আলিপুর চিড়িয়াখানা : পর্ব ৫
নমস্কার বন্ধুরা,
তিতির পাখিগুলো দেখে আমি এগিয়ে গেলাম। কারণ ততক্ষণে আমার মামারা সেই জায়গা থেকে যেন রীতিমতো উবে গেছে, তাদের কোথাও দেখতে পাচ্ছি না। হয়তো সামনের দিকে গেছে সেই ভেবে আমিও হাটা দিলাম। এগোতেই দেখি পাশাপাশি তিন খাঁচায় আরো তিন প্রজাতির পাখি। আলিপুর চিড়িয়াখানায় পাখির প্রজাতির অভাব নেই কিংবা খাঁচার অভাব নেই যেটা বুঝলাম তা হলো সরকারি সদিচ্ছার অভাবে এই পাখিগুলোর জন্য বিশেষ ধরনের পরিবেশ তৈরি করায় একটা দায় সাড়া ভাব রয়েছে। সেজন্য বেশিরভাগ খাঁচা ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে।
ব্ল্যাক সোয়ানের খাঁচাটাই আগে পেলাম। সাদা রাজহাঁস অনেক দেখেছি তবে জ্ঞানত কালো রাজহাঁস দেখেছি কিনা মনে নেই। কালো রাজহাঁস আমি দেখে অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলাম। যদিও আমরা দাঁড়িয়ে তাকে দেখছি সেটাতে তার কোনো ভ্রূক্ষেপ নেই। উনি যথারীতি রাজকীয় ভাবে ভেসে বেড়াচ্ছেন।
তারপর পেলাম হর্নবিল পাখি। মোটামুটি ভারতবর্ষের বিভিন্ন অঞ্চলে তো দেখাই যায় তাছাড়া ভারতবর্ষের পাশাপাশি থাইল্যান্ড, বাংলাদেশ, কম্বোডিয়াতে কমবেশি মেলে। সেজন্যই হয়তো তিতির পাখির তুলনায় হরবিলের পরিস্থিতি অনেকটাই ভালো লাগলো। কারণ সে এখানকার পরিবেশের সাথে কিছুটা হলেও মানানসই। এমনকি তাকে তো রোদে বসে বেশ রোদের আমেজ নিতেও দেখলাম। যেটা অন্য পাখিদের কিন্তু সেভাবে দেখিনি তারা তো রোদের গরমেই বেশি করে কুপোকাত। মজার বিষয় জানলাম যে হর্ন বিল পাখি ৪১ বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে। যেটা অনেক মানুষের তুলনায় বেশি। হাঃ হাঃ।
হর্ন বিলের পাশ কাটিয়ে যেতেই তারা নজরে আসলেন, আর তারা কেনই বা নজরে আসবেন না। ইয়া ইয়া আয়তনের দেহ। সাথে মানুষের প্রতি যেন অদ্ভুত ধরনের উৎসুকতা, যেটা অন্যান্য পাখি কিংবা প্রাণীদের মধ্যে খুব কমই দেখতে পাওয়া যায়। মানুষদের দেখে অন্যান্য প্রাণীরা খাঁচার দূরে কোনায় বসে ছিল সেখানে ইমু মানুষ দেখে খাঁচার একদম ধার বরাবর চলে আসছে। অস্ট্রেলিয়ায় পাওয়া এই পাখিটি উড়তে পারে না। যেটা মোটেই পাখিসুলভ নয়।
বেশ কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে বুঝলাম মানুষের প্রতি তার টানের মূল কারণ। আসলে অনেকেই রয়েছেন তাদের দিকে হাত বাড়িয়ে বাদাম বা বুট কলায় জাতীয় কিছু খাবার দাবার দেয়, সেই আশাতেই তারা বারবার ছুটে ছুটে খাঁচার কাছে চলে আসছে।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
একমাত্র রাজহাঁস ছাড়া কিন্তু দাদা আর কোন পাখিই আমি চিনতে পারলাম না। চিনবোই বা কি করে, জীবনে তো আর এদের দেখি নাই। যাক আজ আপনার মাধ্যমে দেখেই ভালো লাগছে। বুঝা যাচেছ বেশ ভালোই সময় কাটিয়েছেন চিড়িয়াখানায়।
চিড়িয়াখানা ভ্রমণ করতে আমারও খুব ভালো লাগে আপনার বেশ কিছু পর্ব আমি দেখেছি পূর্বে আজকের পর্বটি দেখেও খুব ভালো লাগলো।।
তিথি পাখি এবং উটপাখি এর সুন্দর ফটোগ্রাফি সেই সাথে ভ্রমণ এবং পাখি গুলা সম্পর্কে সুন্দর তথ্য উপস্থাপন করেছেন।।
সব জায়গায় চিড়িয়াখানার দেখি একই অবস্থা। আমাদের ঢাকার চিড়িয়াখানারও অবস্থা খুব খারাপ। বেশিরভাগ খাঁচাই ফাঁকা পাওয়া যায়। তাছাড়া আপনার মত কালো রাজহাঁস এই প্রথম দেখলাম। কালো রাজহাঁসের থেকে সাদা রাজহাঁসই দেখতে বেশি সুন্দর লাগে। আর ইমু পাখিটাকে আমাদের এখানে উটপাখি নামে ডাকে। খুব ভালো লাগে দেখতে। মানুষের তাকানো দেখে এরা যদি কোন কিছু মনে করতো তাহলেতো এদের জীবন অতিষ্ঠ হয়ে যেত। ভালো লাগলো দাদা।
দাদা আলিপুর চিড়িয়াখানা অনেক পাখির ফটোগ্রাফি করেছেন ৷ রাজ হাস যে কালো থাকে তা আজ জানলাম ৷ এছাড়াও নানা প্রজাতির পাখি দেখে অনেক ভালো লাগলো ৷ তবে এটা ঠিক বলেছেন সব জায়গার চিড়িয়াখানা একি সব পাখি কে খাচায় বন্দি করে রাখে ৷
প্রিয় দাদা, আলিপুর চিড়িয়াখানা ভ্রমণের পঞ্চম পর্বটি পড়ে আমার খুবই ভালো লেগেছে। বিশেষ করে ইমু প্রাণীটি দেখতে খুবই অদ্ভুত ধরনের লাগছে। আসলে এরকম প্রাণী যুক্ত চিড়িয়াখানায় ভ্রমণ করার মজাই আলাদা। দারুন একটি ভ্রমণের পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য প্রিয় দাদা আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
দাদা দেখেই বোঝা যাচ্ছে আপনি আলিপুর চিড়িয়াখানায় খুব সুন্দর সময় কাটিয়েছে পাখি গুলো দেখে খুবই ভালো লেগেছে। হর্নবিল পাখি ৪১ বছর বাচে সত্যি অবাক হলাম। ঠিক বলেছেন এটা কিছু কিছু মানুষের তুলনায় বেশি বাঁচে 😁। সব ধরনের পাখি ব্ল্যাক সোয়ান, হর্ণবিল এম ও খুবই ভালো লেগেছে ওদের ফটোগ্রাফি।
আস্তে আস্তে পশুপাখি বিলীন হয়ে যাচ্ছে চিড়িয়াখানায় যত একদিন যাচ্ছে ততই যেন পশুপাখি বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। তবে চিড়িয়াখানায় ঘুরে ঘুরে বিভিন্ন পশু পাখির সাথে পরিচিত হতে কিন্তু খুবই ভালো লাগে। সবসময় সাদা রঙের রাজহাঁস দেখে এসেছি কিন্তু এবার কালো রঙ্গের রাজহাঁস দেখে খুবই ভালো লাগছে এবং সুন্দর ও লাগছে। এ পাখিগুলো দেখছি ভীষণ বড়, মানুষ এদেরকে বুট বাদাম দেয় বলে এরা মানুষের এত ঘনিষ্ট।