ফটোগ্রাফি পোস্ট // কাশফুল বাগানের রেনডম ফটোগ্রাফি (শেষ পর্ব)

আসসালামু আলাইকুম আমার স্টিম বন্ধু গন আশা করি আপনারা অনেক ভালো আছেন । আপনাদের দোয়ায় আমিও অনেক ভালো আছি। আমি @kibreay001 আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি ফটোগ্রাফি পোস্ট // কাশফুল বাগানের রেনডম ফটোগ্রাফি (শেষ পর্ব)। আজকে সকাল থেকেই বেশ ব্যস্ত সময় পার করছিলাম। সকাল বেলায় ঘুম থেকে উঠে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে প্রথমেই প্রাইভেটের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলাম। আজকে বাড়ি থেকে গিয়েছিলাম আব্বুর সাথে বাইকে তাই খুব স্বল্প সময়ের মধ্যেই প্রাইভেটে পৌঁছে গিয়েছিলাম। সেখানে গিয়ে প্রথমে বন্ধুদের সাথে অল্প কিছুক্ষণ আড্ডা দিয়েছিলাম যেহেতু আজকে কিছুক্ষণ আগে পৌঁছে গেছিলাম সেজন্য। প্রাইভেট পড়া শেষে সেখান থেকে আবারও কলেজের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। কলেজ শেষ করে বাড়িতে আসতে প্রায় একটা বেজে গিয়েছিলাম। বাড়িতে এসে গোসল শেষ করে নামাজ আদায়ের জন্য মসজিদে গিয়েছিলাম তারপরে এসে খাওয়া দাওয়া শেষ করে আপনাদের মাঝে পোস্ট শেয়ার করার জন্য বসে গিয়েছি। তবে চলুন আজকের পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করা যাক......

আপনারা প্রথমে উপরে ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমি অনেক সুন্দর ভাবে কাশফুল বাগানের ফটোগ্রাফি আমার মোবাইলের ক্যামেরা বন্দি করে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। কাশফুলের বাগান দেখার জন্য আমার সাথে আমার চাচা গিয়েছিল সেখানে দুজন মিলে বেশ কিছু সময় আড্ডা দিয়েছিলাম। তারপর দেখি আমার চাচা অনেক সুন্দর ভাবে অনেক কাশফুল ছিড়েছিলো সেখান থেকে কাশফুল হাতে নিয়ে যখন দাঁড়িয়েছিল আমি অনেক সুন্দর ভাবে একটি ছবি তুলেছিলাম সেটিও আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। আসলে নদীর পাড় দিয়ে যদি কাশফুল বাগান থাকে সেখানে সময় কাটাতে এবং কাশফুল বাগান দেখতে বেশ ভালোই লাগে। কাশফুল বাগানের মধ্যে কিছু ভেড়া ছিল সেগুলো দেখতে আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছিল। সব মিলিয়ে সেই দিন বেশ দারুন সময় উপভোগ করেছিলাম আমরা।

আমরা দুজন যেদিন কাশফুল বাগান দেখতে গিয়েছিলাম সেদিন বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর কিছু সময় পানি হয়েছিল। তাই সেখানে গিয়ে পৌঁছানোর পর কাশফুল ভালো বাতাসে উড়তে ছিল না। কাশফুল যদি সুকনা থাকে এবং বাতাসে যদি দোল খায় দেখতে বেশ ভালো লাগে। মেঘলা আকাশের সাথে কাশফুল বাগানের ফটোগ্রাফি সত্যি বেশ দারুন ছিল। এই কাশফুল বাগান দেখার জন্য অনেক দূরান্ত থেকে অনেক মানুষ এসেছিল সেই বাগানে। আমিও জানতাম না আমাদের গ্রামের পাশে এত বড় একটি কাশফুল বাগান রয়েছে আমার চাচা আমাকে নিয়ে গিয়েছিল এই কাশফুল বাগান দেখার জন্য। অবশেষে কিছু কাশফুল ছিড়ে যখন আমি হাতে ধরেছিলাম তখন আমার চাচা একটি ছবি তুলে দিয়েছিল আমি আপনাদের মাঝে অনেক সুন্দরভাবে শেয়ার করেছি।

আমি যখন কাশফুল বাগানের মধ্যে প্রবেশ করেছিলাম কাশফুল আমার মাথার উপরে প্রায় দুই থেকে আড়াই হাত লম্বা। আমি কিছু কাশফুল হাত দিয়ে ধরে নিচে নামিয়ে আমার মোবাইলের ক্যামেরার সামনে ধরে ছবি তুলেছিলাম। আসলে বাগানের মধ্যে সেই সুন্দর মনোরম পরিবেশে বিকেল বেলায় বেশ সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছিলাম। তারপরে কাশফুল বাগানের বাইরে বের হওয়ার সময় বাগানের সাথে বেশ সুন্দর একটি ছবি তুলে দিয়েছিল আমার চাচা। আশা করি পোস্টি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে। সকলের মতামত নিচে কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে জানাবেন। সকলের জন্য আমার পক্ষ থেকে শুভকামনা রইল।

আমি মোঃ কিবরিয়া হোসেন। আমি বাংলাদেশ খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানা কামারখালী গ্রামে বসবাস করি। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমি বর্তমানে দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলতে এবং লিখতে অনেক ভালোবাসি। সব থেকে আমি বেশি পছন্দ করি ফটোগ্রাফি করতে। আমি বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন জায়গা ঘোরাঘুরি করে থাকি। কয়েকটি শখের মধ্যে আমার প্রধান শখ হচ্ছে ঘোরাঘুরি করা। সংক্ষিপ্ত আকারে আমি আমার নিজের পরিচয় শেয়ার করলাম আপনাদের মাঝে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।