রেসিপি : পটল পোলাও
নমস্কার বন্ধুরা,
সবাই কেমন আছেন? আশা করছি ঈশ্বরের কৃপায় আপনারা সকলেই সুস্থ। আজ আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন ও মজাদার রেসিপি নিয়ে হাজির হলাম আর সেটা হলো পটল পোলাও। আমার আজকের রেসিপিটি আমার বাংলা ব্লগের ইউনিক পটলের রেসিপি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ।
'পটলের পোলাও', নামটা যেন কেমন তর। পটলের আবার পোলাও হয় নাকি! পটলের সাথে মাংসের দূর থেকেও কোনো সম্পর্ক নেই অথচ সেটা দিয়ে পোলাও। বেশ গোলমেলে ঠেকছে, তাইনা?
আসলে বিষয়টা হয়েছে কি, আমাদের hafizullah দা ইউনিক ধরনের রেসিপি চাইছিলেন। আমিও চিন্তা করতে বসলাম কি রান্না করা যায়। হঠাৎ করে খেয়াল হলো পটল দিয়ে ডিমের কিছু পদ রান্না করলে কেমন হয়? আহা! খুব সহজেই রেসিপির ধারণা পেয়ে, মনে মনে বেশ খুশি হলাম।
যদিও সেই খুশি বেশিক্ষণ স্থায়ী হলোনা, কিছুক্ষন পরে মনে পড়লো হাফিজ দা নিজেই স্বয়ং ডিম দিয়ে পটল ফ্রাই রেসিপি আমাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছিলেন। যাহ! নতুন করে আবার চিন্তা শুরু করে দিলাম। আমি নিজে রান্না করতে পারবো এমন কিছু পদের কথা কিছুতেই মাথায় আসছেনা। যা কিছু মাথায় আসছে সবই খুবই কঠিন রান্না, আর সময়াভবে রান্না করে উঠতে পারবো কিনা তাতেও সন্দেহ আছে। শেষমেশ মায়ের দ্বারস্থ হলাম। মা উপায় বাতলে দিলো, পটলের পোলাও বানা।
আর বেশি ভাবনা চিন্তা ভাবনা করিনি মায়ের কথা মতো রান্না সেরে ফেললাম, পটলের পোলাও। কথা না বাড়িয়ে চলুন তো রান্নার দিকে যাওয়া যাক।
- ৩০০ গ্রাম পটল
- ১০০ গ্রাম আতপ চাল
- ২ টো আলু
- ১/২ চামচ গোটা জিরে
- ১ টা দারুচিনি
- ১ টা ছোটো এলাচ
- ১ টা তেজপাতা
- ১/২ চামচ ঘি
- ২ টো শুকনো লঙ্কা
- ১/২ চামচ হলুদ গুঁড়ো
- ১/২ চামচ জিরে গুঁড়ো
- ১/২ চামচ লঙ্কা গুঁড়ো
- নুন
- তেল
ধাপ ১
- কড়াই চাপিয়ে নিয়ে তাতে অল্প তেল গরম হতে দিলাম। তেল গরম হয়ে যাওয়ার পর ধুয়ে রাখা আতপ চাল গুলো কড়াইতে দিয়ে ভাজতে শুরু করলাম।
ধাপ ২
- আতপ চাল ভাজা ভাজা হয়ে এলে চাল গুলো একটা পাত্রে নামিয়ে রাখলাম।
ধাপ ৩
- কড়াইতে আবার খানিকটা তেল দিয়ে দেবো তারপর গোটা জিরে, তেজপাতা, দারুচিনি ও ছোটো এলাচ দিয়ে ফোড়ন দিয়ে নিলাম।
ধাপ ৪
- ফোড়ন দেওয়া হয়ে গেলে কেটে রাখা পটল ও আলু কড়াইতে দিয়ে দেবো তারপর স্বাদমতো নুন এবং হাফ চামচ হলুদ দিয়ে সবজি গুলো নাড়াচড়া করে নেবো।
ধাপ ৫
- পটল ও আলু গুলো ধীরে ধীরে ভাজতে থাকবো। আমি একটু তাড়াতাড়ি ভাজার জন্য বারবার একটা পাত্র দিয়ে কড়াইটা ঢেকে রাখছিলাম।
ধাপ ৬
- পটল এবং আলু ভাজা ভাজা হয়ে এলে হাফ চামচ করে জিরে ও লঙ্কা গুঁড়ো দিয়ে মসলা গুলো কষাতে থাকবো।
ধাপ ৭
- মশলা ভালোমতো কষে যাওয়ার পর আগে ভেজে রাখা আতপ চাল গুলো কড়াইতে দিয়ে দেবো।
ধাপ ৮
- পটল ও আলুর সাথে আতপ চাল ভালো ভাবে নাড়াচাড়া করে মিশিয়ে নেবো।
ধাপ ৯
- আতপ চাল পটল ও আলুর সাথে মিলে যাওয়ার পর কড়াইতে দেড় কাপ জল দিয়ে ফুটতে ছেড়ে দেবো।
ধাপ ১০
- মিনিট দশেক ফুটে যাওয়ার পর জল শুকিয়ে চাল সেদ্ধ হয়ে গেছে। তারপর হাফ চামচ ঘি দিয়ে সবকিছু নাড়াচাড়া করে নিতেই আমাদের পটল পোলাও তৈরী।
পোস্ট শেষ হয়ে গেলো অথচ পটলের পোলাও নামকরণের কারণটা খুঁজে পেলেননা, তাইতো? আসলে নামটা নিয়ে আমি বেশি ঘাটাই নি। সাধারণ পোলাওয়ের মতো রন্ধন প্রণালী সাথে ঘি। বাকিটা কল্পনাশক্তি 😁।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
এই প্রথম আপনার পোষ্টের মাধ্যমে পটল পোলাও রেসিপি সম্পর্কে জানতে পারলাম এর আগে কখনোই জানিনি এবং শুনিনি। রেসিপিটি দেখেই বোঝা যাচ্ছে অনেক বেশি লোভনীয় ছিল সেই সাথে সুস্বাদুও বটে। মজাদার এই রেসিপি আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।
দাদা আপনার পটল পোলাও এর রেসিপি দেখে সত্যিই জিভে জল চলে এসেছে। চমৎকারভাবে উপস্থাপন করেছেন এই রেসিপিটি। আমি তো ভাবতেই পারছি না যে পটল দিয়ে এই ধরনের রেসিপি তৈরি করা যায়। সত্যি একদমই অনেক একটি রেসিপি শিখে নিলাম। অবশ্যই সময় করে পটল দিয়ে এই পটল পোলাও তৈরি করে খেয়ে দেখব। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এবং অনেক অনেক শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
খেতেও মন্দ লাগলো না। ধন্যবাদ 🤗
দাদা আপনার পটল পোলাও এর রেসিপিটি খুবই সুন্দর হয়েছে। এভাবে আমার আগে কখনো পটল পোলাও রান্না করে খাওয়া। দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। আমার কাছে আপনার রেসিপিটি সম্পূর্ণ একটি ইউনিক রেসিপি। প্রতিটি ধাপ আপনি খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন। অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা এত সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আমি এখন পর্যন্ত পটলের যে কয়টি রেসিপি দেখেছি তার মধ্যে আপনার রেসিপিটি আমার কাছে সবথেকে ইউনিক মনে হয়েছে ভাইয়া।পটল পোলাও এর রেসিপি তৈরি করে আপনি অনেক সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে ধাপে থাকে উপস্থাপনা করেছেন। আপনার রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে আমার জিভে জল চলে এসেছে। এত সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
দাদা পটল দিয়ে পোলাও রান্না করা যায় তা জানাছিল না। আপনার পোস্টের মাধ্যমে শিখেনিলাম।আমার কাছে রেসিপিটি একটি ইউনিক ছিল।খেতে মনে হয় অনেক সুস্বাদু হয়েছে। এভাবে একদিন বাসায় ট্রাই করব। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
পটল পোলাও দারুণ ইউনিক রেসিপি করেছেন দাদা।দেখেই লোভ লেগে গেল, পটলের নানান রেসিপি হয়।আমার খুবই ভালো লাগে পটল খেতে বিশেষ করে ভাজি করে।যাইহোক আপনার রেসিপিটা সেই স্বাদের হয়েছে ,কালারটি চমৎকার।ধন্যবাদ আপনাকে।
অনেকগুলো পটলের রেসিপি এর সাথে আমি পরিচিত হয়েছি। কিন্তু আপনার পটলের রেসিপি টা দেখে সত্যিই অনেক ইউনিক দেখাচ্ছে। পটল পোলাও এর রেসিপি অনেক সুন্দর ভাবে তৈরি করে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে আমার জিভে জল চলে আসছে। এ ধরনের রেসিপি খেতে অনেক মজাদার হয়ে থাকে। ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের উপহার দেওয়ার জন্য।
দাদা নমস্কার
আশা রাখছি ভালো আছেন ৷দাদা আপনার পটলের রেসিপি টি দেখে মন ভরে গেল ৷খুব সুন্দর করে ধাপগুলো উপস্থাপন করেছেন ৷একদম একটা ইউনিক ব্লগ শেয়ার করেছেন ৷
ধন্যবাদ দাদা
পটলের পোলাও এর আগে হয়নি মানে কেউ করেনি এই যে আপনি করলেন এরপর থেকে হবে। সত্যি পটলের পোলাও ভাবা যায় হি হি। দারুণ তৈরি করেছেন রেসিপি টা। এইরকম কিছু যে হতে পারে কল্পনার বাইরে ছিল।দারুন ইউনিক ছিল দাদা।ধন্যবাদ আমাদের সঙ্গে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।।
নমস্কার দাদা। অসাধারণ হয়েছে দাদা আপনার পটলের পোলাও, আগে কখনো পটলের পোলাও খাওয়া হয়নি। দেখেই বোঝা যাচ্ছে খেতে খুবই চমৎকার হবে, দাদা আপনি প্রতিটি ধাপে ধাপে রেসিপি টি বুঝিয়ে দিয়েছেন তাই খুব সহজেই তৈরি করা যাবে অবশ্যই বাসায় একদিন ট্রাই করবো পটলের পোলাও। এত সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ দাদা।