জেনারেল রাইটিং // বন্ধুর ভালবাসার পূর্ণতা দেওয়ার জন্য ফেঁসে গেলাম

in আমার বাংলা ব্লগ11 months ago

হ্যালো......
আসসালামু আলাইকুম/আদাব আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু গন আমি @kibreay001 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ (১৯-০৯-২০২৩)

love-3187623_1280.jpg

Source

আসসালামু আলাইকুম আমার স্টিম বন্ধু গন আশা করি আপনারা অনেক ভালো আছেন । আপনাদের দোয়ায় আমিও অনেক ভালো আছি। আমি @kibreay001 আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি বন্ধুর ভালবাসার পূর্ণতা দেওয়ার জন্য ফেঁসে গেলাম । চেষ্টা করি প্রতিনিয়ত আপনাদের মাঝে সকাল সকাল কিছু সময় যুক্ত হওয়ার জন্য। আসলে দিনের বেল খুব ব্যস্ত সময় পার করতে হয়। সব থেকে বেশি ব্যস্ত থাকতে হয় পড়ালেখার জন্য। আজকে সকাল বেলায় ঘুম থেকে উঠে ভাবলাম দিনের বেলায় ব্যস্ত থাকতে হবে তাই আপনাদের মাঝে সকালে পোস্ট শেয়ার করার জন্য বসে গেলাম। বিছানায় শুয়ে পোস্ট লেখা শুরু করে দিলাম। কি বিষয়ে পোস্ট লিখব এটা আগে থেকেই ভাবা ছিল তাই বেশি দেরি হয়েছিল না। তবে চলুন আমি আপনাদের মাঝে নিচে পোস্টি ধাপে ধাপে শেয়ার করতে যাচ্ছি।


প্রথমেই প্রেম কাহিনীর মূল পর্ব শুরু করা যাক। আমার বন্ধুর নাম ছিল মোঃ সোহাগ রেজা। আসলে আমারও যখন অষ্টম শ্রেণীতে পড়তাম তখন থেকেই আমাদের এক ক্লাস নিচে পড়া একটি মেয়ের সাথে আমাদের বন্ধুর ভালবাসার সম্পর্ক ছিল। সেই মেয়েটির নাম ছিল লামিয়া। তাদের দুজনের বাড়ি ছিল একই গ্রামে। আমার সব থেকে কাছের বন্ধু ছিল এই সোহাগ রেজা। এভাবেই তাদের প্রেম চলতে থাকে প্রায় এক থেকে দেড় বছর। তারপরে তাদের দুজনের পরিবার এই প্রেম সম্পর্কে সবকিছু জেনে যায়। আমাদের স্কুলের সকল শিক্ষক শিক্ষিকা এই বিষয়ে জেনে যায়। একদিন এই বিষয় নিয়ে স্কুলে মিটিং পর্যন্ত হয়েছিল। স্কুলে এসে তারা দুজন কথা বলতো না বললেই চলে মনে হতো একে অপরকে চেনে না। কিন্তু সেই সময় তাদের দুজনের মধ্যে গভীর প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। হঠাৎ করে সামনে চলে আসলো আমাদের এসএসসি পরীক্ষা। সবাই পরীক্ষার জন্য বেশ ভালোভাবে প্রস্তুতি নিয়েছিলাম । পরীক্ষায় সবাই বেশ ভালো রেজাল্ট করেছিলাম। এরপরে যেহেতু এসএসসি পরীক্ষা শেষ তাই আমরা আর স্কুলে যেতে পারি না কিন্তু সোহাগ রেজা ও লামিয়ার মাঝে মধ্যে অল্প একটু দেখা হতো । স্কুল ছুটির শেষে সোহাগ লামিয়াকে দেখার জন্য রাস্তায় গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতো।

on-a-yacht-2920946_1280.jpg

Source

এসএসসি পরীক্ষা শেষে আমি কুষ্টিয়াতে ভর্তি হয়েছিলাম আমার বন্ধু সোহাগ রেজা গাংনীতে ভর্তি হয়েছিল। আমি কুষ্টিয়াতে তখন মেসে থাকতাম । হঠাৎ করে রাত বারোটার দিকে একদিন আমাকে ফোন দিয়ে বলে আমি কুষ্টিয়াতে এসেছি লামিয়াকে নিয়ে পালিয়ে তুই আমার সাথে এখনই দেখা কর। আমি সেই রাতে বন্ধুর সাথে দেখা করলাম। আমি কিভাবে তাদের দুজনকে আমার কাছে রাখি এটা ভেবেই পাইনা। সে সময় হঠাৎ করে মনে পড়ে গেল আমাদের একজন বান্ধবী ছিল কুষ্টিয়াতে। সেই বান্ধবীর কাছে লামিয়াকে রেখেছিলাম আর বন্ধুকে আমার কাছে রেখেছিলাম। রাতে তার কাছ থেকে সব কথা জানতে পারলাম । লামিয়াকে তার পরিবার থেকে বিয়ে দিয়ে দিবে অল্প কিছুদিনের মধ্যে। তাদের পরিবার থেকে মেনে নিচ্ছে না বলেই তারা দুজন আজ সন্ধ্যাবেলায় পালিয়ে এসেছে। আসলে আমি মনে করি একে অপরকে ভালোবেসে পালিয়ে বিয়ে করা উচিত নয় পরিবারের সম্মতি নিয়েই বিয়ে করা উচিত। প্রথম থেকেই ছেলের বাবা বিয়ে দিতে রাজি ছিল কিন্তু মেয়ের বাবা বিয়ে দিতে কোনমতেই রাজি ছিল না।


তারপরে যাইহোক কিভাবে সোহাগ রেজার বাবা খবর পায় যে সোহাগ আমার কাছে আছে। তারপরে সোহাগের বাবা আমার কাছে ফোন দিয়ে বলে তাদেরকে বিয়ে দিবে কিন্তু আমার কাছে রাখতে। আরো বলছিল এই বিষয়ে যেন কেউ না জানে। এদিকে মেয়ের বাসা থেকে সবাই খোঁজাখুঁজি করছে এই বিষয়ে আমি জানতে পেরেছিলাম। এভাবেই প্রায় দুই দিন পার হয়ে যায়। তারপরে আমি সোহাগের বাবাকে ফোন দিয়ে কুষ্টিয়াতে আসতে বলেছিলাম । তারপরে সোহাগের বাবা আসলো সেখানেই দুজনের বিয়ে সম্পূর্ণ শেষ করে সেখান থেকে ঢাকাতে তার বড় ভাইয়ের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এখন তাদের দুজনের পরিবার বিয়েটাকে মেনে নিয়েছে। আসলে আমি মনে করি যেহেতু মেনে নিয়েছে যদি প্রথমদিকে মেনে নিতো তাহলে তাদের সম্মান বজায় থাকতো। এখন বাড়িতে গেলে সেই বন্ধুর সাথে দেখা হলে অনেক হাসি আনন্দে মেতে উঠি। আশা করি পোস্টে আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে। সকলের মতামত নিচে কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে জানাবেন। সকলের জন্য আমার পক্ষ থেকে শুভকামনা রইল।
💞আমার নিজের পরিচয়💞


IMG-20230321-WA0007.jpg

আমি মোঃ কিবরিয়া হোসেন। আমি বাংলাদেশ খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানায় কামারখালী গ্রামে বসবাস করি। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমি বর্তমানে একাদশ শ্রেণীর ছাত্র। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলতে এবং লিখতে অনেক ভালোবাসি। সব থেকে আমি বেশি পছন্দ করি ফটোগ্রাফি করতে। আমি বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন জায়গা ঘোরাঘুরি করে থাকি। কয়েকটি শখের মধ্যে আমার প্রধান শখ হচ্ছে ঘোরাঘুরি করা। সংক্ষিপ্ত আকারে আমি আমার নিজের পরিচয় শেয়ার করলাম আপনাদের মাঝে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।

(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )

banner-abb3.png

Logo.png

7258xSVeJbKkzXhyseBP4PYz11eBDT8sW2oR1a4vfVFS6JTrGU8e1FPUaNdHG5vjXyg2xthV78bDEmEVvKCQpyzX1kq8gAVzGsPp9GqJVRWxb6T9y35PZmQehnLjELdKKmnhdxQjDuny4.png

Steem_Pro.png


VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png

Posted using SteemPro Mobile

Sort:  
 11 months ago 
 11 months ago 

এত অল্প বয়সে কোন বাবা আমায় চাইবে না তাদের সন্তানকে বিয়ে দিতে। এজন্যই তো আপনার বন্ধু এবং লামিয়ার বাবা কিছুতে রাজি হচ্ছিল না বিয়ে দিতে। কিন্তু তারা নিজেদের ভালোবাসা রক্ষার্থের জন্য অল্প বয়সে বাসা থেকে পালিয়ে গিয়েছে। রেজার বাবা ভালো কাজ করেছে নিজে এসে তাদেরকে বিয়ে করিয়ে দিয়েছে। তা না হলে তো তারা একাই বিয়ে করে নিত। যাই হোক এখন দুই পরিবার থেকে মেনে নিয়েছে জেনে ভালো লাগলো।

 11 months ago 

ঠিক বলেছেন আপু আপনি এত অল্প বয়সে কোনো বাবা মা চায় না তার সন্তানকে দিয়ে দিতে। ধন্যবাদ পোস্টি পড়ে এত সুন্দর গঠনমূলক মতামত প্রদান করার জন্য।

 11 months ago 

আসলে আপনার গল্পটি পড়ে আমার অনেক ভালো লেগেছে কারণ বাচ্চারা ভুল করতেই পারে এর জন্য বাবারা ক্ষিপ্ত হওয়ার কিছু নেই ।তারা পারে দুটো সম্পর্ক চিরদিনের বন্ধনে আবদ্ধ করে দেওয়া। দুজনকে অনেক সুন্দর ভাবে বিয়ে দিয়েছে। এবং তারা পালিয়ে গিয়েছিল অবশেষে তাদের দুটি পরিবারের মধ্যে অনেক মিল হয়েছে এবং তাদের বিয়ে দেওয়ার পরে মেনেও নিয়েছে। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি গল্প শেয়ার করার জন্য।

 11 months ago 

ধন্যবাদ গল্পটি পড়ে এত সুন্দর ভাবে মূল্যবান মতামত শেয়ার করার জন্য।

 11 months ago 

বন্ধুর ভালোবাসার পূর্ণতা দেয়ার জন্য ফেঁসে গেলে হবে, নিজের ভালোবাসার পূর্ণতার দিকেও একটু মাথা ঘামাও। বন্ধু এবং বন্ধুর প্রেমিকার জন্য এত কিছু করলে। এবার নিজের জন্য কিছু একটা করে দেখাও মামাদের। তোমার গল্পটির পরিপূর্ণভাবে পড়লাম। আসলে অল্প বয়সে আবেগের মোহে এখন অনেক কিছু করে ফেলে। কিন্তু বাস্তব জীবনে যাওয়ার পরে মনে হয় এগুলো সবই ভুল ছিল।

Posted using SteemPro Mobile

 11 months ago 

নিজের ভালোবাসা নিয়ে মাথা ঘামানো বাদ দিয়ে দিয়েছে মামা আসলে ভালোবাসার মানুষটার বিয়ে হয়ে গেছে কিছুদিন আগে।

ভালোবাসার সম্পর্ক শুনলে অনেক বাবা-মা আছে যারা এই ভালোবাসার সম্পর্ককে মেনে নিতে চায় না। আবার যখন বাবা-মায়ের অনুমতি ছাড়াই বিয়ে করে ফেলে, তখন আবার ওই বাবা মা বাধ্য হয়ে হলেও তাদের সন্তানদের মেনে নেয়। আবার অনেক বাবা মা আছে যারা তাদের সন্তানের ভালোবাসার স্বীকৃতি দেয়ার জন্য যথেষ্ট সহযোগিতা করে। যাই হোক ভাই, সোহাগ ও লামিয়ার পরিবার থেকে তাদেরকে মেনে নিয়েছে এটা শুনে খুব ভালো লাগলো।

 11 months ago 

ঠিক বলেছেন ভাই আপনি পরবর্তীতে আবারও ওই বাবা-মা সেই সন্তানদের আপন করে মেনে নেয়।

 11 months ago 

অল্প বয়সে বিয়ে করে তারা কি এখন সুখী আছে? তাহলে সংসার টা কিভাবে চলতেছে সেটা তো বুঝলাম না। কারণ অন্যের উপর বোঝা হয়ে বিয়ে করাটা একদম ভালো দেখায় না। তবে এই বয়সে প্রেম করা মনে হয় আসলেই ভাল মন্দ কিছু বুঝে না। যাক অবশেষে দুইজনে বিয়ে করলেন এবং পরে মেনে নিল। দুইজনের জন্য শুভকামনা রইল।

 11 months ago 

আপু তারা দুজন বেশ সুখে আছে আমার কাছে মনে হয়। আপনার কথায় আমিও একদম একমত অন্যের উপর নির্ভর হয়ে কখনো বিয়ে করা উচিত নয়। ধন্যবাদ আপু মতামত শেয়ার করার জন্য।

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.13
JST 0.028
BTC 59493.68
ETH 2649.33
USDT 1.00
SBD 2.45