানেন তাহলে আপনি তিনিই সব কিছুর দায়িত্ব নিক। ব্যাস! সমস্ত বাকবিতণ্ডা ওখানেই শেষ। দায়িত্ব নেওয়ার কথা শুনতেই গলার আওয়াজ কমে গেলো। বাকিরা কথা না বাড়িয়ে ফ্ল্যাটের পথ ধরলো। আমিও ফ্ল্যাটে ফিরলাম। আগে থেকে ভেবে রেখেছিলাম সন্ধ্যেয় বসে কিছু কাজকর্ম এগিয়ে রাখবো কিন্তু ঝগড়ার কারণে সব প্ল্যান মাঠে মারা গেলো।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
দাদা গরম বর্তমানে সব জায়গাতেই প্রায় একই রকম। আমাদের এখানেও গরমে টিকে থাকা মুশকিল। তবে আপনাদের বিল্ডিং এর এসব কমিটি কি জন্য গঠিত হয় সে সম্পর্কে আমার তেমন ধারনা নেই। যাইহোক একটা দিন না হয় গেল এভাবে কি আর করবেন। যারা হম্বিতম্বি বেশি করে দায়িত্বের কথা শুনে তারা এভাবেই পালিয়ে যায় হা হা হা
২ ঘন্টার কাজ ৩:৩০ ঘন্টা চললো। 😭
এটা ভালো বুদ্ধি।কারো যদি সিদ্ধান্ত মানতে ইচ্ছে না করে তাহলে কাজ তার ঘাড়ে।আহা চায়ের ভাড়ে করে কবে যে আমি চা খেতে পারবো এ জীবনে!
ভারতে আসিলে অবশ্যই খাওয়াবো। 😌
গরম আজ কিছুটা ঠান্ডা করলো প্রকৃতি যখন আপনার পোষ্টে মন্তব্য করছিলাম তখন জোর বৃষ্টি হচ্ছিল।
প্রতি চার বছর পর পর আমাদের এখানেও এমন মিটিং ডাকা হয় তবে সেটা ভাড়া বাড়ানোর ব্যপারে। আঙ্গিনার বাসা তাই কারো কোন দ্বিমত থাকে না তবে ঐ যে ভদ্র লোক যিনি পরে আসলেন তার মতন কিছু মানুষ হয়তো সব খানেই থাকে। সকল সিদ্ধান্ত মানি না মানবো না, ভাড়াও দেবো না পারলে কিছু করিস এমন সব বাক বিতন্ডা। যদিও আমার চা মিষ্টি খাওয়া শেষ আমি আর কোন কথায় কান না দিয়ে ফাঁক গলে বেড়িয়ে যাই । হা হা। মূলত ইটিং মিটিং সিটিং ডুইং নাথিং এমন সূত্রে আমাদের দেশ চলে সমাজ চলে । কিছু করার নেই দাদা। এবাবেই কেটে যাবে দিন। ভাল থাকবেন দাদা । শুভেচ্ছা রইল।
ওইসব লোকের সময়ের হুঁশ জ্ঞান নাই, যেটা বহুত ফালতু মানসিকতা।
কোন প্রকার ঝামেলা ছাড়া দাদা সুন্দর একটা কমিটি আবার রিলিজ করলেন আপনারা।আশা করছি এই কমিটির মাধ্যমে আপনার আপনাদের সব সমস্যার সমাধান খুঁজে পাবেন।
ঝামেলা হয়েছে তবে সবশেষে।