ফটোগ্রাফি = কয়েকটি রেনডম ফটোগ্রাফি
আসসালামু আলাইকুম/আদাব আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু গন আমি @kibreay001 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ (০৯-০৮-২০২৩)
আসসালামু আলাইকুম আমার স্টিম বন্ধু গন আশা করি আপনারা অনেক ভালো আছেন । আপনাদের দোয়ায় আমিও অনেক ভালো আছি। আমি @kibreay001 আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি কয়েকটি রেনডম ফটোগ্রাফি। আসলে বেশ কয়েকদিন ধরে লেখাপড়ার কারণে বেশ ব্যস্ত সময় পার করছি। আজকে সকাল বেলায় ঘুম থেকে উঠেছিলাম ছয়টার দিকে তারপরেই প্রাইভেটের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। প্রাইভেট শেষ করে মেসে ফিরে পোস্ট লেখা শুরু করে দিলাম। আসলে আজকে সারাদিন বেশ ব্যস্ত সময় পার করতে হবে হাতে কোন সময় নেই এই কারণে। আসলে একজন বন্ধু খুবই অসুস্থ তাকে আমরা সবাই মিলে দেখতে যাব তাই আজকে সকাল সকাল পোস্ট লেখা শুরু করলাম। তবে চলুন আজকের পোস্ট আপনাদের মাঝে নিচের ধাপে ধাপে শেয়ার করা যাক......
আপনারা প্রথমে উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন। আমাদের এলাকার কৃষকরা মাঠের জমিতে ধান লাগাবে বলে মাঠের জমি অনেক সুন্দর ভাবে কাঁদা করে রেখেছে। কৃষকরা ভেবেছিল যদি পানি হয় তাহলে খুব অল্প টাকা খরচে ধান লাগাতে পারবে। কিন্তু সে অপেক্ষা বেশ কয়েকদিন ধরে কৃষকরা করতেছিল তাও কোন পানির দেখা পায় না। আসলে আমাদের এলাকাতে এখন পর্যন্ত কোন পানি হয়নি এটা আমার কাছে বেশ অদ্ভুত লেগেছে। আসলে আমি যখন ফটোগ্রাফি গুলো মোবাইলে ধারণ করেছিলাম তখন বিকেল বেলায় ফুটবল খেলার জন্য মাঠের দিকে রওনা দিয়েছিলাম।
এবার আপনারা উপরে ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন একটি স্যালো মেশিন থেকে অল্প অল্প করে পানি উঠছে। আসলে আমাদের এলাকায় প্রচন্ড গরম পরে এবং রোধ এই করণে তাই স্যালো মেশিন থেকেও আগের মত পানি উঠছে না। আসলে আমাদের এলাকার কৃষকরা বেশ কষ্ট করে তারা মাঠে চাষাবাদ করছে। আসলে স্যালো মেশিনে পানি না ওঠার কারণে এক বিঘা জমি ভিজিতে প্রায় অনেক তেল খরচ হয়। তাই আমাদের এলাকার কৃষকরা অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে পড়েছে। কৃষি চাষ আবাদ করে আর লাভবান হতে পারছে না।
এবার আপনারা উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন। মাঠের জমিতে আরেক সাইডে অনেক সুন্দর ভাবে ধান গাছ লাগানো হয়েছে। আসলে এই ধান গাছ লাগানোর জন্য কৃষকরা এই বছরে অনেক কষ্ট করেছে। যদি শ্রমিক বা লেবার নিয়ে জমিতে ধান গাছ লাগানো হয় তাহলে এক বিঘা জমিতে ধান গাছ লাগাতে প্রায় ২৫০০ থেকে ২৮০০ টাকা নিয়ে থাকে। আর এই ধান কাটার উপযোগী হবে প্রায় ৯০ থেকে ১০৫ দিন পরে। তারপরে কৃষকরা কিছু ধান বিক্রি করবে এবং কিছু ধান তাদের খাওয়ার জন্য রেখে দিবে। আসলে সেই দিন ভেবেছিলাম আকাশে মেঘলা দেখা যাচ্ছে হয়তো পানি হতে পারে কিন্তু তাও কোন পানি হয়েছিল না।
এবার আপনার উপরের ছবি দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমি অনেক সুন্দর ভাবে স্কুলের ছবি তুলে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। এই স্কুলের নাম হচ্ছে গাংনী সন্ধানী স্কুল এন্ড কলেজ। আপনার উপরে যে ছবিটা দেখতে পারছেন এটি হচ্ছে স্কুল শাখা এবং নার্সিং শাখা। আসলে আমাদের গাংনীতে এটি হচ্ছে নামকরা একটি স্কুল ও কলেজ। এই স্কুলের মালিক যিনি তিনি জাপানে থাকেন। তিনি জাপান থেকে এই স্কুল পরিচালনা করেন। আসলে এই ইস্কুল কলেজে পড়তে হলে অনেক ব্যয়বহুল খরচ রয়েছে। এই স্কুলটি হচ্ছে বেসরকারিভাবে প্রতিষ্ঠিত ছিল। খেলার মাঠে প্রবেশ করার আগে আমি ছবিটি তুলে রেখে দিয়েছিলাম আপনাদের মাঝে শেয়ার করব বলে।
এবার আপনারা উপরে ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন স্কুলের ও কলেজের পরিবেশটা অনেক সুন্দর। আসলে ভিতরে আমি আগে কখনো প্রবেশ করেছিলাম না। বাইরের কোন লোকজন ভিতরে প্রবেশ করা নিষেধ । ওই স্কুলের যিনি প্রিন্সিপাল আমরা তিনার মেসে থাকি। এই সুবাদে আমরা ফুটবল খেলার জন্য এখন প্রায় প্রত্যেক দিনে ঢুকতে পারি। আসলে আমি প্রথম দিন গিয়েই মুগ্ধ হয়েছিলাম। ভিতরে অনেক বড় একটি ফিল্ড রয়েছে। আপনার লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন ফিল্টের চারি সাইডে অনেক দূর দিয়ে অনেক সুন্দর ভাবে কিছু গাছ লাগানো রয়েছে দেখতে কিন্তু বেশ ভালোই লাগছে। আশা করি আপনাদের কাছেও বেশ ভালো লাগবে।
আপনার এবার উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন। ফুটবল খেলা শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ আগে আমি অনেক সুন্দর ভাবে কলেজ শাখার ছবি তুলে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। আসলে সন্ধান স্কুল এন্ড কলেজে মূলত ফিল্ড রয়েছে কলেজ শাখার সামনে। আমরা খেলা শুরু হওয়ার আগেই ফিল্ডের মাঝখানে বসে যখন প্লেয়ার ভাগ করে নিয়েছিলাম তখনই ঠিক ছবিটি আমি আমার মোবাইলের ক্যামেরা বন্দি করেছিলাম। আসলে স্কুলের পরিবেশ আমাকে পুরো মুগ্ধ করেছে। পায়ের মোজা থেকে শুরু করে প্রত্যেকদিন যদি ড্রেসের এক অংশ বাদ থাকে তাহলে স্কুলে প্রবেশ করতে দেওয়া হয় না। যদি কোন ছেলে বা মেয়ে একদিন স্কুল বা কলেজে না যায় তাহলে তার অভিভাবকের কাছে ফোন দেওয়া হয়। ২০২৩ সালে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ১৬৬ জন পরীক্ষার্থীর ছিল তার মধ্যে ১২৪ জন গোল্ডেন এ প্লাস পেয়েছে। আমাদের মেহেরপুর জেলার মধ্যে নামকরা একটি স্কুল ও কলেজ।
ফুটবল খেলা শেষ করে আমারও যখন বাড়ি ফিরতে ছিলাম তখন অনেক সুন্দরভাবে মোবাইল ফোন দিয়ে একটি ছবি তুলে রেখেছিলাম আপনাদের মাঝে শেয়ার করব বলে। আসলে ফুটবল খেলা আমার সব খেলার মধ্যে অন্যতম একটি খেলা। আমি ছোটবেলা থেকেই ফুটবল খেলা অনেক বেশি পছন্দ করি। কিন্তু এই ফুটবল খেলা থেকে কিছুদিন আগে একটি দুর্ঘটনা ঘটে গিয়েছে। তাই এখন এই ফুটবল খেলা খেলতে আমার কাছে অনেক ভয় লাগে। আশা করি পোস্টটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে। সকলের মতামত নিচে কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে জানাবেন। সকলের জন্য আমার পক্ষ থেকে শুভকামনা রইল।
শ্রেণী | রেনডম ফটোগ্রাফি |
---|---|
ক্যামেরা | oppo f21s pro , 64mp |
পোস্ট তৈরি | @kibreay001 |
লোকেশন | গাংনী,মেহেরপুর |
W3W | Location |
আমি মোঃ কিবরিয়া হোসেন। আমি বাংলাদেশ খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানায় কামারখালী গ্রামে বসবাস করি। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমি বর্তমানে একাদশ শ্রেণীর ছাত্র। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলতে এবং লিখতে অনেক ভালোবাসি। সব থেকে আমি বেশি পছন্দ করি ফটোগ্রাফি করতে। আমি বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন জায়গা ঘোরাঘুরি করে থাকি। কয়েকটি শখের মধ্যে আমার প্রধান শখ হচ্ছে ঘোরাঘুরি করা। সংক্ষিপ্ত আকারে আমি আমার নিজের পরিচয় শেয়ার করলাম আপনাদের মাঝে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।
(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )
VOTE @bangla.witness as witness
OR
https://twitter.com/GKibreay/status/1689106186380165120?s=20
আপনি অনেক সুন্দর করে এই ফটোগ্রাফি গুলো করেছেন। আপনার তোলা এত সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি দেখে আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। আপনি প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি অনেক সুন্দর করে তুলেছেন। আপনার ফটোগ্রাফি গুলোর দিকে আমি তো তাকিয়ে ছিলাম। বর্ণনা সহ খুবই সুন্দর করে আপনি প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে ভাগ করে দিয়েছেন। এত সুন্দর করে প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি বর্ণনার মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর ভাবে আপনার কাঙ্খিত মূল্যবান মতামত শেয়ার করে আমাকে উৎসাহিত করার জন্য।
অনেক সুন্দর ফটোগ্রাফি ছিল আপনার আজকের শেয়ার করা ফটোগ্রাফি গুলো অনেক ভালো লেগেছে। কারণ বিভিন্ন জায়গার সাথে পরিচিত হতে পেরেছি আপনার ফটোগ্রাফি গুলোর মাধ্যমে। খুব সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর ভাবে আপনার গঠনমূলক মতামত শেয়ার করার জন্য।
দেখার মত বেশ কিছু আলোকচিত্র আজ আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। যেখানে রয়েছে বিভিন্ন পর্যায়ের বিল্ডিং এবং অসাধারণ গাছের সারি, আর পাশাপাশি সেই সমস্ত বিষয়ে অনেক সুন্দর করে আপনি আমাদের মাঝে বর্ণনার সাথে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন। ভালো লাগলো এই সুন্দর পোস্ট পড়তে গিয়ে।
ধন্যবাদ মামা এত সুন্দর ভাবে আপনার মূল্যবান মতামত তুলে ধরার জন্য।