পায়ে পায়ে কলকাতা: পর্ব ১
নমস্কার বন্ধুরা,
দু'বছর আগে আমার বাংলা ব্লগে প্রথম ব্লগিং শুরু করেছিলাম তখন ভাবিওনি যে একদিন এই মানুষ গুলোর সাথে দেখা হবে। অনেকটা সময় একসাথে কাটানো, একসাথে হাসি মজা করা এবং একসাথে ব্লগিং করে ভিনদেশের কলিগ থেকে কখন যে তারা অত্যন্ত পরিচিত মানুষ হয়ে গেছেন সেটা বুঝতেও পারা যায়নি। আর তাদের সাথে দেখা হওয়াটা যে এত উত্তেজনাপূর্ণ হতে পারে সেটা হয়তো আমার থেকে কেউ ভালো বুঝবে না। কলকাতা আসবেন সে বিষয়টা আমি তাদের আসবার মাত্র কদিন আগেই জানতে পেরেছিলাম। কিন্তু হঠাৎ যখন একটা অচেনা নম্বরের ফোনে খুন চেনা গলা শুনতে পেলাম তখনই বুঝলাম তারা কলকাতা পৌঁছে গেছেন।
প্রথম দিনে তাদের পরিকল্পনা থাকলেও পরদিন থেকে আমার সাথে তারা পায়ে পায়ে কলকাতা ঘুরে দেখবেন এই ব্যাপারটা ঠিক করে নিয়েছিলেন। আমিও নিজের চেনা অচেনা জায়গা তাদের ঘোরাতে পারবো সেটা ভেবে বেশ আনন্দে ছিলাম। শুরুতে তাই দেখা করার একটি নির্দিষ্ট জায়গা ঠিক করা হলো তবে পরবর্তীতে টিকিট কাটা নিয়ে তাতে কিছুটা বদল করতেই হলো।
ঘটনা শুরু থেকে বলি। কলকাতা আসবার দ্বিতীয় দিনেই ফেরার টিকিট কাটবেন। তবে আমার এ সম্পর্কে খুব কমই জানা ছিল তাই ইন্টারনেটে অনুসন্ধান করে এবং কয়েকটা ইউটিউবের ভিডিও দেখে বুঝতে পেরে গেলাম যে কোথায় গেলে তারা টিকিট কাটতে পারবেন। আমাদের দেখা করার জায়গা ধর্মতলায় হলেও আমি যখন সেখানে পৌঁছালাম তখন জানতে পারলাম যে তাদের টিকিট কাটা হয়নি এবং এখনো কাউন্টারেই বসে আছেন। হাঁটতে হাঁটতে আমিও টিকিট কাউন্টারে পৌঁছে গেলাম যেখান থেকে বাংলাদেশে যাওয়ার মৈত্রী এক্সপ্রেসের টিকিট কাটা যায়।
অফিসে ঢুকে চেনা মুখগুলো দেখতে পেলাম এতদিন যাদের শুধু কথা শুনেছি, যাদের লেখা পড়েছি, যাদের সাথে ঘন্টার পর ঘন্টা গল্প করেছি বিগত দুটো বছর ধরে। আমাদের সম্মানীয় এডমিন হাফিজ দা, সুমন দা ও আরিফ ভাই। যদিও দূর থেকে দেখে আমি খুব একটা উচ্চবাচ্য করিনি। চুপচাপ একটি চেয়ার থেকে বসে তাদের সেই সময়ে টিকিট কাটা নিয়ে ব্যাকুলতা লক্ষ্য করছিলাম। কিছুক্ষণ সেভাবেই বসে থাকার পর কাছে গিয়ে পরিচয় দিলাম।
আমারও যেমন তাদের চিনতে ভুল হয়নি তাদেরও আমাকে চিনতে ভুল হয়নি। ছবিতে যেমনটা দেখেছিলাম মানুষগুলো ঠিক তেমনিই। তাদের কথা যেমন শুনেছিলাম মানুষগুলো ঠিক তেমনিই। তবে দেখা করেই ঘুরতে বেরিয়ে যাওয়া যায়নি। রেলের টিকিট কাটার সমস্যা নিয়ে আরো কিছুক্ষণ বসে থাকতে হলো আর সেই সুবাদে ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যানে কিছুটা পরিবর্তন হলো। কিন্তু টিকিট না কেটে যাওয়াটা ঠিক হবে না। তাই অনেকটা সময় ব্যয় করে হলেও শেষ পর্যন্ত টিকিটটা কেটেই বেরোনো হলো। পরের গন্তব্য পায়ে পায়ে কলকাতা....
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
আসলে ঠিকই বলেছেন দাদা এতদিন ধরে একসঙ্গে কাজ করতে করতে কখনো মনে হয় না যে এখানকার সবাই দূরের কেউ। তাছাড়া আপনাদের মধ্যে সম্পর্কটা তো আরো গাঢ়। কারন আপনারা আরও বেশি সময় একসঙ্গে কাটান সেটি ভার্চুয়ালিই হোক। তাইতো মনের টানে তারাও কলকাতায় চলে গিয়েছে সবার সঙ্গে দেখা করার জন্য। আমিও যে কবে এভাবে গিয়ে আপনাকে ফোন দিতে পারব সে চিন্তাই করছি। সেদিন এভাবে ছুটে আসবেন তো?
অবশ্যই যাবো দিদি। আপনারা আসুন।
প্রথম দৃশ্যটা কেমন জানি চেনা চেনা লাগছে হা হা হা। সম্পর্কগুলো সত্যি এভাবেই তৈরী হয়, বুঝাই যায় না কখন আমরা একে অন্যের খুব কাজের মানুষ হয়ে যাই। আর আমার বাংলা ব্লগ সেই সুযোগটা আরো সুন্দরভাবে তৈরী করে দিয়েছে।
আসলেই হাফিজ দা। ধীরে ধীরে সম্পর্ক গুলো এইভাবেই তৈরি হয় আর সেটার ভালো লাগার রেশ লেগেই থাকে।
সত্যিই ভাই, আপনাকে ছাড়া এত সুন্দরভাবে কলকাতা ভ্রমন কখনো চিন্তাই করতে পারতাম না, এত এত জাইগায় ঘুরাঘুরি করা, আপনি ব্যতিত একেবারেই অসম্ভব ছিল।
হাঁটতে হাঁটতে জীবন শেষ আরকি 😂
দাদা আপনি আসলেই খুব আন্তরিক। তাইতো ওনাদের তিনজনের টিকেট কাটার জন্য আপনি অনেক সময় ব্যয় করেছেন। আসলেই অনলাইনে পরিচয়ের মাধ্যমে কারো সাথে দেখা হলে, মনের মধ্যে অন্যরকম অনুভূতি সৃষ্টি হয়। আপনি ওনাদের সাথে ছিলেন বলে,ওনাদের ঘুরাঘুরি করতে খুব সুবিধা হয়েছে বলে আমি মনে করি। যাইহোক পোস্টটি পড়ে সত্যিই খুব ভালো লাগলো। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
সময় আমাদের মাননীয় এডমিনদেরই গিয়েছে। আমি শুধু শেষে গিয়ে বসেছিলাম। 😆
প্রথম সামনাসামনি দেখা হওয়ার অনুভূতিটা সত্যিই দারুন ছিলো। তবে ছবির থেকে আপনি নিজেকে অনেকটাই পরিবর্তন করে ফেলেছেন সেটা দেখার সাথে সাথেই বুঝতে পেরেছিলাম। যাইহোক আমি আশা রাখি কলকাতার ওই দেখা শেষ দেখা না। ভালোবাসা রইলো।