ভ্রমণ পোস্ট // সিলেট ভ্রমণের প্রথম পর্ব
আসসালামু আলাইকুম/আদাব আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু গন আমি @kibreay001 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ (২০-১২-২০২৩)
আসসালামু আলাইকুম আমার স্টিম বন্ধু গন আশা করি আপনারা অনেক ভালো আছেন । আপনাদের দোয়ায় আমিও অনেক ভালো আছি। আমি @kibreay001 আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি সিলেট ভ্রমণের প্রথম পর্ব। আসলে আজকে সকাল বেলায় ঘুম থেকে ওঠার পরেই ভাবলাম আপনাদের মাঝে পোস্ট শেয়ার করব। তাই ঘুম থেকে ওঠার পর এই মোবাইল হাতে নিয়ে পোস্ট লেখা শুরু করে দিলাম। আসলে আজকে সারাদিন বেশ ব্যস্ত সময় পার করতে হবে তাই খুব সকাল সকাল পোস্ট শেয়ার করতে চলে আসলাম। আপনারা উপরে যে ছবিটা দেখতে পারছেন এটি হচ্ছে সিলেট জাফলং এর একটি ছবি। নভেম্বর মাসের ২৩ তারিখে আমরা কলেজ থেকে সিলেট বেড়াতে গিয়েছিলাম। সিলেটে প্রায় পাঁচ দিন ছিলাম আমরা বেশ দারুন সময় উপভোগ করেছিলাম বন্ধু বান্ধব মিলে। তবে চলুন আজকের পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করা যাক........
এবার আপনাদের উপরে ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমি অনেক সুন্দর ভাবে সিলেট জাফলং এর একটি ছবি তুলে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। দীর্ঘ প্রায় ২৬ থেকে ২৭ ঘন্টা বাসে জার্নি করার পরে আমরা সিলেটে গিয়ে পৌঁছে ছিলাম। আসলে এত বড় জার্নি আমি আমার জীবনে কখনো করেছিলাম না এই প্রথম এত বড় একটা জার্নি দিয়েছিলাম বন্ধুদের সাথে। বাস থেকে নামার পরে মনে হচ্ছিল সকালবেলার দিকে আর হাঁটতে পারছিলাম না এতটাই ক্লান্ত ছিলাম। পিকনিক স্পটে পৌঁছে কয়েকটি ছবি তুলেছিলাম তারপরে আমরা রেস্ট নেওয়ার জন্য একটি হোটেলে গিয়েছিলাম। নদী পারাপারের জন্য সেখানে বেশ কিছু নৌকা ছিল। আমরা তখন দেখেছিলাম নদীর মধ্যে থেকে অনেক মানুষ পাথর তুলে নিয়ে আসছিল। সব মিলিয়ে সিলেটে বেশ দারুন সময় উপভোগ করেছিলাম।
এবার আপনারা উপরে ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমি আমার বন্ধুর অনেক সুন্দর ভাবে দুটি ছবি আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। আসলে আমার বন্ধুর নাম মোঃ পারভেজ হোসেন। তিনি অত্যন্ত ভালো এবং ভদ্র মানুষ। অনেকদিন আগে হ্যাংআউটে এই একটি কবিতা শুনিয়ে ছিল আমার এই বন্ধু পারভেজ আপনাদেরকে। আমারে বন্ধু বলেছিল চলো বন্ধু হাঁটতে হাঁটতে একটু নদীর ধার থেকে সকাল বেলার আবহাওয়া উপভোগ করে আসি। তখন আমাদের এই দিকে শীত ভালো ছিল না বললেই চলে কিন্তু সিলেটে বেশ ভালো শীত এবং কুয়াশা ছিল। সকাল বেলায় বাস থেকে নামার পরে কিছুই দেখতে পারছিলাম না সেখানে। বাসে আমরা দুই বন্ধু পাশাপাশি সিট নিয়ে বসেছিলাম। আমরা দুজন তখন মেসে একই রুমে থাকতাম। সেখানে কিছু সময় ঘোরাফেরা করার পরে আমরা নৌকায় চড়ে নদীর মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ ঘোরাফেরা করেছিলাম।
এবার আপনার উপরে ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমি নদীর মধ্যে নেমেছিলাম পিছন ঘুরে যখন দাঁড়িয়ে ছিলাম তখন আমার বন্ধু অনেক সুন্দর ভাবে একটি ছবি তুলে দিয়েছিল। আসলে নদীর ওপারে সব পাহাড় দেখা যাচ্ছিল। আসলে প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য দেখে সেই দিন বেশ মুগ্ধ হয়ে ছিলাম আমি। এর আগে কখনো পাহাড় দেখেছিলাম না। পাহাড়ের উপরে অনেক মানুষের বাড়ি ঘর দেখতে পেয়েছিলাম আমরা অনেক দূর থেকেই। কিন্তু পাহাড়গুলো অধিকাংশই ভারত সীমান্তের মধ্যে। আসলে শীতের সকালে পানি যে কি ঠান্ডা ছিল বলে বোঝানো যাবে না। সকালবেলায় আমার বেশ পানি দিসনা পেয়েছিল আমি পানি কেনার মত কোন জায়গা পেয়েছিলাম না অনেক মানুষকে জিজ্ঞেস করার পরে বলছিল আমরা সবাই এই নদীর পানি খায়। কিন্তু আমি তাও নদীর পানি খেয়েছিলাম না। সব মিলিয়ে বেশ দারুন সময় উপভোগ করেছিলাম।
এবার আপনারা উপরে ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমি এবং আমার বন্ধু পারভেজ অনেক সুন্দর ভাবে একটি সেলফি তুলে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। আসলে কলেজ লাইফে আমি এমন একজন বন্ধু পেয়েছি অত্যন্ত ভালো একজন মানুষ। কলেজে গিয়ে দুজন প্রায় একই সাথে বেরিয়ে বেড়ায় আমরা। কলেজের যেকোনো কাজ দুজন একই সাথে করে থাকি। বেশি ভালোভাবে লক্ষ্য করে দেখতে পারবেন নদীর উপর দিয়ে ছোট্ট একটি রাস্তা ছিল সেখানে ট্রাকে করে পাথর নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। আশা করি পোস্টে আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে। সকলের মতামত নিচে কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে জানাবেন। সকলের জন্য আমার পক্ষ থেকে শুভকামনা রইল।
শ্রেণী | সিলেট ভ্রমণ |
---|---|
ডিভাইস | oppo f21s pro |
লেখক | @kibreay001 |
লোকেশন | সিলেট, জাফলং |
আমি মোঃ কিবরিয়া হোসেন। আমি বাংলাদেশ খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানা কামারখালী গ্রামে বসবাস করি। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমি বর্তমানে দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলতে এবং লিখতে অনেক ভালোবাসি। সব থেকে আমি বেশি পছন্দ করি ফটোগ্রাফি করতে। আমি বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন জায়গা ঘোরাঘুরি করে থাকি। কয়েকটি শখের মধ্যে আমার প্রধান শখ হচ্ছে ঘোরাঘুরি করা। সংক্ষিপ্ত আকারে আমি আমার নিজের পরিচয় শেয়ার করলাম আপনাদের মাঝে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।
(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )
VOTE @bangla.witness as witness
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
OR
আপনার সিলেট ভ্রমণের প্রথম পর্ব পড়ে খুবই ভালো লাগলো।সিলেটের বেশ সুন্দর সুন্দর জায়গা আপনি ক্যামেরা বন্দী করেছেন।সুন্দর লাগছে দেখতে ফটোগ্রাফি গুলো।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
চেষ্টা করব আপু পরবর্তী পর্বে আরো সুন্দর সুন্দর সিলেটের কিছু ফটোগ্রাফি আপনাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য।
Twitter link
ভ্রমণের প্রথম পর্বে আপনার সুন্দর সুন্দর ছবি দেখতে পেলাম। দেখেআমার অনেক ভালো লাগলো। সিলেট ঘুরতে যাওয়ার হয় নি এখনো। আশা করি পরবর্তী পর্বে আপনার আরো অনেক সুন্দর সুন্দর ছবি দেখতে পারবো। অনেক ধন্যবাদ এতো সুন্দর মূহুর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
চেষ্টা করব আপু সামনের পর্বে আরো দারুন কিছু ছবি শেয়ার করার জন্য।
সিলেট অত্যন্ত সুন্দর ভাইয়া। আমার মামা ওখানে থাকে। আমি সিলেট ভ্রমণ করেছিলাম, বেশ সুন্দর মুহূর্ত উদযাপন করেছিলাম। প্রকৃতির সৌন্দর্য আমাকে মুগ্ধ করেছিল ভোলাগঞ্জ সাদা পাথর এবং আপনি দেখছি ওখানে বেশ সুন্দর মুহূর্ত উদযাপন করেছেন। দারুন ছিল আপনার ফটোগ্রাফি মুহূর্ত তুলে ধরেছেন। অসাধারণ🥰
ঠিক বলেছেন ভাই আপনি ভোলাগঞ্জ সাদা পাথর আমিও বেশ সুন্দর সময় উপভোগ করেছিলাম। পরবর্তীতে ভোলাগঞ্জের ছবি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব ভাই ।
সিলেট ভ্রমনের প্রথম পর্ব পরে খুবই ভাল লাগলো ভাই।মনে হচ্ছে দারুন একটা ভ্রমন কাহিনী পেতে যচ্ছি বাকি গুলোর জন্য অপেক্ষায় থাকলাম।আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো ভাই।
এখন থেকে প্রত্যেক সপ্তাহে একটি করে পর্ব শেয়ার করার চেষ্টা করব অপেক্ষায় থাকুন ভাই।
You've got a free upvote from witness fuli.
Peace & Love!
কলেজ থেকে সিলেট যাওয়া আসলেই অনুভূতিটাই অন্যরকম। প্রথমবারের মতো অনেক বড় একটি জার্নি করেছেন। যেটা স্মৃতি হিসেবে থেকে যাবে। আমার এখন পর্যন্ত সিলেটে যাওয়া হয়নি ইনশাআল্লাহ ২৪ সালের মধ্যেই সেটা পূরণ হবে। ভালো লাগলো আপনার কাটানো মুহূর্তের একাংশ দেখে পরবর্তী পর্বে আশায় রইলাম।
ঠিক বলেছেন ভাই আপনি কলেজ থেকে বন্ধু বান্ধব মিলে সিলেটে যাওয়ার অনুভূতিটা সত্যি অন্যরকম একটা বিষয়।
ভাইয়া অবশেষে সিলেট ভ্রমনের পর্ব শুরু করে দিলেন। সিলেট জাফলং জায়গাটা সবার নিকট খুবই পরিচিত ও প্রিয় জায়গা। ভ্রমন পিপাসুরা সময় পেলেই সেখানে ছুটে যায়। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দারুন ছিল। ধন্যবাদ।
ঠিক বলেছেন ভাই আপনি সিলেটে জাফলং সত্যি বেশ পরিচিত একটি জায়গা আমরা প্রথমে গিয়েছিলাম জাফলং দেখতে। বেশ অসাধারণ একটি জায়গা ছিল ভাই জাফলং।
আসলে ভাইয়া সিলেটে কখনো যাওয়া হয়নি। তবে আপনার ফটোগ্রাফির মাধ্যমে দেখতে পেয়ে অনেক ভালো লাগলো। সত্যি অনেক বড় জার্নি করেছেন।দুই বন্ধু মিলে বেশ ভালো একটি সময় কাটিয়েছে দেখে বোঝা যাচ্ছে। পাথরগুলো দেখতে অসম্ভব সুন্দর লাগছে। ধন্যবাদ ভাইয়া পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছেন আপু আপনি আমি আমার জীবনের সবথেকে বড় জার্নি করেছি সিলেট। আসলে সিলেট বন্ধু-বান্ধব মিলে ঘুরতে বেশ দারুন লেগেছিল।
অনেক দিনের ইচ্ছে আমাদের সিলেট ঘুরতে যাব। কিন্তু বিভিন্ন ধরনের ট্রাজেটির কারণে যাওয়া হচ্ছে না। এই বছর ডিসেম্বরে যাওয়ার কথা কিন্তু এখনো হলো না যাওয়া। তবে আপনার ফটোগ্রাফি গুলোর মাধ্যমে বেশ উপভোগ করলাম। জায়গাটা তো সুন্দর সবাই মিলে বেশ আনন্দ করলেন সিলেটে যেয়ে। অনেক ধন্যবাদ ফটোগ্রাফি সহ অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য।
আপনারা সিলেট দেখতে যাবেন জানতে পেয়ে বেশ ভালো লাগলো। আশা করি আপনারা খুব দ্রুতই সিলেট দেখতে পারবেন ধন্যবাদ মতামত শেয়ার করার জন্য।