লাইফ স্টাইল // শীতের রাতে কুয়াশার মাঝে খেজুরের রস খাওয়ার অনুভূতি
আছসালামু আলাইকুম/আদাব আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু গন আমি @kibreay001 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ (০২-০২-২০২৪)
আছসালামু আলাইকুম আমার স্টিম বন্ধু গন আশা করি আপনারা অনেক ভালো আছেন । আপনাদের দোয়ায় আমিও অনেক ভালো আছি। আমি @kibreay001 আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি শীতের রাতে কুয়াশার মাঝে খেজুরের রস খাওয়ার অনুভূতি । আজকে সকাল থেকে এখন পর্যন্ত বেশ ব্যস্ত সময় পার করছি। এখনো যেহেতু কলেজে একটি পরীক্ষা বাকি রয়েছে তাই ঘুম থেকে উঠে কিছু সময় লেখাপড়া করেছিলাম। তারপরে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে একটু বাইরে বসে ছিলাম। তারপরে বাড়ির কাজের জন্য একটু মাঠে গিয়েছিলাম। মাঠ থেকে ফিরে এসে গোসল শেষ করেছি। খাওয়া-দাওয়া শেষ করে ভাবলাম আজকে আপনাদের মাঝে একটা পোস্ট শেয়ার করি। তাই বসে গেলাম আপনাদের মাঝে পোস্ট শেয়ার করার জন্য। আপনারা উপরের ছবি দেখেই বুঝতে পেরেছেন আমি আজকে আপনাদের মাঝে খেজুরের রস খাওয়ার অনুভূতি শেয়ার করতে যাচ্ছি। আসলে শীতের রাতে বাড়ির পাশের কয়েকজন ছেলে মিলে খেজুরের রস খেতে গিয়েছিলাম আমাদের গ্রাম থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে। রস খেতে গিয়েছিলাম মূলত আমার নারীদের গ্রামে মুস্তাফিজুর মামা এবং তুহিন মামাদের গ্রামে। আসলে সবাই মিলে রস খেতে গিয়ে আমরা বেশ মজা করেছিলাম।
আমরা রাত নয়টার দিকে বাড়ি থেকে বের হয়েছিলাম খেজুরের রস খেতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে। আমরা দুটি বাইক নিয়ে মোট পাঁচজন গিয়েছিলাম খেজুরের রস খেতে। বাড়ি থেকে প্রায় ২৫ মিনিট সময় লেগেছিল খেজুরের রস খেতে যাওয়ার জন্য। আসলে রাতের সময় খেজুরের রস বিক্রি করে যে চাচা ওই চাচা ঘুমিয়ে গিয়েছিল। সে রাতে আমরা যাওয়ার পরে চাচার বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে এসেছিলাম খেজুরের রস খাওয়ার জন্য। আমরা রাস্তার পাশ থেকে চাচাকে দু একবার ডাক দেওয়ার পরেই চাচা বাইরে বের হয়ে এসেছিল আমাদের ডাকে সাড়া দিয়ে। তারপরে চাচা বাড়ি থেকে একটি জাগ এবং একটি গ্লাস এবং ছাকনা নিয়ে এসেছিল আমাদের খেজুরের রস খাওয়াবে বলে। তারপরে আমরা খেজুর গাছের কাছে এসেছিলাম।
আপনারা এবার উপরে ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমি অনেক সুন্দর ভাবে খেজুর গাছের ছবি তুলে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। আসলে খেজুর গাছে পাটকাটির ব্যাড় দিয়ে আটকে রাখা হয়েছে। আসলে যাতে কোন পাখি কিংবা সাপ পোকা রসে মুখ দিতে না পারে। সেজন্যই চাচা আমাদেরকে এত সুন্দর ভাবে বাঁধা গাছের রস খাওয়াতে নিয়ে এসেছিল। চাচার বাড়ি থেকে আমরা প্রায় আরো কয়েক মিনিট বাইক নিয়ে যেতে হয়েছিল রসের গাছের কাছে। তারপরে চাচা যখন রস পাড়ার জন্য গাছে উঠেছিল তখন আমি অনেক সুন্দরভাবে একটি ছবি তুলে রেখেছিলাম আপনাদের মাঝে শেয়ার করব বলে।
এবার আপনারা উপরে ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন রস পেড়ে নিয়ে আসার পরে ছাকনা দিয়ে ছেঁকে একটি জাগের মধ্যে রেখেছিলাম আমার। তারপর একটি ছবি তুলে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। তারপর রস খাওয়ার জন্য আমরা একটি কাঁচের গ্লাসের মধ্যে নিয়েছিলাম। তারপর আমি অনেক সুন্দর ভাবে আমার হাতে ধরে রেখে একটি ছবি তুলেছিলাম আপনাদের মাঝে শেয়ার করব বলে। আসলে শীতের সময় রাতের প্রথম প্রহরের রস খেতে সব থেকে বেশি ভালো লাগে তাই প্রথম প্রহরের রস খেয়েছিলাম। আসলে রস খেতে আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছিল।
এবার আপনারা উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমি যখন রস খাইতে ছিলাম তখন অনেক সুন্দর ভাবে একটি ছবি তুলে দিয়েছিল আমার কাকা। আসলে রস খেতে আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছিল। এক গ্লাস রসের দাম নিয়েছিল মাত্র ২০ টাকা। আমরা পাঁচজন ছিলাম সেখানে। আসলে রস খাওয়া শেষে আমরা সবাই মিলে সেখানে একটি সেলফি তুলেছিলাম সেটিও আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। সবাই প্রায় ৩-৪ গ্লাস করে রস খেয়েছিলাম। আমরা সবার শেষে হিসাব করে টাকা দিয়েছিলাম মাত্র ৩৮০ টাকা। আশা করি আজকের পোস্টি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে। আপনাদের সকলের মতামত নিচে কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে জানাবেন। সকলের জন্য আমার পক্ষ থেকে শুভকামনা রইল।
আমি মোঃ কিবরিয়া হোসেন। আমি বাংলাদেশ খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানা কামারখালী গ্রামে বসবাস করি। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমি বর্তমানে দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলতে এবং লিখতে অনেক ভালোবাসি। সব থেকে আমি বেশি পছন্দ করি ফটোগ্রাফি করতে। আমি বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন জায়গা ঘোরাঘুরি করে থাকি। কয়েকটি শখের মধ্যে আমার প্রধান শখ হচ্ছে ঘোরাঘুরি করা। সংক্ষিপ্ত আকারে আমি আমার নিজের পরিচয় শেয়ার করলাম আপনাদের মাঝে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।
(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )
VOTE @bangla.witness as witness
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
OR
আসলে শীতের রাতে এভাবে বাইক নিয়ে অত দূরে যাওয়া বেশ কষ্টকর। তবে অতদূরে গিয়ে যদি ভালো খেজুরের রস পাওয়া যায় তাহলেই যাওয়া আসার কষ্টটা এমনিতেই মন থেকে হারিয়ে যায়। যাই হোক আশা করি আপনারা রস খেতে যাওয়া এবং রস খাওয়া সব মিলিয়ে বেশ দারুন কিছু সময় কাটিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার কাটানো সুন্দর মুহূর্ত গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।
ঠিক বলেছেন ভাই খেজুরের রস খাওয়ার পরে আর কষ্ট মনে হয়েছিল না।
আসলে ভাইয়া খেজুর রস তো কখনো খাওয়া হয় নাই তাই এটা খেতে কেমন স্বাদ হয় বলতে পারব না। 😭তবে সবার মুখে শুনি এটি খেতে নাকি অনেক টেস্ট।👌 তবে কবে যে খেজুরের রস খেয়ে তার স্বাদ অনুভব করতে পারব জানিনা। দোয়া করবেন আমার জন্য যেন আমি অতি শীঘ্রই এ খেজুর রস খেয়ে এটার সাধ অনুভব করতে পারি।🤗আর হ্যাঁ ভাইয়া আপনার এত শীতের কুয়াশার মধ্যেও খেজুরের রস খাওয়ার অনুভূতিটা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
আমাদের এলাকাতে চলে আসুন আপু আপনাকে খেজুরের রস খাওয়াবো তাহলে স্বাদ বলতে পারবেন পরবর্তীতে।
ধন্যবাদ ভাইয়া। এত সুন্দর করে বলার জন্য।
আমিও কখনো এভাবে খেজুরের রস খাইনি। সত্যি বলতে খেজুরের রসই কখনো খাইনি। খেজুরের রস দেখেছি কিন্তু কখনো খাওয়া হয়নি। সবসময় সবাইকে দেখি শীতকালের সময় সকাল বেলা অথবা রাত্রে বেলা গিয়ে গাছ থেকে পেড়ে খেজুরের রস খেতে। আপনারাও রাতে গিয়ে খেজুরের রস খেয়েছেন। আপনার ওই চাচা তো গাছে যাতে সাপ পাখি পোকা এরা যাতে খেজুরের রসে না মুখ দিতে পারে তাই খুব সুন্দর একটি জিনিস দিয়ে ঢেকে রেখেছে। এটা আসলেই বেশ ভালো একটি কাজ। তাছাড়া আপনারা পাঁচজন খেজুরের রস বেশ ভালোই তৃপ্তি করে খেয়েছেন। এবার ভাবতেছি একদিন খেজুরের রস খেয়ে ফেলবো।
আপনি যেহেতু খেজুরের রস কখনো খাননি আমাদের এলাকাতে আসুন আপু আপনাকে মন ভরে খেজুরের রস খাওয়াবো আপু।
https://x.com/GKibreay/status/1754067190012383576?s=20
খেজুরের রসের কথা শুনলেই আসলে ছোটবেলার কথা মনে পড়ে যায় ভাই। তবে বন্ধুরা মিলে রস খাওয়ার জন্য নিজেদের গ্রাম থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে গিয়ে রস খেয়ে এসেছেন, এর থেকে আনন্দের আর কি হতে পারে! সত্যি কথা বলতে বর্তমানে খেজুরের রসের মাধ্যমে যে পরিমাণ ভাইরাস ছড়াচ্ছে, তাতে ওইভাবে পাটকাটির বেড় দিয়ে রস সংরক্ষণের এই ব্যাপারটা আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। খেজুরের রসের দাম প্রতি গ্লাস কুড়ি টাকা, এটা কিন্তু হিসাব অনুযায়ী কমই নিয়েছে । আমাদের এখানে আরো অনেক বেশি নেয়। তারপরে আবার এত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে দেয় না ভাই।
আসলে ভাই আমাদের এলাকাতে অনেক খেজুরের রস পাওয়া যায় তাই দাম তুলনামূলক একটু কম সব জায়গার থেকে।
খেজুরের রস বেশি পাওয়া গেলে তখন একটু কম দামে পাওয়া যাবে, এটা তো ঠিক। আমাদের এখানে তেমন একটা পাওয়া যায় না, এই জন্য অনেক বেশি দাম নেয়।