জেনারেল রাইটিং // আপুর বিয়ের অনুষ্ঠানের প্রথম পর্ব

in আমার বাংলা ব্লগ5 months ago

হ্যালো.........
আসসালামু আলাইকুম/আদাব আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু গন আমি @kibreay001 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ (৩১-১২-২০২৩)

IMG20231222161303.jpg

আসসালামু আলাইকুম আমার স্টিম বন্ধু গন আশা করি আপনারা অনেক ভালো আছেন । আপনাদের দোয়ায় আমিও অনেক ভালো আছি। আমি @kibreay001 আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি আপুর বিয়ের অনুষ্ঠানের প্রথম পর্ব । আসলে আজকে সকাল থেকে বেশ ব্যস্ত সময় পার করছি। সকাল বেলায় ঘুম থেকে উঠে ভোর ছয়টার দিকে হাতমুখ ধুয়ে অল্প নাস্তা খেয়ে প্রাইভেটের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলাম। প্রাইভেট শেষ করে বন্ধুদের সাথে বেশ কিছু সময় বাজারে আড্ডা দিয়েছিলাম। আসলে আজকে গ্রামে প্রচুর শীত পড়ছে এখনো রোদ বের হয়নি। প্রাইভেট শেষ করে বাড়িতে এসে আবারো লেপের মধ্যে শুয়ে শুয়ে ভাবলাম পোস্ট লেখা শেষ করে ফেলি। মোবাইলের গ্যালারির দিকে তাকিয়ে দেখে আপুর বিয়ের অনেক ছবি রয়েছে। তারপরে ভাবলাম আজকে আপনাদের মাঝে আপুর বিয়ের পোস্ট শেয়ার করা যাক। তবে চলুন আপনাদের মাঝে আজকের পোস্ট শেয়ার করি........

IMG20231222160443.jpg

প্রথমে আপুকে যখন ক্ষীর খাওয়ানোর জন্য আসনে নিয়ে আসা হচ্ছিল। সেই সময়ে অনেক সুন্দর ভাবে আমি একটি ছবি তুলে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। আমি মূলত আপুর বিয়ে খেতে গিয়েছিলাম বিয়ের তিন দিন আগে এবং বিয়ে খেয়ে এসেছি আজ থেকে প্রায় সাত থেকে আট দিন আগে। আসলে আপুর বিয়েতে গিয়ে আমরা অনেক মজা করেছিলাম। বিয়ের ফুল থেকে শুরু করে ক্ষীর খাওয়ানোর জন্য যে সকল ফল রয়েছে সকল বাজার আমি এবং আপুর ছোট্ট একটি ভাই ছিল দুজন মিলে নিজ হাতে করেছিলাম। আসলে এমন সুন্দর অনুষ্ঠানে যদি থাকা যায় সত্যি নিজের কাছে বেশ ভালো লাগে। তাই গত সপ্তাহে আপনাদের মাঝে দুই দিন একটু কম যুক্ত হতে পেরেছিলাম। তাও চেষ্টা করেছিলাম অতি ব্যস্ততার মাঝে যুক্ত হওয়ার জন্য।

IMG20231222160935.jpg

IMG20231222160802.jpg

আপনারা উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন। আমি অনেক সুন্দর ভাবে ক্ষীর খাওয়ানো প্লেটের ছবি তুলে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। আসলে আপুর বিয়েতে ক্ষীর খাওয়ানোর জন্য আমরা সকলে মিলে অনেক ক্ষীরের প্লেট সাজিয়েছিলাম। আমার আপুর নাম হচ্ছে কিয়া এবং দুলাভাইয়ের নাম হচ্ছে শাকিল। তাই আমরা বেদনা ফল দিয়ে আপুর নামের প্রথম অক্ষর এবং দুলাভাই নামের প্রথম অক্ষর লিখেছিলাম ক্ষীরের উপরে ডিজাইন করেছিলাম। আপনারা ভালভাবে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন। আসলে সে অনুষ্ঠানে কি যে মজা করেছিলাম বলে বোঝানো যাবে না। আমরা প্রায় পাঁচ জন ছিলাম আপুর চাচাতো ভাই আসলে সকলে মিলে বেশ মজা করেছিলাম আমরা আপুর বিয়েতে।

IMG20231222163354.jpg

সবার প্রথমে আমাদের মাঝে ক্ষীর খাওয়ানো শুরু করেছিল আপুর মামা। আমি সেই ছবিটা আপনাদের মাঝে অনেক সুন্দর ভাবে প্রথমে শেয়ার করেছি। আপনারা উপরের দিকে যে ছবিটা দেখতে পারছেন এটি হচ্ছে আপুর মামি। আসলে ক্ষীর খাওয়ানোর মাঝে সময় আপু আমাকে বলছিল ভাইয়া এত ক্ষীর খেতে পারছি না তুমি সহ পাশে এসে বসো আমাকে একটু সাহায্য কর। আসলে আমি আর আপু মূলত ২৩ দিনের ছোট বড় তাই বেশ আন্তরিকতা এবং মিল রয়েছে আমাদের মাঝে। আপুকে আমি সেই সময় বলেছিলাম আপু আমাকে যদি ক্ষীর খেতে হয় তাহলে তোমার টাকার ভাগ কিন্তু আমাকে অর্ধেক দিতে হবে। আপু বলছে তুমি পাশে এসে ক্ষীর খেয়ে আমাকে সাহায্য করো পরে দেখা যাবে টাকার ভাগ। আসলে সেই সময় এমনিতেই আমরা সবাই মিলে আপুর সাথে বেশি মজা করেছিলাম।

IMG20231222170848.jpg

এবার আপনারা দেখতে পারছেন মোবাইল হাতে নিয়ে আপু ভিডিও কলে কথা বলছিল। আসলে সেই সময় দুলাভাই ফোন দিয়েছিল আসলে আপুদের বিয়ে আজ থেকে প্রায় ছয় সাত মাস আগে হয়েছিল কিন্তু আপুকে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে দুলাভাই দের বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল না। তাই আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ের অনুষ্ঠান করে আপুকে নিয়ে গিয়েছিল। আসলে দুলাভাই যখন ফোন দিয়েছিল তখন আমরা সবাই মিলে বেশ মজা করেছিলাম সেখানে। আপু যখন ভাইয়ের সাথে কথা বলছিল পাশের বাসার সব মেয়েগুলো অনেক হাসাহাসি করছিল সত্যি সেই সময় আমার কাছে বেশ ভালই লাগছিল।

IMG20231222180520.jpg

আমি যখন আপুকে ক্ষীর খাওয়ে দিয়েছিলাম তারপরে আপু আমার হাত থেকে চামচ নিয়ে আমাকেও ক্ষীর খাইয়ে দিয়েছিল। আসলে সেই সময় আমার নিজের কাছে বেশ ভালো লেগেছিল। ক্ষীর খাওয়ানোর সময় আমার মোবাইল দিয়ে বেশ কয়েকটি ছবি তুলেছিল আমার ছোট ভাই। আসলে বিয়ের অনুষ্ঠান হয়েছিল মূলত তিনদিন। একদিন ছিল গায়ে হলুদ দ্বিতীয় দিন ছিল ক্ষীর খাওয়ানোর অনুষ্ঠান তৃতীয় দিন ছিল বিয়ের অনুষ্ঠান। সব মিলিয়ে আপুর বিয়েতে আমরা সবাই মিলে বেশ মজা করেছিলাম। আশা করি আজকের পোস্টে আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে। সকলের মতামত নিচে কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে জানাবেন। সকলের জন্য আমার পক্ষ থেকে শুভকামনা রইল।
✨💞আমার নিজের পরিচয়💞✨


AirBrush_20231025182645.jpg

আমি মোঃ কিবরিয়া হোসেন। আমি বাংলাদেশ খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানা কামারখালী গ্রামে বসবাস করি। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমি বর্তমানে দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলতে এবং লিখতে অনেক ভালোবাসি। সব থেকে আমি বেশি পছন্দ করি ফটোগ্রাফি করতে। আমি বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন জায়গা ঘোরাঘুরি করে থাকি। কয়েকটি শখের মধ্যে আমার প্রধান শখ হচ্ছে ঘোরাঘুরি করা। সংক্ষিপ্ত আকারে আমি আমার নিজের পরিচয় শেয়ার করলাম আপনাদের মাঝে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।

(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )

banner-abb3.png

Logo.png

7258xSVeJbKkzXhyseBP4PYz11eBDT8sW2oR1a4vfVFS6JTrGU8e1FPUaNdHG5vjXyg2xthV78bDEmEVvKCQpyzX1kq8gAVzGsPp9GqJVRWxb6T9y35PZmQehnLjELdKKmnhdxQjDuny4.png

Steem_Pro.png


VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png

Posted using SteemPro Mobile

Sort:  
 5 months ago 

আপনার আপুর বিয়ের অনুষ্ঠানের প্রথম পর্ব পড়ে আমার কাছে বেশ ভালই লেগেছে। এরকম বিয়ের অনুষ্ঠানগুলো উপভোগ করতে কার না ভালো লাগে বলুন। ক্ষীর খাওয়ানোর অনুষ্ঠান আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে এবং প্লেট গুলো খুব সুন্দর ভাবে সাজিয়েছেন। ফটোগ্রাফি দেখে বোঝা যাচ্ছে খুব আনন্দের সময় কাটিয়েছেন এরকম সুন্দর একটি মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

 5 months ago 

অসংখ্য ধন্যবাদ আপু আপনার মূল্যবান মতামত শেয়ার করার জন্য।

 5 months ago 

আপুর বিয়েতে বেশ ভালো একটা সময় কাটিয়েছেন জেনে অনেক ভালো লাগলো। আসলে ভাইয়া অনুষ্ঠানে সবাই একসাথে মিলিত হলে অনেক ভালো লাগে। আপনার আপুকে কিন্তু বেশ কিউট লাগছে। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর কাটানো মূহুর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

 5 months ago 

ঠিক বলেছেন আপু আসলে আপুর বিয়েতে বেশ সুন্দর সময় কাটিয়েছিলাম।

 5 months ago (edited)

তাহলেতো একদম সমবয়সী আপনারা তা বলা যায়। শুনে বেশ অবাক লাগলো ৬ থেকে ৭ মাস আগে বিয়ে হয়েছে আর এখন অনুষ্ঠান হচ্ছে। তবে আপনার আপু টা দেখতে বেশি মিষ্টি। হলুদের সাঝে বেশ ভালই লাগছে তাকে।

 5 months ago 

আমার আপুকে আপনার কাছে দেখতে বেশ ভালো লেগেছে জানতে পেরে বেশ খুশি হলাম আপু।

 5 months ago 

বাহ!আপনি তো খুব সুন্দর একটি সময় অতিবাহিত করেছেন দেখছি আপনার আপুর বিয়েতে।সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন এবং খুব সুন্দর করে ক্ষীর খাওয়ানোর বর্ণনা দিয়েছেন। আসলে বিয়ে মানেই মজা বিয়ে মানেই হইহই। আপনি আপুর বিয়েতে অনেক মজা করেছেন জেনে খুব ভালো লাগলো।ধন্যবাদ সুন্দর পোস্ট টি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

 5 months ago 

ঠিক বলেছেন আপু আপনি বিয়ে মানে মজা সত্যি সেই বিয়েতে আমরা বেশ সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছিলাম সকলে।

 5 months ago 

বিয়ের অনুষ্ঠান মানেই খাওয়া দাওয়া আর দারুন আনন্দ। বেশ চমৎকারভাবে অনুষ্ঠানটি আয়োজন করেছেন দেখলাম। প্লেটে ফল সাজানো থেকে শুরু করে সবকিছু অনেক সুন্দর ছিল। আর সেই সাথে আপনার বর্ননা দুর্দান্ত ছিল 👌 ধন্যবাদ ভাই চমৎকার পোস্ট শেয়ার করার জন্য।

Posted using SteemPro Mobile

 5 months ago 

ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর ভাবে আপনার গঠনমূলক মতামত শেয়ার করার জন্য।

 5 months ago 

আজ আমাদের এদিকেও প্রচন্ড শীত পড়েছে ভাই। আর শীতের দিনে কম্বলের নিচে শুয়ে থাকতেই বেশি ভালো লাগে। যাইহোক ভাই, আপনার আপুর বিয়ের অনুষ্ঠানে বেশ আনন্দে দিন পার করেছেন মনে হচ্ছে। বিয়ের অনুষ্ঠান মানে খাওয়া দাওয়া ও আনন্দ উল্লাস করা। খুব সুন্দর করে ক্ষীর খাওয়ানোর আয়োজন করা হয়েছে যা দেখে খুব ভালো লাগলো। সব মিলিয়ে আপনার সময়টা খুব সুন্দর কেটেছে। আর সেই সুন্দর সময় টুকু আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

 5 months ago 

ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর ভাবে আপনার গঠনের মতামত শেয়ার করে আমাকে উৎসাহ দেওয়ার জন্য।

 5 months ago 

বর্তমানে শীত অনেকটাই বেশি পড়ছে বিশেষ করে গ্রাম অঞ্চলের দিকে শীতের তীব্রতা অনেক বেশি। সকালবেলা ঘুম থেকে উঠতে মন চায় না তার পরেও জোর করে ঘুম থেকে ওঠা লাগে। ফোনের গ্যালারি খুঁজতে খুঁজতে আপুর বিয়ের অনুষ্ঠানের প্রথম পর্ব নিয়ে হাজির হয়েছেন দেখে ভালো লাগলো। বোঝাই যাচ্ছে অনেক সুন্দর একটা মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন,আপনাদের কাটানো মুহূর্তটা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

Posted using SteemPro Mobile

 5 months ago 

চেষ্টা করি ভাই যে কোন ভালো কিছু জিনিস আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। বিশেষ করে নিজের কাছে যেগুলো বেশি ভালো লাগে সেগুলো শেয়ার করার চেষ্টা করি।

 5 months ago 

আমাদের এখানেও প্রচুর শীত পরছে৷ শীতের সময়ে কম্বলের নিচ থেকে উঠতে মন চায় না। আমি এখনো কম্বলের নিচে শুয়ে আছি। আপনার আপুর বিয়ের অনুষ্ঠানে অনেক আনন্দঘন মুহুর্ত পার করছেন। বিয়ে মানেই মজা আর খাওয়া দাওয়া৷ খুব ভালোভাবে ক্ষীর খাওয়ানোর আয়োজন করা হয়েছে শুনে ভালো লাগলো৷ অসংখ্য ধন্যবাদ এরকম সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য৷

 5 months ago 

ঠিক বলেছেন ভাই শীতের সময় কম্বলের নিচ থেকে উঠতে মন চায় না ‌। ধন্যবাদ এত সুন্দর ভাবে আপনার গঠনমূলক মতামত শেয়ার করার জন্য।

 5 months ago 

Coin Marketplace

STEEM 0.27
TRX 0.11
JST 0.030
BTC 67753.90
ETH 3783.00
USDT 1.00
SBD 3.54