নাটক রিভিউ // অচেনা আলো
আসসালামু আলাইকুম/আদাব আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু গন আমি @kibreay001 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ (০১-১২-২০২৩)
নাটকের নাম | অচেনা আলো |
---|---|
পরিচালক | অনন্য ইমন |
অভিনয় | তানজিন তিশা,জোভান |
দৈর্ঘ্য | ৩৬ মিনিট ০৪ সেকেন্ড |
ভাষা | বাংলা |
মুক্তির তারিখ | ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ইং |
নাটকের শুরুতে নায়ক তার ইউনিভার্সিটিতে এসেছিল বন্ধুদের সাথে দেখা করার জন্য। নায়ক তখন ইউনিভার্সিটি শেষ করে তখন চাকরি করেছিল। নায়ক তখন একটা মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে চাকরি করতো। নায়ক ইউনিভার্সিটিতে প্রবেশ করা মাত্রই তার একজন বন্ধু এসে জড়িয়ে ধরে এবং অনেক কথাবার্তা বলে। তারপরে সেই বন্ধু বলে বন্ধু তুমি তো চাকরি পেয়েছো চলো আমি তোমাকে আজকে খাওয়াবো। নায়ক তখন বলে তুমি আমার কাছ থেকে খাবা এই কথাটা বললেই পারো। তারপরে নায়কের সেই বন্ধু বলে আজকে তোমার সাথে আমরা সবাই মিলে অনেক আড্ডা দিব। তারপরে নায়ক এবং নায়কের বন্ধু ইউনিভার্সিটির ভিতরে একটি জায়গায় বসে অনেক গল্প করতে থাকে। হঠাৎ করে নায়কের চোখ পড়ে একটি মেয়ের দিকে। নায়ক তখন সেই মেয়ের দিকে তাকিয়ে ছিল তার বন্ধু ডাকছিল কিন্তু তার কথা শুনছিলই না। তারপরে নায়কের সেই বন্ধু নায়কের একটা আঙ্গুল কফির কাপের মধ্যে দিয়েছিল নায়ক তখন তাকিয়ে ছিল। তারপরে নায়কের সেই বন্ধু বলে মেয়েটার সাথে পরিচয় হতে হলে আমাকে বলতে হবে। তারপরে নায়ক বলে একটা মেয়ের সাথে পরিচয় হতে হবে এটা আবার তোমাকে বলার কি আছে আমি তো গিয়ে পরিচয় হতে পারি। তারপর নায়ক সেখান থেকে উঠে মেয়েটার কাছে গিয়ে অনেক কথা এবং আলাপ আলোচনা করতে থাকে। তার কিছুক্ষণ পরে মেয়েটা বলে আপনারা থাকেন আমার ক্লাসের সময় হয়ে গেছে আমি যাই এই বলে মেয়েটা সেখান থেকে উঠে চলে যায়। মেয়েটা আর কেউ নয় এই নাটকের নায়কা।
কিছুদিন পরেই নায়কার জন্মদিন ছিল। নায়ক প্ল্যান করেছিল জন্মদিনে উইশ করার জন্য। নায়কের বন্ধুরা আরো অনেকেই নায়কাকে জন্মদিনের উইশ করেছিল। তারপরে নায়কার চোখ বেঁধে দিয়ে সবাই সেখান থেকে চলে যায় তখন নায়ক এসেছিল জন্মদিনের উইশ করার জন্য। নায়কা তখন সেখানে রাগ দেখিয়ে জন্মদিনের সব গিফট সেখানে ফেলে দিয়ে চলে যায়। তারপরে নায়ক এবং নায়কের একজন বন্ধু দাঁড়িয়ে ছিল। নায়কা সেখানে গিয়ে বলে আমার মা কত কষ্ট করে আমাকে বড় করেছে আমি আমার মায়ের চোখের কান্না দেখে বড় হয়েছি সেই মেয়ে কখনোই রিলেশনশিপে জড়াতে পারে না। কিন্তু নায়ক তখন কেউ ভালোবেসে ভুল করেছে দেখে ভালোবাসা ভুল তো নয়। নায়কা তখন অনেক ভাবে নায়কে বোঝানোর চেষ্টা করে।
এরপরে নায়কার মা একটি রিক্সায় করে বাড়ির দিকে রওনা দিয়েছিল সেই সময় একটি মাইক্রোবাসের সাথে এক্সিডেন্ট করে। তখন সেখানে নায়ক দাঁড়িয়েছিল। নায়ক সেখান থেকে নায়কার মাকে তুলে রিকশা করে আবারও বাড়ি পর্যন্ত পৌঁছে দিয়েছিল এসব বিষয় নায়কা জানতে পেরেছিল। তারপরে হঠাৎ করে নায়কা ভার্সিটিতে এসে নায়ককে বলে আপনার সাথে আমার কিছু কথা আছে। বলে আপনি আমার সাথে দেখা করার জন্য আমার মাকে হাত করেছেন তাই না। পরে নায়ক বলে আমার এই মুখ আমি আপনাকে দেখাবো না এখনই চলে আসছিল পরে নায়কা আবারো দাঁড় করিয়ে বলে আপনি কি আমাকে সত্যিকারে ভালোবাসেন। নায়ক তখন বলে কিভাবে প্রমাণ দিতে হবে সেটা বলো। সেখান থেকে দুজনের প্রেমের শুরু হয়। নায়ক তখন বলে আমি বাড়িতে বলে তোমার বাড়িতে বিয়ের প্রস্তাব পাঠাবো। নায়কা তখন হা সুযোগ সম্মতি জানাই। নাটকটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত দেখতে আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছিল।
কয়েকদিন পরে নায়ক এবং নায়কের বাবা দুজন মিলে বিয়ের জন্য নায়িকাদের বাড়িতে দেখা করতে গিয়েছিলাম। সেখানে গিয়েই নায়কের বাবা বেশ কিছু কথা বলেছিল কিন্তু সেই কথাগুলো নায়কার মা অপমান হিসেবে নিয়েছিল। সত্যি কথাগুলো প্রত্যেকটি মানুষের কাছে একটু খারাপ লাগবে। তারপর সেখান থেকে নায়ক এবং নায়কের বাবা দুজনেই চলে আসে। সে রাতে নায়ক ফোন দিয়েছিল নায়কার কাছে এবং এসব বিষয়ে কথা বলেছিল। কয়েকদিন পরে আবারো নায়ক এবং নায়কা দেখা করেছিল। সব মিলিয়ে নাটকটি দেখতে বেশ ভালো লেগেছিল।
তারপরে নায়ক এবং নায়কার দুজন মিলে সিদ্ধান্ত নেয় মা বাবার অমতে বিয়ে করবে। তারপর নায়ক এবং নায়কা বিয়ে করার জন্য কাজী অফিসে চলে আসে। সেখানে নায়কের কয়েকজন বন্ধু ছিল বিয়ের কাজ প্রায় অর্ধেক সম্পন্ন হয়েছিল। তারপরে নায়কা তখন বলে বিয়া এখন হবে না এই বলে নায়কা সেখান থেকে বের হয়ে চলে আসে। নায়ক সেখান থেকে বের হয়ে এসে বলে কি হয়েছে তোমার নায়কা তখন কোন কিছু উত্তর দেয় না। তারপর সেখান থেকে দুজন বাড়ি চলে যাই।
নায়ক এবং নায়কা দুজন বাসায় ফিরে গিয়ে দুজনে রুমের মধ্যে প্রায় সব সময় কান্না করতে থাকে। এরপর নায়কের বাবা নায়ক কে বলে আমি তোমার জন্য মেয়ে দেখেছি নায়ক বলে তুমি যার সাথে বিয়ে ঠিক করবে আমি সেখানে বিয়ে করবো বাবা। এদিকে আবার নায়কার মা বলে আমি তোমার জন্য ছেলে দেখেছি নায়কা বলে তুমি যাকে আমার জন্য পছন্দ করবে আমি তাকে বিয়ে করবো মা। মজার ব্যাপার হচ্ছে তাদের দুজনের বিয়ে তাদের মা বাবা ঠিক করেছে। দুজন আবারো একই সাথে দেখা হয়ে যায়। সেখানে তাদের মা-বাবা সহ ছিল তাদের মা বাবা তাদের ভালবাসাকে স্বীকৃতি দিয়েছিল। সত্যি নাটকটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত আমার কাছে দেখতে বেশ দারুন লেগেছে।
নাটকের প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত কাহিনী গুলো আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছি। প্রথম থেকে নাটকের ভালোবাসার মূল কাহিনী শুরু। এখনকার ছেলে মেয়েরা পরিবারের সম্মতি ছাড়াই ভালোবেসে একে অপরকে বিয়ে করে। কিন্তু এই নাটকটিতে আমাদের ধারণা পাল্টে দিয়েছে। অবশেষে নায়ক এবং নায়কার বাবা-মা তাদের দুজনের ভালোবাসাকে স্বীকৃতি দিয়েছিল। প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত নাটকটি দেখেছিলাম এবং বেশ উপভোগ করেছিলাম।
এই নাটকটিতে আমি আমার ব্যক্তিগত রেটিং পয়েন্ট দিতে চাই ১০/৯.৫০
আমি মোঃ কিবরিয়া হোসেন। আমি বাংলাদেশ খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানা কামারখালী গ্রামে বসবাস করি। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমি বর্তমানে দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলতে এবং লিখতে অনেক ভালোবাসি। সব থেকে আমি বেশি পছন্দ করি ফটোগ্রাফি করতে। আমি বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন জায়গা ঘোরাঘুরি করে থাকি। কয়েকটি শখের মধ্যে আমার প্রধান শখ হচ্ছে ঘোরাঘুরি করা। সংক্ষিপ্ত আকারে আমি আমার নিজের পরিচয় শেয়ার করলাম আপনাদের মাঝে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।
(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )
VOTE @bangla.witness as witness
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
OR
আসলে এটা কিন্তু ঠিক কথা, এখনকার ছেলে মেয়েরা একে অপরকে ভালোবেসে নিজেরাই বিয়ে করে নেয়। কিন্তু এই নাটকের কাহিনীটা একেবারে ভিন্ন ছিল, যার কারণে আমার কাছে এটা খুব ভালো লেগেছে দেখতে। নায়ক এবং নায়িকার বাবা-মা তাদের ভালোবাসার স্বীকৃতি দিয়েছিল এটা দেখেই আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। নাটকটার রিভিউ আসলেই অনেক বেশি সুন্দর ছিল।
ঠিক আছে ভাই আপনি বর্তমান ছেলে মেয়েদের তুলনায় নাটকের কাহিনী ভিন্ন ছিল। ধন্যবাদ ভাই আপনার মূল্যবান মতামত শেয়ার করার জন্য।
অচেনা আলো নাটকের রিভিউ আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। আমি নাটক দেখতে অনেক বেশি পছন্দ করি। আর তেমনি নাটকের রিভিউ পোস্ট ও আমার কাছে খুব ভালো লাগে। আমি নাটক দেখতে এবং নাটকের রিভিউ পোস্ট পড়তে দুটোই খুব পছন্দ করি। নাটকের সম্পূর্ণ কাহিনীটা কিন্তু অনেক সুন্দর করে তুলে ধরেছেন আপনি। এই নাটকটা এখনো পর্যন্ত দেখা হয়নি, তাই ভাবছি সময় পেলে এই নাটকটা দেখে নেব।
অবশ্যই আপু আপনি সময় পেলে নাটকটি দেখে নিবেন নাটকটি দেখতে বেশ দারুন লাগবে আশা করি।
সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ দিয়েছেন আপনি। যদিও এই নাটকটি দেখা হয়নি। নাটকের রিভিউ পড়ে আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে।তবে সময় করে নাটকটি দেখার চেষ্টা করব। খুব এত সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
আপু সময় করে নাটকটি দেখে নিয়েন নাটকটি দেখতে বেশ রোমান্টিক।
যদিও তানজিল তিশার নাটক আমার খুব একটা বেশি পছন্দ না তবে জোভান আমার অনেক পছন্দের একজন অভিনেতা। ভালোবেসে আমরা হয়তোবা দেখেছি অনেকেই পরিবারের অমতে বিয়ে করে পরিবার প্রথম অবস্থায় মেনে না নিলেও কোন একটা পর্যায়ে গিয়ে সেটা মেনে নেয়। যখন সেটা মেনে নেয় তখন ভালোবাসাটা আসলে সত্যিকার অর্থে পূর্ণতা পায়। নাটকটা যদি এখন পর্যন্ত দেখা হয়নি তবে আপনার এই রিভিউ পড়ে খুবই ভালো লেগেছে। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
ঠিক বলেছেন ভাই আপনি পরিবারের অমতে গিয়ে বিয়ে করলে পরে পরিবার মেনে নিলেও সেই ভালোবাসাটা সত্যিকারের পূর্ণতা পায় না।
বর্তমান সময়ের ছেলেমেয়েরা রোমান্টিক নাটক গুলোর উপর বেশি নির্ভরশীল। যেটা বয়সের ধারাবাহিকতায় দেখার আগ্রহ টা পোষণ হয়। এখন আমার আর এই ধরনের নাটক দেখতে ভালো লাগে না। হাস্যকর মোশারফ করিম চঞ্চলের নাটক গুলো খুবই ভালো লাগে তবুও আপনি সুন্দর রিভিউ করছেন ভালো লাগলো।
ঠিক বলেছেন ভাই আপনি বর্তমান সময়ের ছেলে মেয়েরা রোমান্টিক নাটক দেখতে বেশি আগ্রহী।
বেশ চমৎকার একটি নাটকের রিভিউ করেছেন ভাইয়া। আগে বাংলাদেশের নাটক অনেক দেখা হতো। কিন্তু বর্তমানে নাটক তেমন দেখা হয় না। আপনাদের থেকে রিভিউ গুলো পড়ে খুব ভালো লাগে।
ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর ভাবে আপনার গঠনমূলক মতামত শেয়ার করে উৎসাহ দেওয়ার জন্য।
ভাইয়া আপনার নায়িকা বানানটি সব জায়গায় এমন এসেছে। দেখতে কেমন যেন লাগছে। আশা করি ঠিক করে নিবেন। যাই হোক নাটকটি বেশ রোমান্টিক নাটক ছিল। এরকম নাটক দেখতে ভালই লাগে। তাদের দুজন দুজনের পরিবার থেকে বিয়ে ঠিক করে রেখেছিল বিষয়টি আসলেই বেশ মজার ছিল। তারাও ভালোবাসার মানুষকে কাছে পেল। খুব সুন্দর ভাবে রিভিউ উপস্থাপন করেছেন ভাইয়া ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ আপু এত সুন্দরভাবে ভুলটি ধরিয়ে দেওয়ার জন্য। গঠনমূলক মতামত প্রদান করে উৎসা দেওয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আগে অনেক নাটক দেখতাম এখন ব্যস্ততার কারণে তেমন একটা নাটক দেখা হয় না। খুব সুন্দর নাটক রিভিউ করেছেন ভাই। আসলে এই নাটকটি আমি দেখে নি । তবে আপনার রিভিউ এর মাধ্যমে দেখে খুব ভালো লাগলো। নাটকের কাহিনী সত্যি বেশি দারুণ। আসলে ভালোবাসা খুবই পবিত্র বন্ধন। ভালোবাসা সবাই মেনে নিলে খুবই ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে এতো সুন্দর নাটক আমাদের মাঝে রিভিউ করার জন্য।
ঠিক বলেছেন ভাই ভালোবাসা পবিত্র বন্ধন। ধন্যবাদ আপনার মতামত শেয়ার করার জন্য।
Twitter link
আপনি সুন্দর একটি ভালোবাসার নাটক রিভিউ দিয়েছেন।আসলেই তারা মা-বাবার অমতে গিয়ে অর্ধেক বিয়ে সম্পন্ন করে ফিরে এসে ভালো সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।পরবর্তীতে ভালোবাসা পূর্ণতা পেয়েছে জেনে ভালো লাগলো, ধন্যবাদ আপনাকে।
ঠিক বলেছেন আপু আপনি পরবর্তীতে তাদের বাবা-মা তাদের ভালোবাসা পূর্ণতা দিয়েছিল।