রেসিপি পোস্ট // আলু বেগুন ঘন্ট রেসিপি
আসসালামু আলাইকুম/আদাব আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু গন আমি @kibreay001 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ (০১-০১-২০২৪)
আসসালামু আলাইকুম আমার স্টিম বন্ধু গন আশা করি আপনারা অনেক ভালো আছেন । আপনাদের দোয়ায় আমিও অনেক ভালো আছি। আমি @kibreay001 আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি আলু বেগুন ঘন্ট রেসিপি । আসলে আজকে সকাল থেকে বেশ ব্যস্ত সময় পার করছি। সকাল বেলায় ঘুম থেকে উঠেই প্রথমে হাত মুখ ধুয়ে প্রাইভেটের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। প্রাইভেট পড়া শেষ করে বন্ধুদের সাথে বেশ কিছু সময় আড্ডা দিয়েছিলাম। আজকে প্রাইভেট শেষ করে নানীদের বাসায় এসেছি। বিকেল বেলায় ফিল্ডে ক্রিকেট খেলা খেলতে এসেছিলাম হঠাৎ দেখি আমার বাংলা ব্লগের ইউজার রেজওয়ান ভাইয়ের আগমন। আসলে প্রথমে আমি এবং মুস্তাফিজের মামা কেউ চিনতে পেরেছিলাম না। পরে ভাইয়ের সাথে বেশ কিছু কথা এবং আড্ডা দিয়েছিলাম আমরা। তারপরে ভাই বাড়ির উদ্দেশ্যে চলে গেল আমরা খেলা শেষ করে বাড়ি এসে আবারো পোস্ট দেখা শুরু করেছি। তবে চলুন আজকের পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করা যাক......
রেসিপি তৈরির উপকরণ
ক্রমিক নম্বর | উপাদান |
---|---|
১ | আলু |
২ | বেগুন |
৩ | মরিচ |
৪ | পিঁয়াজ |
৫ | লবণ |
৬ | তেল |
৭ | জিরা,মসলা |
৮ | তেজপাতা |
প্রথমে আপনার উপরে ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন। আলু এবং বেগুন গুলো অনেক সুন্দর ভাবে কাটার পরে আমি কড়ার মধ্যে দিয়ে দিয়েছি। তারপরে কড়ার মধ্যে আমি অল্প কিছু পানি দিয়েছি আলু বেগুন গুলো ভালোভাবে সিদ্ধ করার জন্য। কড়ার মধ্যে দেওয়ার পরে আমি অনেক সুন্দর ভাবে একটি ছবি তুলে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি।
এবার আপনাদের উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন। আমি চুলার মধ্যে অনেক সুন্দর ভাবে জাল ধরিয়ে জাল দেওয়া শুরু করেছি। তখন কড়ায় থাকা পানি গুলো অনেক সুন্দর ভাবে ফুটে উঠেছিল এবং আলু বেগুন গুলো বেশ ভালোভাবে সিদ্ধ হয়ে গিয়েছিল। তখন আপনাদের মাঝে একটি ছবি তুলে শেয়ার করেছিলাম।
আপনারা এবার উপরে ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন। আলু এবং বেগুন গুলো যখন বেশ ভালোভাবে সিদ্ধ হয়ে গেছে তখন আমি একটি অড়ং দিয়ে আলু এবং বেগুন গুলো ঘন্টা শুরু করে দিয়েছি। সেই সময় বেশ সুন্দরভাবে একটি ছবি তুলে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছিলাম।
আপনার উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন। যখন আলু এবং বেগুন আধা ঘন্ট করা হয়েছে তখন আমি অনেক সুন্দর ভাবে একটি ছবি তুলে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। আসলে এগুলো ভালোভাবে সিদ্ধ না হলে ঘন্টা করা বেশ কঠিন। তাই চুলার উপরে রেখে আবারো ভালোভাবে জাল দেওয়া শুরু করেছিলাম।
আপনারা এবার উপরে ছবির দিকে ভালোভাবে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন। আলু এবং বেগুন কড়ার উপরে রেখে আরো ভালোভাবে জাল দেওয়ার পরে সবগুলো বেশ ভালোভাবে সিদ্ধ হয়ে গিয়েছিল। তারপরে আমি আবারো অড়ং দিয়ে বেশ সুন্দরভাবে ঘন্টা করেছিলাম।
আপনারা এবার উপরে ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন। রেসিপি তৈরি যখন শেষ পর্যায়ে এসেছি। তখন রেসিপি কড়া থেকে নামিয়ে অনেক সুন্দর ভাবে একটি গামলার মধ্যে রাখা হয়েছে। রেসিপি গামলার মধ্যে রাখার পরে অনেক সুন্দরভাবে একটি ছবি তুলে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি।
সবার শেষে আপনারা লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন রেসিপি তৈরি যখন একেবারে শেষ পর্যায়ে। তখন রেসিপি গামলা হাতে নিয়ে আমি অনেক সুন্দরভাবে একটি সেলফি তুলে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। আলু বাগুন ঘন্ট খেতে গরম ভাতের সাথে সত্যি বেশ ভালো লাগে। আজকের লেখায় এই পোস্টি আশা করি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে। সকলের মতামত নিচে কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে জানাবেন। সকলের জন্য আমার পক্ষ থেকে শুভকামনা রইল।
আমি মোঃ কিবরিয়া হোসেন। আমি বাংলাদেশ খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানা কামারখালী গ্রামে বসবাস করি। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমি বর্তমানে দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলতে এবং লিখতে অনেক ভালোবাসি। সব থেকে আমি বেশি পছন্দ করি ফটোগ্রাফি করতে। আমি বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন জায়গা ঘোরাঘুরি করে থাকি। কয়েকটি শখের মধ্যে আমার প্রধান শখ হচ্ছে ঘোরাঘুরি করা। সংক্ষিপ্ত আকারে আমি আমার নিজের পরিচয় শেয়ার করলাম আপনাদের মাঝে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।
(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )
VOTE @bangla.witness as witness
OR
আপনি খেলতে গিয়ে রেজওয়ান ভাইয়ের সঙ্গে দেখা হয়ে গিয়েছে জেনে ভালো লাগলো।তাছাড়া আপনার রেসিপিটিও সুন্দর হয়েছে ভাইয়া।আলু ও বেগুন ঘন্ট আমার খুবই পছন্দের রেসিপি।তবে পরবর্তীতে
রেসিপির উপকরনের একত্রে ছবি ও তেল,পেঁয়াজ ভাজির একটি দুটি ধাপ যুক্ত করার চেষ্টা করবেন।তাহলে রেসিপিটি দারুণভাবে পরিপূর্ণতা পাবে,অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর ভাবে আপনার গঠনমূলক মতামত শেয়ার করার জন্য।
আলু ঘন্টা তৈরি করার দারুন একটা রেসিপি আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখছি। এই ধরনের রেসিপিগুলো বিয়ে বাড়িতে সব থেকে বেশি পরিমাণে তৈরি হতে দেখতে পাওয়া যায়। আসলেই গরম ভাতের সাথে এটা খেতে খুবই সুস্বাদু লাগে।
ঠিক বলেছেন মামা আপনি গরম ভাতের সাথে খেতে আসলেই বেশ সুস্বাদু লাগে।
আলু আর বেগুন দিয়ে ধরনের ঘন্ট রেসিপি অবশ্য কখনো খায়নি ভাই তবে আপনার রেসিপিটি দেখে বেশ লবণীয় লাগছে। অনেক সুন্দর একটি রেসিপি তৈরি পদ্ধতি আমাদের সাথে বিস্তারিতভাবে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই।
যদি বেশি লোভ লেগে যায় বাড়িতে তৈরি করে খেয়ে ফেলুন ভাই।
বেশ চমৎকার একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন। আসলে ভাইয়া এমন ঘন্ট এখন খাওয়া হয় না বলেই। অনেক দিন এমন রেসিপি খায়নি। আপনার রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। প্রতিটি ধাপ অনেক সুন্দর করে দেখিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ আপু আপনার মূল্যবান গঠনমূলক মতামত শেয়ার করার জন্য।
আলু ও বেগুনের ঘন্ট বেশি খাওয়া হয় শীতকালে। আমার খুব ভালো লাগে এই ঘন্ট টি।আলু বেগুন দিয়ে দারুণ সাদের একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন আপনি।অসম্ভব সুন্দর ও লোভনীয় লাগছে।গামলা হাতে আপনার সেলফি টি খুব ভালো হয়েছে।
ঠিক বলেছেন আপু আপনি এই ধরনের রেসিপি গুলো আসলে শীতকালে বেশি খাওয়া হয়।
আলু বেগুন ঘন্ট খেতে আমার খুব ভালো লাগে। আপনার রেসিপিটা দেখতে অনেক লোভনীয় হয়েছে। তবে শেষের পরিবেশন তার একটু সুন্দর করে করলে মনে হয় দেখতে আরো ভালো লাগতো। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল।
ধন্যবাদ আপু আপনার কাছ থেকে শিখতে পারলাম । চেষ্টা করব পরবর্তীতে আরো ভালোভাবে শেয়ার করার জন্য।
গরম ভাতের সাথে সিম্পল এমন ঘন্ট খেতেও বেশ মজা লাগে৷ কিন্তু ভাই, আপনার রেসিপি দেখে আমি আসলে কিছুই বুঝলাম না। আপনি শুরু থেকেই ভালো করে জ্বাল দিয়ে আলু বেগুন সিদ্ধ করে ঘেটে নিলেন। কিন্তু তেল-লবণ-পেয়াজ-মরিচ বা মসলা কখন দিলেন কিভাবে কী কিছুই শেয়ার করলেন না। 🙄
আপনি ভালোভাবে খেয়াল করলে দেখতে পারবেন তেল লবণ সবকিছুই একসাথে দিয়ে দিয়েছিলাম।
না রে ভাই। আমি বেশ ভালোভাবেই ২/৩ বার দেখেই আপনার লেখায় বা কোন ধাপের বর্ণনায় পাই নি বলেই কমেন্ট করেছিলাম.... এখন আবারো দেখে পেলাম না বর্ণণা। 🥱🤷♀️
Twitter link
রেজওয়ান ভাইয়ের সঙ্গে দেখা হয়েছিল এটা আমি ডিসকর্ডের মাধ্যমে জেনেছি কারণ তিনি সেখানে ছবি শেয়ার করেছিলেন। বোঝাই যাচ্ছে তার সঙ্গে খুবই সুন্দর একটা মুহূর্ত অতিবাহিত করেছিলেন, পরিচিত কারো সঙ্গে দেখা হলে সত্যিই নিজের কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। যাইহোক মজাদার একটি আলু বেগুন ঘন্ট রেসিপি আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে ভালো লাগলো। মাঝে মাঝে এ ধরনের ঘন্ট খেতে খুবই সুস্বাদু লাগে, শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
তাহলে তো আপনি আমাদের সবাইকে একসাথে দেখে ফেলেছেন ভাই যেহেতু ছবি দিয়েছিল রেজওয়ান ভাই। ধন্যবাদ মতামত শেয়ার করার জন্য।
তাহলে নানুর বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে আমাদের রেজওয়ান ভাইয়ের সাথে দেখা হল আপনার। আজকে আপনি অনেক সুন্দর করে বেগুন এবং আলু দিয়ে ঘন্ট রেসিপি করেছেন। এ ধরনের রেসিপি গুলো খেতে ভালই লাগে। অনেকে মাছ মাংস খেতে তেমন পছন্দ করে না। তবে আপনার রেসিপিটি দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর করে রেসিপিটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর ভাবে আপনার গঠনমূলক মতামত শেয়ার করে আমাকে উৎসাহ দেওয়ার জন্য।