লাইফ স্টাইল // দুই বন্ধু মিলে লাচ্ছি খাওয়ার অনুভূতি
আছসালামু আলাইকুম/আদাব আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু গন আমি @kibreay001 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ (১২-০১-২০২৪)
আছসালামু আলাইকুম আমার স্টিম বন্ধু গন আশা করি আপনারা অনেক ভালো আছেন । আপনাদের দোয়ায় আমিও অনেক ভালো আছি। আমি @kibreay001 আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি দুই বন্ধু মিলে লাচ্ছি খাওয়ার অনুভূতি। আসলে আজকে সকালবেলা থেকেই বেশ অবসর সময় পার করছি। আজকে সকাল বেলা থেকেই আমাদের এলাকাতে প্রচন্ড শীত অনুভব করতে পারছি। সকাল বেলায় ঘুম থেকে উঠে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে অল্প সময় লেখাপড়া জন্য বসেছিলাম। তারপরে বাইরে বের হয়ে বন্ধুদের সাথে বেশ কিছু সময় আড্ডা দিয়েছিলাম। যেহেতু আজকে জুম্মার দিন বাড়িতে এসে গোসল শেষ করে নামাজ আদায়ের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। নামাজ শেষ করে বাড়িতে এসে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে আবারো আপনাদের মাঝে বসে গেলাম পোস্ট শেয়ার করার জন্য। তবে চলুন আজকের পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করা যাক। বন্ধুর সাথে মিলে লাচ্ছি খাওয়ার অনুভূতি।
আমরা দুই বন্ধু আমাদের এলাকার সবথেকে বড় হোটেলে খাওয়া-দাওয়ার জন্য গিয়েছিলাম। আসলে আমার বন্ধু প্রবাসে থাকে কিছুদিন আগে প্রবাস থেকে দেশে ফিরেছে। তাই বন্ধু আমার সাথে দেখা করতে এসে হোটেলে আমরা বেশ ভালোই খাওয়া দাওয়া করেছিলাম। আমরা গিয়েছিলাম আমাদের গাংনীর সব থেকে বড় হোটেল আমিন ফুড ভিলেজ। আসলে এখানে সকল প্রকারের খাবার জিনিস পাওয়া যায়। হোটেলের পরিবেশও বেশ ভালো। আমি প্রথমে আপনাদের মাঝে হোটেলের ছবি তুলে অনেক সুন্দরভাবে শেয়ার করেছি লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন।
তারপরে আমরা দুজন হোটেলের মধ্যে প্রবেশ করে হাতমুখ ধুয়ে একটি টেবিলে গিয়ে বসে ছিলাম। টেবিলের উপরে একটি মেনু বই রাখা ছিল সেখান থেকে আমরা লাচ্ছি অর্ডার করেছিলাম। আসলে আমরা দুই বন্ধু সেখানে বসে অনেক দিনের জমানো গল্প দুজন দুজনের সাথে শেয়ার করেছিলাম। আসলে আমার সবথেকে কাছের বন্ধু নবম শ্রেণীতে পড়ার সময় বিদেশ চলে গিয়েছিল। বন্ধু দেশে এসেছে তাই বন্ধুর সাথে বেশ কিছু সময় আমি আড্ডা দিয়েছিলাম সেখানে। সত্যি অনেকদিন পর বন্ধুর সাথে দেখা হয়ে বেশ ভালো লাগলো।
আপনারা উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন ওয়েটার অনেক সুন্দর ভাবে দুই গ্লাস লাচ্ছি আমাদেরকে দিয়ে গিয়েছে। তারপরে দেখি ওয়েটার আবার অনেক সুন্দর ভাবে কিছু টিস্যু নিয়ে এসে স্ট্যান্ডের উপরে দিয়ে গেল। তখন আমরা দুই বন্ধু সেখানে বসে খাওয়া শুরু করলাম এবং গল্প শুরু করলাম। সত্যিই মনে হচ্ছে আমি আবারো সেই পুরনো দিনে ফিরে গিয়েছিলাম। আসলে কি যে ভালো লাগা কাজ করছিল অনেকদিন পর বন্ধুর সাথে দেখা হয়ে বলে বোঝানো যাবে না। আশা করি আমাদের বন্ধুত্বের বাঁধন সারা জীবন অটুট থাকবে। যদি বন্ধুত্বের মাঝে বিশ্বাস থাকে তাহলে সেই ভালোবাসা কখনো ভাঙতে পারেনা।
এবার আপনারা উপরে ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমি অনেক সুন্দরভাবে একটি লাচ্ছির গ্লাসের ছবি তুলে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। আসলে আমার কাছে সব থেকে বেশি ভালো লাগে লাচ্ছি খেতে। আসলে তেলেভাজা জিনিস আমার তেমন একটা পছন্দ হয় না খেতে। তাই আমি সব সময় তেলের বিপরীত জিনিস একটু পছন্দ করি। তখন বন্ধু তার বিদেশ জীবনের স্মৃতির কথা আমার কাছে তুলে ধরেছিল। বলেছিল বন্ধু, বিদেশ জীবন অনেকটা কষ্টের শুধু টাকা ইনকাম করলে জীবনে সুখ খুঁজে পাওয়া যায় না। দীর্ঘদিন মা-বাবাকে ছাড়া এবং অনেক কাছের মানুষকে ছাড়া থাকতে হয়। সত্যিই এসব কথাগুলো আমার কাছেও বেশ খারাপ লেগেছিল সে সময়। এভাবে সেখানে বসে থেকে আমরা আরো কিছু খাবার খেয়েছিলাম গল্প করতে করতে প্রায় দুইটা বেজে গিয়েছিল। তারপরে বন্ধু এবং আমি দুজনেই বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম গাংনী থেকে। আশা করি আজকের পোস্টি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে। সকলের মতামত নিচে কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে জানাবেন। সকলের জন্য শুভকামনা রইল।
আমি মোঃ কিবরিয়া হোসেন। আমি বাংলাদেশ খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানা কামারখালী গ্রামে বসবাস করি। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমি বর্তমানে দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলতে এবং লিখতে অনেক ভালোবাসি। সব থেকে আমি বেশি পছন্দ করি ফটোগ্রাফি করতে। আমি বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন জায়গা ঘোরাঘুরি করে থাকি। কয়েকটি শখের মধ্যে আমার প্রধান শখ হচ্ছে ঘোরাঘুরি করা। সংক্ষিপ্ত আকারে আমি আমার নিজের পরিচয় শেয়ার করলাম আপনাদের মাঝে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।
(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )
VOTE @bangla.witness as witness
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
OR
আপনার বন্ধু প্রবাসে থাকে আর প্রবাস ফেরত বন্ধুর সাথে গাংনীর সবচেয়ে বড় হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্টে কফি খেয়েছেন আর সেই অনুভূতিটা শেয়ার করেছেন। পড়ে বেশ ভালো লাগলো ভাইয়া শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
ধন্যবাদ ভাই পোস্টি পড়ে আপনার মূল্যবান মতামত শেয়ার করার জন্য।
প্রবাসী বন্ধুর সাথে রেষ্টুরেন্টে গিয়ে খেয়েছেন জেনে ভালো লাগছে।লাচ্ছি আমার ভীষণ পছন্দের একটি জিনিস।গরমে লাচ্ছি খেতে আমার ভীষণ ভালো লাগে।নবম শ্রেণীতে থাকাকালীন আপনার বন্ধু বিদেশে চলে গেছে এবং দেশে এসে আপনার সাথে দেখা করতে রেষ্টুরেন্টে গিয়েছে এটাই বন্ধুত্ব।পোস্ট টি পড়ে বেশ ভালো লাগলো। ধন্যবাদ সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
লাচ্ছি আপনার ভীষণ পছন্দ জানতে পেরে বেশ ভালো লাগলো । ধন্যবাদ আপু মূল্যবান মতামত শেয়ার করার জন্য।
আপনার পোস্ট পড়ে অনেক ভালো লাগলো। আসলে ভাইয়া বন্ধুর মতো বন্ধু হলে সত্যি আর কিছু লাগে না। আপনি দেখছি বন্ধুর সাথে বেশ ভালো একটা সময় কাটিয়েছেন। তারপর দুই বন্ধু মিলে বেশ ভালোই খাবার খেয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে দুই বন্ধুর কাটানো সুন্দর মূহুর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছেন আপু আপনি বন্ধুর সাথে হোটেলে বেশ সুন্দর একটা সময় অতিবাহিত করেছিলাম দুজন মিলে।
Twitter link
বিদেশ ফেরত বন্ধুকে নিয়ে খাওয়া দাওয়া করার অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছো। বিষয়টা পড়ে খুবই ভালো লাগলো। তুমি তেলে ভাজা জিনিস খুব একটা পছন্দ করো না যার কারণে তুমি লাচ্ছি অর্ডার করেছো। লাচ্ছি খেতে খেতে বিদেশে থাকা বন্ধুর জীবনের কিছু কথা তোমার সাথে শেয়ার করেছে। সবমিলে বিষয়টা আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে।
ধন্যবাদ মামা আপনার মূল্যবান মতামত শেয়ার করার জন্য।
সু স্বাগতম মামু।