(ক্রিয়েটিভ রাইটিং) গল্প // রাতের আঁধারে কবর থেকে মাটি তোলার গল্প (দ্বিতীয় পর্ব)

in আমার বাংলা ব্লগ9 months ago

হ্যালো......
আসসালামু আলাইকুম/আদাব আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু গন আমি @kibreay001 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ (১৫-১০-২০২৩)

forest-704077_1280.jpg

Source

আসসালামু আলাইকুম আমার স্টিম বন্ধু গন আশা করি আপনারা অনেক ভালো আছেন । আপনাদের দোয়ায় আমিও অনেক ভালো আছি। আমি @kibreay001 আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি রাতের আঁধারে কবর থেকে মাটি তোলার গল্প (দ্বিতীয় পর্ব)। আজকে সকাল থেকেই বেশ ব্যস্ত সময় পার করছিলাম। সকাল বেলায় ঘুম থেকে উঠে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে প্রাইভেটের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। প্রাইভেট শেষ করে এসে গোসল শেষ করে আবারও কলেজের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। কলেজ শেষে বন্ধুদের সাথে কিছু কেনাকাটা করছিলাম কারণ কয়েকদিন পরে কলেজ থেকে পিকনিকে যেতে হবে। এবার পিকনিক অনেক দূরে প্রায় পাঁচ দিন থাকতে হবে সেখানে। এবার আমাদের পিকনিক স্পট হচ্ছে সিলেট। আসলে এর আগে কখনো যাওয়া হয়নি তাই বেশ ভালোই লাগছে। পিকনিকে যাওয়ার আগেই সবাই বেশ সুন্দর কিছু জামা কাপড় কিনেছিলাম আজকে। তাই আজকের পোস্ট শেয়ার করতে একটু দেরি হয়ে গেল। তবে চলুন আজকের পোস্টি আপনাদের মাঝে শেয়ার করা যাক......


রাতের আঁধারে কবর থেকে মাটি তোলার গল্প সেই দিন আপনাদের মাঝে শেষ করেছিলাম মেয়েটি যখন কথা বলতে পারল তখন তার বাবা অসুস্থ হয়ে পড়েছিল। আসলে মেয়েটির সেই কবরের মাটি তার বাবা নিয়ে এসেছিল। এভাবে তার বাবা দীর্ঘদিন অসুস্থ হয়ে পড়ে অনেক ডাক্তার দেখায় তাও রোগ ভালো হয় না অবশেষে কবিরাজের কাছে গিয়ে দেখাই। অবশেষে কবিরাজ বলে এই রোগ ভালো করা কোনমতেই সম্ভব না পরবর্তীতে যে আবারও কবরের মাটি নিয়ে এসে এই লোককে দিবে এই লোক যখন সুস্থ হবে সেই লোক আবারও তখন অসুস্থ হয়ে পড়বে। এখন আমাদের সমাজে কেউ চাইবে না যে অন্যের সুস্থতার জন্য নিজে অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাই সেই মেয়ের বাবার জন্য আর কেউ কবর থেকে মাটি আনে না। অবশেষে তার বাবা পায়ে আর হাঁটাচলা করতে পারেনা এভাবেই বিছানাগত হয়ে পড়ে থাকে। সেই মেয়েটির বাবার বয়স সর্বোচ্চ হলে ৪০ থেকে ৪২ বছর হতে পারে। এই অল্প বয়সেই এমন অসুস্থতার কথা সহজেই কেউ মেনে নিতে পারে না।


এভাবেই অনেক বড় বড় ডাক্তার দেখায় কয়েকবার মাজা থেকে পা পর্যন্ত অপারেশন করা হয়েছে তাও রোগ ভালো হয় না। আসলে ডাক্তাররা রোগ ঠিকমতো ধরতে পারে না। অবশেষে সেই মেয়েটি কথা বলা শেখে এবং তার বাবা এভাবেই বিছানায় পড়ে থাকে কিন্তু মেয়েটির বিয়ের বয়স হয়ে যাওয়ার কারণে বাড়ি থেকে সেই মেয়েটির বিয়ে দিয়ে দেয়। সেই মেয়েটির বিয়ে হয়েছিল অত্যন্ত গরীব একটি পরিবারে। মেয়েটির সাথে যেই ছেলেটির বিয়ে হয় মেয়েটির থেকেও বয়সে কয়েক বছরের ছোট। মেয়েকে অত্যন্ত সুন্দর চেহারার অধিকারী ছিল সেই সময়। ছেলেটি সেই সময় কলেজে লেখাপড়া করত। অবশেষে মেয়েটির হাজবেন্ড লেখাপড়া শেষ করে অনেক ভালো একটি চাকরি পায়। এভাবেই তাদের দুজনের বেশ ভালোই চলছিল। অবশেষে ছেলেটি জানতে পারে যে মেয়েটির এমন সমস্যা ছিল। তারপরে ছেলেটি তার শ্বশুরের চিকিৎসার জন্য অনেক ডাক্তারের কাছে নিয়ে যায় তাও কোন কাজ হয় না। মেয়েটার বাবা অবশেষে একদিন সুস্থ হয়ে পড়েছিল এই ঘটনা আপনাদের মাঝে তৃতীয় পর্বে শেয়ার করব। আশা করি পোস্টি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে। সকলের মতামত নিচে কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে জানাবেন। সকলের জন্য আমার পক্ষ থেকে শুভকামনা রইল।
💞আমার নিজের পরিচয়💞


IMG-20230321-WA0007.jpg

আমি মোঃ কিবরিয়া হোসেন। আমি বাংলাদেশ খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানায় কামারখালী গ্রামে বসবাস করি। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমি বর্তমানে একাদশ শ্রেণীর ছাত্র। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলতে এবং লিখতে অনেক ভালোবাসি। সব থেকে আমি বেশি পছন্দ করি ফটোগ্রাফি করতে। আমি বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন জায়গা ঘোরাঘুরি করে থাকি। কয়েকটি শখের মধ্যে আমার প্রধান শখ হচ্ছে ঘোরাঘুরি করা। সংক্ষিপ্ত আকারে আমি আমার নিজের পরিচয় শেয়ার করলাম আপনাদের মাঝে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।

(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )

banner-abb3.png

Logo.png

7258xSVeJbKkzXhyseBP4PYz11eBDT8sW2oR1a4vfVFS6JTrGU8e1FPUaNdHG5vjXyg2xthV78bDEmEVvKCQpyzX1kq8gAVzGsPp9GqJVRWxb6T9y35PZmQehnLjELdKKmnhdxQjDuny4.png

Steem_Pro.png


VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png

Posted using SteemPro Mobile

Sort:  
 9 months ago 

আসলে কবর থেকে যে মাটি এনে দিবে তখন সে নিজে অসুস্থ হয়ে যাবে। কিন্তু অন্যজন ভালো হয়ে যাবে এই কথা শুনলে কেউই যাবে না। কারণ কেউ নিজের অসুস্থতা চায় না। মেয়েটার বিয়ে হয়েছিল এটা জেনে ভালো লাগলো। আর পরবর্তীতে দেখলাম তার বাবা ও সুস্থ হয়েছে। দেখা যাক পরবর্তী পর্বে কি হয়। আশা করছি খুব শীঘ্রই আপনি পরবর্তী পর্ব আমাদের মাঝে শেয়ার করবেন।

 9 months ago 

ধন্যবাদ ভাই পোস্টি পড়ে এত সুন্দর ভাবে আপনার গঠনমূলক মতামত শেয়ার করার জন্য।

Coin Marketplace

STEEM 0.21
TRX 0.13
JST 0.030
BTC 66895.91
ETH 3499.24
USDT 1.00
SBD 2.89