ভ্রমণ পোস্ট // সিলেট ভ্রমণের দ্বিতীয় পর্ব
আসসালামু আলাইকুম/আদাব আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু গন আমি @kibreay001 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ (৩০-১২-২০২৩)
আসসালামু আলাইকুম আমার স্টিম বন্ধু গন আশা করি আপনারা অনেক ভালো আছেন । আপনাদের দোয়ায় আমিও অনেক ভালো আছি। আমি @kibreay001 আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি সিলেট ভ্রমণের দ্বিতীয় পর্ব। গতকাল থেকে এখন পর্যন্ত বেশ ব্যস্ত সময় পার করছি। আজকে সকাল বেলায় ঘুম থেকে উঠে হাল্কা নাস্তা করে প্রাইভেটের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। প্রাইভেট থেকে বাসায় ফেরার সময় জানতে পারি একটা বন্ধুর বিয়ে। বন্ধু সেখানে বিয়ে খাওয়াতে যাওয়ার জন্য অনেক আবদার করেছিল কিন্তু আমি বিয়ে খেতে যেতে রাজি হয়েছিলাম না কারণ কালকে থেকে শরীরটা একটু খারাপ। বাড়িতে ফিরে গোসল শেষ করে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে আবারো আপনাদের মাঝে বসে গেলাম পোস্ট শেয়ার করার জন্য। চেষ্টা করি অতি ব্যস্ততার মাঝেও আপনাদের মাঝে কিছু সময় অতিবাহিত করার জন্য। তবে চলুন আজকের পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করা যাক.........
আপনারা উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন মাধবকুন্ড ইকোপার্কের গেটের ছবি তুলে আমি অনেক সুন্দর ভাবে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। আসলে মাধবকুন্ডে আমরা গিয়েছিলাম সিলেট ভ্রমণের তৃতীয় দিন। আসলে এই ইকো পার্কে ভেতরে প্রবেশ করার জন্য আমাদের প্রত্যেকের কাছ থেকে ২০ টাকা করে টিকিট নেওয়া হয়েছিল। ইকো পার্কে প্রবেশ করার আগের রাতে আমরা ইকো পার্কের সামনে একটি হোটেলে এসে এক রাত কাটিয়েছি। আসলে এখানকার জায়গাগুলো বেশ নিরিবিলি পরিবেশ ছিল। আমার কাছে সত্যি বেশ ভালো লেগেছিল এই জায়গাটি। টিকিট কেটে আমরা বন্ধুরা মিলে ইকো পার্কের ভেতরে রাস্তায় হাঁটা শুরু করলাম।
বেশ কিছু সময় রাস্তা দিয়ে হেঁটে ছিলাম আমরা সবাই মিলে। ইকো পার্কের মধ্যে প্রায় এক কিলোমিটার হাঁটার পরে আমরা একটি মাটির পাহাড় দেখতে পেয়েছিলাম। আসলে সেই পাহাড়ের উপরে গিয়ে দেখি সেখানে একটি গুহা মতো রয়েছে। আমরা বন্ধুরা সকলে মিলে সেই গুহার মধ্যে প্রবেশ করেছিলাম। সেখানে আমি এবং আমার বন্ধুরা সকলে বেশ ছবি তুলেছিলাম আমি উপরে দুইটি ছবি আপনাদের মাঝে অনেক সুন্দরভাবে শেয়ার করেছি। যখন আমরা এই পাহাড়ের উপরে উঠছিলাম সত্যিই অনেক ভয় লাগছিল যদি এখান থেকে পড়ে যায়। মাটি থেকে প্রায় অনেক উপরে । উপর থেকে নিচের দিকে তাকালেই বেশ ভয় লাগছিল।
পাহাড় থেকে নামার পরে আমরা আবারও রাস্তা ধরে সামনের দিকে হাঁটা শুরু করলাম ইকো পার্কের মধ্যে। অবশেষে আমরা মাধবকুন্ড সেই ঝর্ণা দেখতে পেয়েছিলাম। আসলে প্রকৃতির ঝর্ণা দেখে সত্যি আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছিল। মহান আল্লাহতালার অশেষ সৃষ্টির রহস্য সেই দিন নিজের চোখে দেখতে পেয়েছিলাম। উপর থেকে ঝর্নার পানি পড়ছিল সেখানে গোসল করার প্রস্তুতি নিয়েছিলাম আমরা বন্ধুরা মিলে। কিন্তু সেখানে পুলিশ প্রটেকশন ছিল । অবশেষে পুলিশ মাইকে বলতে লাগলো যেখানে চারি সাইড লাল ফিতা দিয়ে ঘেরা রয়েছে এখানে চোরাবালি রয়েছে তাই প্রবেশ নিষেধ। যেহেতু সেখানে চোরাবালি রয়েছে তাই আমরা নিজের জীবন ঝুঁকি নিয়ে কেউ প্রবেশ করতে চেয়েছিলাম না। অবশেষে সেখানে গোসল করার স্বপ্ন আর পূরণ হলো না।
এবার আমি আপনাদের মাঝে উপরে আমার নিজের ছবি দুইটা শেয়ার করেছি। এটি হচ্ছে ভোলাগঞ্জ সাদা পাথর। আসলে আমরা ভোলাগঞ্জ সাদা পাথরে বন্ধুরা মিলে বেশ আনন্দ উৎযাপন করেছিলাম। এখানে গোসল করেছিলাম সবাই মিলে বেশ মজা করে। গোসল শেষে আমরা সকলের ড্রেস চেঞ্জ করে কিছু ছবি তুলেছিলাম নিজের মোবাইলে এবং ডিএসএলআর দিয়ে। সেখানে আমরা একটি ডিএসএলআর নিয়ে গিয়েছিলাম এবং একটি সেখানে গিয়ে ভাড়া করেছিলাম। আসলে আমার ডিএসএলআর ভাড়া করেছিলাম কিভাবে ছবি উঠতে হবে ছবির পোস গুলো দেখিয়ে দিচ্ছিল ডিএসএলআর ম্যান। সত্যি সিলেট ভ্রমণের কথা আমার সারা জীবন মনে থাকবে বন্ধুদের সাথে বেশ সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছিলাম সেখানে।
এবার আপনারা উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন । আমরা যখন ভোলাগঞ্জ সাদা পাথর ভ্রমণ শেষ করে বাড়ির দিকে রওনা দিয়েছিলাম । সবার শেষে আমি ব্যাগ ঘাড়ে নিয়ে অনেক সুন্দর একটি ছবি তুলেছিলাম আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। আসলে এই ভোলাগঞ্জ সাদা পাথর থেকে ভারত এবং বাংলাদেশের সীমান্ত দেখা যাচ্ছিল। আমরা অনেক দূর থেকেই ভারতের সীমান্ত গুলো দেখতে পেয়েছিলাম। সন্ধ্যা বেলার দিকে যখন পাহাড়ের দিকে তাকিয়ে ছিলাম মনে হচ্ছে পাহাড় জোনাকি পোকায় ভরে গিয়েছে এত সুন্দর লাইটিং এর ব্যবস্থা ছিল পাহাড়ের উপরে। আশা করি পোস্টে আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে। আপনারা সকলই পোস্টের নিচে আপনাদের মতামত শেয়ার করবেন। সকলের জন্য আমার পক্ষ থেকে শুভকামনা রইল।
শ্রেণী | সিলেট ভ্রমণ |
---|---|
ডিভাইস | oppo f21s pro / ডিএসএলআর |
লেখক | @kibreay001 |
লোকেশন | সিলেট |
আমি মোঃ কিবরিয়া হোসেন। আমি বাংলাদেশ খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানা কামারখালী গ্রামে বসবাস করি। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমি বর্তমানে দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলতে এবং লিখতে অনেক ভালোবাসি। সব থেকে আমি বেশি পছন্দ করি ফটোগ্রাফি করতে। আমি বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন জায়গা ঘোরাঘুরি করে থাকি। কয়েকটি শখের মধ্যে আমার প্রধান শখ হচ্ছে ঘোরাঘুরি করা। সংক্ষিপ্ত আকারে আমি আমার নিজের পরিচয় শেয়ার করলাম আপনাদের মাঝে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।
(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )
VOTE @bangla.witness as witness
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
OR
বুঝতেই পারছি আপনি বেশ ব্যস্ত সময় পার করছেন। আর আপনি ভালোভাবে সুস্থ হয়ে উঠুন সেই দোয়া করি।
সিলেট কবে গিয়েছিলেন? মনে হচ্ছে নিচের ছবিটা আরো আগেই দেখেছিলাম। বন্ধুদের নিয়ে বেশ ভালোই সময় অতিক্রম করেছেন সিলেট ঘুরতে গিয়ে ।
সিলেটে গিয়েছিলাম নভেম্বর মাসের ২৩ তারিখে আপু। হয়তো স্টোরিতে দিয়েছিলাম নিচের ছবিটা কোন একদিন। ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান মতামত শেয়ার করার জন্য।
ভাইয়া মাদবকুন্ডের ঐ ঝর্ণাতে আমিও গিয়েছিলাম। ঐ পাহাড়ের নিচে দাড়িয়ে ফটোগ্রাফি করেছি, আপনার টি-শার্টে আপনার বন্ধুকে দারুন লাগছে। আর ভোলাগঞ্জ সাদা পাথরে এখনো যাওয়া হয়নি। ইচ্ছা আছে যাবো। ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ ভাই আপনার গঠনমূলক মতামত শেয়ার করার জন্য।
ভাই আপনার পোস্ট দেখে অনেক ভালো লাগলো। যদিও সিলেটে কখনো যাওয়া হয়নি কিন্তু আপনার পোস্ট দেখে বেশ ভালো লাগলো। সত্যি ইকো পার্কের ভিতরে বেশ সুন্দর দৃশ্য রয়েছে। তাছাড়া মাধবকুণ্ড সাদা পাথর গুলো দেখতে বেশ কিউট লাগছে।ধন্যবাদ ভাই সুন্দর কাটানো মূহর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ।
ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর ভাবে আপনার শেয়ার করে আমাকে উৎসাহ দেওয়ার জন্য
বন্ধু তুমি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছ সিলেট ভ্রমণের দ্বিতীয় পর্ব। তোমার পোস্ট দেখে মনে হচ্ছে খুব সুন্দর একটা সময় অতিবাহিত করেছিলে তুমি। তুমি যখন এই ভ্রমণে যাও তখন আমাকে বলেছিলা চলো দুই বন্ধু ঘুরে আসি। কিন্তু বিশূ কারণে আমি যেতে পারিনি। তোমার এই পর্ব দেখেও বেশ ভালো লাগলো ধন্যবাদ বন্ধু অতিবাহিত করা দুর্দান্ত একটা সময় আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আসলে বন্ধু তোমাকে অনেক রিকোয়েস্ট করেছিলাম সিলেটে যাওয়ার জন্য কিন্তু তুমি গিয়েছিলে না বেশ খারাপ লেগেছিল সে সময় আমার। ধন্যবাদ মতামত শেয়ার করার জন্য।
সিলেটের এই জায়গাটা আসলেই ভ্রমণ করার জন্য খুবই সুন্দর একটা জায়গা। বন্ধুদের সাথে এমন সুন্দর একটা জায়গা ভ্রমণ করে এসেছেন আর সেগুলোর বিবরণ আমাদের মাঝে শেয়ার করছেন এটা দেখে খুবই ভালো লাগলো। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এমন সুন্দর কিছু প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছেন আপনি সিলেট সত্যি দেখার মত একটি জায়গা যদি সময় পান অবশ্যই সিলেট ভ্রমণে যাবেন। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
https://x.com/GKibreay/status/1741489735477141892?s=20