(ক্রিয়েটিভ রাইটিং) গল্প // রিজাল কুঁড়ের গল্পের দ্বিতীয় পর্ব
আসসালামু আলাইকুম/আদাব আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু গন আমি @kibreay001 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ (১৯-১১-২০২৩)
আসসালামু আলাইকুম আমার স্টিম বন্ধু গন আশা করি আপনারা অনেক ভালো আছেন । আপনাদের দোয়ায় আমিও অনেক ভালো আছি। আমি @kibreay001 আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি রিজাল কুঁড়ের গল্পের দ্বিতীয় পর্ব। আসলে আজকে সকাল থেকে বেশ ব্যস্ত সময় পার করছি। সকাল বেলায় ঘুম থেকে উঠে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে প্রথমেই প্রাইভেটের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। প্রাইভেট শেষ করে সেখান থেকে কলেজের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। কলেজ শেষ করে বাড়ি ফিরতে প্রায় একটা বেজে যায়। বাড়িতে এসে অল্প একটু খাওয়া দাওয়া করে মাঠে গিয়েছিলাম। আজকে আমাদের কালাই মাড়াই করবে সেই কাজের উদ্দেশ্যে। সেখান থেকে কালাই মাড়াই শেষ করে বাড়িতে এসে গোসল শেষ করে আপনাদের মাঝে যুক্ত হয়েছি। তবে চলুন শেয়ার করা যাক আপনাদের মাঝে রিজাল কুঁড়ের গল্পের দ্বিতীয় পর্ব শেয়ার করা যাক......
আজকে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি রিজাল কুঁড়ের গল্পের দ্বিতীয় পর্ব। তারপর রিজাল কুঁড়ে ধীরে ধীরে ইন্টার পাশ করে ফেলে। কয়েক মাস পরেই চলে আসে ভার্সিটি এডমিশন। সেই সময় আমাদের গ্রাম থেকে রিজাল কুঁড়ে সর্বপ্রথম বুয়েট ইউনিভার্সিটিতে লেখাপড়া করেছিল। আসলে যখন বুয়েট ইউনিভার্সিটিতে চান্স পেয়েছিল আমাদের এলাকা থেকে লোকজন এসেছিল রিজাল কুঁড়ের দেখার জন্য। এভাবেই বেশ কিছুদিন ভালোভাবেই লেখাপড়া করে রিজাল কুঁড়ে । তার কিছুদিন পরে রিজাল কুঁড়ে একবার গ্রামে বেড়াতে এসেছিল। রিজাল কুঁড়ের পরিবারের সাথে পাশের বাড়ির একজনের গ্যাঞ্জাম শুরু হয়েছিল। গ্যাঞ্জাম হয়েছিল মূলত জমি নিয়ে। এভাবেই প্রায় কয়েকদিন গ্যাঞ্জাম সামনের দিকে এগোতে থাকে। পরবর্তীতে রিজাল কুঁড়ের পরিবার সেই পরিবারের একজন ব্যক্তিকে মার্ডার করে ফেলেছিল। অবশেষে রিজাল কুঁড়ে দের পরিবারের সবাইকে পুলিশ এরেস্ট করে নিয়ে যায়। সেখান থেকে রিজাল কুঁড়ে সহ পুলিশ ধরে নিয়ে গিয়েছিল। অবশেষ সেই মার্ডার কেসের আসামি ছিল রিজাল কুঁড়ে দ্বিতীয় নম্বর। এভাবে প্রায় এক থেকে দুই বছর কেস সামনের দিকে এগিয়ে যেতে থাকে। অবশেষে রিজাল কুঁড়ের পাঁচ বছর কারাদণ্ড হয়।
তখন রিজাল কুঁড়ে আর বুয়েট ইউনিভার্সিটিতে লেখাপড়া করতে পারে না। কিন্তু সেই সময় আমাদের অত্র এলাকার নামকরা একজন স্টুডেন্ট ছিল রিজাল কুঁড়ে। পাঁচ বছর পরে জেল থেকে বের হয়ে বাড়িতে এসে ভারসাম্যহীন একটা মানুষ হয়ে যায় রিজাল কুঁড়ে। পরবর্তীতে আর সেই ইউনিভার্সিটিতে লেখাপড়া করার সুযোগ পেয়েছিল না। কয়েক বছর রিজাল কুঁড়ের ডাক্তারের কাছে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করা হয়। তারপর আস্তে আস্তে আগের তুলনায় কিছুটা সুস্থ হয়েছিল সেই সময়। পরবর্তীতে তিনি একটা কোম্পানির চাকরিতে যোগদান করেছিল। কিন্তু সে বারবার চাকরি ছেড়ে বাড়িতে চলে আসতো। যেকোনো কাজের প্রতি সেই সময়ে তার বেশ আগ্রহ ছিল।রিজাল কুঁড়ের গল্প আপনাদের মাঝে এখনো চলমান থাকবে। আশা করি গল্পটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে। সকলের মতামত নিচে কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে জানাবেন। সকলের জন্য আমার পক্ষ থেকে শুভকামনা রইল।
আমি মোঃ কিবরিয়া হোসেন। আমি বাংলাদেশ খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানা কামারখালী গ্রামে বসবাস করি। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমি বর্তমানে দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলতে এবং লিখতে অনেক ভালোবাসি। সব থেকে আমি বেশি পছন্দ করি ফটোগ্রাফি করতে। আমি বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন জায়গা ঘোরাঘুরি করে থাকি। কয়েকটি শখের মধ্যে আমার প্রধান শখ হচ্ছে ঘোরাঘুরি করা। সংক্ষিপ্ত আকারে আমি আমার নিজের পরিচয় শেয়ার করলাম আপনাদের মাঝে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।
(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )
VOTE @bangla.witness as witness
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
OR
ভাইয়া গল্পটি পড়ার পর আমার অনুভূতি হল শুরু হবার আগেই শেষ। অনেক ভাল লিখেছেন,কিন্তু ছোট হওয়ায় ঠিকমত উপভোগ করতে পারলাম না।সুস্বাদু খাবার কম পেলে যেমন হয় তেমন অনুভূতি হচ্ছিল।আশা করি পরের পর্ব বড় হবে।ধন্যবাদ ভাইয়া শেয়ার করার জন্য।
চেষ্টা করব ভাই পরের পর্ব আরো বড় দেখার জন্য। ধন্যবাদ এত সুন্দর ভাবে আপনার কাঙ্খিত মূল্যবান মতামত শেয়ার করার জন্য।
Twitter link
ভাইয়া আপনি খুব সুন্দর গল্প লিখেছেন। প্রথম পর্ব পড়া হয়নি কিন্তু দ্বিতীয় পর্ব পড়ে ভালো লাগলো। কিন্তু যখন পড়া শুরু করলাম আর খুব সুন্দর অনুভূতি শুরু হলো আর তখনই শেষ হয়ে গেল। যাই হোক রিজাল কুঁড়ে ভালো ছাত্র থাকা সত্ত্বেও মার্ডার আসামি হওয়াতে সব শেষ হয়ে যায়। এত বছর জেল খাটার কারণে তার মনের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলে তারজন্য মূলত এমন হয়েছে। তবে যেহেতু তার ক্যারিয়ার ধ্বংস হয়ে গিয়েছে এখন সে কোনো কাজেই মন দিতে পারবে না। যাই হোক পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
ধন্যবাদ আপনাকে গল্পটি পড়ে এত সুন্দর ভাবে আপনার মূল্যবান মতামত শেয়ার করার জন্য।
এটা কি রকম ক্রিয়েটিভ রাইটিং সেটা আমার বুঝে আসছে না। তিনটি প্যারা লিখেছেন গল্পের মাঝে, তার থেকে প্রথম প্যারা শুধুমাত্র ভূমিকা দিয়ে শেষ করেছেন। পরের দুই প্যারায় গল্প -তাও এতো ছোট আকারে পর্ব? এটা আমার বাংলা ব্লগের সাথে যায় না এবং এই ধরনের গল্প লিখলে কোন পোষ্ট কিউরেশনে যাবে না। আমি প্রথমবার সতর্ক করলাম আপনাকে।
ধন্যবাদ ভাই প্রথমবার ভুল ধরিয়ে দেওয়ার জন্য আশা করি পরবর্তীতে আরও বড় করে গল্প লেখার চেষ্টা করব।