(ক্রিয়েটিভ রাইটিং) গল্প // রাতের আঁধারে কবর থেকে মাটি তোলার গল্প (তৃতীয় পর্ব)
আসসালামু আলাইকুম/আদাব আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু গন আমি @kibreay001 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ (২৯-১০-২০২৩)
আসসালামু আলাইকুম আমার স্টিম বন্ধু গন আশা করি আপনারা অনেক ভালো আছেন । আপনাদের দোয়ায় আমিও অনেক ভালো আছি। আমি @kibreay001 আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি রাতের আঁধারে কবর থেকে মাটি তোলার গল্প (তৃতীয় পর্ব)। আজকে সকাল বেলায় ঘুম থেকে উঠেই অনেক ব্যস্ত সময় পার করছি। প্রথমে হাত মুখ ধুয়ে খাওয়া দাওয়া শেষ করে প্রাইভেটের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে রওনা দিয়েছিলাম। রিকশা জন্য রাস্তায় গিয়ে প্রায় দশ মিনিট দাঁড়িয়ে ছিলাম তারপরে রিকশা পেয়েছিলাম। তারপরে প্রাইভেটের উদ্দেশ্যে সেখান থেকে রওনা দিয়েছিলাম। প্রাইভেট শেষ করে আবারো কলেজে গিয়েছিলাম। কলেজ থেকে বাসায় ফিরতে প্রায় বেলা একটা বেজে যায়। বাড়িতে এসে গোসল শেষ করে যোহরের নামাজের জন্য আবারও মসজিদের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। তারপরে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে এসে আপনাদের মাঝে পোস্ট লেখার জন্য বসে গেলাম। তবে চলুন আপনাদের মাঝে শেয়ার করা যাক আজকের পোস্ট রাতের আঁধারে কবর থেকে মাটি তোলার গল্প......
মেয়েটি যখন কথা বলতে শিখে তার বাবা ঠিক সেই দিন অসুস্থ হয়ে পড়ে। মেয়েটির বাবাকে অনেক জায়গায় অনেক বড় বড় ডাক্তার দেখানো হয় তাও ভালো হয়ে ওঠেনা। এভাবেই অতি কষ্টের মধ্যে তাদের দিন পার হতে থাকে। তারপরে এক সময় মেয়ের বাবাকে আবারও সেই কবিরাজের সহানু পূর্ণ নিয়ে যাওয়া হয়। আসলে কবিরাজের বাড়ি মূলত আমাদের এলাকা থেকে প্রায় বিশ থেকে পঁচিশ কিলোমিটার দূরে। তারপরে সেই কবিরাজ মেয়েটির বাবাকে দেখে আবারো বলে মেয়েটির যে সমস্যা ছিল সেই সমস্যাটি মেয়েটির বাবার উপরে এসে ধারণ করেছে। কিন্তু মেয়েটির বাবা সেই সময় কথা বলতে পেরেছি । তারপরে সেই কবিরাজ বলে আবারও আপনাদের এলাকায় যদি কোন যুবতী মেয়ে মারা যায় সেই মেয়ের কবরের মাটি যদি এনে কেউ দিতে পারে তাহলে মেয়েটির বাবা আবারও সুস্থ হয়ে উঠবে। কিন্তু যে মাটি নিয়ে আসবে সে যদি অসুস্থ হয়ে পড়ে তাহলে কবিরাজ সেই ক্ষেত্রে দায়ী থাকবে না। এই সমস্ত কথা সব কিছু খুলে বলে কবিরাজ তখন।
মেয়েটির বাবা মেয়েটির জন্য একবার এভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছে কিন্তু আর কেউ মেয়েটির বাবার জন্য কবর থেকে মাটি আনতে রাজি হয়েছিল না। কিন্তু মেয়েটার বাবা সেই সময় হাঁটাচলা করতে পারত। অবশেষে কবিরাজ বলেছিল মাটি যদি আপনিও নিয়ে আসেন তাহলে কোন সমস্যা নেই তাও হতে পারে। অবশেষে মেয়েটির বাবা একসময় নিজে নিজেই চেষ্টা করে কবর থেকে মাটি নিয়ে আসার জন্য। অনেকদিন অপেক্ষায় থাকার পরে গ্রামের একজন যুবতী মেয়ে মারা গিয়েছিল। তিনি সেই দিন রাতে ভেবে রেখেছিল আজকে রাত বারোটার পরে ওই মেয়েটির কবর থেকে মাটি নিয়ে এসে আবারো কবিরাজের সাথে দেখা করবে। অবশেষে মেয়েটির বাবা রাতে কবর থেকে মাটি নিয়ে আনতে গিয়েছিল। কবর থেকে মাটি নিয়ে আনতে যাওয়ার পরে কি হয়েছিল এই ঘটনা আপনাদের মাঝে চতুর্থ পর্বে শেয়ার করব। আর চতুর্থ পর্ব হবে এই গল্পের শেষ পর্ব। আশা করি গল্পটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে। সকলের মতামত নিচে কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে জানাবেন। সকলের জন্য শুভকামনা রইল।
আমি মোঃ কিবরিয়া হোসেন। আমি বাংলাদেশ খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানা কামারখালী গ্রামে বসবাস করি। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমি বর্তমানে একাদশ শ্রেণীর ছাত্র। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলতে এবং লিখতে অনেক ভালোবাসি। সব থেকে আমি বেশি পছন্দ করি ফটোগ্রাফি করতে। আমি বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন জায়গা ঘোরাঘুরি করে থাকি। কয়েকটি শখের মধ্যে আমার প্রধান শখ হচ্ছে ঘোরাঘুরি করা। সংক্ষিপ্ত আকারে আমি আমার নিজের পরিচয় শেয়ার করলাম আপনাদের মাঝে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।
(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Twitter link