আলিপুর চিড়িয়াখানা : পর্ব ৯
নমস্কার বন্ধুরা,
জিরাফ দেখে আমার খুবই ভালো লাগছিলো। মামাদের দলটা আমার থেকে একটু দূরে থাকায় তাদের কেমন লাগছিল সেটা আমি শুনিনি। তবে ভালো লাগার পাশাপাশি আমার কেন যেন জিরাফ গুলোর জন্য করুনাও হচ্ছিল আবার মায়াও লাগছিল। কি আর করার। হাটতে হাঁটতে এগিয়ে পড়লাম। অল্প এগিয়েছি সেখান থেকেই প্রাণীটা চোখে পড়ে গেলো। চালচলনে এতটাই রাজকীয়তা এবং স্থিরতা আছে যে দূর থেকেই ভালো লেগে যাবে, সেটা ছিলো ভারতীয় এক শৃঙ্গগন্ডার। খাঁচাটা গাছের তলায় হওয়ায় আশেপাশে প্রচুর মানুষজন খাঁচা ঘিরে দাঁড়িয়ে রয়েছে, সাথে খাঁচার ভিতর রয়েছে অনেক পুরনো বট গাছ। সেজন্য গন্ডার বেশ সচ্ছন্দেই খাঁচার চারপাশটা ঘুরে বেড়াচ্ছিলাম এমনকি খাঁচার পাশে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে খাঁচার একদম কাছাকাছি আগে আসতেও দেখলাম।
গন্ডারকে দেখে পাশের বাচ্চা কাচ্চাদের কোলাহল যেন কয়েক গুণ বেড়ে গেলো। সত্যি কথা বলতে আশেপাশে বড়দের মধ্যেও গন্ডারকে এত কাছ থেকে দেখতে কোলাহল টা যেন বেড়ে গেল। বর্তমানে খুবই দুর্লভ এই প্রাণীটি মূলত ভারত ও নেপালে পাওয়া যায়। বিশেষ করে ভারতের জলদাপাড়া অভয়ারণ্য এবং আসামের অভয়ারণ্যগুলোতে এক শৃঙ্গ গন্ডারের বাস।
চোরাকারবারীদের দৌরাত্ম্যে এখন বিলুপ্তপ্রায় এই প্রাণী। ভাবলে অবাক লাগে যে এত সুন্দর একটি প্রাণীকে কেউ হত্যা করতে পারে। আসলে কি মানুষের মধ্যে অদ্ভুত ধরনের চাহিদা পৃথিবীর প্রকৃতির সমস্ত কিছুকেই গ্রাস করে ফেলার। আর এই অদম্য ইচ্ছের জন্যই একশৃঙ্গ গন্ডাররা ভারতের অধিবাসী হয়েও বিলুপ্ত প্রায়। তাদের সিংহ ভাগকেই মেরে ফেলা হয় তাদের শিংয়ের জন্য।
কাছ থেকে গন্ডার দেখতে পেয়ে খুব ভালো লাগলো। আসলে অতিরিক্ত গরম হওয়ার জন্যই পশু পাখিরা ছায়াতে লুকিয়ে রয়েছে সেজন্য বেশিরভাগ খাঁচাই ফাঁকা দেখা যাচ্ছে। সেখানে গন্ডার বাইরে সদর্পে ঘুরছে।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Congratulations, your post has been upvoted by @scilwa, which is a curating account for @R2cornell's Discord Community. We can also be found on our hive community & peakd as well as on my Discord Server
Felicitaciones, su publication ha sido votado por @scilwa. También puedo ser encontrado en nuestra comunidad de colmena y Peakd así como en mi servidor de discordia
গন্ডারের বাসস্থানটা খুবই রাজকীয় ভাবে তৈরি করেছে গাছ গাছালি দিয়ে। এজন্য হয়তো গন্ডারের দেখার লোক সংখ্যাও বেশি ছিল। আসলে কিছু কিছু মানুষ পশু পাখি আর মানুষ দেখে না। যেখান থেকে মনে করে আয় হন সেগুলোই তাদের গ্রাস করতে হয়। যাই হোক ভাইয়া গন্ডারটি আমার কাছেও খুব ভালো লাগলো। সামনাসামনি দেখতে মনে হয় আরো বেশি ভালো লেগেছে আপনার কাছে।
শৃঙ্গগন্ডার কখনো বাস্তবে দেখার সৌভাগ্য হয়নি। সত্যি দাদা চোরাকারবারীদের দৌরাত্ম্যের ফলে অনেক প্রাণী বিলুপ্তির পথে। তবুও বিভিন্ন চিড়িয়াখানায় বিলুপ্তি প্রায় অনেক প্রাণী দেখতে পাওয়া যায়। দাদা আপনি চিড়িয়াখানায় ভ্রমণ করেছেন জেনে ভালো লাগলো।
প্রিয় দাদা, আপনার চিড়াখানা ভ্রমণের পোস্টগুলো যতই করছি ততই আমার ভালো লাগছে। আজকে আলিপুর চিড়িয়াখানা ভ্রমনের নবম পর্বের পোস্টটি পড়ে আমার খুবই ভালো লেগেছে। চিড়িয়াখানা এরকম গন্ডার দেখার মজাই আলাদা। আসলে এ ধরনের প্রাণী গুলো আমাদের মাঝ থেকে বিভিন্ন কারণে বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। এদের সংরক্ষণ করার জন্য প্রত্যেক দেশের কর্তৃপক্ষকে যথাযথভাবে পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত। যাহোক আপনার লেখা গুলো পড়ে আমার খুবই ভালো লেগেছে। দারুন একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
জীবনে কখনও গন্ডা দেখা না হলেও আজ আপনার পোস্টের মাধ্যমে গন্ডা দেখা নেওয়া হলো। আসলে বেশ সুন্দর করে গন্ডারের বাসা তৈরি করায় এত লোকজনের সমাহার হয়েছে। আপনারাও বেশ আনন্দ নিয়েই গন্ডার দেখার সময়টি উপভোগ করেছেন। দাদা আপনাকে ধন্যবাদ জীবনে প্রথম গন্ডার দেখানোর জন্য।