লাইফস্টাইল // নিজের পুকুরে মাছের খাবার দেওয়ার অনুভূতি
আসসালামু আলাইকুম/আদাব আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু গন আমি @kibreay001 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ (২৯-০৯-২০২৩)
আসসালামু আলাইকুম আমার স্টিম বন্ধু গন আশা করি আপনারা অনেক ভালো আছেন । আপনাদের দোয়ায় আমিও অনেক ভালো আছি। আমি @kibreay001 আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি নিজের পুকুরে মাছের খাবার দেওয়ার অনুভূতি। আসলে গত কয়েকদিন ধরে বেশ ব্যস্ত সময় পার করছি। তাও চেষ্টা করি অতি ব্যস্ততার মাঝেও আপনাদের মাঝে অল্প কিছু সময় অতিবাহিত করার জন্য। প্রায় এক সপ্তাহ হলো ম্যাচ থেকে বাড়িতে এসেছি। আসলে বাড়িতে আসলে নানান কাজের ব্যস্ততায় আর পোস্ট শেয়ার করা হয় না। গত দুইদিন পর আবারো আপনাদের মাঝে আজকে পোস্ট শেয়ার করতে যাচ্ছি। আজকে সকাল থেকে বেশ ব্যস্ত সময় পার করছিলাম। সকাল বেলায় ঘুম থেকে উঠে হাত মুখ ধুয়ে খাওয়া দাওয়া শেষ করে বাড়ির কাজের জন্য বাইরে বের হয়েছিলাম। তারপর বাড়িতে ফিরে পোস্ট লেখা শুরু করে দিলাম। তবে চলুন আজকের পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করা যাক.......
বিকেল বেলায় পুকুরের যেখানে মাছের খাবার দেওয়া হয় সেখানে দাঁড়ালেই পুকুরের মাছ সবগুলো গুছিয়ে এক জায়গায় চলে আসে। আসলে সেই সময় দেখতে বেশ ভালো লাগে। এখনো খাবার দেওয়া শুরু করেনি আমার আব্বা তার আগেই মাছগুলো গুছিয়ে সব এক জায়গায় চলে এসেছিল তখনই আমি একটি ছবি তুলে রেখেছিলাম আপনাদের মাঝে শেয়ার করব বলে।
আপনার উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন পুকুরের মাচালের উপরে দাঁড়িয়ে অনেক সুন্দর ভাবে খাবারের বস্তা খুলছে। আসলে প্রত্যেকদিন আমার আব্বা মাছের খাবার দিতে আসে তাই আমি ভাবলাম অনেক দিন পুকুরে যাওয়া হয়নি তাই আব্বার সাথে আসলাম। খাবার যখন পুকুরের মধ্যে দিতেছিল তখন মাছগুলো বেশ সুন্দরভাবে খেতেছিল তখন আমি একটি ছবি তুলে রেখেছিলাম।
আপনারা এবার উপরে ছবির দিকে লক্ষ্য করে দেখতে পারবেন আমার আব্বা খাবার দেওয়া শুরু করেছে মাছের পুকুরে আমি তখন পুকুরের বাউরির উপর দাঁড়িয়ে ছিলাম। যখন খাবার দেওয়া শুরু করেছিল তখনই আমি অনেক সুন্দর ভাবে একটি ছবি তুলে রেখেছিলাম আপনাদের মাঝে শেয়ার করব বলে। আসলে এই পুকুরের ছবি এর আগেও আমি অনেকবার শেয়ার করছি তখন মাছগুলো অনেক ছোট ছিল তখন খাবার দিতাম আমরা এক বস্তা করে এখন খাবার দিয়ে দুই বস্তা।
এবার আপনার উপরে ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন মাছগুলো যখন খাবার খাচ্ছে তখন অনেক জোরে পানি নড়াচড়া করছে। আসলে সেই সময় দেখতে বেশ ভালো লাগে সবাই মারামারি করে সেখানে খাবার খায়। এখন মাছের ওজন দেড় কেজি থেকে দুই কেজি আর কিছুদিন পরে এই মাছগুলো বিক্রি করা হবে।
এবার আপনারা উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমার আব্বা যখন মাছের খাবার দিচ্ছিল আমি তখন অনেক সুন্দরভাবে একটি সেলফি তুলছিলাম সেখানে আমার জামাই ছিল। আসলে আমার জামাই আমাদের পুকুরের মাছ দেখার জন্য এসেছিল। খাবার দেওয়া শেষে আবারো সবাই একসাথে বাড়ি ফিরে ছিলাম। আসলে মাছ চাষ হচ্ছে সৌখিন মানুষের কাজ আমি মনে করি। আশা করি পোস্টি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে সকলের মতামত নিচে কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে জানাবেন সকলের জন্য আমার পক্ষ থেকে শুভকামনা রইল।
আমি মোঃ কিবরিয়া হোসেন। আমি বাংলাদেশ খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানায় কামারখালী গ্রামে বসবাস করি। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমি বর্তমানে একাদশ শ্রেণীর ছাত্র। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলতে এবং লিখতে অনেক ভালোবাসি। সব থেকে আমি বেশি পছন্দ করি ফটোগ্রাফি করতে। আমি বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন জায়গা ঘোরাঘুরি করে থাকি। কয়েকটি শখের মধ্যে আমার প্রধান শখ হচ্ছে ঘোরাঘুরি করা। সংক্ষিপ্ত আকারে আমি আমার নিজের পরিচয় শেয়ার করলাম আপনাদের মাঝে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।
(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )
VOTE @bangla.witness as witness
OR
পুকুরে মাছের খাওয়া দেয়ার আনন্দটা অন্যরকম। এই অনুভূতির কথা বলে বোঝানো যাবে না। যখন খাবার মাছকে দেয়া হয় তখন মাছের খাবার দেখলে মনটা ভরে যায়। ভাগ্নে তোমার আব্বার তো অনেক মাছ এবং মাছ তো অনেক ভালো হয়েছে। দেখি সময় পেলে এর মধ্যে যাব তোমার বাবার মাছ দেখতে। মাছের খাওয়া ঘেড় দেখে বোঝা যাচ্ছে হয়তো বা প্রায়ই দুই থেকে তিন হাজার মাছ রয়েছে এখানে। পুকুরে মাছ খেতে দেয়ার অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
ঠিক বলেছেন মামা আপনি আমাদের পুকুরে প্রায় সাড়ে তিন হাজার মাছ রয়েছে আপনার ধারণাটা কিছুটা কাছাকাছি রয়েছে।
বাহ্ দারুণ একটা পোস্ট শেয়ার করেছেন আপনি।নিজের পুকুরে মাছের খাবার দিতে খুবই ভালো লাগে। আপনি আপনার অনুভূতি চমৎকার ভাবে উপস্থাপন করেছেন।আসলেই পুকুরের সব মাছ যখন এক জায়গায় চলে আসে তখনকার দৃশ্য দেখতে ভীষণ ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটা পোস্ট করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর ভাবে আপনার চমৎকার মূল্যবান মতামত শেয়ার করার জন্য।
নিজের পুকুরের মাছকে খাবার দেয়ার আনন্দটা আসলেই অন্যরকম। এ ধরনের কাজ করতে আমারও খুব ইচ্ছা করে। আপনাদের পুকুরে মাছের খাবার দেওয়ার সুন্দর একটি অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
ঠিক বলেছেন আপু আপনি নিজের পুকুরে মাছের খাবার দেওয়ার আনন্দটা আসলে অন্যরকম। মাছগুলো যখন সব এক জায়গায় গুছিয়ে খাবার খেতে চলে আসে তখন দেখতে বেশ ভালো লাগে।
অনেক সুন্দর চমৎকার একটি মুহূর্ত শেয়ার করলেন। ছোটবেলায় যখন গ্রামের বাড়িতে ছিলাম তখন পুকুরের মধ্যে অনেক মাছ দেখতাম। যখন পুকুরে খাবার দেওয়া হতো তখন সব মাছগুলো এক সাথে জড়ো হয়ে যেত। আজকেও সেই রকম একটি সুন্দর মুহূর্ত দেখলাম আপনার মাধ্যমে। যখন খাবার পাচ্ছে তখন মাছ গুলো সব এক জায়গায় হয়ে গেল। অনেক সুন্দর একটি অনুভূতি ছিল। অনেক ভালো লেগেছে আপনার অনুভূতি জানতে পেরে।
আসলে ঠিক বলেছেন আপু পুকুরে যখন মাছের খাবার দেওয়া হয় তখন সব মাছগুলো এক জায়গায় এসে জড়ো হয়ে যায় দেখতে বেশ ভালো লাগে।
খুবই সুন্দর একটি মুহূর্ত আপনি পোষ্টের মাধ্যমে আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন যেটা সত্যি অনেক ভালো লাগলো। মাছের খাবার দিয়ে বেশ ভালো লাগে যখন সবগুলো মাছ এসে এক জায়গায় একত্র হয় তখন খুবই ভালো লাগে। ধন্যবাদ মামু সুন্দর একটি পোস্ট মাঝে মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ মামা এত সুন্দর ভাবে আপনার গঠনমূলক মতামত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
সু স্বাগতম মামু
মাছ চাষ করা সত্যিই সুন্দর একটি শক। পুকুরে মাছ ছাড়া,মাছকে খাবার দেওয়া,মাছ ধরে বিক্রয় করা সব কিছুর মধ্যেই আনন্দ আছে। আপনার আব্বা যখন মাছকে খাবার দিচ্ছিলো তখন আপনার পিছনে একজন মানুষকে দেখলাম যাকে আপনি আপনার জামাই বললেন। সেটা বুঝলাম না। মানে আপনার বোনের জামাই না কি...। ধন্যবাদ।
ঠিক বলেছেন ভাই আপনি আমরা সত্যি শখের বসে মাছ চাষ করে থাকি। না ভাই ওটা হচ্ছে আমার ফুপার জামাই। ধন্যবাদ মূল্যবান মতামত শেয়ার করার জন্য।
আপনারাও পুকুরে মাছ চাষ করেন জেনে ভালো লাগলো।তাছাড়া এগুলোকে নিয়ম করে খাবার দিতে হয় ফলে অনেক ব্যস্ততা বেড়ে যায়।ছবি দেখে মনে হচ্ছে এগুলো পাঙ্গাস মাছ।আপনার সুন্দর পোষ্ট পড়ে ভালো লাগলো, ধন্যবাদ ভাইয়া।
ঠিক বলেছেন আপু আপনি আমাদের পুকুর পাঙ্গাস মাছ চাষ করা হয়। আসলে বিকেল বেলায় পুকুরে মাছের খাবার দিতে আসলে বেশ ভালো লাগে।