আলিপুর চিড়িয়াখানা : পর্ব ১৩
নমস্কার বন্ধুরা,
আরো বেশ কিছু হরিণের প্রজাতি চিড়িয়াখানায় থাকলেও তাদের গরমের কারণে দেখতে পাওয়া যায় নি। তারা মূলত ঘরের ছায়ার ভেতরে বসে ছিল। কৃষ্ণসার মৃগ এবং নীলগাই চোখে পড়লেও তাদের ছবি তোলার মতন অবস্থায় ছিল না। হরিণগুলো শেষ করে তাই চিড়িয়াখানার শেষ প্রান্তের দিকে হাটতে থাকলাম সেখানেই চোখে পড়ল উট পাখির খাঁচাটা।
উটপাখি নামটা শুনলেই কেমন যেন লাগে, মনে হয় উটের সাথে কি কোন ধরনের সামঞ্জস্য রয়েছে। আসলে পাখির গলাটা ঠিক উটের মতোই লম্বা। উড়তে অক্ষম এই প্রজাতির পাখিটি মূলত আফ্রিকার বিভিন্ন জায়গায় দেখতে পাওয়া যায়। আকারে এত বড় হলেও উটপাখি ঘাস এবং ছোটখাটো পোকামাকড় খেয়েই বেঁচে থাকে। আরেকটি বিষয় উট পাখির খুবই গুরুত্বপূর্ণ তা হল এরা প্রায় ৪৫ মাইল বেগে ছুটতে পারে। আর এমন বহু ঘটনা অনেক জায়গায় দেখতে পাওয়া গিয়েছে যে কোনো সাইকেল আরোহী বা বনে ঘুরতে যাওয়া কোনো গাড়ির পেছনে উট পাখির দল রীতিমতন ধাওয়া করে চলেছে। না আমার সাথে চিড়িয়াখানায় সেরকম কিছু হয়নি কিন্তু তারা যে কেন দৌড়াতে পারে সেটা দেখেই ভালোভাবে বুঝতে পারা যায়। এত লম্বা পা হলে কেইবা দৌড়াবে না বলুন।
উটপাখির খাঁচা থেকে চলে গেলাম ভাল্লুকের খাঁচার দিকে, নাম তার স্লথ বেয়ার। ভারতে এবং শ্রীলঙ্কায় পাওয়া ভাল্লুকের এই প্রজাতিটির নামের মধ্যে স্লথ থাকলেও এরা মোটেও স্লথেদের মত হাঁটেনা। যতক্ষণ পর্যন্ত খাঁচার এই অংশটায় আমরা ছিলাম ততক্ষণ পর্যন্ত তাকে রীতিমতো জোরে জোরে পায়চারি করতে দেখলাম। বিলুপ্তপ্রায় এই প্রাণীটিকে আমাদের মানুষের মনোরঞ্জনের জন্য অনেক সময় তার কাছে দেখতে পেয়েছি যা বর্তমানে অনেক আইন প্রণয়ন করে এদের মূল বাসস্থান অর্থাৎ গভীর জঙ্গলে রেখে দেওয়া সম্ভব হয়েছে।
ভাল্লুক প্রজাতি হিংস্র হলেও এদের খাদ্যাভাস, ফলমূল, মধু এবং ছোটখাটো পোকামাকড়ে সীমিত। মজার বিষয় হলো যেটুকু সময় ভাল্লুকের খাঁচার এই জায়গাটিতে দাঁড়িয়েছিলাম তার পুরো সময়টা ভাল্লুকটি বিভিন্ন সময়ে কখন পাইচারি করে কখনো বা এক জায়গায় দাঁড়িয়ে আমাদের বসে আমাদের দিকে তাকিয়ে কিছু বলার চেষ্টাতে ছিলো।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
দাদা আলীপুর চিড়িখানা হতে আজ তো দেখছি উটপাখি আর নানা প্রজাতির ভাল্লুকের বেশ সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফির সাথে বেশ সুন্দর বর্ণনা তুলে ধরেছেন আমাদের সামনে। আসলে কখনও চিড়িয়াখানায় যাওয়া না হলেও আপনার পোস্ট গুলো পড়ে আর নানা প্রজাতির পশুপাখির ফটোগ্রাফি দেখে দুধের সাধ ঘোলে মিটাচ্ছি।
প্রিয় দাদা আলিপুর চিড়িয়াখানা ভ্রমণের আপনার পোস্টগুলো যতই পড়ছি ততই আমার ভালো লাগছে। আসলে চিড়িয়াখানা বিভিন্ন ধরনের জীবজন্তুর সাথে পরিচিত হতে বেশ ভালই লাগে আমার। উটপাখি ও ভাল্লুক প্রজাতি সম্পর্কে আপনার লেখাগুলো পড়ে সত্যিই আমার অনেক ভালো লেগেছে। চিড়িয়াখানা ভ্রমণের সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য প্রিয় দাদা আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
উটপাখি দেখলেই যেন কেমনটা লাগে ঊটের সাথে এর কোনো মিল রয়েছে 😃😃। ভাই আপনার এই কথাটা কিন্তু আমার খুব ভালো লেগেছে। কিন্তু কথাটা তো ঠিক উট পাখির সাথে উঠে তো কোনো সম্পর্ক নেই তাহলে এদের নাম অনেকটা একরকম কেন হলো।যাহোক অলিপুর চিড়িয়াখানার পর্ব ১৩ উটপাখি এবং ভাল্লুকের কিছু ছবি দেখতে পেলাম। আসলে চিড়িয়াখানায় সব জিনিসগুলো দেখতে অনেক ভালো লাগে। ধন্যবাদ আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
এই সুযোগে কলকাতার চিড়িয়াখানা দেখা হলো। উট পাখি অনেক দৌড়াইতে পারে। আর গাড়ি বা সাইকেল দেখলেই এর পিছনে পিছনে ছুটতে থাকে। তবে কিন্তু দাদা এদের দৌড়াইতে দেখতে বেশ ভালই লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে দাদা পোস্ট এর মাধ্যমে আমাদের কোলকাতার চিড়িয়াখানা দেখার সুযোগ করে দেয়ার জন্য।
আলিপুর চিড়িয়াখানা নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে আপনি আমাদের মাঝে পোস্ট শেয়ার করে চলেছেন। আজকে ১৩ তম পর্ব উপস্থাপন করেছেন। যেখানে আমি অনেক কিছু দেখতে পেরেছি জানতে পেরেছি এবং নতুন ধারণা অর্জন করতে পেরেছি। বিশেষ করে ভাল্লুকের খাবারগুলো সম্পর্কে আমার ধারণা ছিল না আপনার এই পোস্ট এর মধ্য থেকে জানতে পারলাম।