এক মজার মানুষের সাথে পরিচয়, বিপ্লব দা
কাজের সূত্রে যেতে হয়েছিলো কলকাতার এক্রোপলিস মলের কাছে। সকাল বেলায় বৃষ্টি মাথায় করে বেরোলেও এক্রোপলিস মল পৌঁছানোর পরেই বৃষ্টি থেমে যায়। মেঘলা আকাশ পরিষ্কার হয়ে রোদ ঝলমলিয়ে ওঠে। বর্ষার শেষ শরৎ এর শুরুর এই সময়টা আকাশ খুবই সুন্দর হয়ে ওঠে। নীল রঙে র মাঝে পেজা তুলোর মতো মেঘ।
গ্রামের দিকটায় গেলে কাশ ফুলের আনাগোনা দেখা যাবে। মা আসার দিন গোনা শুরু।
আকাশ দেখতে এক গাছের তলায় বসলাম। গাছের তলার ঠান্ডা আর আকাশের দৃশ্য দেখে আর উঠতে পারিনি। বসে ছিলাম এমন সময় একজন এসে পাশে দাঁড়িয়ে একটু সরে বসতে বলাতে হুঁশ ফিরলো। আমি পাশে সরে যেতেই ভদ্রলোকটি বসে পড়লেন।
কিছুক্ষণ পরে নিজে থেকেই ওনার পরিচয় দিলেন। উনি বললেন উনি ওনার বউয়ের ভিসা আবেদন ইন্টারভিউ দিতে নিয়ে এসেছেন। এক্রোপলিস মলের কাছেই ভিসা অফিস। নানান কথা হতে হতে কিছুক্ষন পরে দাদা ভাইয়ের মতো সম্পর্ক হয়ে গেলো। তুই-তুমি তে নেমে গেলাম। আমি আদ্যোপান্তে লাজুক মানুষ হলেও সঙ্গত ঠিক পেলে আমার মতো কথা খুব কম লোকই বলতে পারবে 😁। দাদার নাম বিপ্লব, প্যারিসে পোস্ট ডক্টরেট পড়ছেন। ২০১৬ সাল থেকে ওখানেই। এইবার এসে বউকে নিয়ে যাচ্ছেন।
দাদা অনেক ব্যাপারে গল্প করলো। অনেক ভুল ভাঙিয়ে দিলো। প্যারিস আদপে খুব একটা পরিষ্কার না তাও জানতে পারলাম। ভারতীয়-বাংলাদেশি-পাকিস্তানিরা সবাই পাশাপাশি গলিতে থাকে। এইসব।
গল্প করতে করতে গলা শুকিয়ে গেলে দুজন মিলে চা খেয়েও আসা হলো।
দাম আমাকে দিতে দিলোনা। আমিও খুব একটা পীড়াপীড়ি করিনি। চা খেয়ে ফিরে গাছের তলায় বসলাম সাথে সাথে বৌদি ইন্টারভিউ শেষ করে বেরিয়ে এসেছে। দাদার কাছে WhatsApp নাম্বারটা চেয়ে নিলাম। আর বললাম, প্যারিস গেলে দাদার ওখানেই উঠবো। এমন মানুষ খুব কম দেখা যায় আজকাল। তবর খুব সুন্দর একটা অনুভূতি ছিলো
বেঁচে থাকুক পৃথিবীতে সকল ভালোবাসা। অসম্ভব সুন্দর লিখেছেন
কলকাতা শহরে এরম মানুষ খুবই কম।
প্রিয় এবং চেনা মানুষগুলো খুব কমই থাকে ভাই
ধন্যবাদ আপনার নতুন বন্ধুত্বের সুন্দর মুহূর্তটা শেয়ার করার জন্য।
😇🙏🏾