লাইফস্টাইল // প্রথমবার পুলিশের হাতে বাইক আটক
আসসালামু আলাইকুম/আদাব আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু গন আমি @kibreay001 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ (০৩-১১-২০২৩)
আসসালামু আলাইকুম আমার স্টিম বন্ধু গন আশা করি আপনারা অনেক ভালো আছেন । আপনাদের দোয়ায় আমিও অনেক ভালো আছি। আমি @kibreay001 আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি প্রথমবার পুলিশের হাতে বাইক আটক । আজকের সকাল থেকেই বেশ ব্যস্ত সময় পার করছি। গতকাল রাতে দাদার মিলাদ ছিল মিলাদ শেষ করেই আমার মেজো দাদা স্টক করেছে। সে রাতে আবার দাদাকে নিয়ে আমি কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে এসেছি। দাদাকে ডাক্তার দেখানোর পরে আমি কুষ্টিয়াতে মামার বাসায় এসেছি গোসল এবং খাওয়া-দাওয়া করার জন্য। সেই ফাঁকে আবারো আপনাদের মাঝে আজকে বসে গেলাম পোস্ট শেয়ার করার জন্য। আসলে এত ব্যস্ততার মাঝেও চেষ্টা করি প্রতিনিয়ত আপনাদের মাঝে ধারাবাহিকভাবে এনগেজমেন্ট বজায় রাখার জন্য। তবে চলুন আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করা যাক নিজের সাথে ঘটে যাওয়া একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা।
কিছুদিন আগে আমি এবং আমার ছোট আব্বা আমাদের বাইক নিয়ে মেহেরপুরের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। সকালবেলা যখন বাইক নিয়ে বের হলাম তখন মনে করেছিলাম বাইক নিয়ে মেহেরপুরে যাব না বাইক গাংনীতে রেখে যাবো। পরে আমার ছোট বউ পিছন থেকে বলল চলো বাইক নিয়ে যাই কোন সমস্যা হবে না। তারপরে আমরা গাংনী থেকে আবারো মেহেরপুর এর উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম বাইক নিয়ে রওনা দিয়েছিলাম। মেহেরপুরে পুলিশ লাইনের সামনে দেখি সার্জেন্ট এবং ট্রাফিক পুলিশ মিলে গাড়ি ধরেছিল। ঠিক সেই সময় আমিও তাদের সামনে চলে যায় তখন আমার গাড়ি আটক করে। আমার গাড়ি আটক করার সাথে সাথে আমি অনেক জনকে পরিচয় দিয়েছিলাম কিন্তু তাও আমার গাড়ি ছেড়ে দিয়েছিল না। আমার দুলাভাই পুলিশ সে সমস্ত কথা সব কিছু বলেছিলাম তাও গাড়ি দিয়েছিল না। পরে আমাদের জেলা এসপি সাহেব ফোন দিয়েছিল তখন কেস লেখা সম্পন্ন হয়ে গেছিল তাই গাড়ি আর ফেরত পেয়েছিলাম না। তারপরে গাড়ি সেখানে রেখে আমরা আমাদের কাজের উদ্দেশ্যে চলে যাই।
তারপরের দিন গাড়ি নেওয়ার জন্য বাড়ি থেকে গাড়ির কাগজ পাতি সবকিছু নিয়ে আসলাম। আমার সাথে তখন আমার দুলাভাই এসেছিল। অবশেষে জানতে পারলাম গাড়ির কেস এবং কাগজ দিয়ে মোট ৪৩ হাজার টাকা লাগবে। পরে আমার দুলাভাই তাদের সাথে কথা বলার পরে গাড়ির কাগজ না করেই গাড়ি ছেড়ে দিতে চেয়েছিল যেহেতু আমার দুলাভাই পুলিশের একজন কর্মকর্তা। অবশেষে গাড়ি ছাড়ানোর জন্য ৭৮০০ টাকা জরিমানা দিতে হয়েছিল। তারপরে আমি এবং আমার দুলাভাই গাড়ি নিয়ে আবারও বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। আসলে যেদিন আমাদের গাড়ি ধরেছিল সেই দিন আমার আমার দাদা খুবই অসুস্থ ছিল হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলাম। সবমিলিয়ে সেই দিন বেশ ব্যস্ত সময় পার করেছিলাম। আশা করি পোস্টি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে। সকলের মতামত নিচে কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে জানাবেন। সকলের জন্য আমার পক্ষ থেকে শুভকামনা রইল।
আমি মোঃ কিবরিয়া হোসেন। আমি বাংলাদেশ খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানা কামারখালী গ্রামে বসবাস করি। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমি বর্তমানে দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলতে এবং লিখতে অনেক ভালোবাসি। সব থেকে আমি বেশি পছন্দ করি ফটোগ্রাফি করতে। আমি বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন জায়গা ঘোরাঘুরি করে থাকি। কয়েকটি শখের মধ্যে আমার প্রধান শখ হচ্ছে ঘোরাঘুরি করা। সংক্ষিপ্ত আকারে আমি আমার নিজের পরিচয় শেয়ার করলাম আপনাদের মাঝে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।
(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Twitter link
মোটরসাইকেলের এত বড় জরিমানা এর আগে আমি কোনদিন দেখেছিলাম না। তাও ভালো কথা যে অল্প টাকার মধ্যে সমস্যাটা সমাধান করতে পেরেছেন। আসলে আমাদের সকলেরই উচিত গাড়ির সকল কাগজপত্র নিজের সাথে রাখা।
ঠিক বলেছেন মামা আপনি আমাদের সকলের উচিত গাড়ির কাগজপত্র সব সময় নিজের সাথে রাখা।
আসলে বন্ধু পুলিশের হাতে গালি ধরা পড়লে সেই গাড়ি খুব সহজে ছাড়িয়ে নেয়া যায় না। তবে পরের দিন তুমি আর তোমার দুলাভাই যেয়ে দেখেছো গাড়ির কাগজের চেকসহ সেখানে তেতাল্লিশ হাজার টাকা জরিমানার কথা উল্লেখ করেছে। আসলে পুলিশ এর কাছে গাড়ি ধরা পড়লে খুব হয়রানি হতে হয়। ধন্যবাদ বন্ধু পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছ বন্ধু পুলিশের হাতে গাড়ি ধরা পড়লে খুবই কষ্ট পেতে হয় মানুষের সেই গাড়ি ছাড়ানোর জন্য। বানানে একটু ভুল আছে আশা করি ঠিক করে নেবে।
এই জন্যই গাড়ির কাগজপত্র পুরোপুরি কমপ্লিট হওয়ার আগ পর্যন্ত এলাকার বাইরে যাওয়া ঠিক না।এই যে আপনি অনেক গুলো টাকা জরিমানা দিলেন।
আসলে ভাই গাড়ির কাগজ করার জন্য নির্দিষ্ট একটা বয়সের প্রয়োজন হয় মানুষের কিন্তু সেই বয়সটা এখনো হয়নি তাই গাড়ির কাগজপত্র সব কমপ্লিট করতে পারেনি।
তাহলে তো আপনি বেশ টাকা দিয়ে পুলিশের পকেট মোটা করে দিলেন হা হা হা। তারা আসলে কিছু দিন পর পর একটা অপারেশন চালাই। সেখানে অনেকেই পড়ে যায় সেই ধান্দার মধ্যে। আবার অনেকেই বেঁচে ফিরে যাই। কিন্তু আপনার সাথেও তাই হয়ে গেল। শেষমেষ আপনি অনেক জনকে ফোন দিও কোন রেহায় পেলেন না। অবশেষে আপনাকে মোটা অংকের একটি টাকা দিয়ে গাড়িতে ফেরত আনতে হলো। দুঃখের বিষয় হচ্ছে আমাদের পুলিশ লাইন গুলো আসলে খুবই ধান্দাবাজ বলতে হয়। কি আর বলব আপনার দুলাভাই তো 😷পুলিশ তাই আর কিছু বললাম না হা হা হা।
জি আপু পুলিশের পকেট অনেক মোটা করে দিয়েছি আমি এতগুলো টাকা দিয়ে।
শখের গাড়িটি পুলিশের কাছে আটক হলে বেশ খারাপ লাগে ভাই। তাইতো গাড়ির কাগজ পাতি সব ঠিকঠাক করেই গাড়ি চালানো উচিত যাতে পুলিশ কোন সুযোগ না পায়। ভাগ্যিস পুরা টাকাটাই লাগে নাই না হলে প্রায় গাড়ি বিক্রি করে টাকা দিতে হতো, 😃😃
ঠিক বলেছেন ভাই শখের গাড়িটা যদি পুলিশের হাতে আটক হয় নিজের মন অনেকটাই খারাপ হয়ে যায়। ধন্যবাদ মূল্যবান মতামত শেয়ার করার জন্য।