//ভুলতে পারিনা // নাটক রিভিউ
আসসালামু আলাইকুম/আদাব আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু গন আমি @kibreay001 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ (২৫-০৫-২০২৩)
নাটকের নাম | ভুলতে পারিনা |
---|---|
পরিচালক | মাছুম শাহরিয়ার |
অভিনয় | আরফান নিশো , মেহজাবিন |
দৈর্ঘ্য | ৫৯ মিনিট ৩৬ সেকেন্ড |
ভাষা | বাংলা |
মুক্তির তারিখ | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ইং |
নাটকটিতে প্রথমে নায়ক এবং নায়িকার মোবাইল ফোনে কথা হয়েছে। প্রথম দিনেই নায়কের অনেক মন খারাপ। নায়কের একজন বড় ভাই তাদের এই শহর ছেড়ে গ্রামের বাড়িতে চলে যাচ্ছে এই কারণে। নায়ক যখন প্রথমে শহরে আসে তখন ওই বড় ভাইয়ের কাছে এসে উঠছিল। নায়কের ওই বড় ভাই এখন মূলত চলে যাচ্ছে বাড়ি ভাড়া না দেওয়ার কারণে । করোনা ভাইরাসের মধ্যে অনেক অর্থের সংকট পড়ে গিয়েছে। নাটকটি মূলত করোনা ভাইরাসকে সামনে রেখে শেয়ার করা হয়েছে। নায়কের বড় ভাই বলে তোর ভাবিকে আর বাচ্চাদের কয়েকদিন আগে বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছি আমি আজকেই চলে যাব গ্রামের বাড়িতে।
নায়ক এবং নায়িকা একই ইউনিভার্সিটিতে পড়তো । সেখান থেকেই দুজনের পরিচয়। নায়ক নায়কাকে অসম্ভব ভালোবাসে। নায়ক প্রায় প্রত্যেকদিন নায়কার জন্য বসে বসে কবিতা লেখে একটি ডায়রিতে। নায়ক এবং নায়কা ও তার বান্ধবী তিনজন একদিন দেখা করার জন্য একটি হোটলে আসে। তারপর সেখানে তাদের তিনজনের দেখা হয়। দেখা করার ঐদিন নায়ক নায়কাকে অসম্ভব অপমান করেছিল। নায়ক তার গায়ে দেওয়া স্যুট এবং পায়ে দেওয়া জুতা তার বড় ভাইয়ের টা পড়ে গিয়েছিল বলে নায়কা তাকে খুব অপমান করে। নায়কা তখন বলে তুমি একজন চাষার ছেলে হয়ে আমাকে ভালবাসতে এসেছো। তারপর নায়ক কে বলে তুমি আমার জন্য কবিতা লিখেছ কবিতাগুলো আমাকে শোনাও পরে নায়ক আর শোনাতে চাই না। পরে নায়কা ডায়রির পাতাগুলো ছিড়ে নায়ক কে খেতে বলে। নায়ক সেখানে বসে থাকতে বেশ অপমান বোধ করে। সেগুলো নায়ক সেখানে বসে থেকেই ডায়রির পাতা খাওয়া শুরু করে। নায়কার বান্ধবী তাকে নিষেধ করা সত্ত্বেও নায়কা তার কোন কথাই শুনছিল না।
নায়ক সেখান থেকে বাসায় ফিরে অনেক কান্না শুরু করে দেয়। নায়কের বড় ভাই নায়কের সান্তনা দেয়। এই প্রসঙ্গে নায়কের বড় ভাই জসীমউদ্দীনের লেখা একটি কবিতা পড়ে শুনিয়ে ছিল নায়ক কে। আসলে কবিতাটি আমার কাছে অসম্ভব ভালো লেগেছে। তার কিছুদিন পরেই নায়কের করোনা ভাইরাস আক্রান্ত ধরা পড়ে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে নায়ক আবারও সুস্থ হয়ে ওঠে। তারপর বাড়িতে ফিরে তার মা-বোনের সাথে অনেক আনন্দে উল্লাসে মেতে ওঠে।
নায়ক বাড়িতে একদিন বসেছিল এবং ফেসবুক ঘাটাঘাটি করছি। নায়ক তখন দেখতে পারে হঠাৎ করে একজন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত লোকের ব্লাড প্রয়োজন। নায়ক তখন সেই নাম্বারে ফোন দিয়ে ব্লাড দেওয়ার কথা জানাই। তারপরের দিন নায়কের বাড়ি থেকে এসে নায়কে নিয়ে যায় ব্লাড নেওয়ার জন্য হাসপাতালে। ব্লাড দেওয়ার পরে যাকে ব্লাড দিয়েছে তার বাবা নায়কের সাথে দেখা করতে চাই। দেখা করার জন্য বাড়িতে নিয়ে যায়। বাড়িতে যাওয়ার পরে নায়ক দেখতে পারে দেওয়াল অপমান করে সেই মেয়েটির ছবি টাঙ্গানো হয়েছে। নায়ক তখন বলে ছবিটা কার নায়কার বাবা তখন বলে তুমি যাকে ব্লাড দান করেছে এই ছবিটা তার আমার মেয়ের।
নায়কা করোনা ভাইরাস থেকে সুস্থ হয়ে ওঠার পরে তাকে যেই ছেলেটি ব্লাড দিয়েছে ওই নাম্বারে ফোন দেয়। ফোন দেওয়ার পরে জানতে পারে সেই চাষার ছেলেটি আমাকে রক্ত দিয়েছে আর কেউ নাই সে হচ্ছে নায়ক। নায়ক তখন ফোন কেটে দেয়। নায়কা তখন তার সেই আগের বান্ধবীর কাছে ফোন দিয়ে সবকিছু খুলে বলে। নায়কা তাকে ডেকে আবারো দেখা করার জন্য বলে। কিন্তু নায়কার সেই বান্ধবী তাকে বলেছিল তুই যে তাকে অনেক অপমান করেছি সে যে চাষার ছেলে তোর সাথে কি তারে যাই। নায়কা তখন বলে আমি আমার ভুল বুঝতে পেরেছি। আমি আমার ভালোবাসা ফিরিয়ে দিতে চাই।
আবারো নায়ক এবং নায়কা একদিন দেখা করে। দেখার পরে নায়কা বলে আমাকে চিনতে পেরেছো ? নায়ক বলে চিনতে না পারার তো কোনো কারণ নেই। নায়কা বলে তুমি যখন আগে ব্লাড দিয়েছো তখন কি জানতে না পেশেন্ট আমি। নায়ক তখন বলে না। নায়কা তখন বলে জানলে হয়তো ব্লাড দিতে না। নায়ক তখন বলে আমি মানুষটা অমানুষ নয়। নায়কা তখন কথাগুলো শুনে কান্নায় ভেঙে পড়ে। নায়কা তখন বলে আমি তোমাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখেছি নৌকায় চড়ে বাসবো বলে। তারপর নায়ক বলে আমি একটা চাষার ছেলে। তারপরে নায়ক বলে আমার হাতে খুব একটা সময় নেই এই বলে নায়ক সেখান থেকে চলে যায়। এই ছিল নাটকের শেষ পর্যন্ত কাহিনী।
নাটকটি আমি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত দেখেছি। নাটকটি দেখতে আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। নাটকটি মূলত করোনা ভাইরাসকে কেন্দ্র করে শেয়ার করা হয়েছে। নাটকটিতে মূলত নায়িকা ও নায়ক কে প্রথমে অনেক অপমান করেছিল শুধুমাত্র তাকে ভালবাসতে বলে। অপমান করার প্রধান কারণ হচ্ছে নায়ক চাকার ছেলে। নায়ক এবং নায়িকা দুজনই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিল। নায়িকাকে ব্লাড দিয়ে নায়ক বাঁচিয়েছিল বলেই নায়িকা তার ভুল বুঝতে পেরেছিল হয়তো। পরবর্তীতে নায়কের কাছে ক্ষমা চেয়ে তার ভালোবাসা ফিরিয়ে দিতে চাই।
এই নাটকটিতে আমি আমার ব্যক্তিগত রেটিং পয়েন্ট দিতে চাই ১০ এর মধ্যে ৮.৫।
নাটকের লিংক
আমি মোঃ কিবরিয়া হোসেন। আমি বাংলাদেশ খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানায় কামারখালী গ্রামে বসবাস করি। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমি বর্তমানে একাদশ শ্রেণীর ছাত্র। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলতে এবং লিখতে অনেক ভালোবাসি। সব থেকে আমি বেশি পছন্দ করি ফটোগ্রাফি করতে। আমি বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন জায়গা ঘোরাঘুরি করে থাকি। কয়েকটি শখের মধ্যে আমার প্রধান শখ হচ্ছে ঘোরাঘুরি করা। সংক্ষিপ্ত আকারে আমি আমার নিজের পরিচয় শেয়ার করলাম আপনাদের মাঝে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।
(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )
VOTE @bangla.witness as witness
OR
https://twitter.com/GKibreay/status/1661720963724214275?t=jF1cHgQM0l9Px-ymDNytFQ&s=19
খুবই সুন্দর একটা নাটকের রিভিউ পোস্ট শেয়ার করেছেন আপনি। আমার কাছে অসম্ভব ভালো লেগেছে আপনার সম্পূর্ণ নাটকের রিভিউ টা। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত খুবই সুন্দরভাবে লিখেছেন। এরকম নাটক গুলো আমি দেখতে যেমন পছন্দ করি তেমনি রিভিউ পোস্টও ভীষণ ভালো লাগে। সম্পূর্ণ রিভিউটা ভালোভাবে লিখলেন। এই নাটকটা আমার এখনো দেখা হয়নি তাই ভাবছি সময় পেলে দেখে নেব।
ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর ভাবে আপনার মূল্যবান মতামত শেয়ার করে পাশে থাকার জন্য।
কালকে রাতেই এই নাটকটা দেখা হয়েছে আমার। আজকে আবারো নতুন করে আপনার রিভিউ পোস্টের মাধ্যমে নাটকটার সম্পূর্ণ রিভিউ পড়ে অসম্ভব ভালো লাগলো আমার কাছে। এই নাটকটা দেখতে আমার কাছেও ভীষণ ভালো লেগেছিল। আপনি খুবই সুন্দর ভাবে আজকে এই নাটকটার রিভিউ নিয়ে আমাদের মাঝে হাজির হলেন দেখে ভালো লাগলো। নাটক দেখতে যেমন ভালোবাসি তেমনি নাটকের রিভিউ ও অনেক বেশি ভালো লাগে।
যেহেতু ভাই আপনি কালকে রাতে দেখেছেন এই নাটকটা তাহলে আপনাকে আর বলা লাগবে না নাটকটা দেখতে কেমন। নাটকটি দেখতে আমার কাছে অসম্ভব ভালো লেগেছে।
আপনার রিভিউ পোস্টটি অনেক ভালো লেগেছে।আপনি খুব সুন্দর করে নাটকটির রিভিউ সাজিয়েছেন।এটা দেখে যে কোনো নাটক দেখার আগ্রহ এমনিতেই অনেকটা বেড়ে যাবে সবার।আমারও আগ্রহ বেড়ে গেল নাটকটি দেখার।ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে সুন্দর রিভিউ পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছেন আপু আপনি রিভিউ পোস্ট দেখলে আসলে নাটক দেখার আগ্রহ অনেক বেশি বেড়ে যায়। ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান মতামত শেয়ার করার জন্য।