নাটক রিভিউ // ইন্টারভিউ
আসসালামু আলাইকুম/আদাব আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু গন আমি @kibreay001 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ (০৮-১২-২০২৩)
নাটকের নাম | ইন্টারভিউ |
---|---|
পরিচালক | মনসুর আলম |
অভিনয় | তানজিন তিশা,জোভান |
দৈর্ঘ্য | ৪৪ মিনিট ১৯ সেকেন্ড |
ভাষা | বাংলা |
মুক্তির তারিখ | ১৩ অক্টোবর ২০১৯ ইং |
নাটকের শুরুতে নায়ক এবং নায়িকা একটি হোটেলে দেখা করার জন্য গিয়েছিল। নায়ক এবং নায়িকা হোটেল দেখা করতে গিয়ে হোটেল থেকে জুস খেয়েছিল । আসলে নায়ক এতটাই অভাবের মধ্যে ছিল যে নায়িকার কাছে ৫ হাজার টাকা ধার চেয়েছিল। কিন্তু নায়িকা বলছিল আমি তোমার কাছে ২২ হাজার টাকা পাই ওইগুলো আগে আমাকে দাও তারপরে আমি তোমাকে ধার দিব আবার। তারপরে নায়ক বলে কুমিল্লা ইউনিভার্সিটি লেকচারাল পদে সার্কুলার দিয়েছে। নায়িকা তখন বলে অনেক ধন্যবাদ। তারপরে নায়ক বলে জুসের বিলটা দিয়ে যাও তাহলে। নায়িকা তখন বলে আমি তোমাকে এক টাকাও দিতে পারব না তাই বলে নায়িকা সেখান থেকে চলে যায়। তারপরে নায়ক একজন ওইটা কে ডেকে বলে জুসের দাম কত ওয়েটের বলে ১২০ টাকা। তারপরে নায়ক বিল দেওয়ার জন্য কাউন্টারে গিয়ে ম্যানেজারের সাথে কথা বলে। বলে আমার কাছে ১১০ টাকা আছে ১০ টাকা কম আছে। ম্যানেজার তখন বলে আপনি কার্ডেও বিল পেমেন্ট করতে পারবেন। নায়ক বলে আমার কাছে কোন কার্ড নেই তারপর সেখান থেকে ১১০ টাকা দিয়েই নায়ক বের হয়ে যায়।
তার কিছুক্ষণ পর নায়িকা সাদমান এর সাথে দেখা করতে আসে আসলে নাটকের শুরু থেকেই নায়িকার বিয়ের কথা পাকা ছিল সাদমানের সাথে। সেখানে এসে নায়িকা এবং সাদমান অনেক কথা বলে। নায়িকা নায়ক কে টাকা ধার দিয়েছে এসব কথা ও সাদমান কে বলে, সাদমান তখন একটু রিঅ্যাক্ট করে টাকা ধার দেওয়ার বিষয়। নায়িকা বলে আমাদের বন্ধুত্বের মধ্যে তুমি ইন্টার ফেয়ার করবে না। নায়ক যখন নায়িকার কাছে টাকা ধার পেল না তখন তার শখের ল্যাপটপ বিক্রি করে দিচ্ছিল আসলে টাকাটা খুবই দরকার ছিল নায়কের তখন। নায়কের বন্ধুর কাছে মাত্র ১৫ হাজার টাকায় ল্যাপটপ বিক্রি করে দিয়েছিল। নায়িকা একদিন রাতে বসে ল্যাপটপে একটা প্রোফাইল রেডি করতে ছিল তখন সাদমান ফোন দিয়েছিল। কথা বলতে বলতে নায়িকা বলে কুমিল্লা ইউনিভার্সিটিতে চাকরির জন্য এপ্লাই করব সেজন্য প্রোফাইল রেডি করছি। সাদমান তখন বলল ঢাকা থেকে অনেক দূর কুমিল্লা তুমি তো কয়দিন পর চলে আসবে তাহলে আবার চাকরির জন্য এপ্লাই করে লাভ কি। আসলে নাটকটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত দেখতে আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছিল গতকাল রাতে।
কয়েকদিন পরে হঠাৎ নায়ক কিছু মিষ্টির প্যাকেট হাতে করে নায়িকাদের বাসাতে এসেছিল মিষ্টি দেওয়ার জন্য। তারপরে এসে নায়িকার আম্মুর সাথে অনেক কথা বলেছিল এবং কিছুক্ষণ বাড়িতে ওয়েট করেছিল কারণ নায়িকা বিয়ের শপিং এর জন্য বাইরে গেছে। কিছুক্ষণ পরে নায়িকা যখন চলে আসলো বেশ কিছুক্ষণ কথা বলার পরে নায়িকা বলল তোমরা এখানে বসো আমি একটু রুম থেকে আসছি। নায়িকা যখন রুমের মধ্যে গিয়েছিল তখন সাদমান নায়কে টাকা চাওয়া নিয়ে বেশ কিছু কথা বলেছিল অপমানজনক। তারপরে নায়িকা পেপারস গুলো নিয়ে আসার পরে দেখে নায়ক সেখান থেকে চলে গিয়েছে। তারপরে নায়ক এবং নায়িকার মধ্যে দু একদিন যোগাযোগ বন্ধ থাকে পরে একদিন হঠাৎ করে নায়িকা দেখা করতে চলে আসে একটি জায়গায়। এসে বলে তুই আমার কাছ থেকে সেই দিন পেপারগুলো নিয়ে আসলি না কেন নায়ক তখন বলে মনে ছিল না। নায়ক বলে আজকে পেপারগুলো কুরিয়ার করে দিব নে। নায়িকা তখন বলে আমি আগেই করে ফেলেছি। তারপরে নায়িকা বলে তোকে সেদিন সাদমান টাকা না চাওয়া নিয়ে কিছু বলেছিল নাকি। নায়ক তখন বলে তুই যদি এই কথাগুলো না বলিস তাহলে ও জানল কিভাবে। আসলে নাটকটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত দেখতে আমার কাছে বেশ ভালই লেগেছিল। আমি বেশিরভাগ সময় জোভান এর নাটক দেখে থাকি।
নায়িকা একদিন নায়ক কে ফোন দিয়ে ডেকেছিল কিছু কথা বলার জন্য। নায়িকা বলে আমি কালকে কুমিল্লায় যাচ্ছি ভাইবা দেওয়ার জন্য আমার সাথে তোমাকে যেতে হবে। নায়ক তখন বলে আমার একটা শর্ত আছে নায়িকা বলে শর্ত থাকলে যাওয়ার দরকার নেই। নায়ক তখন বলে কুমিল্লা থেকে আমরা একটু ময়নামতি ঘুরতে যাব। নায়িকা তখন বলে কুমিল্লা থেকে কি অনেক দূরে নায়ক তখন বলে না কাছেই। তারপরে নায়িকা বাড়িতে চলে যাই। তার কয়েকদিন পরে সাদমান আবারও নায়িকাদের বাসায় এসেছিল। সাদমান এসে নরওয়ে যাওয়ার জন্য নায়িকা কে অনেক ভাবে বোঝাতে থাকে। কিন্তু নায়িকা কোনভাবেই সেখানে যেতে রাজি হয় না। অবশেষে সাদমান নায়িকার হাত ধরতে গিয়েছিল নায়িকা তখন বলে ডোন্ট টাচ মি । তারপরে নায়িকা সেখান থেকে উঠে চলে যায়। আসলে নায়ক এবং নায়িকার দুজনের অভিনয় আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছিল প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত।
নায়িকা রাতে যখন বসেছিল সাদমান তখন ফোন দিয়েছিল কথা বলার জন্য। সাদমান তখন বলে আমি ১৭ তারিখ ছুটি নিয়েছি তোমার সাথে কুমিল্লায় যাব বলে। নায়িকা তখন বলে আপনাকে যাওয়া লাগবে না আমার সাথে আমার বন্ধু যাবে। সাদমান তখন একটা রাফ ভাষা ইউজ করে। নায়িকা তখন বলে আমি আপনার সাথে বিয়ে করছি না তারপরে ফোনটা রেখে দেয়। তারপরের দিন নায়িকা নায়কের সাথে দেখা করতে আসে। নায়িকা বলে আমি তোকে হোয়াটসঅ্যাপ মেসেঞ্জার ইমু সব জায়গা থেকে ব্লক করে দিয়েছি তুই আমার সাথে আর যোগাযোগ করার চেষ্টা করবি না। এই বলে নায়িকা তখন একটা থাপ্পড় দিয়ে বসে নায়কের গালে। তারপরে নায়িকা কান্নায় ভেঙে পড়ে সেখান থেকে চলে যাই। আসলে শেষ পর্যায়ে এসে নাটকটি বেশ রোমান্টিক ছিল।
নায়িকা কয়েকদিন পরে কুমিল্লা যাওয়ার জন্য বাসে উঠে চলে যাচ্ছে। হঠাৎ করে মাঝপথে নায়ক বাস দার করিয়ে নায়ক বলছে আমিও কুমিল্লা যাব কিন্তু বাসের হেলপার নায়ক কে বাসের মধ্যে উঠতে দিয়েছিল না পরবর্তীতে নায়িকার কারণে উঠতে দিয়েছিল। নায়িকা তখন বলে আমার হাতটা শক্ত করে ধর। নায়িকা বলে এই হাতটা কতক্ষণ ধরে রাখবে নায়ক তখন বলে কুমিল্লা পর্যন্ত। তারপরে নায়িকা হাত ধাক্কা মেরে ছড়িয়ে নিয়ে বলে আমি মনে করছিলাম তুই বলবি সারা জীবন ধরে রাখবো। নায়ক তখন বলে আমি যদি সারা জীবন ধরে রাখি তাহলে তুই পরীক্ষা দিবি কি করে। আসলে নাটকটি শেষ দিকে এসে বেশ রোমান্টিক ছিল। প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত দেখতে আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছিল।
নাটকের প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত দেখতে আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছিল। আসলে নাটকের প্রথমে নায়িকার বিয়ে ঠিক হয়ে থাকলেও পরবর্তীতে সেই বিয়ে আর সত্তিকারের ভালোবাসায় রূপ নিতে পেরেছিল না। শেষ পর্যন্ত নায়কের সাথে সত্তিকারের ভালোবাসা আবদ্ধ হয়েছিল কিন্তু ভালোবাসা বিয়েতে রূপ নিতে পেরেছিল না তার আগেই নাটকটি শেষ হয়ে যায়। প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত কাহিনী গুলো আমার কাছে বেশ দুর্দান্ত ছিল।
এই নাটকটিতে আমি আমার ব্যক্তিগত রেটিং পয়েন্ট দিতে চাই ১০/৯.০০
আমি মোঃ কিবরিয়া হোসেন। আমি বাংলাদেশ খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানা কামারখালী গ্রামে বসবাস করি। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমি বর্তমানে দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলতে এবং লিখতে অনেক ভালোবাসি। সব থেকে আমি বেশি পছন্দ করি ফটোগ্রাফি করতে। আমি বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন জায়গা ঘোরাঘুরি করে থাকি। কয়েকটি শখের মধ্যে আমার প্রধান শখ হচ্ছে ঘোরাঘুরি করা। সংক্ষিপ্ত আকারে আমি আমার নিজের পরিচয় শেয়ার করলাম আপনাদের মাঝে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।
(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )
VOTE @bangla.witness as witness
OR
ইন্টারভিউ নাটকটার রিভিউ অনেক সুন্দর ছিল। তানজিন তিশা এবং জোভান এর নাটক আমার অনেক ভালো লাগে দেখতে। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত নাটকের পুরো কাহিনীটা আমার কাছে অসম্ভব ভালো লেগেছে। তারা দুইজনেই এই নাটকের মধ্যে অনেক সুন্দর অভিনয় করেছে। সম্পন্ন কাহিনীটা সুন্দর করে আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ জানাই । এই নাটকটা এখনো পর্যন্ত আমার দেখা হয়নি। তাই ভাবছি সময় পেলে এই নাটকটা দেখে নেব।
আসলে এই নাটকটিতে দুজন বেশ দারুন অভিনয় করেছিল ঠিক বলেছেন ভাই আপনি।
আমি নাটকের রিভিউ পোস্ট পড়তে অনেক বেশি পছন্দ করি। নাটক দেখতে যেমন আমার কাছে ভালো লাগে, তেমনি নাটকের রিভিউ পোস্ট পড়তেও খুব ভালো লাগে। তানজিন তিশার নাটকগুলো বেশিরভাগ সময় আমার দেখা হয়। বিশেষ করে যে নাটকের মধ্যে জোভান তানজিন তিশার সাথে নায়ক হিসেবে থাকে, সেই নাটকটা খুবই সুন্দর লাগে। নাটকের পুরো রিভিউ টা পড়ে সম্পূর্ণ কাহিনী জানতে পেরেছি। নায়কের সাথে সত্যি কারের ভালোবাসায় আবদ্ধ হয়েছিল শেষ পর্যন্ত এটা দেখে খুব ভালো লেগেছে।
আসলে এদের দুজনের নাটক সময়ের সাথে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এখন বর্তমান বাংলাদেশ। ধন্যবাদ আপু মতামত শেয়ার করার জন্য।
মনসুর আলম পরিচালিত নাটক গুলো দেখতে খুবই ভালো লাগে। ইন্টারভিউ নাটকের রিভিউটি পড়ে আমার খুবই ভালো লেগেছে। আসলে এ ধরনের প্রেম ভালোবাসা সম্পর্কিত নাটক গুলো দেখতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। নিশ্চয়ই সময় পেলে নাটকটি দেখবো।
অবশ্যই মামা নাটকটি সময় পেলে দেখার চেষ্টা করবেন বেশি রোমান্টিক একটি নাটক।
https://x.com/GKibreay/status/1733006125627592964?s=20
ইন্টারভিউ নাটকটা আমি অনেক আগে দেখেছি খুব ভালো লেগেছিল আমার কাছে। জোভানের অভিনীত নাটকগুলো বরাবরই আমার কাছে বেশ ভালো লাগে। আপনি এই নাটকটির রিভিউ দিয়েছেন বলে আবার নাটক দেখার প্রতি আগ্রহ জাগলো। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আমার পোস্ট দেখে আপনার নাটক দেখার প্রতি আগ্রহ জেগেছে জেনে বেশ ভালো লাগলো ভাই।
খুবই সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ করেছেন আপনি। এই নাটক এর রিভিউ দেখে আমি অনেক খুশি হয়েছি৷ আর এই নাটকের রিভিউ খুবই ভালোভাবে তুলে ধরেছেন । এই নাটকটি আমি এখনো দেখে নিতে পারিনি। তবে অবশ্যই সময় করে এই নাটকটি দেখে নেওয়ার চেষ্টা করব৷
ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর ভাবে গঠনমূলক মতামত শেয়ার করার জন্য।
তানজিন তিশা আর জোভানের নাটক দেখতে খুব ভালো লাগে। কিন্তু এই নাটক এখনো দেখা হয়নি। তবে আপনার রিভিউ পড়ে অনেক ভালো লেগেছে। সময় পেলে অবশ্যই দেখবো। বর্তমানে বাংলা নাটক দেখতে অনেক ভালো লাগে। ধন্যবাদ এত সুন্দর নাটক রিভিউ দেওয়ার জন্য।
ঠিক বলেছেন আপু আপনি তানজিন তিশা এবং জোভান বর্তমান সময়ে বেশ দারুন জুটি। আসলে এদের দুজনের নাটক দেখতে প্রত্যেকটা ছেলে মেয়ের কাছে বেশ ভালো লাগে।