বাড়ির লক্ষ্মী দুইটা গরু

আসসালামু আলাইকুম আমার স্টিম বন্ধু গন আশা করি আপনারা অনেক ভালো আছেন । আপনাদের দোয়ায় আমিও অনেক ভালো আছি। আমি @kibreay001 আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি বাড়ির লক্ষ্মী দুইটা গরু সম্পর্কে কিছু আলোচনা। আসলে আজকে সকাল বেলা থেকে বেশ ব্যস্ত সময় পার করছি। গতকাল রাতে গ্রামে ওয়াজ মাহফিল থাকার কারণে সকালবেলা ঘুম থেকে উঠতে একটু কষ্ট হয়েছিল। সকাল বেলায় ঘুম থেকে উঠেই মেজো দাদাকে সাথে করে কুষ্টিয়া ডক্টর দেখানোর উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। কুষ্টিয়াতে আসার পরে বেশ কিছু সময় অপেক্ষা করে আমরা সিরিয়াল দিয়েছি। তারপরে আমি মেজো দাদাকে হাসপাতালে রেখে আমার মামার সাথে দেখা করতে গিয়েছিলাম। মামার কাছ থেকে এসে আবারো হাসপাতালে বসে আপনাদের মাঝে পোস্ট লেখার জন্য বসে গেলাম। তবে চলুন আজকের পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করা যাক.....

আপনারা সকলে জানেন আমার আব্বু গরুর ব্যবসা করে। আসলে আমার আব্বু অনেক ছোটবেলা থেকেই গরুর ব্যবসা করে। কিছুদিন আগে আমার আব্বু গরু দুইটা বাড়িতে পালন করার জন্য কিনে নিয়ে এসেছে। আসলে প্রত্যেক বছর আমরা বড় বড় গরু পালন করে থাকি। আসলে গরু দুইটা দেখতে আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছিল যখন আমার আব্বু কিনে নিয়ে এসেছিল। গরু দুইটা আমরা এক বছর ধরে বাড়িতে পালন করছি। আসলে গরু দুইটা যখন বিক্রি করার জন্য আমার আব্বু নিয়ে যায় তখন সত্যি বেশ কষ্ট হয় অনেকদিন ধরে পালন করছে এই কারণে। এই গরু দুইটা যখন আমার আব্বু কিনেছিল মাত্র সাত লাখ ৩৩ হাজার টাকা দিয়ে কিনেছিল।

আপনারা এবার উপরে ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমি অনেক সুন্দর ভাবে আপনাদের মাঝে একটি গরুর ছবি তুলে শেয়ার করেছি। আসলে গরুটি যখন খাচ্ছিল সেই সময় আমি ছবি তুলেছিলাম আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। আসলে বড় গরু একটু খায় কম অন্য গরুর তুলনায়। প্রত্যেকদিন সকালে আমরা বিসিলি ভুসি এবং খৈল খাওয়ে থাকি। আসলে খৈল প্রত্যেকটা গরুর জন্য অনেক উপকার। তাই প্রত্যেকদিন খৈল পানিতে ভিজিয়ে রেখে গরুকে খাওয়ানো হয়। আসলে এই খৈল খাওয়ার কারণে গরুর রুচি অনেক বৃদ্ধি পায়। বর্তমান সময়ে গরুর খাবারের দাম অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। গরুকে প্রত্যেক মাসে আমরা বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন এবং ঔষধ খাওয়ে থাকি। আসলে গরু পালন করলে অনেক পরিশ্রম এবং পরিচর্যা করতে হয়।

এবার আপনার উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমি আরো একটি ছবি তুলে আপনাদের মাঝে অনেক সুন্দরভাবে শেয়ার করেছি। দুইটি গরুর মধ্যে এই গরুটি হচ্ছে একটু বড়। কিছুদিন আগেও এই গরুটির দাম বলেছে মাত্র ৬ লাখ ৯০ হাজার টাকা। কিন্তু আমার আব্বু এই গরুটি বিক্রয় করতে চাইনি একবারে কোরবানির ঈদে বিক্রয় করবে। আসলে এই গরুকে মাত্র দিনে তিনবার খাবার দেওয়া লাগে। সকালবেলায় বিসিলির সাথে অল্প কিছু ভুষি দিলেই বেশ ভালোভাবে খেয়ে নেয়। দুপুরবেলায় গরুকে গোসল করানোর পরে ধানের গোড়া এবং ভুসি একসাথে মিশিয়ে খাওয়ানো হয়। খৈল প্রত্যেক সময় গরুকে খাওয়ানো হয়। এবং রাতের বেলায় আবারও বিসিলি এবং ভুষি দিয়ে বেশ ভালোভাবে খাওয়ানো হয়। এভাবে আমরা দিনে তিনবার গরুকে বেশ ভালোভাবে পরিচর্যা করে থাকি।

আসলে বর্তমান সময়ে গরুর দাম একটু কম। আসলে আমার আম্মু গরু দুইটাকে সব সময় খাবার দিয়ে থাকে। বাড়িতে অপরিচিত মানুষ দেখলে গরু বেশ ডাকাডাকি করে। গরু প্রায় সময় বাড়িতে শুয়ে থাকে খুব কম সময় গরু দাঁড়িয়ে থাকে। প্রত্যেকদিন দুপুরবেলায় গোসল করানোর আগে আমি এবং আমার আব্বু গরুকে বাইরে বের করে একটু হাঁটাহাঁটি করায়। এভাবে আমরা প্রায় প্রত্যেক বছর দুইটা করে গরু পালন করে থাকি। আশা করি আজকের পোস্টি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে। সকলের মতামত নিচে কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে জানাবেন। সকলের জন্য আমার পক্ষ থেকে শুভকামনা রইল।

আমি মোঃ কিবরিয়া হোসেন। আমি বাংলাদেশ খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানা কামারখালী গ্রামে বসবাস করি। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমি বর্তমানে দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলতে এবং লিখতে অনেক ভালোবাসি। সব থেকে আমি বেশি পছন্দ করি ফটোগ্রাফি করতে। আমি বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন জায়গা ঘোরাঘুরি করে থাকি। কয়েকটি শখের মধ্যে আমার প্রধান শখ হচ্ছে বিভিন্ন জায়গা ভ্রমণ করা। সংক্ষিপ্ত আকারে আমি আমার নিজের পরিচয় শেয়ার করলাম আপনাদের মাঝে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।