জেনারেল রাইটিং // আপুর বিয়ের অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্ব

in আমার বাংলা ব্লগ6 months ago

হ্যালো.........
আছসালামু আলাইকুম/আদাব আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু গন আমি @kibreay001 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ (১০-০১-২০২০)

IMG20231222161518.jpg

আছসালামু আলাইকুম আমার স্টিম বন্ধু গন আশা করি আপনারা অনেক ভালো আছেন । আপনাদের দোয়ায় আমিও অনেক ভালো আছি। আমি @kibreay001 আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি আপুর বিয়ের অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্ব । আসলে আজকে সকাল থেকে বেশ ব্যস্ত সময় পার করছি। সকালবেলায় ঘুম থেকে উঠেই হালকা নাস্তা খেয়ে কোচিং এর উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। কোচিং শেষ করতে প্রায় এগারোটা বেজে গিয়েছিল। আসলে একজন বন্ধুর কাছে কিছু টাকা পাওয়া যাবে আজকে কয়েকদিন আগেই টাকা দেওয়ার কথা কিন্তু টাকা দিবে বলে শুধুমাত্র ঘুরিয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছে। আমি মনে করি নিজের অত্যন্ত কাছের মানুষের সাথে টাকা পয়সার লেনদেন করা ভালো নয় এখান থেকে শিক্ষা পেলাম। আজকে অর্ধেক টাকা দিয়েছে আমার সেই বন্ধু। তারপরে বাড়িতে এসে গোসল শেষ করে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে আপনাদের মাঝে বসে গেলাম আপুর বিয়ের অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্ব পোস্ট শেয়ার করার জন্য। তবে চলুন আজকের পোস্ট শেয়ার করা যাক........

IMG20231222160432.jpg

আপনার উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আপুকে অনেক সুন্দর ভাবে ক্ষীর খাওয়ানোর জন্য আসনে নিয়ে এসে বসানো হচ্ছে। তখন আমি অনেক সুন্দর ভাবে একটি ছবি তুলে রেখেছিলাম আপনাদের মাঝে শেয়ার করব বলে। আসলে আপুর বিয়ের বেশ কয়েকদিন আগেই গিয়েছিলাম বিয়ে খাওয়ার উদ্দেশ্যে। আসলে আপুর বিয়েতে বেশ মজা করেছিলাম আমরা সবাই মিলে। বেশ ধুমধাম করে আপুর বিয়ের আয়োজন করা হয়েছিল। বিয়ের দুই দিন আগে থেকে আপুদের বাড়িতে অনুষ্ঠান শুরু হয়েছিল গায়ে হলুদ এবং ক্ষীর খাওয়ানোর অনুষ্ঠান। আসলে এই অনুষ্ঠানে থাকতে পেরে বেশ ভালো লেগেছিল।

IMG20231222160605.jpg

আপনারা উপরে ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আপুকে নিয়ে এসে অনেক সুন্দর ভাবে ক্ষীর খাওয়ানো আসনে বসানো হয়েছে। তখন আমি অনেক সুন্দর ভাবে ছবি তুলেছিলাম আপনাদের মাঝে শেয়ার করব বলে। আসলে এই সময় আপুকে দেখতে বেশ দারুন লেগেছিল। ক্ষীর খাওয়ানোর জন্য যে আসন তৈরি করা হয়েছে এই আসন পুরো আমি নিজের হাতে অনেক সুন্দর ভাবে ফুল দিয়ে সাজিয়েছিলাম। আসলে আপুর বিয়েতে অসম্ভব মজা করেছিলাম বলে বোঝানো যাবে না।

IMG20231222160632.jpg

এবার আপনারা উপরে ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন ছোট্ট মেয়েরা যখন সাজানো ক্ষীরের প্লেটগুলো নিয়ে আসছিল তখন আমি অনেক সুন্দর ভাবে ছবি তুলেছিলাম। আসলে ছোট্ট মেয়েদের দারুন স্টাইল দেখে সত্যি আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছিল। আসলে বিয়েতে এমন অনুষ্ঠান দেখলে সত্যি নিজের কাছে বেশ ভালো লাগে। আসলে ক্ষীর খাওয়ানো এই অনুষ্ঠানের জন্য মেয়েগুলো বেশ সুন্দরভাবে সেজেছিল। প্রত্যেকে একই রকম ড্রেস পড়েছিল সত্যি আমার কাছে দেখতে বেশ ভালোই লেগেছিল।

IMG20231222160843.jpg

IMG20231222160851.jpg

আপনারা এবার উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমি সাজানো দুইটা প্লেটের ছবি তুলে অনেক সুন্দর ভাবে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। আসলে ফলগুলো কেটে বেশ দারুন ভাবে প্লেট সাজানো হয়েছিল দেখে সত্যি আমি বেশ মুগ্ধ হয়েছিলাম। বিভিন্ন ধরনের ডিজাইনের পিঠা তৈরি করা হয়েছিল আটা দিয়ে। আসলে পিঠার ডিজাইন গুলো দেখতে আমার কাছে বেশ ভালোই লেগেছিল।

IMG20231222160837.jpg

আপনারা এবার উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন। শুধুমাত্র বেদনা ফল দিয়ে একটি লাভের মধ্যে ক্ষীরের উপরে K এবং S অক্ষর তৈরি করা হয়েছে। আসলে আমার আপু এবং দুলাভাই দুজনে নামের প্রথম অক্ষর দেওয়া আছে এখানে। আমার আপুর নাম হচ্ছে কেয়া এবং দুলাভাইয়ের নাম হচ্ছে শাকিল। আসলে ক্ষীরের উপরে ফল দিয়ে এত সুন্দর সুন্দর ডিজাইন দেখে সত্যি আমার কাছে সেই দিন বেশ ভালোই লেগেছিল।

IMG20231222163200.jpg

IMG20231222161211.jpg

এরপরে আপনার ওপরে ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আপুর যখন ক্ষীর খাওয়ানো শুরু হয়েছিল তখন আমি অনেক সুন্দর ভাবে ছবি তুলে রেখেছিলাম আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো বলে। প্রথমে আপুর মুখে আপুর দাদী ক্ষীর দিয়েছিল। তারপর থেকে অনেক মানুষ পর্যায়ক্রমে ক্ষীর দিতে থাকে। আমি আপুর মুখে ক্ষীর দিয়েছিলাম মাত্র ১০০ টাকা দিয়ে। আশা করি আজকের পোস্টি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে। সকলের মতামত নিচে কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে জানাবেন। সকলের জন্য আমার পক্ষ থেকে শুভকামনা রইল।
✨💞আমার নিজের পরিচয়💞✨


AirBrush_20231025182645.jpg

আমি মোঃ কিবরিয়া হোসেন। আমি বাংলাদেশ খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানা কামারখালী গ্রামে বসবাস করি। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমি বর্তমানে দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলতে এবং লিখতে অনেক ভালোবাসি। সব থেকে আমি বেশি পছন্দ করি ফটোগ্রাফি করতে। আমি বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন জায়গা ঘোরাঘুরি করে থাকি। কয়েকটি শখের মধ্যে আমার প্রধান শখ হচ্ছে ঘোরাঘুরি করা। সংক্ষিপ্ত আকারে আমি আমার নিজের পরিচয় শেয়ার করলাম আপনাদের মাঝে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।

(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )

banner-abb3.png

Logo.png

7258xSVeJbKkzXhyseBP4PYz11eBDT8sW2oR1a4vfVFS6JTrGU8e1FPUaNdHG5vjXyg2xthV78bDEmEVvKCQpyzX1kq8gAVzGsPp9GqJVRWxb6T9y35PZmQehnLjELdKKmnhdxQjDuny4.png

Steem_Pro.png


VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png

Posted using SteemPro Mobile

Sort:  
 6 months ago (edited)

বিয়ে বাড়ির অনুষ্ঠানে মজাই হয় আসলে।তবে ক্ষির খাওয়ানোর দিন একটু বেশিই আনন্দ করা যায়,সবাই একই রঙের শাড়ি পরেছে সুন্দর লাগছে সবাইকে।আপনার আপুর বিয়ের অনুষ্ঠানে বেশ মজা করেছেন আপনারা।পোস্টটি পড়ে খুব ভালো লাগলো।আপনার আপুর আগামী জীবন সুন্দর হোক। শুভকামনা রইল অনেক।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।

 6 months ago 

ঠিক বলেছেন আপু সবাইকে একই রঙের শাড়ি পরার কারণে দেখতে সব থেকে বেশি সুন্দর লেগেছিল।

 6 months ago 
 6 months ago 

আপনার আপুর বিয়ের ক্ষীর খাওয়ানো নিয়ে সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন। একজন্য ধন্যবাদ ভাইয়া। বিয়ে মানেই আনন্দ। আপনি এই বিয়েতে বেশ আনন্দ করেছেন, বোঝা যাচ্ছে। আপনার আপুকে ক্ষীর খাওয়ানোর ছবিগুলো বেশ সুন্দর হয়েছে। আপনার আপু-দুলাভাইয়ের জন্য অনেক শুভ কামনা।

 6 months ago 

চেষ্টা করেছি আপুর বিয়ে উপলক্ষে আপনাদের মাঝে পোস্ট শেয়ার করার জন্য।

 6 months ago 

বিয়ের মধ্যে আনন্দ উল্লাস করতে বেশ ভালই লাগে। আপনার আপুর বিয়েতে ক্ষীর খাওয়ানের অনুষ্ঠান খুব সুন্দরভাবে শেয়ার করেছেন। দেখে বোঝা যাচ্ছে সবাই মিলে বেশ ভালো সময় কাটিয়েছে। অনুষ্ঠানের ছবিগুলো এবং আপনার আপুকে দেখতে খুব সুন্দর লাগছে। এত সুন্দর একটি মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

 6 months ago 

ঠিক বলেছেন আপু আপনি আসলে বিয়েতে আনন্দ উল্লাস করতে প্রত্যেকটা মানুষের কাছে বেশ ভালো লাগে।

 6 months ago 

আপনার আপুর ক্ষির খাওয়ার প্রথম পর্ব শেয়ার করেছিলেন বেশ ভালো লেগেছিলো।এখন দ্বিতীয় পর্বটি দেখেও দারুণ লাগছে।আপনার অপুর সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন জেনে ভালো লাগলো।ছোট ছোট মেয়েরাও খুব সুন্দর করে প্লেট হাতে এক কালার শাড়ি পড়েছে দেখে ভালো লাগছে।ফল দিয়ে খুব সুন্দর করে ডেকোরেশন করা হয়েছিল ক্ষির খাওয়ার অনুষ্ঠানে। সব মিলিয়ে দারুণ লাগছে।ধন্যবাদ সুন্দর একটি আনন্দঘন পরিবেশের ফটোগ্রাফি ও বর্ননা দেয়ার জন্য।

 6 months ago 

আপনার কাছে ভালো লেগেছে জানতে পেরে বেশ খুশি হলাম। ধন্যবাদ আপু মতামত প্রদান করার জন্য।

 6 months ago 

বিয়ে মানেই আনন্দ উপভোগ করার সুযোগ। আপনার আপুর বিয়ের অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্ব দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। ফটোগ্রাফি গুলো দেখেই বোঝা যাচ্ছে সবাই মিলে বেশ সুন্দর ভাবে উপভোগ করেছেন। খাবারের আয়োজন গুলো ভালো ছিলো ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের সাথে ভাগাভাগি করে নেওয়ার জন্য।

Posted using SteemPro Mobile

 6 months ago 

ঠিক বলেছেন ভাই আপনি বিয়ে মানে আনন্দ উপভোগ করার একটা ব্রাট বড় সুযোগ।

ভাই আপনার আপুর বিয়ের অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বটি পড়ার সুযোগ পেয়েছিলাম। আজ আবারো দ্বিতীয় পর্বটি পড়ার সুযোগ পেয়ে গেলাম। বিয়ে বাড়ির আনন্দ উল্লাস সত্যিই উপভোগ করার মত। আর বিশেষ করে এমন ক্ষীর খাওয়ানোর দিন অর্থাৎ গায়ে হলুদের দিন কিন্তু ভীষণ মজা হয়। আপনার আপুর বিয়ের অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বটি পড়ে ভালো লাগলো ভাই, শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।

 6 months ago 

আপনি দুটি পর্ব পড়েছেন জানতে পেরে বেশ ভালো লাগলো ধন্যবাদ ভাই মতামত শেয়ার করার জন্য।

 6 months ago 

বন্ধু তুমি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছ তোমার বোনের বিয়ের দ্বিতীয় পর্ব। দেখে মনে হচ্ছে খুবই সুন্দর একটা সময় তুমি উপভোগ করেছ। এমনিতে বিয়ের উৎসবগুলো খুব আনন্দের সাথে হয়ে থাকে আর সে আনন্দ উপভোগ করে আমাদের মাঝে বেশ কয়েকটি ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছো দেখে খুবই ভালো লাগলো। তোমার পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম। ধন্যবাদ ।

Posted using SteemPro Mobile

 6 months ago 

আসলেই বিয়ের আগে থেকে বেশ দারুন সময় উপভোগ করেছিলাম বন্ধু।

 6 months ago 

আপনার আপুর বিয়ের প্রথম পর্বটি আমার দেখা হলো না তবে এই পর্বের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে বোঝা যাচ্ছে প্রথম পর্বেও খুব সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। ফটোগ্রাফি গুলো দেখে বোঝা যাচ্ছে আপনার আপুর বিয়ের গায়ে হলুদ খুবই জমকপূর্ণ হয়েছে। আপনার আপুকেও খুবই সুন্দর লাগছিল। খুব সুন্দর করে গায়ে হলুদের স্টেজ সাজানো হয়েছে। এবং বিভিন্ন রকম ফল দিয়ে খুব সুন্দর সুন্দর ডেকোরেশন করা হয়েছে দেখে সত্যিই খুব ভালো লাগলো। মাত্র ১০০ টাকা দিয়ে আপনার আপুকে ক্ষীর খাওয়ালেন আরেকটু বেশি দিলে ভালো হতো। যাইহোক সব মিলিয়ে পোস্টটি পড়ে সত্যিই খুব ভালো লাগলো পরবর্তী পূর্ব দেখার অপেক্ষায় রইলাম।

 6 months ago 

আসলে আপু আমি আপুর ছোট ভাই হিসেবে ১০০ টাকা দিয়ে ক্ষীর দিয়ে দিয়েছি এটাই আমার কাছে অনেক টাকা মনে হয়েছে। ধন্যবাদ মতামত প্রদান করার জন্য।

 6 months ago 

আজকে আবার দ্বিতীয়বারের মতো দেখার সৌভাগ্য হল মামা তোমার আপুর বিয়ের অনুষ্ঠান। যেখানে খুব সুন্দরভাবে সাজানো হয়েছে। পাশাপাশি ফ্রুট কাটিং অন্যান্য ছেলেমেয়েদের আনন্দমুখর মুহূর্ত। সবকিছু ফটোগ্রাফি করেছে এবং শেয়ার করেছে আমাদের মাঝে। আর এই থেকে আনন্দঘন মুহূর্তের কিছু অংশ আমরাও গ্রহণ করতে পারলাম।

 6 months ago 

চেষ্টা করেছি মামা সুন্দরভাবে পোস্টি আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

Coin Marketplace

STEEM 0.18
TRX 0.14
JST 0.030
BTC 58559.96
ETH 3156.41
USDT 1.00
SBD 2.44