জেনারেল রাইটিং // বন্ধুর অসুস্থতায় হাসপাতালে একদিন
আসসালামু আলাইকুম/আদাব আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু গন আমি @kibreay001 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ (৩০-১১-২০২৩)
আসসালামু আলাইকুম আমার স্টিম বন্ধু গন আশা করি আপনারা অনেক ভালো আছেন । আপনাদের দোয়ায় আমিও অনেক ভালো আছি। আমি @kibreay001 আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি বন্ধুর অসুস্থতায় হাসপাতালে একদিন । আসলে আজকে সকাল থেকে বেশ ব্যস্ত সময় পার করছি। আজকে সকাল বেলায় ঘুম থেকে উঠে খাওয়া দাওয়া শেষ করে প্রথমে প্রাইভেট এর উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। প্রাইভেট শেষ করে বন্ধুদের সাথে কিছু সময় আড্ডা দিয়েছিলাম। তারপরে সেখান থেকে বন্ধুদের সাথে হাঁটতে হাঁটতে আবারো কলেজের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। কলেজে গিয়ে কয়েকটা ক্লাস করার পরে বন্ধুদের সাথে আবারো আড্ডায় মেতে উঠেছিলাম। তারপর সেখান থেকে বাসায় ফিরতে প্রায় দুইটা বেজে গিয়েছিল। বাড়িতে এসে গোসল শেষ করে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে কিছু সময় বাড়ির কাজে আব্বুকে সাহায্য করেছিলাম। তারপরে মোবাইল ফোন হাতে নিয়ে আবারও বাড়ির বাইরের দিকে চলে আসলাম। পুকুর পাড়ে এসে বসে আছি বিকাল বেলায় তখন ভাবলাম আপনাদের মাঝে পোস্ট শেয়ার করে ফেলা যাক। তবে চলুন আজকের পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করা যাক......
হাসপাতালে গিয়ে পৌঁছানোর পরে প্রথমেই টিকিট কাউন্টারে প্রবেশ করেছিলাম। সেখানে গিয়ে দেখতে পারি অনেক মানুষের ভিড় বেঁধে আছে। তারপরে আমি অনেক দূর থেকে একটি ছবি তুলেছিলাম আপনাদের মাঝে শেয়ার করব বলে। সেখানে প্রায় ১০-১৫ মিনিট লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার পরে আমি টিকিট কাটার সুযোগ পেয়েছিলাম আমার বন্ধুর জন্য। আসলে আমার বন্ধুর শরীরে এতটাই জ্বর ছিল যে সেখানে দাঁড়িয়ে টিকিট কাটার মত পরিচিত ছিল না। তাই আমি আমার বন্ধুর নামে সেখান থেকে একটা টিকিট সংগ্রহ করেছিলাম ৫ টাকা দিয়ে। আসলে আমার বন্ধুর এই সমস্যাটা হয়েছিল বেশ কিছুদিন আগে আমাদের যখন ইন্টার ফার্স্ট ইয়ারে ফাইনাল পরীক্ষা চলছিল সেই সময়ে। সেখান থেকে টিকিট সংগ্রহ করার পরে আমাদের ১০৬ নম্বর রুমে যেতে বলা হয়েছে। তারপর সেখান থেকে সরাসরি টিকিট নিয়ে আমরা ১০৬ নম্বর রুমের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম।
এবার আপনার উপরে ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন। আমরা যখন ১০৬ নম্বর রুমে সামনে গিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলাম তখন অনেক মানুষের ভিড় ছিল। আসলে সরকারি হাসপাতাল মানে অনেক মানুষের ভিড়। সেখানে প্রায় দুই ঘন্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার পরে আমরা ডক্টরের সাথে দেখা করার সুযোগ পেয়েছিলাম। তারপরে আমার বন্ধু টিকেট হাতে নিয়ে ডক্টরের রুমের মধ্যে প্রবেশ করেছিল।
এবার আপনার উপরে ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন। ডক্টর আমার বন্ধুকে টিকিটের উপরে অনেকগুলো ঔষধ লিখে দিয়েছিল। তারপরে আমি টিকিটের ছবি তুলে আপনাদের মাঝে অনেক সুন্দরভাবে শেয়ার করেছি। কয়েকটি ওষুধ সরকারি হাসপাতাল থেকে আমার বন্ধুকে দেওয়া হয়েছিল। আসলে পরীক্ষার মধ্যে যদি মানুষের শরীর খারাপ হয় তাহলে সত্যি বেশ খারাপ লাগে। তারপর ডক্টর ওষুধ গুলো নিয়ম মেনে খাওয়ার জন্য আদেশ করে।
ওষুধ কেনার জন্য আমরা বন্ধুরা মিলে আমাদের গাংনী বাজারের সবথেকে বড় ফার্মেসিতে চলে গিয়েছিলাম। আমাদের এলাকার মধ্যে সবথেকে বড় ফার্মেসি হচ্ছে আমিন ফার্মেসি। এখানে সকল প্রকার ওষুধ পাওয়া যায়। আমাদের সরকারি হাসপাতাল থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে এই আমিন ফার্মেসি। সেখান থেকে ওষুধগুলো কেনার পরে আমরা আবারও মেসের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। আসলে কোনো বন্ধুর শরীর খারাপ হলে সত্যি নিজের কাছে বেশ খারাপ লাগে। অপরের সাহায্য করতে পারলে সত্যি নিজের কাছেই বেশ ভালো লাগে আমার।
আমি সবার শেষে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি আমরা তিন বন্ধু মিলে তোলা একটি ছবি। সেদিন হাসপাতালে আমরা বন্ধুরা মিলে অনেক সময় অপেক্ষা করেছিলাম তাই মোবাইল ফোন হাতে নিয়ে কিছু ছবি তুলে রেখেছিলাম আমি আপনাদের মাঝে পোস্ট শেয়ার করবো বলে। আশা করি পোস্টি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে। সকলের মতামত নিচে কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে জানাবেন। সকলের জন্য আমার পক্ষ থেকে শুভকামনা রইল।
আমি মোঃ কিবরিয়া হোসেন। আমি বাংলাদেশ খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানা কামারখালী গ্রামে বসবাস করি। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমি বর্তমানে দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলতে এবং লিখতে অনেক ভালোবাসি। সব থেকে আমি বেশি পছন্দ করি ফটোগ্রাফি করতে। আমি বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন জায়গা ঘোরাঘুরি করে থাকি। কয়েকটি শখের মধ্যে আমার প্রধান শখ হচ্ছে ঘোরাঘুরি করা। সংক্ষিপ্ত আকারে আমি আমার নিজের পরিচয় শেয়ার করলাম আপনাদের মাঝে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।
(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Twitter link
বর্তমান সরকারি হাসপাতালে যে অবস্থা সেখানে একজন সুস্থ মানুষ গেলেও অসুস্থ হয়ে যায়। যাইহোক কিছুই করার নেই যেটা পরিস্থিতির শিকার সবাই লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট কেটে আবার ডাক্তারের চেম্বারে দাঁড়িয়ে থেকে ডাক্তার দেখানো সত্যি ই বেশি অসুস্থ হলে তার জন্য সম্ভব না। আপনার বন্ধুর সুস্থতা কামনা করি বন্ধুর পাশে এভাবেই থাকবেন সেটাই প্রত্যাশা করি।
ঠিক বলেছেন ভাই আপনি একজন সুস্থ মানুষ গেলে অসুস্থ হয়ে যায়। ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান মতামত শেয়ার করে আমাকে উৎসাহ দেওয়ার জন্য।