ভ্রমণ পোস্ট // সিলেট ভ্রমণের ৩৬ তম পর্ব
আসসালামু আলাইকুম/আদাব আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু গন আমি @kibreay001 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ (১৮-১১-২০২৪)
আসসালামু আলাইকুম আমার স্টিম বন্ধু গন আশা করি আপনারা অনেক ভালো আছেন । আপনাদের দোয়ায় আমিও অনেক ভালো আছি। আমি @kibreay001 আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি ভ্রমণ পোস্ট // সিলেট ভ্রমণের ৩৬ তম পর্ব। আজকে সকাল বেলায় ঘুম থেকে উঠে বেশ ব্যস্ত সময় পার করছি। সকাল বেলায় আমি বিছানায় ঘুমিয়ে ছিলাম যেহেতু অনেক রাত জাগতে হয় কাজের জন্য। আমার আব্বু সকালবেলায় নামাজ শেষ করে এসে আমাকে ডাকতেছে আমাদের সবজি জমিতে পটল তুলতে যাওয়ার জন্য। ঘুম থেকে উঠে আমি এবং আব্বু দুজন মিলে পটল তুলতে গিয়েছিলাম। আসলে আমাদের পটলের জমি থেকে আমি এবং আব্বু দুজন মিলে প্রায় তিন বস্তা পটল তুলেছে। আসলে পটলগুলো তুলতে আমাদের অনেক সময় প্রয়োজন হয়েছিল। বাড়িতে এসে আব্বু পটলগুলো বিক্রয় করার জন্য বাজারে নিয়ে চলে গিয়েছিল তখনই আমি মাছের পুকুরে খাবার দিতে গিয়েছিলাম। মাছের পুকুরে খাবার দেওয়া শেষ করে এসে বাড়িতে বেশ কিছু সময় বসে ছিলাম তখনই ভাবলাম আপনাদের মাঝে একটা পোস্ট শেয়ার করি। তবে চলুন আজকের পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করা যাক........
আপনারা প্রথমে উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমি খুবই চমৎকার ভাবে আপনাদের মাঝে দুটি ছবি ক্যামেরাবন্দি করে শেয়ার করেছি। আসলে আমি আমাদের বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকা বা বিভিন্ন পর্যটক এর জায়গা গুলো পরিদর্শন করতে সত্যি বেশ পছন্দ করি। প্রত্যেক বছরের শীতের সময় অনেক দূরে ঘুরতে যেতে আমার খুব ভালো লাগে। গত বছর শীতের সময় আমি আমাদের কলেজ থেকে ঘুরতে গিয়েছিলাম সিলেট। আসলে কলেজে আমার সবথেকে কাছের বন্ধু ছিল পারভেজ। আসলে কলেজে আমরা যেকোনো কাজে দুইজন বন্ধু একসাথে করতাম এটা সত্যি বেশ মজার একটা ব্যাপার ছিল। কলেজের প্রথম দিন থেকে শুরু করে শেষ দিন পর্যন্ত আমরা দুজন সব সময় একসাথে ছিলাম এখন পর্যন্ত আছি। সিলেট ভ্রমণের সেই দিনগুলো খুবই মনে পড়ে পারভেজের সাথে রাত কাটানোর সেই কথাগুলো সত্যি বেশ অসাধারণ। এই ছবিগুলো তোলা হয়েছিল জাফলং পাহাড়ের উপরে বিজেপি ক্যাম্পের সামনে। এখান থেকে বাংলাদেশ এবং ইন্ডিয়ার সীমান্ত খুব কাছাকাছি দেখা যাচ্ছিল।
আপনারা এবার উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমি আবারো আপনাদের মাঝে দুটি ছবি খুবই সুন্দর ভাবে শেয়ার করেছি। প্রথম দিন শুধুমাত্র আমরা সিলেটের জাফলং দেখেছিলাম এবং সেইদিন রাত্রে যাপন করেছিলাম সিলেট শহরে এসে। সিলেট শহর থেকে আবারো পরের দিন সকাল বেলায় আমরা ভোলাগঞ্জ সাদা পাথরের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। সেখানে গিয়ে পৌঁছাতে আমাদের প্রায় বেলা দশটা পার হয়ে যায়। সেখানে গিয়ে পৌঁছানোর পরে ভোলাগঞ্জে নেমে আমরা বেশ কিছু ফটোগ্রাফি ধারণ করেছিলাম আমার মোবাইলে। নদীর পানি গুলো খেজুরের রসের মতো লাল টকটক করছিল দেখতে সত্যি বেশ ভালো লাগছিল। সেখানে দাঁড়িয়ে আমি বেশ কিছু ছবি তুলেছিলাম। মাঝে মাঝে নদীর ঢেউ দেখে আমার বেশ ভয় লাগছিল নৌকায় যখন আমরা নদী পার হয়েছিলাম। আসলে সিলেট সবথেকে পানি বেশি তাই সিলেট ভ্রমণ হয়তো আমার কাছে সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে।
আপনারা উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমারও যখন ভোলাগঞ্জ সাদা পাথরে পৌঁছে গিয়েছিলাম তখন বন্ধুরা মিলে একটি ডিএসএলআর ক্যামেরা ভাড়া করেছিলাম। আসলে তখন আমার ডিএসএলআর ক্যামেরা ছিল না সেইজন্য আমরা ডিএসএলআর ক্যামেরা ভাড়া করেছিলাম। আমরা যখন বন্ধুরা মিলে একসাথে ভোলাগঞ্জ সাদা পাথরে গোসল করার জন্য নেমেছিলাম তখন ক্যামেরাম্যান খুবই সুন্দরভাবে আমাদের ছবিগুলো ক্যামেরাবন্দি করেছিল। এখানে মজার বিষয় হচ্ছে প্রত্যেকটি ছবির দাম ৩ টাকা পিস নিয়েছিল। আমরা বন্ধুরা মিলে প্রায় ১৭০০ ছবি তুলেছিলাম। ৫১০০ টাকা দাম হয়েছিল ছবির কিন্তু আমরা সেখানে ৪৭০০ টাকা দিয়েছিলাম। আসলে ছবি তোলার জন্য আমরা সেখানে প্রায় বন্ধুরা মিলে অনেক টাকা খরচ করেছিলাম। আমি সেখান থেকে বেশ কয়েকটি ছোট ছোট পাথর নিয়ে এসেছিলাম আমার ছোট্ট খালামনির জন্য। সত্যি সেখানকার পাথরগুলো দেখতে কিন্তু বেশ অসাধারণ ছিল। আশা করি আজকের লেখা পোস্ট আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে। সকলের মতামত নিচে কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে জানাবেন। সকলের জন্য আমার পক্ষ থেকে শুভকামনা রইল।
শ্রেণী | সিলেট ভ্রমণ |
---|---|
ডিভাইস | oppo f21s pro / ডিএসএলআর |
লেখক | @kibreay001 |
লোকেশন | সিলেট |
আমি মোঃ কিবরিয়া হোসেন। আমি বাংলাদেশ খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানা কামারখালী গ্রামে বসবাস করি। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলতে এবং লিখতে অনেক ভালোবাসি। সব থেকে আমি বেশি পছন্দ করি ফটোগ্রাফি ক্যামেরাবন্দি করতে। আমি বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন জায়গা ঘোরাঘুরি করে থাকি। কয়েকটি শখের মধ্যে আমার প্রধান শখ হচ্ছে বিভিন্ন জায়গা ভ্রমণ করা এবং ফটোগ্রাফি ধারণ করা। আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে যাত্রা শুরু করেছি ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসের ০১ তারিখে । স্টিমিট প্ল্যাটফর্মকে আঁকড়ে ধরে ভবিষ্যতে আরো অনেক দূরে এগিয়ে যেতে চাই এটাই আমার লক্ষ্য। সংক্ষিপ্ত আকারে আমি আমার নিজের পরিচয় শেয়ার করলাম আপনাদের মাঝে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।
(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )
VOTE @bangla.witness as witness
OR
x-promotion
এই পর্বে সিলেট ভ্রমণের বেশ কিছু সুন্দর ছবি দেখলাম, আর গল্পও পড়লাম। ডিএসএলআর ক্যামেরা ভাড়ার জন্য যে এত খরচ সেটা আমি জানতামই না। যাইহোক খরচ হলেও ছবিগুলো কিন্তু খুবই ভালো আসে। পরের পর্ব পড়ার জন্য অপেক্ষা করব।
ক্যামেরা ভাড়া করে তোমরা ১৭০০ ছবি তুলেছো না জানি ক্যামেরা নিয়ে গেলে কত ছবি তুলতে। যাই হোক আজকের পর্বটি পড়ে বেশ ভালো লাগলো। সিলেটের জায়গা গুলো দেখতে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে।। আশা করছি পরবর্তী পর্ব আরো সুন্দর হবে।
ভ্রমণ করতে আমাদের সবারই অনেক ভালো লাগে। আর যদি সুন্দর কোন জায়গায় ভ্রমণ করা হয় তাহলে আরো বেশি সুন্দর সময় কাটে। জায়গাটি সত্যি অনেক সুন্দর। অনেক ভালো লাগলো আপনার এই পোস্ট দেখে।