মেসে এক দিন রাতে মুড়ি পার্টির আড্ডা
আসসালামু আলাইকুম/আদাব আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু গন আমি @kibreay001 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ (১২-০৭-২০২৩)
আসলামু আলাইকুম আমার স্টিম বন্ধু গন আশা করি আপনারা অনেক ভালো আছেন । আপনাদের দোয়ায় আমিও অনেক ভালো আছি। আমি @kibreay001 আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি মেসে এক দিন রাতে মুড়ি পার্টির আড্ডা। আসলে বেশ কয়েকদিন ধরে খুবই ব্যস্ত সময় পার করছি। সারাদিনে বেশ ব্যস্ত থাকি। তারপরেও চেষ্টা করি আপনাদের সাথে প্রতিনিয়ত যুক্ত থাকার জন্য। আসলে আজকে সকাল বেলায় ঘুম থেকে উঠেছিলাম বেলা সাতটার দিকে। তারপরে লেখাপড়ার উদ্দেশ্যে টেবিল চেয়ারে বসে লেখাপড়া শুরু করেছিলাম। তারপরে আমার খালাতো ভাই মেসে এসে আমার কাছে তার বাইক রেখে যায়। তারপরে আমি হাতমুখ ধুয়ে খাওয়া দাওয়া শেষ করে প্রাইভেট এর উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। প্রাইভেট থেকে এসে কিছুক্ষণ রুমের মধ্যে বসে থেকি আবারো এক বন্ধুর সাথে হাসপাতালে গিয়েছিলাম বন্ধুর সাথে। হাসপাতাল থেকে রুমে ফিরতে প্রায় দেড়টা বেজে যায় গোসল শেষ করে নামাজের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। নামাজ থেকে এসে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে ঘুমিয়ে ছিলাম ঘুম থেকে উঠে আপনাদের সাথে যুক্ত হয়েছি। তবে চলুন আজকের পোস্ট নিচে শেয়ার করা যাক..........
আপনার উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমরা আজকে প্রায় এক গাবলা মুড়ি মাখিয়েছি। ঘটনাটি হচ্ছে গতকালকের। আসলে আমার কোন ইচ্ছে ছিল না মরি পার্টিতে অংশগ্রহণ করার। কিন্তু যখন মুড়ি মাখানো হয়ে গিয়েছিল ছোট ভাইয়েরা এসে আমাকে ডেকে নিয়ে যায় আমি যেতে চেয়েছিলাম না তাও অনেক জোর করেছিল। আসলে প্রায় প্রতিনিয়তই মুড়ি খাওয়া হয় তাই পেটে খুব ডিস্টার্ব দেয়। আসলে মেসে থাকলে প্রায় চার পাঁচ দিন পর পরে মুড়ি পার্টির আড্ডা দেওয়া হয়। আসলে আড্ডা দেওয়ার সময় বেশ ভালোই লাগে কিন্তু গ্যাসে বিরক্ত করে।
আপনারা উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন সবাই মুড়ি খাওয়া শুরু করে দিয়েছে। আমরা প্রায় ১৪-১৫ জন মানুষ মুড়ি পার্টিতে অংশগ্রহণ করেছিলাম। আপনারা ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন সবাই গাবলা চারি সাইডে অনেক সুন্দর ভাবে বসে খাওয়া শুরু করে দিয়েছে। আসলে আমাদের সাথে একজন রয়েছে খাওয়ার সময় কোন কথা বলে না শুধু খেতেই থাকে আসলে তার খাওয়া দেখলে আমার কাছে বেশ ভালো লাগে। আমাদের মধ্য থেকে সে মুড়ি সব থেকে বেশি খেতে পারে এবং তার কোন সমস্যা হয় না। আমাকে বলছে ভাই আমি মনে করি আমার কোনদিনই সমস্যা হবে না আমি বলেছি একদিন না একদিন হবেই না হলে তো ভালোই হয়। আসলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যাটা ছোটবেলায় অল্প একটু ধরা দেয় কিন্তু বয়স বাড়লে এটি বড় আকারের রূপ ধারণ করে।
এবার আপনার উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমি আবারো অনেক সুন্দর ভাবে মুড়ির গাবলার ছবি তুলে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। অল্প একটু চানাচুর রাখা হয়েছিল কয়েকজন বলছিল ভাই চানাচুর গুলো মুড়ির মধ্যে দিয়ে দেন। তারপরে তাদের কথামতো চানাচুর গুলো মুড়ির মধ্যে ঢেলে দিয়েছিলাম। আসলে এই সব কিছু দেওয়ার পরে খাওয়ার জোর আরো বেড়ে গিয়েছিল। আসলে সেই দিন মুড়ি খেতে বেশ ভালোই টেস্ট লেগেছিল। সেদিন মুড়িতে আমরা তেল দিয়েছিলাম না সেই দিন মুড়িতে দিয়েছিলাম মাংসের ঝোল আমাদের মেসে সেই দিন মাংস রান্না করা হয়েছিল সেই মাংসের ঝোল। আসলে খেতে আমার কাছে বেশ ভালই লেগেছিল।
আমি যখন মুড়ি খেতে ছিলাম এবং গাবলা থেকে তুলে যখন আমার হাতে নিয়েছিলাম তখন অনেক সুন্দর ভাবে একটি ছবি তুলে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। আপনারা উপরের ছবির দিকে ভালোভাবে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন। আমার কাছে মনে হয় এখানে যতগুলো মানুষ রয়েছে তার মধ্যে সবথেকে কম মুড়ি আমি খাই কিন্তু সব থেকে বেশি গ্যাস এর সমস্যা আমার হয়। আসলে ছোটবেলা থেকে মেসে থাকি তাই অনেক মুড়ি খাওয়া হয়েছে এই সমস্যাটি আর সমাধান হওয়ার নয়। তাই মুড়ি খাওয়ার পরে হয় একটি সেবেনাপ না হয় একটি গ্যাসের বড়ি খেতে হয়। তাও মুড়ি খাওয়ার নেশা বাদ দিতে পারি না।
আপনার উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমি অনেক সুন্দর ভাবে রাতের বেলায় যখন মুড়ি পার্টির আড্ডা দিয়ে ছিলাম তখন একটি সেলফি তুলে আপনাদের মাঝে শেয়ার করার চেষ্টা করেছি। আসলে এই দিনমুড়ি আমি মাখিয়েছিলাম না এই দিন মুড়ি মাখিয়েছিল আমাদেরই ছোট ভাই। আসলে মুড়ি খেতে আমার কাছে বেশ ভালোই লেগেছিল। সব থেকে বেশি ভালো লেগেছিল মাংসের ঝোল ও ছোলা দেওয়ার কারণে। আশা করি পোস্টে আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে। সকলের মতামত নিচে কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে জানাবেন। সকলের জন্য আমার পক্ষ থেকে শুভকামনা রইল।
আমি মোঃ কিবরিয়া হোসেন। আমি বাংলাদেশ খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানায় কামারখালী গ্রামে বসবাস করি। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমি বর্তমানে একাদশ শ্রেণীর ছাত্র। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলতে এবং লিখতে অনেক ভালোবাসি। সব থেকে আমি বেশি পছন্দ করি ফটোগ্রাফি করতে। আমি বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন জায়গা ঘোরাঘুরি করে থাকি। কয়েকটি শখের মধ্যে আমার প্রধান শখ হচ্ছে ঘোরাঘুরি করা। সংক্ষিপ্ত আকারে আমি আমার নিজের পরিচয় শেয়ার করলাম আপনাদের মাঝে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।
(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )
VOTE @bangla.witness as witness
OR
https://twitter.com/GKibreay/status/1679104093569310722?t=9KS6l_bDRN38P83FJ6un6g&s=19