মেহেদি ডিজাইন // আপুর বিয়ে উপলক্ষে নিজের হাতে মেহেদি দেওয়া
আসসালামু আলাইকুম/আদাব আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু গন আমি @kibreay001 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ (২৬-১২-২০২৩)
আসসালামু আলাইকুম আমার স্টিম বন্ধু গন আশা করি আপনারা অনেক ভালো আছেন । আপনাদের দোয়ায় আমিও অনেক ভালো আছি। আমি @kibreay001 আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি আপুর বিয়ে উপলক্ষে নিজের হাতে মেহেদি দেওয়া । গত কয়েকদিন ধরে বেশ ব্যস্ত সময় পার করছি। অনেকদিন পর আজকে সকাল বেলায় ঘুম থেকে উঠে আবারো লেখাপড়ার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। অনেকদিন পর বলতে কিছুদিন আপুর বিয়ে খেতে গিয়েছিলাম তাই প্রাইভেট বন্ধ ছিল। প্রাইভেট শেষ করে বাজারে কিছু সময় ঘোরাফেরা করেছিলাম কলেজ ছুটি এই কারণে। তারপরে হোটেলে গিয়ে সকালের নাস্তা খেয়েছিলাম। নতুন জ্যাকেট কেনার উদ্দেশ্যে মার্কেটে প্রবেশ করেছিলাম কিছুক্ষণ মার্কেটে ঘোরাফেরা করে একটি জ্যাকেট কিনে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। বাড়িতে এসে গোসল শেষ করে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে আপনাদের মাঝে পোস্ট লেখার জন্য বসে গেলাম। তবে চলুন আজকের পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করা যাক........
আসলে আপুর বিয়ে খাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে প্রায় তিন দিন আগে গিয়েছিলাম। আসলে বিয়েতে আমি অনেক মজা করেছিলাম এর আগে কখনো কারোর বিয়েতে এত মজা করিনি। বিয়ে বাড়িতে তিন দিন আগে থেকে বক্স নিয়ে সেই আনন্দ করেছিলাম সবাই মিলে। বিয়ের আগের দিন রাতে আমি আপু এবং আমার ছোট ভাই তিনজন মিলে অনেক সময় ধরে গল্প করছিলাম। গল্পের ফাঁকে আমার আপু প্রথমে নিজের হাতে মেহেদির ডিজাইন দিয়েছিল। তারপরে আপু বলল ভাইয়া তুমিও হাতে মেহেদি দাও তারপরে আমার হাতে মেহেদি দিয়ে দিল আপু। আপু বলতে আমরা চাচাতো বোন। আপু হচ্ছে আমার বয়সে মাত্র ২৩ দিনের বড়। কিন্তু দুজন ছোট থেকেই একই সাথে লেখাপড়া করি। আপু যখন আমার হাতে মেহেদি দেওয়া শুরু করেছিল তখন থেকে আমি ছবি তুলে রেখেছিলাম আপনাদের মাঝে শেয়ার করব বলে। আপনারা উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন মেহেদী দেওয়া শুরু করেছিল আপু আমার হাতে।
আসলে হাতে আমি মেহেদি দিতে চেয়েছিলাম না কিন্তু আমার আপু অনেক রিকুয়েস্ট করার কারণে আমি হাতে মেহেদি দিয়েছিলাম। আসলে আমরা ভাই বোন মিলে বিয়ের কয়েক দিন আগে থেকেই বেশ আনন্দ করেছিলাম। এবার আপনারা লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমার হাতের কব্জির উপরে আপু অনেক সুন্দর ভাবে মেহেদির ডিজাইন করছিল তখন আমি ছবি তুলে রেখেছিলাম আপনাদের মাঝে শেয়ার করব বলে। আমরা হাতে মেহেদি দিয়েছিলাম প্রায় রাত বারোটার দিকে। আসলে গল্প করতে গিয়ে অনেক রাত হয়ে গিয়েছিল আমরা বুঝতে পেরেছিলাম না পরে মোবাইলের দিকে তাকিয়ে দেখি অনেক রাত হয়েছে।
এবার আপনারা উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমার আপু আরও অনেক সুন্দর ভাবে আমার হাতের মধ্যে মেহেদির ডিজাইন করছিল। আসলে মেহেদির ডিজাইন আমার হাতে দিতে বেশি একটা পছন্দ হয় না কারণ ছেলেমানুষ হাতে মেহেদি দেওয়া কেমন কেমন লাগে। এরপর আপু আমার হাতের নখে মেহেদি ডিজাইন করছিল বেশ ভালো লাগছিল দেখতে আমার কাছে। আসলে অনেকদিন পর আপুদের বাড়িতে গিয়ে সত্যিই বেশ মজা করেছিলাম। আমার আপুর নাম হচ্ছে কেয়া। আমি তখন আপুকে অনেক প্রশংসা করছিলাম আপু আপনি তো বেশ ভালোই মেহেদি হাতে দিয়ে দিতে পারেন। আপু তখন আমাকে বলছিল এত পাম দিতে হবে না ভাইয়া। সত্যিই সে সময় আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছিল।
মেহেদির ডিজাইন যখন আমার হাতে দেওয়া সম্পূর্ণ হয়েছিল তখন আমি অনেক সুন্দর ভাবে একটি ছবি তুলে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছিলাম। এবং সবার শেষে আমি আমার আপুর ছবিসহ আমার নিজের সেলফি তুলে আপনাদের মাঝে অনেক সুন্দরভাবে শেয়ার করেছি। আমার মেহেদি দেওয়া যখন শেষ হয়ে গেল তখন আপু আবারো ছোট ভাইয়ের হাতে মেহেদি দেওয়া শুরু করল সত্যি সেই রাতে আমরা সবাই মিলে বেশ মজা করেছিলাম। আশা করি পোস্টি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে। সকলের মতামত নিচে কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে জানাবেন। সকলের জন্য আমার পক্ষ থেকে শুভকামনা রইল।
আমি মোঃ কিবরিয়া হোসেন। আমি বাংলাদেশ খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানা কামারখালী গ্রামে বসবাস করি। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমি বর্তমানে দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলতে এবং লিখতে অনেক ভালোবাসি। সব থেকে আমি বেশি পছন্দ করি ফটোগ্রাফি করতে। আমি বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন জায়গা ঘোরাঘুরি করে থাকি। কয়েকটি শখের মধ্যে আমার প্রধান শখ হচ্ছে ঘোরাঘুরি করা। সংক্ষিপ্ত আকারে আমি আমার নিজের পরিচয় শেয়ার করলাম আপনাদের মাঝে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।
(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )
VOTE @bangla.witness as witness
OR
বোনের বিয়ে উপলক্ষে বেশ ভালই মজা করেছেন বুঝতে পারছি। তবে আপনার মেহেদির ডিজাইন টা কিন্তু খুব সুন্দর হয়েছে ।যদিও এই প্রথম ছেলেদের হাতে এরকম মেয়েদের মত এত মেহেদী ডিজাইন দেখলাম ।ছেলেদের কে উল্টো পিঠে এ ভাবে কখনো মেয়েদের মত মেহেদী পড়তে দেখি নি। বেশ ভালোই লাগলো দেখে ।ধন্যবাদ আপনাকে।
ঠিক বলেছেন আপু আপনি বোনের বিয়ে উপলক্ষে বেশ দারুন মজা করেছিলাম। আমার কাছ থেকে প্রথম ছেলেদের হাতে মেহেদি দেওয়া দেখতে পেলেন জানতে পেরে বেশ ভালো লাগলো।
হা হা হা।
সাধারণত ছেলেদের এমন মেহেদির ডিজাইন পড়তে দেখিনি। যে কয়জন দেয় হাতের তালুতেই দেয় । মেহেদির ডিজাইনটি অনেক সুন্দর ছিল।
আসলে আপু আমি সবার থেকে আলাদা তাই হাতের উপরে দিয়েছিলাম মেহেদি ডিজাইন।
খুব সুন্দর একটি মেহেদির ডিজাইন আর্ট করলেন আপনি। বোনের বিয়ে উপলক্ষে সুন্দর মেহেদি দিলেন। বোনের বিয়ে বলে কথা আপনি একেবারে প্রাইভেট বন্ধ করে বিয়ের দাওয়াত খাওয়া দাওয়া শুরু করে দিলেন। এই ধরনের মেহেদির ডিজাইন গুলো দেখতে খুবই ভালো হয়। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে খুব সুন্দর একটি মুহূর্ত আমাদের সাথে তুলে ধরার জন্য।
আসলে আপুর বিয়ে উপলক্ষে হাতে মেহেদি দেওয়া হয়েছিল আপু। ধন্যবাদ মতামত প্রদান করার জন্য।
আসলে আপুর বিয়ে উপলক্ষে হাতে মেহেদি দেওয়া হয়েছিল আপু। ধন্যবাদ মতামত প্রদান করার জন্য।
মেহেদী সবাই পড়তে পারে তবে মেয়েরা একটু বেশি পরে এবং ছেলেরা এত বেশি মেহেদী পড়ে না। আমি আগের ছেলেদের এভাবে মেহেদি করতে দেখিনি। যাইহোক আপনার আপুর বিয়ে উপলক্ষে খুব সুন্দর মেহেদী ডিজাইন আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। মেহেদি ডিজাইন সুন্দর ছিল। সুন্দর একটি মেহেদী ডিজাইন শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
ঠিক বলেছেন আপু আপনি মেহেদি হাতে সবাই পরতে পারে কিন্তু মেয়েরা একটু বেশি পরে থাকে।
বেশ মজা পেলাম, ছেলেদের হাতে এভাবে ডিজাইন করে মেহেদি দিতে কখনো দেখিনি। ছেলেরা তো দিতেই চায় না যদিও দেয় তাহলে হাতের তালুতে একটু দেয়। তবে যাই হোক ডিজাইন কিন্তু খুব সুন্দর হয়েছে। আপনার মেহেদির ডিজাইন দেখেই বুঝতে পারছি বোনের বিয়েতে কতটা মজা করেছেন।
আপনি মজা পেয়েছেন জানতে পেরে আমার কাছে বেশ ভালো লাগলো আপু। ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান মতামত শেয়ার করার জন্য।
আসলে মেহেদী সবাই পড়তে পারে তবে মেয়েরা একটু বেশি পড়ে।যাইহোক আপনার আপু বিয়েতে বেশ ভালো করেই সেজেছেন। মেহেদী ডিজাইন অনেক সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার মেহেদী পড়ার অনুভূতি গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছেন আপু আপনি মেয়েরা মেহেদি হাতে একটু বেশি পরে।
চাচাতো বোনের বিয়েতে গিয়ে খুব সুন্দর করে হাতে মেহেদি লাগিয়েছেন। তবে বিয়ে বাড়িতে মন খুলে কথাবার্তা বলে আনন্দ করলে নিজের কাছে অনেক ভালো লাগে। তবে আপনার চাচাতো বোন আপনার থেকে ২৩ দিনের বড়। একসাথে আপনারা লেখাপড়া করেছেন এই কারণে একজনের সাথে একজনের ভালো সম্পর্ক। তবে আপনার হাতে মেহেদি ডিজাইনটি অসাধারণ হয়েছে। এবং খুব সুন্দর করে মেহেদি ডিজাইন টি আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করেছেন তাই ধন্যবাদ আপনাকে।
ঠিক বলেছেন আপু আপনি আমাদের দুজনের সাথে দুজনের বেশ ভালো সম্পর্ক। আসলে বিয়েতে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত বেশ দারুন মজা করেছিলাম।
বড় বোনের বিয়েতে অনেক সুন্দর করে হাতে মেহেদি লাগিয়েছেন। তবে ছেলেরা মেহেদী লাগাতে একটু কষ্ট হয় যদি কেউ হেল্প করে তাহলে ভালো হয়। তবে আপনার মেহেদি লাগানো হাতের ডিজাইন অসাধারণ হয়েছে। সমবয়সী চাচাতো বোনের বিয়েতে গিয়ে মেহেদি লাগিয়ে এবং অনেক আনন্দ করেছেন। মেহেদি লাগানো হাতের মধ্যে প্রতিটি ধাপ সুন্দর করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। এবং মেহেদি লাগানো ডিজাইন আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর ভাবে আপনার গঠনমূলক মতামত শেয়ার করে আমাকে উৎসাহ দেওয়ার জন্য।
আপনার আপুর বিয়ে উপলক্ষে নিজের হাতে মেহেদী দিয়েছেন দেখে বেশ ভালো লাগছে ভাই। সুন্দরভাবে মেহেদি দেওয়ার পদ্ধতি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই।
চেষ্টা করেছি ভাই ভাই সুন্দর পদ্ধতিতে আপনাদের মাঝে পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
আপনার আপুর বিয়ে উপলক্ষে দেখছি হাতে দারুন ভাবে মেহেদী দিয়েছেন। আসলে বিয়ে অনুষ্ঠান খুবই মজার একটা অনুষ্ঠান সেখানে সকলে প্রচুর পরিমাণে মজা পাই। আর এই বিয়েকে কেন্দ্র করে প্রায় সকলেই হাতে মেহেদি দিয়ে থাকে।
ঠিক বলেছেন মামা আপনি আসলে আপুর বিয়েতে প্রচুর মজা করেছিলাম আমরা সবাই। ধন্যবাদ এত সুন্দর ভাবে আপনার গঠনমূলক মতামত শেয়ার করার জন্য।