এলোমেলো আলোকচিত্র

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago

GridArt_20221105_203456208_copy_1024x768.jpg

নমস্কার বন্ধুরা,

আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করছি ঈশ্বরের কৃপায় সকলেই সুস্থ। আপনাদের আশীর্বাদ ও ভালোবাসায় আমি অনেকটা ভালো আছি।

বিগত কদিন খুবই ব্যস্ততার মধ্যে কেটে গেলো। দিনের বেশি সময়টা মাঠের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে ছুটে বেড়ালাম। উদ্দেশ্য একটাই ছিলো জমির কিছু হলেও তত্বাবধান করা। ছুটে চলার মধ্যেই গত কদিনে আমি সব মিলিয়ে প্রায় চল্লিশ কিলোমিটার হেঁটে ফেলেছি। যদিও বেশিরভাগ সময়ে এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে ছুটে বেড়ালেও বসবার কোনো সুযোগ কিংবা উপায় কিছুই আমার ছিল না। সেসবের মাঝে একটা সময় সুযোগ পেলাম যখন ঘন্টাখানেক গাছের ছায়ায় বসার সুযোগ হয়েছিল। হেঁটে বেড়ানোর কারনে যেসব জিনিস আমরা চোখেই আসেনি তা গাছের তলায় বসতেই সব যেন পরিস্কার হতে শুরু করলো। আমার নজর গেলো মাটির কাছে থাকা নানান ফুলের দিকে। ঘাসের মধ্যে মিশে থাকা ফুলগুলো অসম্ভব সুন্দর লাগছিল। যেগুলো দেখে আমি বাধ্য হলাম ক্যামেরাবন্দি করতে। সেগুলোই আপনাদের সামনে ভাগ করে নেবো।


PXL_20221102_152238043_copy_1333x953.jpeg

যে ছবি দিয়ে শুরু না করলেই নয়। যেসব জমিতে আগেই ধান লাগানো হয়েছিল তাতে ধানের শীষ সবে বেরোনো শুরু হয়েছে। মিষ্টি রোদ্দুরের ফাঁকে ধানের সবুজ রং ধীরে ধীরে সোনালী হওয়ার পালা শুরু করেছে। বর্তমানে গ্রাম বাংলার মাঠে ঘাটে যে দিকেই যাওয়া যাক না কেন এই চিত্র আমাদের নজর কাড়বেই।


20221102_114050_copy_1452x1037.jpeg

নাম না জানা এই ফুলটি ছোটো হলেই খুবই সুন্দর। মাটির খুব কাছে গিয়ে তবেই আমি ফুলটির ছবি তুলতে সক্ষম হয়েছি। গুগল লেন্সের সাহায্য নিয়ে ফুলটির নাম অনেক খুঁজলাম তবে কিছুতেই সঠিক নাম পেলাম না।


20221102_111706_copy_1326x947.jpeg

লজ্জাবতী নামটি যে তার। আগে সচরাচর নজরে পড়লেও আজকাল দূর্লভ হতে বসা লজ্জাবতীর ফুল। আমিও অনেক দিন পরে দেখলাম। ইচ্ছে ছিলো লজ্জাবতীর পাতায় হাত দেওয়ার তারপর ভাবলাম আর জ্বালাতন করে ওকে লজ্জা দেবো না। হাঃ হাঃ।


20221102_114142_copy_1361x971.jpeg

গুল্ম গাছে উজ্জ্বল হলদে রঙের ফুল নজর পড়তেই ছবি তুলে নিলুম। যদিও প্রথম বার দেখে মনে হয়েছিলো হয়তো ছোটো সাইজের লাউ হবে তারপর কাছে গিয়ে মনে হলো লাউ গাছ এতো ছোটো হয় না তো। খিক খিক।


20221102_114235_copy_1496x1068.jpeg

গুগল লেন্সের সাহায্য ফুলটির বাংলা নাম জানতে পারলাম, হলুদ কলমি। আর বৈজ্ঞানিক নামটি হলো Merremia hederacea। প্রথম দেখায় দূর থেকে গাঢ় হলুদ মনে হলেও কাছে গিয়ে ছবি তোলার সময় বুঝলাম ফুলটির রং একদম হালকা।


20221102_114249-01_copy_1335x954.jpeg

সবুজের রাজ্যে হলুদ। আকারে ছোটো হলেও শুধু রঙের জন্য নজর কেড়ে নিলো আমার। মাটির যেদিকেই চোখ ফিরিয়েছি শুধু প্রাণ খুঁজে পেয়েছি। যতোই মাটির কাছে যেতে থাকলাম নতুন নতুন মণি মুক্তো যেন ঠিকরে বেরোতে থাকলো।


Device: LGE LM-G850



IMG_20220926_174120.png

Vote bangla.witness


Support @heroism by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

|| Join HEROISM ||

Sort:  
 2 years ago 

বাপ্রে এতদূর পথ কিভাবে হেঁটেছেন😐।আমি হলে তো ক্ষেতের আলে উল্টে পড়ে থাকতাম।যাইহোক গ্রামীণ পরিবেশে শান্ত নিবিড় ছবিগুলো দেখে মনটা ভালো হয়ে গেলো,ধন্যবাদ দাদা।

 2 years ago 

পাঁচদিন ধরে শুধু এই মাঠ থেকে ওই মাঠ। আল গুলোও সোজা হলে হয়তো এতোটা হতো না।

 2 years ago 

কি বলেন দাদা, বুঝলাম না। ৪০ কিলোমিটার হাটাতো কম ব্যাপার নয়। কোথায় এত ঘুরে বেড়ালেন? তবে তিন নম্বর ছবিটির ফুলটি আমার কাছে সবচাইতে ভালো লাগলো। জাস্ট অসাধারণ।

 2 years ago 

বেশ কদিন ধরে হাঁটলাম। একদিনে এতো হাঁটলে তো মারা পড়বো। হাঃ হাঃ।

 2 years ago 

আসলে দৌড়াদৌড়ির মাঝে তেমন কিছু সৌন্দর্য চোখে ধরা পড়ে না।যখন স্থির ভাবে কোন এক জায়গায় বসবেন তাহলে চোখের মধ্যে অনেক কিছু অনুভব করা যায় এবং দেখা যায়।আপনার মাধ্যমে জানতে পারলাম।আপনি অনেক দূর হাঁটছেন ঠিক আছে কিন্তু সেখানে কোনো প্রাকৃতিক, ফুলের, বাগানের দৃশ্য আপনার চোখে পড়েনি।যখন গাছ তলায় আপনি ধীরস্থির মনে বসলেন তখন অনেক কিছু অনুভব করতে পারলেন।ক্ষুদ্র ফুল হলেও আপনার ফটোগ্রাফি গুলো অনেক সুন্দর দেখাচ্ছে।গুগলের লেন্সের মাধ্যমে অনেক কিছু জানা যায়।

 2 years ago 

ঠিক বলেছেন, না থামলে এতো কিছু চোখেই পড়তো না। পাঁচ দিন হেঁটে হেঁটে অবস্থা নাজেহাল হয়ে গেলো।

 2 years ago 

আসলে ফুল এমন একটি জিনিস যার সৌন্দর্য অমলিন কখনো এই সৌন্দর্য বিলীন হওয়ার নয়। ফুল যখনই যে অবস্থায় থাকুক না কেন তার সৌন্দর্যে শুধু মানুষকে বিলিয়ে দেয়। আচ্ছা আপনি দারুন সব ফুলের ফটোগ্রাফি করেছেন। লজ্জাবতী ফুলের ফটোগ্রাফিটি দারুন হয়েছে। সেই সাথে বর্ণনা ও আমার অনেক ভালো লেগেছে।

 2 years ago 

একদমই তাই। ফুলের সৌন্দর্য বিলীন হওয়ার নয়। সে শুধু নিজেকে বিলিয়ে দিতে চায়।

 2 years ago 

সত্যিই অনেক ভালো লাগলো অনেক হাটাহাটি করছেন। যেটা নিজের জন্য অনেক উপকারী বর্তমান আধুনিকতার এবং যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতির কারণে সবাই হাটাহাটি করা একদমই কমিয়ে দিয়েছে। আমরাও চেষ্টা করছি হাটাহাটি করতে তাছাড়া মাঠের বিভিন্ন রকম ফুলের দারুন ফটোগ্রাফি করেছেন দাদা অনেক ভালো লাগলো।

 2 years ago 

মাঠের কাজে নেমে পড়ুন দেখবেন হাঁটতে হাঁটতে জীবন শেষ হয়ে যাবে। হাঃ হাঃ।

 2 years ago 

ভাইয়া ৪০ কিলোমিটার এত হাঁটা হাঁটি করেছেন কেন বুঝতে পারলাম না। যাইহোক আপনার ফটোগ্রাফি গুলো কিন্তু বেশ চমৎকার হয়েছে। নাম না জানা ফুলগুলো দেখতে কিন্তু ভীষণ সুন্দর ।আর আপনি ঠিকই বলেছেন লজ্জাবতী গাছটা এখন দুর্লভ হয়েছে। এই গাছটি এখন আর দেখতেই পাওয়া যায় না ।আপনার ফটোগ্রাফির মাধ্যমে অনেকদিন পর দেখতে পেলাম। বেশ ভালো লাগলো ।ধন্যবাদ।

 2 years ago 

পাঁচদিন ধরে বিশাল হাঁটতে হয়েছে। শুধু এই মাঠ থেকে ও মাঠ। হ্যাঁ দিদি, লজ্জাবতী খুবই কম চোখে পড়ে।

 2 years ago 

আপনি কয়েকদিনে বেশ ঘোরাঘুরি হাটাহাটি করেছেন। তবে দাদা হাঁটাহাঁটির মাধ্যমে কিন্তু সব সৌন্দর্য উপভোগ করা যায় না। যেমন আপনি বসে থাকার মধ্যেই কিছু ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পেরেছেন। গাছের সেই ছোট ছোট ফুল গুলো দেখতে বেশ সুন্দর লাগছে। লজ্জাবতী হলুদ কলমি এবং রান্না জানা সে ফুলগুলো জাস্ট অসাধারণ।

 2 years ago 

হাঁটতে গিয়ে তো ঘেমে নেয়ে একসা। শীত শীত হলেও হবে কি? গরম লাগছিলো রীতিমতো।

 2 years ago 

দাদা আপনি দেখছি অনেক দিন পর চমৎকার চমৎকার ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। লজ্জাবতী ফুল গুলো আমার সব সময়ই ভীষণ ভালো লাগে। হলুদ কলমি ফুলটি দেখতে অসাধারন লাগতেছে। হলুদ ফুল গুলো দেখতে ভীষণ ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে দাদা।

 2 years ago 

অনেকদিন পরে আমি একটু চোখ মেলে তাকালাম। এইবার থেকে মাঝে মাঝে ফটোগ্রাফি পোস্ট শেয়ার করবো। ধন্যবাদ 🥰

 2 years ago 

অপেক্ষায় রইলাম দাদা।

 2 years ago 

ভালোই তো হলো একসাথে অনেকগুলো কাজ একসাথে করে নিলেন।হাঁটাহাটি করে ব্যায়াম ও হলো তারপর আপনার জমি ও তত্বাবধান করা হলো।সাথে বিশ্রামের পাশাপাশি ফটোগ্রাফি হলো।যাই হোক ধানের ছবিটা বেশ চমৎকার লাগছে,আমি মনে হচ্ছে পাকা ধানের ঘ্রান পাচ্ছি।প্রতিটি ছবিই সুন্দর। ধন্যবাদ

 2 years ago 

তা যা বলেছেন। ব্যায়াম হলো সাথে কাজ গুলোও। আর ধানি জমির সুগন্ধই আলাদা।

 2 years ago 

এত ব্যস্ততার মাঝেও আপনি এত সুন্দর ফটোগ্রাফ তুলেছেন।দেখে চোখ জুড়িয়ে গেল।প্রত্যেকটি ফটোই অসাধারণ, দেখে চোখ জুডিয়ে গেল।ধন্যবাদ দাদা শত ব্যস্ততার মাঝেও এমন অসাধারণ ফটো তুলে আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

 2 years ago 

বসার সুযোগ পেয়ে মাটির কাছে চলে যেতে পারলাম। সেই সুযোগ কেই কাজে লাগিয়ে ফেললাম।

আরো ছবি তুলতে হবে মনে হচ্ছে।

Coin Marketplace

STEEM 0.19
TRX 0.16
JST 0.033
BTC 63968.11
ETH 2756.38
USDT 1.00
SBD 2.66