আছসালামু আলাইকুম আমার স্টিম বন্ধু গন আশা করি আপনারা অনেক ভালো আছেন । আপনাদের দোয়ায় আমিও অনেক ভালো আছি। আমি
@kibreay001 আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি (ক্রিয়েটিভ রাইটিং) গল্প // বড়শি দিয়ে মাছ ধরার মজার গল্প। আজকে সকাল বেলা থেকে বেশ ব্যস্ত সময় পার করছি। সকাল বেলায় ঘুম থেকে উঠে হাত মুখ ধুয়ে নাস্তা না খেয়েই কোচিং এর উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। কোচিংয়ে এসে পৌঁছে কোচিং শেষ করে বন্ধুদের সাথে মার্কেটে গিয়েছিলাম। আমাদের মধ্য থেকে একজন বন্ধু একটি পাঞ্জাবি কিনলো আসলে আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছিল পাঞ্জাবির কালারটি। তারপর আমরা বন্ধুরা মিলে একটি টং দোকানে বসে চা খেয়েছিলাম। তারপর আমরা সবাই আবারো বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়ে চলে আসলাম। বাড়িতে এসে গোসল শেষ করে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে ভাবলাম আপনাদের মাঝে পোস্ট শেয়ার করব। কিন্তু বাড়ির কাজের জন্য একটু বাইরে বের হয়েছিলাম। বাড়িতে এসে এবার বসে গেলাম আপনাদের মাঝে পোস্ট শেয়ার করার জন্য। তবে চলুন আজকের পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করা যাক........
আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি বড়শি দিয়ে মাছ ধরার মজার গল্প। আসলে আমাদের পাড়ায় একটি পুকুর রয়েছে সেই পুকুরটি মূলত বড় পুকুর নামে পরিচিত। পুকুরটি হচ্ছে আমাদের বাড়ির কিছুটা দূরে। এই ঘটনাটি মূলত ২০০৯ সালের দিকে। তখন আমি অনেকটাই ছোট। আসলে ঐ পুকুরে যখন খেপলা জাল দিয়ে মাছ ধরা হতো তখন প্রায় দুই থেকে তিন মন মাছ ধরা হতো। পুকুরে ভাগ ছিল প্রায় ৪০ ঘরের। একদিন পুকুরে মাছ ধরার পরে মাছ ভাগ করা নিয়ে একটু পাড়ার মানুষের মধ্যে গ্যাঞ্জাম সৃষ্টি হয়। তারপর থেকে ওই পুকুরে মাছ দেওয়া বন্ধ হয়ে যায়। তখন থেকে পাড়ার সকল ছেলেরা যে যার মন মতো বড়শি দিয়ে মাছ ধরতো। পাড়ার ছেলেদের সাথে আমিও সেই সময় বড় পুকুরে মাছ ধরতে যেতাম। যেহেতু অনেক ছোট ছিলাম তাই তেমন একটা বুঝতাম না। এভাবে আমরা বেশ কিছুদিন ওই পুকুরে মাছ ধরেছিলাম। আসলে আমরা যখন বিকেল বেলায় মাছ ধরতাম তখন প্রায় ১০-১২ জন ছেলে একসাথে বসে ওই পুকুরে মাছ ধরতাম। একজন একটি মাছ পেলে আমরা সকলে তার দিকে তাকিয়ে থাকতাম আবারও সবাই বড়শি ফেলে মাছ ধরার জন্য পাল্লা বাঁধিয়ে দিতাম।
এভাবে আমরা পাড়ার সকল ছেলেরা যখন মাছ ধরা শুরু করেছিলাম তখন আমাদের বাইরের পাড়া থেকেও অনেক ছেলেরা মাছ ধরতে আসতো। আমরা কয়েকদিন তাদের নিষেধ করার পরে তারা আর সেই পুকুরে মাছ ধরতে এসেছিল না। একদিন আমি পুকুরে মাছ ধরার জন্য নির্দিষ্ট একটি জায়গা ঠিক করেছিলাম। সেই জায়গাটি নিচে অনেক গাছ গাছরা এবং জার্মানি ছিল আমি অনেক সুন্দর ভাবে পরিষ্কার করেছিলাম এবং পাটকাঠি দিয়ে বেশ সুন্দরভাবে উপরে ঘিরে রেখেছিলাম। আমরা সকলে সকলের নির্দিষ্ট জায়গায় এভাবে পাটকাটি দিয়ে বেঁধে রেখেছিলাম। আমরা মাছ ধরতে যাওয়ার সময় ব্যাগের মধ্যে অল্প একটু খাওয়া নিয়ে যেতাম। আমি মূলত মাছের খাবার নিয়ে যেতাম আসলে আমাদের সেই সময় পুকুর ছিল। মাছের খাবার নিয়ে গেলে মাছ আমার বড়শিতে একটু ভালো বাধ্য সেই সময়।
আমরা পুকুরে বেশিরভাগ সময় তেলাপিয়া মাছ এবং পুটি মাছ পেয়ে ছিলাম। আমার কাছে সব থেকে বেশি ভালো লাগতো পুটি মাছ। পুটি মাছ ভাজি খেতে আমার সব থেকে বেশি ভালো লাগে। মাছগুলো ধরে বাড়িতে নিয়ে আসার পরে তখন আমার বোন ছিল বাড়িতে। আমার বোন মাছগুলো বেশ সুন্দরভাবে ধোঁয়া বাছা করত। কিন্তু আমার আব্বু এবং আম্মু মাছ ধরতে যেতে আমাকে বেশ নিষেধ করত আমি কারো কথা শুনতাম না ছোটবেলায়। আমার আব্বু এবং আম্মু এখন আমাকে বলে ছোটবেলায় নাকি আমি অনেক বদমাইশ ছিলাম। তবে এভাবে আমরা যে সেই বড় পুকুরে মাছ ধরতাম কারো কারো হয়তো বেশ হিংসে হতো। কিছুদিন পরে সেই বড় পুকুরে বিষ দিয়ে মাছগুলো সব মেরে দিয়েছিল সত্যি তখন আমরা যেই সকল ছেলেরা বড়শি দিয়ে মাছ ধরতাম সকলে বেশ কষ্ট পেয়েছিলাম। আজকের লেখা এই পোস্টি এখানেই শেষ করছি। আশা করি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে। সকলের মতামত নিচে কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে জানাবেন। সকলের জন্য আমার পক্ষ থেকে শুভকামনা রইল।
আমি মোঃ কিবরিয়া হোসেন। আমি বাংলাদেশ খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানা কামারখালী গ্রামে বসবাস করি। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমি বর্তমানে দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলতে এবং লিখতে অনেক ভালোবাসি। সব থেকে আমি বেশি পছন্দ করি ফটোগ্রাফি করতে। আমি বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন জায়গা ঘোরাঘুরি করে থাকি। কয়েকটি শখের মধ্যে আমার প্রধান শখ হচ্ছে বিভিন্ন জায়গা ভ্রমণ করা। সংক্ষিপ্ত আকারে আমি আমার নিজের পরিচয় শেয়ার করলাম আপনাদের মাঝে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।
আসলে ভাইয়া ছোটবেলাটা সবারই অনেক আনন্দের ছিল। সত্যি শৈশবে আমরা তো সব কিছু না বুঝেই করতাম। আপনাদের মাছ ধরার অনুভূতি গুলো পড়ে অনেক ভালো লাগলো।তবে বিষ দিয়ে মাছ মেরে ফেলা শোনে সত্যি অনেক খারাপ লাগলো। আসলে কোন বাবা মা চায় না বাচ্চারা এমন মাছ ধরে বেড়াক। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর লিখেছেন।
আসলে আপু বিষ দিয়ে মাছ মেরে ফেলার পরে আমরা যে সকল ছেলেরা মাছ ধরতাম সকলের কাছে বেশ খারাপ লেগেছিল।
আসলে ভাই সেই দিনগুলা অনেক ভালো লাগতো আমার কাছে। আমি নিজে কিন্তু কখনো বড়শি দিয়ে মাছ ধরিনি। কিন্তু দেখতে ভীষণ ভালো লাগে। আমার স্বপ্ন আপনাদের মত এমন বড় বড় পুকুরের মধ্যে একসাথে সবাই বসে বড়শি দিয়ে মাছ ধরতে। এই অনুভূতিটা আসলে খুবই ভালো লাগার। তেলাপিয়া এবং পুঁটি মাছ দুটি আমার খুবই প্রিয় মাছ। আসলে এ ধরনের কুকুর গুলোর মধ্যে পুঁটি মাছ বেশি ধরে।
আমাদের এলাকায় চলে আসুন ভাই আপনার স্বপ্ন পূরণ করব একদিন সবাই মিলে পুকুরে বড়শি দিয়ে মাছ ধরে।
তাহলে তো অনেক বড় পুকুর। যে পুকুরে অনেক মাছ ধরেছেন ছোট্টবেলায়। যেখানে অনেক মানুষের ভাগ রয়েছে । আসলে যে কোন জিনিসের ভাগ বেশি থাকলে যে কোন একটা ঝামেলা হবেই। যাইহোক, সেই মাছ ধরার অনুভূতিগুলো পড়ে ভালো লাগলো । যেখানে বিভিন্ন ধরনের মাছ পাওয়া যেত।
ধন্যবাদ ভাই আপনার মূল্যবান মতামত শেয়ার করার জন্য।
ছোটবেলায় ছেলেরা একটু একটু বদ থাকে মামা। আপনি বদ ছিলেন আর এখন ঠিক হয়ে গেছেন? যাইহোক গল্পটা পড়ে ভালো লাগলো। আমারও মাছ ধরতে ভালো লাগে। বেশ ভালো লাগলো আপনার গল্প পড়ে।
তবে সবার থেকে আমি একটু হয়তো বেশি বদমাইশ ছিলাম তাই এখন আমার বাবা-মায়ের কাছ থেকে এগুলো শুনতে হয়।
খুব সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন আপনি। আসলেই বড়শি দিয়ে মাছ ধরার মজাই আলাদা৷ যখন আমাদের এলাকার বড় পুকুরের মধ্যে অনেকেই মাছ ধরতো সেই এই মুহূর্তগুলো দেখতে অনেকটাই ভালো লাগত। আমরা সেখানে গিয়ে মাছ ধরার মুহূর্তগুলো দেখতাম৷ আপনার কাছ থেকে এই মুহূর্তটি পড়েও খুবই ভালো লাগলো৷ অসংখ্য ধন্যবাদ৷
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান মতামত শেয়ার করার জন্য।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ।।
https://x.com/GKibreay/status/1768546276965294524?s=20