রেসিপি = তেলাপিয়া, সিলভার কার্প ও পুনা মাছের রেসিপি
আসসালামু আলাইকুম/আদাব আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু গন আমি @kibreay001 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ (০৩-০৮-২০২৩)
আসসালামু আলাইকুম আমার স্টিম বন্ধু গন আশা করি আপনারা অনেক ভালো আছেন । আপনাদের দোয়ায় আমিও অনেক ভালো আছি। আমি @kibreay001 আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি তেলাপিয়া, সিলভার কার্প ও পুনা মাছের রেসিপি। আসলে বেশ কয়েকদিন ধরে লেখাপড়ার জন্য বেশ ব্যস্ত সময় পার করতে হয়। অনেকদিন পর বাড়িতে এসেছি তাই একটি রেসিপির ছবি তুলেছিলাম বাড়িতে বসে। আসলে সকাল বেলায় ঘুম থেকে উঠে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে দেখি বাড়িতে মাছ রান্না শুরু করবে। তাই চুলার পাশে বসে গেলাম রেসিপি তৈরির জন্য। রেসিপির ছবি তোলা শেষ করে ভাবলাম পোস্ট করব এখন। তবে চলুন আজকের পোস্ট শেয়ার করা যাক.......
ক্রমিক নম্বর | উপাদান |
---|---|
১ | তেলাপিয়া মাছ |
২ | সিলভার কার্প মাছ |
৩ | পুনা |
৪ | লবণ |
৫ | ঝালের গুঁড়া |
৬ | হলুদের গুঁড়া |
৭ | পিঁয়াজ |
৮ | তেল |
৯ | পানি |
প্রথমে আপনার ওপরে ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন। অনেক সুন্দর ভাবে মাছগুলো যখন পানি দিয়ে ধোয়া হয়েচ্ছিল তারপরে একটি ছবি তুলে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। আসলে মাছ রান্না করার আগে পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হয়। তাই তখন আমি অনেক সুন্দর ভাবে মাছগুলো পানি দিয়ে ধুয়ে আপনাদের মাঝে ছবি তুলে শেয়ার করেছিলাম।
আপনারা এবার উপরে ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন মাছগুলো অনেক সুন্দর ভাবে একটি গামলার মধ্যে নেওয়া হয়েছে। তারপরে সেই গামলার মধ্যে এক চামচ পরিমাণ ঝালের গুঁড়া। এক চামচ পরিমাণ হলুদের গুঁড়া । অল্প কিছু পরিমাণ লবণ দেওয়া হয়েছে। তারপর একটি ছবি তুলে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি।
এবার আপনারা উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন । গামলার মধ্যে আমি প্রথমে যে উপাদান গুলো দিয়েছিলাম সেগুলো অনেক সুন্দর ভাবে মাছের গায়ে মাখিয়ে দিয়েছি। তারপরে একটি ছবি তুলে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি।
এবার আপনার উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন । আমি অনেক সুন্দর ভাবে চুলার উপরে একটি কড়া বসিয়ে দিয়েছি। তারপরে চুলার মধ্যে জাল দেওয়া শুরু করেছি। তারপরে যখন কড়া গরম হয়ে গিয়েছে কড়ার উপরে অল্প কিছু পরিমাণ তেল দিয়ে দিয়েছি। তারপরে আপনাদের মাঝে অনেক সুন্দর ভাবে একটি ছবি তুলে আমি শেয়ার করেছি।
আপনার এবার উপরে ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন । কড়ার উপরে যেই তেল দেওয়া হয়েছে তেল যখন গরম হয়ে গিয়েছে তারপরে মাছগুলো ভাজা শুরু করেছি। মাছগুলো যখন এক সাইড অনেক সুন্দরভাবে ভাজা হয়েছে তারপরে অপর সাইড ভাজা শুরু করেছি। আপনার উপর ছবির দিকে লক্ষ্য করলে সবকিছু ভালোভাবে দেখতে পারবেন।
এবার আপনার উপরে ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন মাছগুলো যখন অনেক সুন্দর ভাবে ভাজা হয়ে গিয়েছে। তখন আমি অনেক সুন্দর ভাবে মাছগুলো কড়ার মধ্য থেকে তুলে একটি গামলার মধ্যে রেখেছি। তারপরে অনেক সুন্দর ভাবে ছবি তুলে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি।
এবার আপনারা উপরে ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আবারো প্রথমে চুলার উপরে কড়া বসানো রয়েছে। কড়ার মধ্যে অল্প কিছু তেল এবং তেলের মধ্যে পিঁয়াজ বেটে দেওয়া হয়েছে। তখন আমি অনেক সুন্দর ভাবে ছবি তুলে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি।
এবার আপনাদের লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন সেই কড়ার মধ্যে অনেক সুন্দর ভাবে ঝালের গুড়া হলুদের গুড়া ও লবণ দেয়া হয়েছে পরিমাণ মতো। তারপরে খুন্তি দিয়ে অনেক সুন্দর ভাবে নাড়া হয়েছে। তারপরে অনেক সুন্দর ভাবে আমি আমার মোবাইল ফোন দিয়ে একটি ছবি তুলে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি।
তার কিছুক্ষণ পরে আবারো মাছগুলো অনেক সুন্দর ভাবে কড়ার মধ্যে দিয়ে দেওয়া হয়েছে। তারপরে অনেক সুন্দর চুলার মধ্যে ভালোভাবে জাল দেওয়া হয়েছে। তখন আমি অনেক সুন্দর ভাবে একটি ছবি তুলে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি।
এবার আপনার উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন । যেই কড়ার মধ্যে মাছগুলো দেওয়া হয়েছে সেখানে অনেক পানি দেওয়া হয়েছে। আসলে মাছগুলো রান্না করা হবে এই জন্য মাছগুলোকে ভালোভাবে সিদ্ধ করার জন্য পানি দেওয়া হয়েছে।
এবার আপনারা উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন অনেক সুন্দর ভাবে কড়ার মধ্যে যেই পানি দেয়া হয়েছে সেই পানিগুলো ফুটে উঠেছে। পানিগুলো যখন ঠিক ফুটে উঠেছে তখন আস্তে আস্তে পানি গুলো শুকাতে শুরু করে দিয়েছে। আসলে রেসপির মধ্যে আমরা অল্প কিছু পানি রাখব যাতে ঝোল খেতে সব থেকে বেশি ভালো লাগে।
এবার আপনারা উপরে ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন কড়ার মধ্যে প্রায় ঝোল গুলো অনেক সুন্দর ভাবে শুকিয়ে এসেছে। আর কয়েক মিনিট পরে কড়া থেকে আমরা রেসিপি একটি গামলার মধ্যে নামিয়ে ফেলবো। তার আগে আমি অনেক সুন্দর ভাবে একটি ছবি তুলে শেয়ার করেছি।
আপনারা এবার উপরে ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারছেন আমি অনেক সুন্দর ভাবে রেসিপি কড়া থেকে গামলার মধ্যে নামিয়ে ফেলেছি। তারপরে রেসিপি অনেক সুন্দর ভাবে একটি ছবি তুলে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। আশা করি রেসিপিটি খেতে বেশ সুস্বাদু লাগবে।
সবার শেষে অনেক সুন্দরভাবে রেসিপি গামলা হাতে নিয়ে আমি একটি সেলফি তুলে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। আসলে পোস্টটি তৈরি করার জন্য অনেক সময় চুলার পাশে আমাকে বসে থাকতে হয়েছিল। আশা করি পোস্টটি দেখতে আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে। সকলের মতামত নিচে কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে জানাবেন। আপনাদের সকলের জন্য আমার পক্ষ থেকে শুভকামনা রইল।
আমি মোঃ কিবরিয়া হোসেন। আমি বাংলাদেশ খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানায় কামারখালী গ্রামে বসবাস করি। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমি বর্তমানে একাদশ শ্রেণীর ছাত্র। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলতে এবং লিখতে অনেক ভালোবাসি। সব থেকে আমি বেশি পছন্দ করি ফটোগ্রাফি করতে। আমি বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন জায়গা ঘোরাঘুরি করে থাকি। কয়েকটি শখের মধ্যে আমার প্রধান শখ হচ্ছে ঘোরাঘুরি করা। সংক্ষিপ্ত আকারে আমি আমার নিজের পরিচয় শেয়ার করলাম আপনাদের মাঝে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।
(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )
VOTE @bangla.witness as witness
OR
ছাত্র জীবন একটু ব্যস্ত হল খুব সুন্দর জীবন। আজকে আপনি খুব সুন্দর করে তেলাপিয়া মাছ ও সিলভার কার্প মাছ ও পুনা দিয়ে খুব সুন্দর রেসিপি করেছেন। যদিও কলেজ থেকে এসে দেখতেছেন এভাবে রেসিপিটি তৈরি করতেছে আপনি বসে বসে খুব সুন্দর করে ফটো তুলেছেন। তবে আপনার রেসিপি দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে অনেক মজা হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর করে রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছেন আপু আপনি রেসিপিটা খেতে আসলেই বেশ মজা লেগেছিল। ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান মতামত শেয়ার করার জন্য।
https://twitter.com/GKibreay/status/1686994573615345665?s=20
দারুন তো তিন পদের মাছ একসাথে রান্না করে খাওয়া। যাক আজকে আপনার মাধ্যমে তাহলে এই আইডিয়াটি পেলাম। যে সুন্দর কালার হয়েছে আপনারে রেসিপিটি তাতে মনে হচ্ছে খেতে না জানি কতই স্বাদের ছিল। রেসিপির প্রতিটি ধাপ বেশ সুন্দর করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলে আপু রেসিপিটা খেতে বেশ ভালোই লেগেছিল। বেশ মজা করে অনেকদিন পর বাড়িতে মাছের রেসিপি খেয়েছিলাম।
আপনি তো তিন ধরনের মাছ দিয়ে খুব সুন্দর রেসিপি করেছেন।তেলাপিয়া সিলভার কার্প ও পুনা মাছ। মাছ খেতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। যদি আপনার রেসিপিটি দিয়ে রুটি খেতে পারতাম তাহলে অনেক ভালো লাগতো। আর আপনার রেসিপি দেখেই বোঝা যাচ্ছে অনেক মজা করে খেয়েছেন। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।