লাইফ স্টাইল = পুকুরে মাছের খাবার দেওয়ার অনুভূতি

in আমার বাংলা ব্লগlast year

হ্যালো.......
আসসালামু আলাইকুম/আদাব আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু গন আমি @kibreay001 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ (০৮-০৮-২০২৩)

IMG_20230808_113802.jpg

আসসালামু আলাইকুম আমার স্টিম বন্ধু গন আশা করি আপনারা অনেক ভালো আছেন । আপনাদের দোয়ায় আমিও অনেক ভালো আছি। আমি @kibreay001 আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি পুকুরে মাছের খাবার দেওয়ার অনুভূতি। কয়েকদিন আগে বাড়িতে গিয়েছিলাম বাড়িতে যাওয়ার পরেই মাছের খাবার দিতে গিয়েছিলাম সেই বিষয় নিয়ে আজকে একটি পোস্ট শেয়ার করতে যাচ্ছি। আসলে আজকে সকাল বেলা থেকে বেশ ব্যস্ত সময় পার করছি। সকাল বেলায় ঘুম থেকে উঠে প্রাইভেটের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। তারপরে মেসে ফিরে সকালের খাবার খেয়েছি। আপনারা জানেন আমার নানী অসুস্থ হাসপাতালে ভর্তি আছে। আমার নানীর কাছে আমার আম্মু রয়েছে আমি হোটেল থেকে খাবার কিনে দিতে গিয়েছিলাম হাসপাতলে। তারপরে মেসে ফিরে কিছুক্ষণ লেখাপড়া করি তারপরে আবারো ভাবলাম একটা পোস্ট শেয়ার করা দরকার। তবে চলুন আজকের পোস্ট নিচে ধাপে ধাপে শেয়ার করা যাক......

IMG_20230721_173516.jpg

আপনারা উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন পুকুরের মাছ এখন বড় হয়ে গিয়েছে। পুকুরে আগে খাবার দিতাম প্রায় হাফ বস্তা এখন খাবার দেওয়া লাগে প্রায় এক বস্তা। আমি এবং আমার এক বন্ধু গিয়েছিলাম পুকুরে খাবার দেওয়ার জন্য। বাড়ি থেকে বাইকে খাবার নিয়ে এসেছিলাম। আসলে আমাদের বাড়ি থেকে পুকুরটি প্রায় আধা কিলোমিটার দূরে তাই বাইক নিয়ে এসেছিলাম। তারপর আমি আমার বন্ধু রনিকে খাবারের বস্তা খোলার জন্য মাচালের উপরে দাঁড় করিয়ে দিয়েছি। রনি অনেক সুন্দর ভাবে বস্তা খোলার চেষ্টা করছে। আপনারা উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন।

IMG_20230721_173530.jpg

আপনার এবার উপরে ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন। রনি অনেক চেষ্টার পরেও বস্তার মুখ খুলতে পারছিল না। আসলে বস্তা সুতা দিয়ে অনেক সুন্দর ভাবে সেলাই করা রয়েছে। বস্তা খুলতে হলে প্রথমত একটা ব্লেট প্রয়োজন হয়। কিন্তু আমরা ব্লেট নিয়ে গিয়েছিলাম না। । রানি বস্তার মুখ খুলতে পারছিল না বলে আমি অনেক হাসাহাসি করছিলাম। তারপরে আমিও বেশ কিছুক্ষণ চেষ্টা করেছিলাম তাও খুলছিল না । অবশেষে বস্তার মুখ খুলতে আমরা সক্ষম হয়েছিলাম। তখন আমি সেলফি তুলে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছিলাম।

IMG_20230721_174029.jpg

এবার আপনারা উপরে ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন। বস্তার মুখ খোলার পরে আমি অনেক সুন্দর ভাবে খাবারের ছবি তুলে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। আসলে খাবারগুলো হচ্ছে গোল গোল ধরনের। আসলে এই খাবার পানিতে ফেললে খাবার ডুবে যায় না এই খাবার হচ্ছে পানিতে ফেললে ভেসে থাকে। তাই এই খাবার খাওয়ার সময় মাছের পানির উপরে উঠে আসতে হয়। তাই সেই সময় মাছগুলো বেশ ভালোভাবেই দেখা যায়। বাড়িতে বানানো খাবারের থেকে এই খাবারে অনেক পুষ্টি রয়েছে। এই খাবার খাওয়ালে মাছ বেশ দ্রুত বাড়তে থাকে।

IMG_20230721_174024.jpg

এবার আপনারা উপরে ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন। মাছের খাবার দেওয়ার জন্য আমি যখন বস্তার মুখ ছোট করে হাতের মধ্যে গুটাতে ছিলাম মাছের শব্দ শুনে সব মাছ খাবার খাওয়ার জন্য চলে এসেছিল। তখন আমি অনেক সুন্দর ভাবে একটি ছবি তুলে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। আসলে এই মাছের খাবার অত্যন্ত বাসনা। বস্তার মুখ খোলার সাথে সাথে অনেক মাছ এসে হাজির হয়ে যায়। প্রত্যেকটি খাবারের বস্তায় ২০ কেজি করে খাবার থাকে। আসলে এই খাবারের দাম ১৫৬০ টাকা। বর্তমানে মাছের দামের তুলনায় খাবারের দাম অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই মাছ চাষিরা আর লাভবান হতে পারছে না।

IMG_20230808_112457.jpg

এবার আপনারা উপরে ছবির লোকের দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন । আমি অনেক সুন্দর ভাবে যখন মাছের খাবার পানির মধ্যে দিতেছিলাম তখন একটি ছবি তুলে আপনাদের মাঝে শেয়ার করা হয়েছি। আপনারা লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন মাছের খাবারগুলো যখন পানির উপরে ভেসে বেড়াচ্ছে তখন মাছগুলো খাবার খাওয়ার জন্য সবাই এসে তাড়াহুড় বাঁধিয়ে দিয়েছে। আসলে সেই সময় যদি সেখানে একটি মানুষও ফেলা যায় তাও মনে হয় মাছে খেয়ে ফেলবে। এই এক বস্তা খাবার মাছের খেতে প্রায় তিন থেকে চার মিনিট সময় লাগে মাছের। আসলে অন্য মাসের তুলনায় পাঙ্গাস মাছ অনেক খাবার খেতে পারে।

IMG_20230721_174053.jpg

মাছের খাবার খাওয়া শেষে আমি অনেক সুন্দর ভাবে আবারো মাসের একটি ছবি তুলে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। আপনারা ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন মাছের খাবার আর পানির মধ্যে ভেসে নেই সবগুলো মাছে খেয়ে ফেলেছে। আশা করি মাছগুলো আর এক থেকে দেড় মাসের মধ্যে বিক্রয় করার উপযোগী হয়ে যাবে। এখন পাঙ্গাস মাছের দাম তুলনামূলক আগের থেকে কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। এখন প্রায় প্রতি কেজি মাছ ১৪০ দরে বিক্রয় করছে পুকুর মালিক।

IMG_20230721_174043.jpg

সবার শেষে আবারো আমি আমার বন্ধু আমাদের পুকুরের মাচালের উপরে দাঁড়িয়ে অনেক সুন্দর একটি ছবি তুলে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। আসলে বাড়িতে থাকলে আমি প্রায় দিনে বিকেল বেলায় পুকুরে মাছের খাবার দিতে যাই। আসলে সেখানে গিয়ে প্রাকৃতিক পরিবেশ আমার কাছে বেশ ভালো লাগে। আশা করি পোস্টে আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে। সকলের মতামত নিচে কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে জানাবেন। সকলের জন্য আমার পক্ষ থেকে শুভকামনা রইল।
💞আমার নিজের পরিচয়💞


IMG-20230321-WA0007.jpg

আমি মোঃ কিবরিয়া হোসেন। আমি বাংলাদেশ খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানায় কামারখালী গ্রামে বসবাস করি। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমি বর্তমানে একাদশ শ্রেণীর ছাত্র। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলতে এবং লিখতে অনেক ভালোবাসি। সব থেকে আমি বেশি পছন্দ করি ফটোগ্রাফি করতে। আমি বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন জায়গা ঘোরাঘুরি করে থাকি। কয়েকটি শখের মধ্যে আমার প্রধান শখ হচ্ছে ঘোরাঘুরি করা। সংক্ষিপ্ত আকারে আমি আমার নিজের পরিচয় শেয়ার করলাম আপনাদের মাঝে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।

(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )

banner-abb3.png

Logo.png

7258xSVeJbKkzXhyseBP4PYz11eBDT8sW2oR1a4vfVFS6JTrGU8e1FPUaNdHG5vjXyg2xthV78bDEmEVvKCQpyzX1kq8gAVzGsPp9GqJVRWxb6T9y35PZmQehnLjELdKKmnhdxQjDuny4.png

Steem_Pro.png


VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png

Sort:  
 last year 

মাছের খাবার দেয়ার এই মুহূর্তগুলো সত্যিই অনেক ভালো লাগে। কেননা একই সাথে যখন সবগুলো মাছ একটা জায়গায় এসে খাবার খেতে শুরু করে তখন তা দেখতেই যেন ভালো লাগে। এই ধরনের দৃশ্য অনেকবার দেখেছি আমি।

 last year 

ধন্যবাদ মামা এত সুন্দর ভাবে আপনার গঠনমূলক মূল্যবান মতামত শেয়ার করার জন্য।

 last year 

বাহ্ অনেক সুন্দর তো । কি সুন্দর করে মাছগুলো খাবার খাচ্ছে। এক ঝাঁক মাছ দেখে কেমন যেন একটা ভালো লাগা কাজ করছে। কিন্তু মনে হচ্ছে মাছের খাবারের দাম দিনে দিনে বৃদ্ধি পাচেছ। ১৫৬০ টাকার খাবার কিনলেন। এভাবে নিজের হাতে মাছের খাবার দেওয়া কিন্তু অন্য রকমের মজা । বেশ মজা লাগলো আপনার পোস্ট।

 last year 

ঠিক বলেছেন আপু আপনি নিজের হাতে মাছের খাবার খাওয়ানোর অনুভূতি অন্যরকম। ধন্যবাদ আপনার কাঙ্খিত মূল্যবান মতামত শেয়ার করার জন্য।

 last year 

আমাদের কিছু পুকুর আছে আর সেখানে আমি প্রতিদিন খাবার দেই। আসলে পুকুরে খাবার দেয়ার মজাটা অন্যরকম। যখন মাছগুলো একত্রে কাছে আসে তখন দেখতে খুবই সুন্দর লাগে। বিকেল বেলায় অবসর সময় পুকুরে খাবার দের সময় কাটানো মুহূর্তটা অসাধারণ। ভাগ্নে তুমি তো দেখছি খুবই সুন্দর একটা মুহূর্ত কাটিয়েছে পুকুরে মাছের খাবার দিয়েছে এবং তার অনুভূতিটা আমাদের মাঝে প্রকাশ করেছো তোমাকে ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।

Posted using SteemPro Mobile

 last year 

ঠিক বলেছেন মামা আপনি বিকেল বেলায় পুকুরে মাছের খাবার দেওয়ার মুহূর্তটা আসলে অসাধারণ লাগে। ধন্যবাদ এত সুন্দর ভাবে আপনার মূল্যবান মতামত শেয়ার করার জন্য।

 last year 

সত্যি কথা বলতে এই ধরনের কাজ গুলো করতে অনেক ভালো লাগে। নিজের পুকুরে মাছকে খাবার দেওয়ার অনুরোধে অন্য ধরনের। আপনার পুকুরের মাছের খাবার দেওয়া দেখে আমারও মাছকে খাবার খাওয়াতে ইচ্ছে করতেছে। তবে আপনার নানি সুস্থ হয়ে যাক সেই কামনা করি। খুব সুন্দর অনুভূতি প্রকাশ করলেন অনেক ভালো লাগলো পড়ে।

 last year 

ধন্যবাদ আপু আমার পোস্টটি পড়ে এত সুন্দর ভাবে আপনার মূল্যবান গঠনমূলক মতামত শেয়ার করার জন্য।

 last year 

মাছ কে খাবার দেওয়ার দৃশ্যগুলো দেখতে আমার কাছে খুব ভালো লাগে যদিও এ ধরনের কাজগুলো কখনো সামনাসামনি দেখিনি। মাছ খাবার খাওয়ার দৃশ্যটি আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। আসলে সবকিছুর দাম দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে। মাছের খাবার দেওয়ার অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

 last year 

পোস্টে আপনার কাছে ভালো লেগেছে জানতে পেরে বেশ খুশি হলাম আপু । ধন্যবাদ আপনার কাঙ্ক্ষিত মূল্যবান মতামত শেয়ার করার জন্য।

 last year 

আসলে ভাই মাছ যখন খাবার খায় তখন ঐ দৃশ্য দেখতে খুবই সুন্দর লাগে। মাছ চাষ করা আমার খুব শখের তবে ব্যস্ততার কারণে মাছ চাষ করা হয় না। সময় পেলে মাছ চাষ করা খুবই ইচ্ছে আছে পুকুরে মাছের খাবার দেওয়ার অনুভূতি চমৎকার ভাবে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। পুকুরে মাছের খাবার দেওয়ার মুহূর্ত বেশ সুন্দরভাবে কাটিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।

 last year 

আসলে ভাই মাছ চাষ করা একটা শখের পেশা আমি মনে করি। আসলে ভাই নিজের সময় করে মাছ চাষ করা শুরু করে দিন অবশ্যই ভালো কিছু হবে। ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান মতামত শেয়ার করার জন্য।

 last year 

মামা এই জাতীয় অনুভূতিগুলো আমার মধ্যে বিদ্যমান কারণ আমিও তো প্রতিনিয়ত মাছের খাবার দিয়েই চলেছি আর সুন্দর এই ভালোলাগা উপভোগ করছি আজ ২০০৭ সাল থেকে। হয়তো তুমি তখন ছোট বাচ্চা ছিলা। যাইহোক খুবই ভালো লাগলো আজকের এই পোস্ট দেখে।

 last year 

মামা আপনি তো অনেক অভিজ্ঞ একজন মাছ চাষী আপনাকে এগুলো বলে বোঝানো যাবে না। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি মন্তব্য শেয়ার করার জন্য।

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.13
JST 0.028
BTC 58729.26
ETH 2640.67
USDT 1.00
SBD 2.47