(ক্রিয়েটিভ রাইটিং) গল্প // ব্যর্থ প্রেমিকের গল্প শেষ পর্ব
আসসালামু আলাইকুম/আদাব আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু গন আমি @kibreay001 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ (২২-১২-২০২৩)
আসসালামু আলাইকুম আমার স্টিম বন্ধু গন আশা করি আপনারা অনেক ভালো আছেন । আপনাদের দোয়ায় আমিও অনেক ভালো আছি। আমি @kibreay001 আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি ব্যর্থ প্রেমিকের গল্প শেষ পর্ব। গতকালকে আপুর বিয়ে খেতে গিয়েছিলাম তারপর থেকে বাড়িতে এসে শরীর একটু খারাপ। এর মাঝেও চেষ্টা করছি আপনাদের সাথে কিছু সময় যুক্ত হওয়ার জন্য। আজকে সকাল বেলায় ঘুম থেকে ওঠার পর থেকে ভেবেছি আপনাদের মাঝে আজকে সকাল সকাল যুক্ত হব। কারণ আজকের দুপুর বেলার পর থেকে বাড়ির কাজের জন্য একটু বাইরে যেতে হবে বাড়িতে ফিরতে হয়তো রাত হয়ে যেতে পারে। তাই ঘুম থেকে ওঠার পরে আপনাদের মাঝে যুক্ত হয়েছিলাম কিছু কমেন্ট করার জন্য। তারপরে গোসল এবং খাওয়া-দাওয়া শেষ করে আবারো আপনাদের মাঝে বসে গেছি পোস্ট লেখার জন্য। তবে চলুন আজকের পোস্ট আপনাদের মাঝে ধাপে ধাপে শেয়ার করা যাক......
তখন এসব ঘটনা যখন আমার বেলী ফুফুর বাড়ি থেকে জেনে যাই। তখন ইসরাইল স্যার এবং বেলী ফুফু দুজনে অনেক ভয় পেয়েছিল। কিন্তু এদের প্রেমের মূল ভূমিকা পালন করেছিলাম মূলত আমি। আমি তো সত্যি ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম এইসব ঘটনা যখন বেলী ফুফুর বাসা থেকে জেনে যায় । তারপর আমার বেলী ফুফুর বাসা থেকে ছেলে দেখা শুরু করে আমার বেলী ফুফুকে বিয়ে দিয়ে দিবে বলে। তারপর আমি যখন স্কুলে যাই এই সব ঘটনা আমার কাছ থেকে আমার সবকিছু জানতে চেয়েছিল ইসরাইল স্যার। এভাবে প্রায় অনেকদিন কেটে যায়। বেলী ফুফুর প্রথমে বিয়ে ঠিক হয়েছিল একটা সরকারি চাকরিজীবী ছেলের সাথে। কিন্তু সেই বিয়ে ভেঙে দিয়েছিল আমার ইসরাইল সার। সেই ছেলেদের বাড়িতে ফোন দিয়ে বলেছিল যেখানে তোমার বিয়ে ঠিক হয়েছে সেই মেয়ে অনেকগুলো সম্পর্ক আছে এখানে বিয়ে করার দরকার নেই তাই বলে ফোন কেটে দিয়েছিল। সত্যি একটা ছেলে যদি বিয়ের আগেই এমন ঘটনা জানতে পারে তাহলে তো সেখানে বিয়ে করা ঠিক না। তাই সেখানে আমার বেলী ফুফুর বিয়েটা ভেঙে গিয়েছিল।
এভাবে বেশ কিছুদিন দুজনের মাঝে কথা বন্ধ ছিল। কিন্তু ইসরাইল স্যার অনেক ভাবে আমার মাধ্যমে খোঁজখবর নেওয়ার চেষ্টা করেছিল। আমিও আগের মতো আর ইসরাইল স্যার তেমন খোঁজখবর দিতে পারতাম না কারণ এই সব ঘটনা আমার বাড়ি থেকেও সব জেনে গিয়েছিল। এভাবে ঠিক কয়েকদিন পরে আমার ফুবুকে একটি ছেলে দেখতে এসে রাতে বিয়ে সম্পন্ন হয়ে যায়। তারপরে ইসরাইল স্যার কয়েকদিন স্কুলে আসা বন্ধ করে দিয়েছিল। ঠিক তার দুই থেকে আড়াই মাস পরও একটি মেয়ে দেখে বিয়ে করে ফেলে ইসরাইল স্যার। তাদের মধ্যে আর তেমন কোন সম্পর্ক ছিল না। আমার সাথে ইসরাইল স্যারের তখন দেখা হলে স্যার শুধুমাত্র জিজ্ঞেস করত তোমার ফুফু কেমন আছে। সত্যি ভালোবাসাটা এমনই হওয়া উচিত দূর থেকেও যাতে ভালোবাসার মানুষের জন্য সুখ শান্তি কামনা করা যায়।
বিয়ে ঠিক দুই বছর পরে আমার ফুফুর কোল জুড়ে একটা ফুটফুটে সন্তান জন্ম নিয়েছিল। এখন আমার বেলী ফুফুর দুইটা সন্তান রয়েছে। যেহেতু ইসরাইল স্যার বিয়ে করে ফেলেছে কিছুদিন আগে ইসরাইল স্যারের সাথে আমার দেখা হয়েছিল স্যার একটা ঔষধের দোকান দিয়েছে সেখান থেকে আমি ঔষধ কিনতে গিয়েছিলাম। তখন স্যারের কাছ থেকে জানতে পারি স্যারের একটা মেয়ে সন্তান রয়েছে। আসলে এইসব বিষয়ে স্যারের সাথে অনেক কথা এবং গল্প করেছিলাম সেই দিন। সেই দিনের কথা থেকেই এই গল্পটি আমি আপনাদের মাঝে লিখে শেয়ার করেছি। আসলে এই কথাগুলো আমার মনে ছিল না কিন্তু সেই দিন স্যারের সাথে দেখা হওয়ার পরে আবারও এই গল্পটি মনে পড়েছিল। এখন আমার ইসরাইল স্যার ও আমার বেলি ফুফু দুজনে বেশ সুখী রয়েছে।
আমি এই জন্যই আপনাদেরকে বলেছি আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি একজন ব্যর্থ প্রেমিকের গল্প কারণ তাদের প্রেম ভালবাসা পূর্ণতা পেয়েছিল না বিয়ের মাধ্যমে। আসলে তারা দুজন অনেক চেষ্টা করছিল তাদের ভালোবাসাকে পূর্ণতা দেওয়ার জন্য। কিন্তু তাদের পরিবার এই বিষয়টা কখনোই মেনে নিতে পারেনি। তারা দুজন এখন বিবাহিত তাদের সন্তান রয়েছে তারা অনেক ভালো রয়েছে আমি দোয়া করি তারা যেন সারা জীবন এভাবেই সুখে শান্তিতে বসবাস করতে পারে। আজকে আপনাদের মাঝে এই পর্যন্তই গল্প সমাপ্ত করছি আশা করি আবারও পরবর্তীতে আরো সুন্দর সুন্দর গল্প নিয়ে হাজির হব। সকলের মতামত পোষ্টের নিচে কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে জানাবেন। সকলের জন্য আমার পক্ষ থেকে শুভকামনা রইল।
আমি মোঃ কিবরিয়া হোসেন। আমি বাংলাদেশ খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানা কামারখালী গ্রামে বসবাস করি। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমি বর্তমানে দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলতে এবং লিখতে অনেক ভালোবাসি। সব থেকে আমি বেশি পছন্দ করি ফটোগ্রাফি করতে। আমি বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন জায়গা ঘোরাঘুরি করে থাকি। কয়েকটি শখের মধ্যে আমার প্রধান শখ হচ্ছে ঘোরাঘুরি করা। সংক্ষিপ্ত আকারে আমি আমার নিজের পরিচয় শেয়ার করলাম আপনাদের মাঝে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।
(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )
VOTE @bangla.witness as witness
OR
স্যার কিন্তু বেলি ফুফুকে অনেক বেশি ভালোবাসতো। আর এই জন্যই তো ওনার বিয়ে ভেঙে দিয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীতে ওনার অন্য জায়গায় বিয়ে হয়ে গিয়েছে, তবুও স্যার ওনার খোঁজখবর নিয়েছে। দুজনে এখন অনেক সুখী রয়েছে দুই জায়গায় বিয়ে করে এটা জেনে তবুও খুব ভালো লাগলো। গল্পটার শেষ পর্ব পড়ে ভালো লেগেছে ভাই। ধন্যবাদ গল্পটা লিখে ভাগ করে নেওয়ার জন্য।
ঠিক বলেছেন ভাই আপনি স্যার অনেক ভাবেই চেষ্টা করেছিল বেলী ফুফুর সাথে শেষ পর্যন্ত বিয়ে করতে কিন্তু অবশেষে আর বিয়ে হয়নি। ধন্যবাদ পোস্টি পড়ে মূল্যবান মতামত শেয়ার করার জন্য।
Twitter link
আপনি অনেক সুন্দর একটা গল্প আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। এই গল্পের আগের পর্ব আমার পড়া হয়নি,ঔ তবে শেষ পর্বটা পড়ে আমার কাছে সত্যি খুবই ভালো লেগেছে। তবে আপনার বেলি ফুফুর অন্য আরেকটা ছেলের সাথে বিয়ে হয়েছে এটা শুনে খারাপ লাগলো। আর ইসরাইল স্যার ও বিয়ে করেছে শেষমেষ। দুজনেই এখন বিবাহিত ওনাদের সন্তানও রয়েছে দেখছি। দোয়া করি দুজনের সংসার যেন সবসময় ভালো থাকে এবং দুজনেই যেন সুখে থাকে সবসময়।
আসলে আপু খারাপ লাগার কিছু নেই ভাগ্যর লিখুন যেখানে রয়েছে ঠিক সেখানেই বিয়ে হবে। মহান আল্লাহতালা যেটা ভালো মনে করে সেটাই প্রত্যেক মানুষের জন্য মঙ্গল আমি মনে করি। ধন্যবাদ মূল্যবান মতামত শেয়ার করার জন্য।