রক্ষা কালী মায়ের মেলায় ঘোরাঘুরি (পর্ব ৩)
নমস্কার বন্ধুরা,
বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন? আশা করি আপনারা ভালো আছেন। ইশ্বরের কৃপায় আমি ভালো আছি।
মেলা ভ্রমণের তৃতীয় পর্বে আপনাদের সামনে নিয়ে চলে এসেছি আমার সবচাইতে প্রিয় জায়গা গুলোতে। সেটা হলো মেলার খাবার-দাবারের স্টল। যেখানেই যাই আমি সেখানকার খাবার খেতে পছন্দ করি। আমি জানি না হয়তো সেটা অনেকের কাছে অদ্ভুত লাগতে পারে কিন্তু আমার কাছে সেটাই আনন্দের। আমি কেনাকাটি না করলেও খাওয়া-দাওয়া টা আমার সাধ্যের মধ্যে হলে করে থাকি। মেলার ভাজা পোড়া থেকে আমি থেকে শত যোজন দূরে থাকলেও মেলার মিষ্টি আমাকে মন টানে। বেশি হেঁয়ালি করাটা ঠিক হবে না তাহলে চলুন আমার মেলা ভ্রমণের খাবারের অংশটায় চলে যাই।
মেলার জন স্রোতের দিকটা থেকে বেরোতেই অল্প অল্প ঠান্ডা লাগছিলো কারণ মেলাটা যেখানে হয় সে জায়গাটার আশপাশ বেশ ফাঁকা। সেজন্য খাবারের স্টল গুলোর দিকে যাওয়ার চিন্তা করলাম। আদপে মেলায় ঢোকার সময় একখানা তন্দুরি চায়ের দোকান দেখে রেখেছিলাম সেখানে তন্দুরি চা খেয়ে তবেই আমরা মেলার অন্য অংশটাতে যাবো।
দোকানটা অল্প ফাঁকাই ছিলো তাই গিয়েই আমরা তন্দুরি চা বলে দিলাম। বলার কিছুক্ষণের মধ্যেই হাতে হাতে চলে এলো তন্দুরি চা। চা খেতে খেতে এদিক ওদিক তাকাচ্ছি, দেখলাম চায়ের দোকানের পাশে একখানা ভাপা পিঠের দোকান বসেছে। শীতের সময় ভাপা পিঠের গরম গরম ধোঁয়া দেখে আর দাঁড়িয়ে থাকা গেল না। চা খেয়ে গালটা হালকা গরম করে সোজা চলে গেল পাশের দোকানে পিঠে খেতে।
অল্প উদরপূর্তি করে এগোতেই জিলিপির জগতে প্রবেশ করলাম। মেলা মানেই তো জিলাপি। জিলাপি অন্ত প্রাণ আমাদের দেশের মানুষের বিভিন্ন ধরনের জিলাপির প্রতি ভালোবাসা থাকলেও আবার কিন্তু হালকা পাতলা সরু জিলিপি পছন্দ। অনেক এদিক ওদিক তাকিয়ে একটা জিডিপির দোকানে গিয়ে দাঁড়ালাম যেখানে সবে মাত্র জিলিপি ভেজে নামিয়ে রাখলো। কিছু গরম জিলিপি প্যাকেটস্ত করিয়ে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে সেখানে বেশ কয়েকটা জিলিপি সাবরে দিলাম। জিলিপির পাশেই ছিলো গজা। আমাদের এক সাথীর আবার গজা খুব পছন্দ, সে জিলিপির সাথে অল্প গজা নিয়ে নিলো। গজা কেনার সময় দোকানি বললেন যে গজার পাশে আরেকটা জিনিস রয়েছে সেটা দুখানা নিয়ে যাও।
এইবার মেলায় সাধারণত দোকানিরা অনেক কিছু গছিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে সে নিয়ে কিছু সন্ধিহান থাকলেও আমরা এই মিষ্টিটা কখন দেখিনি। তাই দোকানির কাছে নাম জিজ্ঞেস করে বসলাম। জানতে পারলাম মিষ্টিটার নাম বালুসাট। নাম শুনেই আমি অল্প চমকে গেলাম। বালুসাট যে মেলায় পাওয়া যেতে পারে সেটা আমি কল্পনা করিনি। যাই হোক ইচ্ছে হলো বালুসাট খানিকটা কিনে নিয়ে আসার। কিন্তু আগেই বেশ খানিকটা গরম গরম জিলিপি কিনে নেওয়ায় সে সুযোগ আর হলো না।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
বাহারি রঙের খাবার দেখলে সেখানে একটুখানি খেতে ইচ্ছে করবেই। অন্যান্য জিনিসগুলো কেনাকাটা না করলেও হবে। আগে পেট শান্তি তারপর দুনিয়া শান্তি, হাহাহা। যাই হোক তাহলে বেশ ভালোভাবেই মেলাগুলো উপভোগ করছেন। কারণ গত মেলায় যখন গিয়েছেন সে পোস্টটাও আমাদের মাঝে শেয়ার করেছিলেন। আর মেলায় ঘুরতে যেতে এমনিতেই বেশ ভালো লাগে। অন্যান্য খাবারের থেকে আমার কাছেও মিষ্টি জাতীয় খাবার গুলো খেতে বেশ ভালোই লাগে, তাই আগেই মিষ্টির দোকানের দিকে হানা দিই।গরম গরম মুচমুচে জিলিপি হলে আর কি লাগে।
আমি তো যাই খেতে। খিক খিক।
মেলা মানেই তো নিত্য নতুন হরেক রকমের খাবার ৷ তবে দাদা আপনার সাথে সহমত পোষন করছি ৷ আমিও কেনা কাটা করি বা না করি ৷ খাবার খেতে ভুল করি না কারন মনের ভিতর কেমন যেন করে ৷ আপনি দেখছি তন্দুরি চা ,ভাপা পিঠা আর জিলাপি খেয়েছেন ৷ দেখে তো অনেক ভালো লাগলো ৷ আর ভাবছি মেলায় যাবো না কি ৷ হিহি হিহি
এর পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম দাদা ৷
মেলার জিলিপির স্বাদই যেন আলাদা হয় তাই খাওয়া ছাড়া যায় না