ভ্রমণ // ঐতিহাসিক মুজিবনগর ভ্রমণের -০৬ পর্ব

in আমার বাংলা ব্লগ11 months ago

হ্যালো.......
আসসালামু আলাইকুম/আদাব আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু গন আমি @kibreay001 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ (১১-০৯-২০২৩)

IMG_20230707_133859.jpg

আসসালামু আলাইকুম আমার স্টিম বন্ধু গন আশা করি আপনারা অনেক ভালো আছেন । আপনাদের দোয়ায় আমিও অনেক ভালো আছি। আমি @kibreay001 আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি ঐতিহাসিক মুজিবনগর ভ্রমণের -০৬ পর্ব। আসলে প্রায় প্রত্যেকদিন সকালবেলা থেকে বেশি ব্যস্ত সময় পার করতে হয়। তাই চেষ্টা করি প্রতিনিয়ত আপনাদের মাঝে সকাল বেলায় অল্প একটু যুক্ত হওয়ার জন্য। আজকে অনেক ভোরবেলায় ঘুম থেকে উঠেছি। বিছানায় শুয়ে থেকে পোস্ট লেখা শুরু করেছি। ভাবছি পোস্ট লেখা শেষ করে অল্প একটু পড়তে বসবো তারপরে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে পরীক্ষার উদ্দেশ্যে রওনা দিবে। তবে চলুন শেয়ার করা যাক। আপনার উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন ১৯৭১ সালের সময় বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের অনেক সুন্দর একটি ভাষণ দিয়েছিল রেসকোর্স ময়দানে। সেই সবকিছু স্মৃতি হিসেবে তৈরি করে রাখা হয়েছে মুজিবনগরে। আসলে এই জায়গাটি পুরো মুক্তিযোদ্ধাকে কেন্দ্র করে তৈরি করা হয়েছে। আসলে সেখানে বেশ সুন্দর একটি সময় কাটিয়েছিলাম আমরা সবাই।

IMG_20230707_124526.jpg

প্রথমে আমরা মুজিবনগরে যাওয়ার পরেই মেলাতে গিয়েছিলাম। সেখানে মূলত গিয়েছিলাম বাইক রাখার জন্য। আম বাগানের মধ্যে যখন আমরা বাইক রেখেছিলাম তারপরে সেই মেলার মধ্যে প্রবেশ করেছিলাম। সেখানে গিয়ে আমরা বেশ কিছু সুন্দর সুন্দর জিনিস দেখতে পেয়েছিলাম। আপনারা উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন কাঠের তৈরি স্মৃতিসৌধের ছবি তুলে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। আসলে এরকমভাবে সেম স্মৃতিসৌধ তৈরি করা আছে মুজিবনগর। আমি তখন এই স্মৃতিসৌধের দাম জিজ্ঞেস করেছিলাম দাম বলেছিল ৪৫০ টাকা। পরবর্তীতে এটা আমি কিনেছিলাম না। দেখতে কিন্তু আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছিল।

IMG_20230707_124545.jpg

এবার আপনার উপরে ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন । সেখান থেকে আমি আবারো অনেক সুন্দরভাবে কাঠের তৈরি বাংলাদেশের মানচিত্রে ছবি তুলে শেয়ার করেছি। আসলে কাঠ দিয়ে এসব জিনিস তৈরি করা দেখতে বেশ ভালোই লাগে। তারপরে সেখান থেকে আমি একটি কাঠের তৈরি বাংলাদেশের মানচিত্র কিনেছিলাম। দাম নিয়েছিল ২৫০ টাকা। বাড়িতে নিয়ে আসার পথে বাইক থেকে পথের মধ্যে পড়ে গিয়েছিল। বাড়িতে এসে যখন দেখলাম মানচিত্রটি বাইক থেকে পড়ে গিয়েছে নিজের কাছে বেশ খারাপ লেগেছিল। আমি বেশ শক করে কিনেছিলাম পড়ার টেবিলের সামনে সাজিয়ে রাখবো বলে।

IMG_20230707_124701.jpg

এবার আপনার উপরে ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমি কিছু পিস্তলের ছবি তুলে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। আমাদের সাথে যেহেতু আমার ছোট্ট একটা ভাগ্নে গিয়েছিল পিস্তল নেওয়ার জন্য অনেক বায়না ধরেছিল তখন। সেখান থেকে আমি আমার ভাগ্নেকে একটা পিস্তল কিনে দিয়েছিলাম ১২০ টাকা দিয়ে। পিস্তলটি হাতে পাওয়ার পরে আমার ভাগ্নে অনেক খুশি হয়েছিল। আমি চেষ্টা করি সব সময় আমার ছোট্ট ভাগ্নেকে হাসিখুশি রাখার জন্য।

IMG_20230707_131459.jpg

এবার আপনারা উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন। আমি অনেক সুন্দরভাবে স্মৃতিসৌধের সামনে দাঁড়িয়ে একটি ছবি তুলে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। আসলে স্মৃতিসৌধের উপরে স্যান্ডেল বা জুতা পায়ে দিয়ে ওঠা নিষেধ সেখানে অনেক সুন্দর ভাবে লেখা ছিল। তাই আমি সেখানে খালি পায়ে উঠেছিলাম আমার দুলাভাই একটি ছবি তুলে দিয়েছিল। আসলে দুপুর বেলা বেশ জায়গাটি গরম ছিল পা মনে হচ্ছে পুড়ে যাচ্ছিল। তাই খুব দ্রুত ছবিগুলো তোলার পরে সেখান থেকে চলে এসেছিলাম। আসলে এসব ঐতিহাসিক জিনিসগুলো নিজের চোখে দেখতে বেশ ভালোই লাগে। সেই দিন সবাই মিলে বেশ সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছিলাম।

IMG_20230707_134248.jpg

এবার আপনারা উপরে ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন ১৯৭১ সালের সময়। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী এবং বাংলাদেশের মুক্তি বাহিনীর মধ্যে যেভাবে সংঘর্ষ হয়েছিল তার কিছু দৃশ্য তৈরি করা হয়েছে। সেই সময়ে দুই পক্ষের মধ্যে অনেক যুদ্ধ হয়েছিল। আসলে এসব ঘটনা দাদা-দাদিদের মুখ থেকে শুনেছি। কিন্তু সেই শহীদদের স্মরণ করে আমরা এখনো প্রতিবছর একুশে ফেব্রুয়ারি পালন করে থাকি। অনেক শহীদের রক্তের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি আজকে স্বাধীন বাংলাদেশ। সকল শহীদকে স্মরণ করে আমার পক্ষ থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা জানাই তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করি।

IMG_20230707_134843.jpg

এবার আপনার উপরে ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন। বাংলাদেশের মানচিত্র তৈরি করে অনেক সুন্দর ভাবে রাখা হয়েছে। যেখান থেকে যে স্পটে মুক্তিযোদ্ধা শুরু হয়েছিল সেই সব কিছু দৃশ্য এখানে তুলে ধরা হয়েছে। আসলে এই জায়গাটি ভ্রমণ করতে আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছিল। মুক্তিযোদ্ধার সময়ে বাংলাদেশ মোট ১১ টি সেক্টরে বিভক্ত ছিল। সেসব সেক্টর কে এই মানচিত্রের মধ্যে অনেক সুন্দর ভাবে ভাগ করে দেওয়া আছে। সব মিলিয়ে সেই দিন বেশ সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছিলাম। আশা করি পোস্টি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে। সকলের মতামত নিচে কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে জানাবেন। সকলের জন্য আমার পক্ষ থেকে শুভকামনা রইল।


পোস্ট তৈরির বিবরণ
শ্রেণীমুজিবনগর ভ্রমণ
ডিভাইসRedmi not 8 / oppo f21s pro
লেখক@kibreay001
লোকেশনমুজিবনগর,মেহেরপুর
💞আমার নিজের পরিচয়💞


IMG-20230321-WA0007.jpg

আমি মোঃ কিবরিয়া হোসেন। আমি বাংলাদেশ খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানায় কামারখালী গ্রামে বসবাস করি। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমি বর্তমানে একাদশ শ্রেণীর ছাত্র। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলতে এবং লিখতে অনেক ভালোবাসি। সব থেকে আমি বেশি পছন্দ করি ফটোগ্রাফি করতে। আমি বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন জায়গা ঘোরাঘুরি করে থাকি। কয়েকটি শখের মধ্যে আমার প্রধান শখ হচ্ছে ঘোরাঘুরি করা। সংক্ষিপ্ত আকারে আমি আমার নিজের পরিচয় শেয়ার করলাম আপনাদের মাঝে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।

(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )

banner-abb3.png

Logo.png

7258xSVeJbKkzXhyseBP4PYz11eBDT8sW2oR1a4vfVFS6JTrGU8e1FPUaNdHG5vjXyg2xthV78bDEmEVvKCQpyzX1kq8gAVzGsPp9GqJVRWxb6T9y35PZmQehnLjELdKKmnhdxQjDuny4.png

Steem_Pro.png


VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png

Posted using SteemPro Mobile

Sort:  
 11 months ago 
 11 months ago 

যেহেতু পরীক্ষা চলছে আর এই পরীক্ষার মাঝে ও আমাদের সাথে সময় দেয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাগ্নে তোমাকে। আজকে ঐতিহাসিক মুজিবনগর ভ্রমণের পর্ব ছয় আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। মুজিবনগর হলো ১৯৭১ সালের যুদ্ধের সমস্ত স্মৃতি গুলো যেন এখানে রয়েছে। আমিও কয়েকবার মুজিবনগর গিয়েছিলাম আসলে এই দৃশ্যগুলো আমাকে খুবই বিমোহিত করেছে। এখানে বেশ সুন্দর সময় কাটিয়েছে এবং আমাদের মাঝে শেয়ার করেছে ধন্যবাদ তোমাকে।

Posted using SteemPro Mobile

 11 months ago 

ধন্যবাদ মামা এত সুন্দর ভাবে আপনার কাঙ্খিত গঠনমূলক মতামত শেয়ার করার জন্য।

 11 months ago 

মুজিব নগরে ঘুরতে গিয়েছিলাম আজ থেকে প্রায় ১০ বছর আগে। সেখানকার স্মৃতিগুলো এখনো আমার খুব ভালোভাবে মনে আছে। আজকে আপনি মুজিবনগর ভ্রমণের ছয় নাম্বার পর্ব আমাদের মাঝে শেয়ার করলেন। এ পর্বে আমাদের মাঝে খুব সুন্দর সুন্দর কিছু ছবি শেয়ার করেছেন।সেই সাথে আপনার মানচিত্র হারিয়ে ফেলার বিষয়টিও আমাদের জানিয়েছেন।পুরো পোস্টটি পড়ে এবং ছবিগুলো দেখে অনেক ভালো লাগলো। পরবর্তী পর্ব দেখার অপেক্ষায় রইলাম ভাইয়া।

Posted using SteemPro Mobile

 11 months ago 

আপনি মুজিবনগর দেখতে এসেছিলেন জেনে আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ এত সুন্দর ভাবে আপনার কাঙ্খিত গঠনমূলক মতামত শেয়ার করার জন্য।

 11 months ago 

আপনার ঐতিহাসিক মুজিবনগর ভ্রমণের ষষ্টতম পর্বে গিয়ে মেইন জিনিষ গুলো দেখতে পেলাম। একটি ছিল শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষন দেওয়ার চিত্রটা। আরেকটি মাটিতে তৈরী করা বাংলাদেশের সব থেকে বড় মানচিত্র। এক সময় স্বশরীরে হাজির হয়ে এগুলো দেখবো। ধন্যবাদ।

 11 months ago 

ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর ভাবে আপনার গঠনমূলক মতামত শেয়ার করে আমাকে উৎসাহ দেওয়ার জন্য।

ঐতিহাসিক মুজিবনগর ভ্রমণের দেখতে দেখতে আপনি ছয়টি পর্ব শেষ করছেন ভাইয়া। মুজিবনগর সত্যি দেখার মত একটি জায়গা। ধন্যবাদ আপনাকে মুজিবনগর এর সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

 11 months ago 

ঠিক বলেছেন আপু আপনি আসলেই মুজিবনগর অনেক সুন্দর একটি দেখার মত জায়গা। ধন্যবাদ মতামত প্রদান করার জন্য।

 11 months ago 

মুজিবনগর ভ্রমণ করলে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সম্পর্কে খুবই সুন্দর ধারণা লাভ করা যায়। সাথে মার্চে যেয়ে ভাষণ দিয়েছিল শেখ মুজিবুর রহমান সেই ভাস্কর্যটাও এখানে তৈরি করা রয়েছে ‌। একই সাথে মানচিত্রের সাহায্যে এগারোটি সেক্টর ই দেখানো হয়েছে।

 11 months ago 

ঠিক বলেছেন মামা মুজিবনগর ভ্রমণ করলে আসলেই বাংলাদেশের স্বাধীনতা সম্পর্কে অনেক ধারণা লাভ করা যায়।

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.13
JST 0.028
BTC 59493.68
ETH 2649.33
USDT 1.00
SBD 2.45