ভ্রমণ পোস্ট // সিলেট ভ্রমণের ৬ তম পর্ব
আছসালামু আলাইকুম/আদাব আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু গন আমি @kibreay001 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ (৩০-০১-২০২৪)
আছসালামু আলাইকুম আমার স্টিম বন্ধু গন আশা করি আপনারা অনেক ভালো আছেন । আপনাদের দোয়ায় আমিও অনেক ভালো আছি। আমি @kibreay001 আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি সিলেট ভ্রমণের ৬ তম পর্ব। আজকে সকাল বেলা থেকেই বেশ ব্যস্ত সময় পার করছি। আপনারা সকলে জানেন বেশ কিছু দিন আগে থেকে আমাদের কলেজে মডেল টেস্ট পরীক্ষা শুরু হয়েছে এই কারণে সব থেকে বেশি ব্যস্ত সময় পার করতে হচ্ছে। সকাল বেলায় ঘুম থেকে উঠে লেখাপড়ার জন্য টেবিল চেয়ারে বসে ছিলাম। বেশ কিছু সময় লেখাপড়া শেষ করে হাত-মুখ ধুয়ে এসে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে রেডি হতে শুরু করলাম। ঠিক বাড়ি থেকে নয়টার দিকে বের হয়েছিলাম পরীক্ষা দিতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে। কলেজে বেশ ভালোভাবেই পৌঁছে গিয়েছিলাম। আজকের পরীক্ষা আলহামদুলিল্লাহ মোটামুটি বেশ ভালো হয়েছে আজকে যুক্তিবিদ্যা পরীক্ষা ছিল। পরীক্ষা শেষ করে বন্ধুদের সাথে বেশ কিছু সময় সেখানে আড্ডা দিয়েছিলাম। তারপরে বাড়িতে এসে গোসল শেষ করে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে বিছানায় এসে এইমাত্র শুয়ে আপনাদের মাঝে পোস্ট লেখা শুরু করে দিলাম। তবে চলুন আজকের পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করা যাক........
আপনারা উপরে ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমি অনেক সুন্দর ভাবে আমার দুইটি বন্ধুর ছবি আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। এই ছবি দুটো হচ্ছে মাধবকুন্ড ইকোপার্কের মধ্যে ছবি। আমরা যখন মাধবকুন্ড ইকোপার্কের মধ্যে পাহাড়ের উপরে উঠতে ছিলাম সেই সময় সেখানে বেশ জঙ্গল দেখতে পেয়েছিলাম। সেই জঙ্গলের মধ্যে দাঁড়িয়ে আমার দুই বন্ধু সেখানে বেশ দারুন কিছু ছবি তুলেছিল। আসলে সেখানে ভালোভাবে ওঠাই যাচ্ছিল না তাই আমার বেশ ভয় লাগছিল সেখানে। আসলে এই জায়গাগুলো বেশ সরু আকৃতির। আসলে মাধবকুন্ড ইকোপার্কের মধ্যে আমরা বেশ দারুন সময় পার করেছিলাম।
এবার আপনার উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমি অনেক সুন্দর ভাবে আবারো আমার দুইটি বন্ধুর ছবি আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। এটি হচ্ছে মাধবকুণ্ড ইকোপার্কের মধ্যে একটি গুহা ছিল সেই গুহার মধ্যে আমরা বন্ধুরা সকলে গিয়েছিলাম। আসলে গুহার মধ্যে নামার পরে দারুন ভয়ংকর সেখানে সাউন্ড দেওয়া হচ্ছিল চার সাইড থেকে। এই গুহার মধ্যে নামার পরে বন্ধুরা সকলে মিলে শক্তি পরীক্ষা করতেছিল তখনই আমি বেশ সুন্দর কিছু ছবি তুলেছিলাম। আসলে সিলেট ভ্রমণের স্মৃতিগুলো এখনো প্রায় সময় মনের মাঝে ভেসে বেড়ায় যদি আর কিছুদিন থাকতে পারতাম সিলেটে তাহলে বেশ ভালো হতো। কিন্তু সিলেটে আমার অত্যন্ত একটি দুঃখের ঘটনা রয়েছে।
এবার আপনার উপরে ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমি অনেক সুন্দর ভাবে মাধবকুন্ড ইকোপার্কের মধ্যে গিয়ে ঝরনার পাশে পৌঁছানোর পরে সেখানে বেশ কিছু দারুণ ছবি উঠেছিলাম। ঝরনা ছবিগুলো আপনাদের মাঝে শেয়ার করার চেষ্টা করেছি। আসলে মহান আল্লাহতালার সৃষ্টির রহস্য সেই দিন আমি নিজে চোখে দেখতে পেয়েছিলাম। পাহাড়ের চূড়ার উপর থেকে একাই পানি ভেসে এসেছে। সত্যি এই ধরনের দৃশ্যগুলো যদি নিজের চোখে দেখা যায় তাহলে বেশ ভালো লাগে। এই জায়গাটি দেখার জন্য আমাদের মত আরো অনেক পর্যটক সেখানে ভ্রমণ করতে এসেছিল। আপনারা যদি কখনো সিলেটে যান তাহলে এই জায়গাটি সকলে দেখতে পারবেন।
এবার আপনার উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমি অনেক সুন্দর ভাবে আমার তিনটি ছবি আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। এই জায়গাটির নাম হচ্ছে ভোলাগঞ্জ সাদা পাথর। আমার কাছে সিলেট ভ্রমণের মধ্যে ভোলাগঞ্জ সাদা পাথর সব থেকে বেশি ভালো লেগেছিল। এখানে আমরা বন্ধুরা সকলে মিলে গোসল করেছিলাম এবং বাংলাদেশ এবং ইন্ডিয়ার দু'দেশের সীমান্তে মাঝ বরাবর দাঁড়িয়েছিলাম। এখানে মোবাইলে কোন নেটওয়ার্ক ছিল না বাড়ি থেকে অনেকবার ফোন দেওয়ার চেষ্টা করেছিল কিন্তু আমার ফোনে ফোন দিতে পারেনি পরে জানতে পেরেছিলাম। পানি এত সুন্দর পরিষ্কার সত্যিই অবাক হবার মত। সেখানে শুধুমাত্র গিয়ে আমি দাঁড়িয়ে ছিলাম নদীর ঢেউ এসে আমাকে মাঝে নিয়ে গিয়ে দাঁড় করিয়েছিল। সত্যি সেই সময় প্রথমে আমি বেশ ভয় পেয়েছিলাম। আশা করি আজকের পোস্টি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে। সকলের মতামত নিচে কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে জানাবেন। সকলের জন্য আমার পক্ষ থেকে শুভকামনা রইল।
শ্রেণী | সিলেট ভ্রমণ |
---|---|
ডিভাইস | oppo f21s pro / ডিএসএলআর |
লেখক | @kibreay001 |
লোকেশন | সিলেট |
আমি মোঃ কিবরিয়া হোসেন। আমি বাংলাদেশ খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানা কামারখালী গ্রামে বসবাস করি। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমি বর্তমানে দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলতে এবং লিখতে অনেক ভালোবাসি। সব থেকে আমি বেশি পছন্দ করি ফটোগ্রাফি করতে। আমি বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন জায়গা ঘোরাঘুরি করে থাকি। কয়েকটি শখের মধ্যে আমার প্রধান শখ হচ্ছে ঘোরাঘুরি করা। সংক্ষিপ্ত আকারে আমি আমার নিজের পরিচয় শেয়ার করলাম আপনাদের মাঝে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।
(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )
VOTE @bangla.witness as witness
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
OR
ভাইয়া আপনার সিলেট ভবনের ৬ তম পর্ব আজ আমি দেখতে পেলাম এবং পড়লাম। আর এর আগের পর্বগুলো অবশ্য পড়া হয়নি। তবে আজ সিলেট ভবনের এই পর্বটি পড়ে আমার খুব ভালো লাগলো। বিশেষ করে ভালো লেগেছে মাধবকুন্ডে আল্লাহতালার মহান সৃষ্টির কি অপরূপ সেই ঝরনাটি আমার গিয়ে দেখার অনেক শখ। আল্লাহ চাইলে হয়তো কোনদিন যেতে পারবো। তবে আপনার ছবির মাধ্যমে ঝরনাটি দেখে অনেক সুন্দর লাগেছে। আর অবাক হয়েছি ভোলাগঞ্জ আপনি সাইটে ছিলেন ঢেউ এসে আপনাকে মাঝে নিয়ে দাঁড় করিয়েছে। আপনার এই পোস্টটি পড়ে আমার সিটের যেতে খুব ইচ্ছে করছে। ধন্যবাদ ভাই আপনাকে এত সুন্দর একটি পোস্ট এবং আমাদের কিছু ইনফরমেশন দেয়ার জন্য।
ঠিক বলেছেন আপু আপনি ঝরনাটি সত্যি আমার কাছে দেখতে বেশ ভালো লেগেছিল।
আপনার সিটেল ভ্রমণের ষষ্ঠ পর্ব পড়ে অনেক ভালো লাগলো ৷ অনেক সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়েছেন ৷ বন্ধুদের সাথে ভ্রমণ করার মজাই আলাদা ৷ ভীষণ আনন্দ হয় বন্ধুদের সাথে ভ্রমণ করার মাঝে ৷ যাই হোক , অনেক সুন্দর ভাবে আপনার অনুভূতি শেয়ার করেছেন ৷ ধন্যবাদ আপনাকে
ঠিক বলেছেন ভাই আপনি সিলেটে সত্যি বন্ধুদের সাথে অনেক সুন্দর একটি মুহূর্ত কাটিয়েছিলাম।
সিলেটে ভ্রমণ করতে গিয়ে বেশ মজাই করেছো মামু। সিলেট ভ্রমণের পাশাপাশি বেশ কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছ। যার ফলে সিলেটের বেশ কিছু জায়গার স্থির ছবি আমরা উপভোগ করতে পেরেছি। তোমাকে ধন্যবাদ জানাই অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আসলে মামা সিলেট ভ্রমণের পাশাপাশি বেশ কিছু ফটোগ্রাফি সংগ্রহ করেছিলাম চেষ্টা করছি সেগুলো আপনাদের মাঝে পর্যায়ক্রমে শেয়ার করার জন্য।
ভালো করেছো মামু এর কারনে সিলেট না গিয়েও বেশ কিছু স্থান দেখতে পেলাম।
ভাইয়া আমি মাদবকুন্ডে গিয়েছিলাম। আপনার বন্ধুরা যে পাথরের নিচে দাড়িয়ে ছবি তুলেছে, সেখানে আমরাও ছবি তুলেছি। তবে ভোলাগঞ্জ সাদা পাথরে এখনো যাওয়া হয়নি। যাওয়ার প্লান আছে। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দারুন ছিল। ধন্যবাদ।
আসলে ভাই মাধবকুন্ডের থেকে ভোলাগঞ্জ সাদা পাথর সব থেকে মজার জায়গা। আপনি বেশি মিস করে ফেলেছেন ভাই।
সিলেট ভ্রমণের ৬ তম পর্ব দেখে বেশ ভালো লাগলো। বন্ধুদের সাথে কোথাও ঘুরতে গেলে এমনিতে সময়টা বেশ ভালই কাটে। তাছাড়া আপনারা বিভিন্ন জায়গায় বেশ সুন্দর উপভোগ করলেন। আমার কাছে তো পাহাড় দূরে থাকা আপনার বন্ধুদের ছবিগুলো দেখে বেশ ভয় লাগলো। প্রথমে তো ভেবেছিলাম হয়তো তাদের উপরে পাহাড় পড়ে যাচ্ছে তাই ওরা জোর করে ধরে রেখেছে। পরে বুঝতে পারলাম এটা ছবি তোলার স্টাইল। তাছাড়া এই শীতের মধ্যে বেশ ভালই সময় কাটিয়েছেন। ওরে বাবা ঠান্ডা মধ্যে কিভাবে গোসল করলেন। যাই হোক বেশ সুন্দর একটি সিলেট ভ্রমণ করলেন। আমার কাছে আপনাদের ভ্রমণ পোস্টটি দেখে বেশ ভালই লাগলো।
আসলে আপু এত ঠান্ডার মধ্যেও মনে হয়েছিল না যে আমাদের শীত লাগছিল তবে বেশ মজার সাথে বন্ধুরা সকলেই গোসল করেছিলাম।
https://x.com/GKibreay/status/1752731721781641327?s=20