এলোমেলো ফটোগ্রাফি
নমস্কার বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করছি ঈশ্বরের কৃপায় সকলেই সুস্থ ও সবল। আপনাদের আশীর্বাদ ও ভালোবাসায় আমি ধীরে ধীরে সুস্থ হচ্ছি।
আসলে সপ্তমীর দিন বিকেল থেকে আমার ধুমিয়ে জ্বর এলো সেই সাথে ভয়ংকর মাথা ব্যাথা। জ্বর পরিস্থিতি নিয়ে সারারাত বারবার ঘুম এসেছে আবার পরক্ষণেই তা ভেঙে গেছে। বলা চলে সারারাত আমার বেশি সময়টা ছট ফট করেই কেটে গেছে।
ভোর বেলার দিকে জ্বর অল্প বেড়ে যাওয়ার ঘুমটা যে ভাঙলো সে আর কিছুতেই আসলো না। আমি জানলা দিয়ে অন্ধকার আকাশের দিকে তাকিয়ে সূর্যের আলোর অপেক্ষায় ছিলাম হঠাৎ ছিপছিপ করে বৃষ্টি নেমে আসলো। বৃষ্টি দেখে অবাক হলাম না তার কারণ দুদিন আগে খবর দেখেছিলাম আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে জানানো হয়েছে যে পুজোর সময়ে হালকা থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। বৃষ্টি দেখে মনে হলো হয়তো এইবার ঘুম আসবে, কিন্তু তাও এলো না।
বৃষ্টি থেমে যাওয়ার পর বিছানায় পড়ে না থেকে হাঁটাচলা করতে বেরোলাম। দুপা হেঁটে আসার পর যদি ঘুম আসে তাহলে আরেকটু ঘুম নেওয়া যায় আরকি। এই চিন্তা নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম। সকাল সকাল বৃষ্টি ভেজা পরিবেশে কয়েকটা ছবি না তুলে থাকতে পারলাম না।
ছোটো বেলা থেকেই দেখে আসছি সকাল হলেই টিনের চালে পাখিদের খাবার দেওয়ার চল। পুজোর সময়েও তার ভিন্নতা হয়নি। বৃষ্টি ভেজা টিনের উপরে পাখিদের আওয়াজ শুনে আমি কাছে গেলাম। কাছে যেতেই সব একসাথে উড়ে গেলো আমিও পট করে একটা ছবি তুলে নিলাম।
সকালের আধো আবছা আলোয় টগর ফুলের উপরের জলের ফোঁটা গুলো আরো যেন পরিষ্কার দেখতে পাচ্ছিলাম। সাথে ছিলো টগর ফুলের অসাধারন সুগন্ধি।
বৃষ্টির মেঘ সরে যাওয়ার পর শরতের পেজা তুলে মেঘ গুলো দেখে অদ্ভূত সুন্দর লাগছিলো। হয়তো সকালের ঠান্ডা হাওয়ার কারনে আরো বেশি ভালো লাগছিলো।
আঙিনায় সাদা নয়নতারা মাঝেমাঝেই চোখে পড়ে তবে বাড়ির কোণাতেই যে গোলাপি নয়নতারাও আছে আমার সেটা জানা ছিল না। বৃষ্টিতে হাঁটতে বেরিয়েই বাড়ির গোলাপি নয়নতারা প্রথম চোখে পড়লো।
অল্প এক পশলা বৃষ্টিতে ভেজার পর টগর ফুলের গন্ধ যেন দ্বিগুণ বেড়ে গিয়েছিলো। আহা! টগর ফুলের সুগন্ধে চারিদিক টা ম ম করছিলো। একসাথে অনেকগুলো টগর ফুল গুলো দেখে তাই পট করে ছবি তুলে নিলাম।
Camera | LGE LM-G850 |
Aperture | f/1.8 |
Focal Length | 4.36mm |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
দোয়া করি দ্রুত আপনার অসুস্থতা সেড়ে যাক,আসলে অসুখ একটা বিরক্তি জাস্ট।বৃষ্টির পরে পরিবেশটা দেখার মতো হয়।
ভাই আপনার এলোমেলো ফটোগ্রাফি গুলো খুবই ভালো লেগেছে। খুবই সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন। বিশেষ করে বৃষ্টি ভেজা সকালে পাখিদের উড়ে যাওয়ার দৃশ্য অসাধারণ হয়েছে।
দাদা,যখন প্রচন্ড রকমের জ্বর হয় তখন কিন্তু ঘুম আসেনা বিশেষ করে মাথা ব্যথার জন্য। আমি গত কয়েকদিন ধরে আপনার আইডিতে যাচ্ছিলাম আপনার পোস্ট খোঁজার জন্য তখনও আমি জানতাম না আপনি অসুস্থ।আজকে আপনার পোস্ট পড়ে বুঝতে পারলাম আপনি এতদিন অসুস্থ ছিলেন। যাই হোক দাদা, আপনার জন্য দোয়া রইল আপনি যেন তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠতে পারেন। দাদা, সকালবেলার দৃশ্যটা অনেক সুন্দর থাকে বিশেষ করে যখন বৃষ্টি হয়।দাদা, আপনার প্রতিটা ফটোগ্রাফি আমার খুবই ভালো লেগেছে বিশেষ করে প্রথমে ফটোগ্রাফি টা আমার খুবই খুবই ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ দাদা, এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।।
আমারো অস্টমী থেকে জ্বর।আর জ্বর টা এসেছে সপ্তমির দিন ভেজার কারনে।আশা করি আপনি খুব জলদি সুস্থ হয়ে উঠবেন।আর প্রত্যেকটি ফটোগ্রাফই অসাধারণ হয়েছে।ধন্যবাদ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ভাই আমারও একি অবস্থা পুজোর সময় জ্বর সর্দি মাথা ব্যথা ৷ ওই ভাবে পুজো করলাম ৷ আর বিশেষ করে পাড়ার পুজোতে ছাড়া ঘুরতে বের হতে পারি নি ৷
যা হোক ফটোগ্রাফি গুলো দারুন ছিল ৷ আপনি প্রতিদিন পাখিদের টিনের চালে খাবার দেন ৷ সেটা শুনে খুবই ভালো লাগলো ৷
ভাইয়া আপনার অসুস্থতার খবরটা পেয়ে খুব খারাপ লাগলো । দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন সেই প্রার্থনা করছি । আসলে এই সময়ে জ্বর এবং মাথাব্যথা থাকলে ডেঙ্গুর আশঙ্কা থাকে । জ্বর না কমলে টেস্ট করিয়ে নিবেন । আসলে শরীর অসুস্থ থাকলে ঘুমটা না আসারই কথা । তারপরে অসুস্থ শরীর নিয়ে আপনি হাঁটতে বেরিয়েছেন এবং সুন্দর সুন্দর কিছু ফুলের ফটোগ্রাফি করেছেন দেখে ভালো লাগলো ।শরতের আকাশ দেখতে সত্যিই চমৎকার আর টগর ফুল সে তো খুবই সুন্দর । আমারও বেশ ভালো লাগে । আমার বাগানেও টগর ফুল ফুটেছে । দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন সেই প্রার্থনা করছি । ধন্যবাদ ।
এলোমেলো ফটোগ্রাফি গুলো দেখে খুবই ভালো লাগলো। বৃষ্টিময় টিনের উপর থেকে পাখি উড়ার দৃশ্য গুলো সত্যিই আমার খুবই ভালো লেগেছে। প্রত্যেকটা পদক্ষেপে আমি ভালো হয়েছে ফুলের ফটোগ্রাফি গুলো সুন্দর লাগছে।
দাদা আপনার অসুস্থতায় মনে খুবই আঘাত পেলাম। তারপরও যে আমাদের মাঝে এত সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করেছেন শুকরিয়া আদায় করে শেষ করা যাবে না। টিনের চালে পাখি উড়ে যাওয়া দৃশ্যটি চোখ আটকে যাওয়ার মতন। আমাদের মাঝে এত সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করার জন্য এবং আপনার দীর্ঘায়ু সুস্থ জীবন কামনা করছি। আপনার প্রতি রইল ভালোবাসা অবিরাম দাদা।
পুজোর সময় জ্বর তাহলে তো দাদা এবারের পুজো তোমার অনেকটাই খারাপ গেছে। তোমার জন্য সৃষ্টিকর্তার কাছে অনেক অনেক প্রার্থনা রইলো দাদা খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে যাও। তোমার আজকের শেয়ার করা বৃষ্টি মাখা টগর ও গোলাপী নয়নতারা ফুলের ফটোগ্রাফি গুলো বেশ সুন্দর ছিল।