লাইফ স্টাইল // গ্রামের মাহফিলে অল্প একটু খাওয়া-দাওয়া
আছসালামু আলাইকুম/আদাব আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু গন আমি @kibreay001 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ (০১-০৩-২০২৪)
আছসালামু আলাইকুম আমার স্টিম বন্ধু গন আশা করি আপনারা অনেক ভালো আছেন । আপনাদের দোয়ায় আমিও অনেক ভালো আছি। আমি @kibreay001 আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি গ্রামের মাহফিলে অল্প একটু খাওয়া-দাওয়া। গতকাল থেকে আজকে এই পর্যন্ত সারাদিন বেশ ব্যস্ত সময় পার করেছি। গতকাল আপনাদের মাঝে হ্যাংআউট উপস্থিত হতে পারিনি কারণ গ্রামে মাহফিল ছিল এই কারণে। আসলে প্রত্যেক বছরের ন্যায় এই বছরেও আমাদের গ্রামে অনেক বড় আকারে মাহফিল হয়েছে। এবার ১৩৯ তম মাহফিল ছিল আমাদের গ্রামে। আসলে এবার মাহফিলে আমি অনেক দায়িত্ব পেয়েছিলাম তাই আপনাদের মাঝে যুক্ত হতে পারেনি গতকাল। রাতে মাহফিলের ওখানে বেশ কাজে আটকে পড়েছিলাম এবং মাহফিল শেষ করে বাড়িতে আসতে প্রায় রাত তিনটা বেজে গিয়েছিল। সকাল বেলায় ঘুম থেকে উঠতে আজকে বেশ দেরি হয়ে গিয়েছে। ঘুম থেকে ওঠার পর হাত-মুখ ধুয়ে খাওয়া দাওয়া শেষ করে আপনাদের মাঝে বসে গেলাম পোস্ট শেয়ার করার জন্য। তবে চলুন আজকের পোস্ট আপনাদের মাঝে পর্যায়ক্রমে শেয়ার করা যাক.......
আসলে আমাদের গ্রামের মাহফিলে প্রত্যেকবার দুই দিনব্যাপী মাহফিল হয়। দ্বিতীয় দিন আমাদের মাহফিলে বিকেল বেলার দিকে প্রত্যেকবার খাবার দেওয়া হয়। আসলে আমরা যখন মাহফিলে খাওয়ার জন্য বসে ছিলাম তখন বেশ কিছু ছবি তুলেছিলাম আমি আসলে সেই ছবিগুলো নিয়ে আজকে আপনাদের মাঝে পোস্ট শেয়ার করতে যাচ্ছি। আপনার উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন সবাই হাতে একটি করে পেপার নিয়ে অনেক সুন্দর ভাবে লাইন ধরে বসে গিয়েছে। আসলে আমাদের এই মাহফিলে গ্রাম এবং বাইরের গ্রামের মানুষও খেয়ে থাকে। অনেক বছর ধরে এই মাহফিল হয়ে আসছে তাই আমাদের এলাকাতে বেশ পরিচিত।
এবার আপনার উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করে দেখতে পারবেন কিছু সময় বসে অপেক্ষা করার পরে আমরা সবাই যখন খাবার পেয়েছি তখন আমি অনেক সুন্দর ভাবে একটি ছবি তুলে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। আসলে আমার কাছে মাহফিলের খিচুড়ি খেতে বেশ ভালোই লাগে। আসলে এই খিচুড়ির মধ্যে মাংস দেওয়া ছিল এই কারণে খেতে সব থেকে বেশি ভালো লেগেছিল। প্রত্যেক লাইনে একজন করে খাবার দিচ্ছে এই বিষয়টি সত্যি আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছিল। আসলে আমি অনেক জায়গায় দেখেছি যদি এভাবে খাওয়া যায় বেশ গ্যাঞ্জামে সৃষ্টি হয় কিন্তু আমাদের এখানে কোন গ্যাঞ্জাম সৃষ্টি হয়নি। প্রত্যেকে বেশ সুন্দরভাবে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে সবাই পেপার হাতে করে সেখান থেকে উঠে গিয়েছিলাম আমরা।
এবার আপনার উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমি আরো কয়েকটি ছবি তুলে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। এমনিতেই ছোট্ট ছেলে মেয়েদের খাবার খেতে একটু বেশি দেরি হয়। আসলে আমাদের গ্রামে মাহফিলের পাশে রয়েছে বড় মাদ্রাসা। সেই মাদ্রাসার মধ্যে মূলত খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। আমাদের গ্রামের প্রত্যেক বাড়ি থেকে চাল তুলে এই খাবারের ব্যবস্থা করা হয়। ছোট্ট তিনজন ছেলে যখন বসে খাবার খাচ্ছিল তখন আমি বেশ সুন্দরভাবে তাদের ছবি আমার মোবাইলে ক্যামেরা বন্দি করেছি আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। আশা করি আজকের লেখা পোস্টি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে। সকলের মতামত নিচে কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে জানাবেন। সকলের জন্য আমার পক্ষ থেকে শুভকামনা রইল।
আমি মোঃ কিবরিয়া হোসেন। আমি বাংলাদেশ খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানা কামারখালী গ্রামে বসবাস করি। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমি বর্তমানে দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলতে এবং লিখতে অনেক ভালোবাসি। সব থেকে আমি বেশি পছন্দ করি ফটোগ্রাফি করতে। আমি বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন জায়গা ঘোরাঘুরি করে থাকি। কয়েকটি শখের মধ্যে আমার প্রধান শখ হচ্ছে বিভিন্ন জায়গা ভ্রমণ করা। সংক্ষিপ্ত আকারে আমি আমার নিজের পরিচয় শেয়ার করলাম আপনাদের মাঝে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।
(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )
VOTE @bangla.witness as witness
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
OR
এভাবে এত মানুষের সাথে কলার পাতার উপর খাওয়া দাওয়া। ছোট্টবেলা একবার খেয়েছিলাম । এই অনুভূতিটাই অন্যরকম আসলে মাহফিলে তবারকের ব্যবস্থা থাকে যেটা মানুষের মাহফিলে যেতে আগ্রহ তা ফিরিয়ে আনে। খুবই সুন্দর মুহূর্ত ছিল । খাওয়া দাওয়ার দৃশ্য দেখে ভালো লাগলো। এইরকম মুহূর্ত আবার ফিরে আসুক সেটাই প্রত্যাশা করি।
এই পোস্টি দেখে আপনার ছোটবেলায় কলার পাতার উপরে খাওয়ার অনুভূতির কথা মনে পড়ে গিয়েছে। ধন্যবাদ ভাই আপনার মতামত শেয়ার করার জন্য।
অনেক জায়গাতেই প্রত্যেক বছর উরশ এবং মাহফিল হয়।আপনাদের এখানে ১৩৯ তম মাহফিল তাহলে তো অনেক।প্রত্যেক বাড়ি থেকে চাল তুলে রান্না করে সবাই মিলে খাওয়ার মজাই আলাদা।ভালো লাগলো।ধন্যবাদ আপনাকে
আপু আমার দাদাও কিছুদিন আগে আমাকে বলছিল এই মাহফিল আমার জন্মের আগে তাই আমিও বেশ অবাক হই। আমাদের মেহেরপুর জেলার মধ্যে আমাদের মাহফিল দ্বিতীয় নম্বর অবস্থানে রয়েছে এখন।
গ্রামের ওয়াজ মাহফিলের এরকম চমৎকার মুহূর্তে বিভিন্ন বয়সের মানুষের সাথে একত্রে বসে তাবারক হওয়ার মজাই আলাদা। যাহোক ভাগ্নে তোমার লেখা পোস্টটি পড়ে আমার অনেক বেশি ভালো লেগেছে। একই সাথে ওয়াজ মাহফিলের তাবারক খাওয়ার ফটোগ্রাফিটি দেখে আরো বেশি ভালো লেগেছে।
ঠিক বলেছেন মামা বিভিন্ন বয়সের মানুষের সাথে খাওয়া দাওয়ার মুহূর্ত টাই সত্যি বেশ আলাদা।
গ্রামের মাহফিলের এই পোলাও খেতে যে আমার কি ভালো লাগে সেটা আমি আপনাকে বলে বোঝাতে পারবো না ভাইয়া। এখনো যখন গ্রামে যাই আমার বাবা মসজিদ থেকে আমার জন্য এই পোলাও নিয়ে আসেন। আপনার শেয়ার করা ফটোগ্রাফি দেখে আমার পোলাও খেতে মন চাচ্ছে। যাইহোক খুব ভালো লাগলো সুন্দর মুহূর্ত পড়ে।
আসলে আপু আমার কাছেও আমার গ্রামের মাহফিলের তাবারক খেতে সত্যি বেশ ভালো লাগে। আমি যেখানেই থাকি যখন মাহফিলে খাবার দেবে তখন ঠিক সেখানে উপস্থিত হওয়ার চেষ্টা করি।
মাহফিলের মধ্যে এখনো এই পরিবেশ রয়েছে দেখে আমার অনেক বেশি ভালো লাগলো। পেপারের মধ্যে খিচুড়ি বেপারটা দেখে আমার ভীষণ ভালো লাগে। আমাদের এই দিকে ওয়াজ মাহফিলের মধ্যে পলিথিনের মাধ্যমে তবারক দেয়া হয়। কিন্তু আপনাদের এলাকায় তবারক দেয়ার ব্যাপারটি আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগলো।
ধন্যবাদ ভাই আপনার মতামত শেয়ার করার জন্য।
১৩৯ তম মাহফিল, তার মানে তো বহু বছর ধরে এটা চলে আসছে। তবে এ ধরনের মাহফিল গুলো কিন্তু যথেষ্ট ভালো হয়। বিশেষ করে সাধারণ মানুষের এক বেলা খাওয়ার ব্যবস্থা হয় সুন্দর করে। আসলে এত লোকের খাওয়ার ব্যবস্থা করলে সেখানে একটু গন্ডগোল হবেই, তবে আপনাদের এখানে কোন প্রকার ঝামেলা হয়নি যেহেতু, তাহলে তো বোঝা ই যাচ্ছে গ্রামের লোক কত ভালো। তবে পেপারে খেতে দেওয়ার ব্যাপারটা আমার কাছে একটু অন্যরকম লাগলো। বাংলাদেশে ওয়ান টাইম ইউজ প্লেট পাওয়া যায় না ভাই...?
ঠিক বলেছেন ভাই আপনি বাংলাদেশে ওয়ান টাইম প্লেট পাওয়া যায় কিন্তু কর্তৃপক্ষ এত বেশি চিন্তা-ধারা করতে পারিনি আমার কাছে মনে হয়। ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান মতামত শেয়ার করার জন্য।
আমাদের দেশে ভাই ওয়ান টাইম প্লেটগুলো অনেক বেশি চলে। ছোট থেকে বড় প্রায় সব অনুষ্ঠানেই বলতে গেলে এই ওয়ান টাইম প্লেটের ব্যবহার হয়।
খুব সুন্দর একটি মুহূর্ত শেয়ার করেছেন আপনি৷ আপনার কাছ থেকে এরকম সুন্দর একটি মুহূর্ত দেখে আমারও আমাদের এখানকার মাহফিলের খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়ে থাকে, তার কথা মনে পড়ে গেল৷ যেভাবে আপনারা সকলে মিলে এখানে একসাথে বসে খাবার খাচ্ছিলেন তা দেখেও খুব ভালো লাগছিল৷ এভাবে সকলে মিলে একসাথে খাওয়ার মধ্যে একটা আলাদা ভালোলাগা কাজ করতে থাকে ৷ এই স্মৃতি আজীবন আমার এবং আপনার মনে থেকে যাবে৷
ঠিক বলেছেন ভাই আপনি এভাবে সবাই মিলে খাওয়া দাওয়া করার মজাই বেশ আলাদা।
https://x.com/GKibreay/status/1764155953770057757?s=20