জেনারেল রাইটিং // আপুর বিয়ের অনুষ্ঠানের ৮ তম পর্ব

আছসালামু আলাইকুম আমার স্টিম বন্ধু গন আশা করি আপনারা অনেক ভালো আছেন । আপনাদের দোয়ায় আমিও অনেক ভালো আছি। আমি @kibreay001 আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি আপুর বিয়ের অনুষ্ঠানের ৮ তম পর্ব। আজকে সকাল বেলা থেকে সারাদিন বেশ ব্যস্ত সময় পার করছি। গতকালকে নানীদের বাসাতে গিয়েছিলাম সেখানে আমি এবং তুহিন মামা সারাদিন আড্ডা দিয়েছিলাম। সন্ধ্যাবেলায় মামার সাথে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে আবারো রাতের বেলায় বাইরে বের হয়েছিলাম। রাতের বেলায় আমরা ক্রাম খেলা খেলতে ছিলাম ক্রাম খেলা শেষ করে প্রায় রাত একটা ৪০ মিনিটে আমরা বাড়ি এসে পৌঁছায়। তারপরে এসে ঘুমিয়ে ছিলাম সকালবেলায় হঠাৎ বাড়ি থেকে ফোন দিয়েছে তাড়াতাড়ি বাড়িতে আসার জন্য। বাড়িতে এসে আবারো বাজারের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম বাড়িতে একটি ঘরে কাজ চলতেছে তাই রড সিমেন্ট আনার জন্য গিয়েছিলাম। বাড়িতে এসে গোসল শেষ করে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে আপনাদের মাঝে বসে গেলাম পোস্ট শেয়ার করার জন্য। তবে চলুন আজকের পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করা যাক......

আজকে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি আমার আপুর বিয়ের অনুষ্ঠানের অষ্টম পর্ব। আসলে আমি কয়েক সপ্তাহ ধরে আপনাদের মাঝে এই পর্বগুলো শেয়ার করছি আশা করি আপনাদের কাছে বেশ ভালো লাগছে। আসলে আমি এবং আমার দাদি আমার আপুর বিয়ে খাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে আপুর বিয়ের তিন দিন আগে আমরা রওনা দিয়েছিলাম। বিয়েতে সত্যি আমরা সবাই মিলে অনেক আনন্দ উপভোগ করেছিলাম। আসলে আমাদের এলাকার বিয়ে বাড়ির থেকেও ওইদিকে বিয়ে বাড়ির অনুষ্ঠান আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। আসলে অঞ্চলভেদ একেক অঞ্চলে একেক ধরনের অনুষ্ঠান হয়ে থাকে। সত্যি আমি বেশ উপভোগ করেছিলাম সেই সময় গুলো।

আপনার উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমি অনেক সুন্দর ভাবে আমার আপুর বিয়ের ক্ষীর খাওয়ানো স্টেজের ছবি তুলে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। আসলে আপুর যখন ক্ষীর খাওয়ানো শেষ হয়েছিল তখন আমরা সবাই মিলে আপুর সাথে সেখানে ছবি তুলতে ছিলাম। আসলে ছবি তোলার দায়িত্ব সব আমার উপরেই ছিল। তাই আমি সেখানে ডিএসএলআর ক্যামেরা এবং আমার ফোন দিয়ে বেশ দারুন ভাবে কিছু ছবি তুলেছিলাম সকলের। আমার জামাই মূলত তার ছেলেকে অনেক সুন্দর ভাবে একটি আঙ্গুর ফল তুলে খাওয়ে দিয়েছিল সেই সময় আমি দারুনভাবে একটি ছবি তুলেছিলাম সেটিও আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। আসলে বিয়ে বাড়ির এসব মুহূর্তগুলো আমার সব সময় স্মৃতি হয়ে থাকবে।

আপনার উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমি আবারও অনেক সুন্দর ভাবে দুটি ছবি তুলে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। ক্ষীর খানা অনুষ্ঠানের শেষে রাতে আমরা সবাই মিলে একে একে আপুর সাথে বেশ কিছু ছবি তুলেছিলাম। এবার আপনারা আমার আপুর সাথে দেখতে পারছেন আপুর ছোট আম্মুকে। আমার আপু এবং ছোট আম্মুকে দুজনের শাড়িতে বেশ মানিয়েছে। আমার কাছে এসব মুহূর্তগুলো বেশ ভালোই লাগে। বিয়ের দিন গেটে মূলত আমরা বেশ কয়েকজন দায়িত্ব পালন করেছিলাম। আমার দুলাভাই প্রথমেই অনেকগুলো গ্লাসের মধ্য থেকে হলুদের গোড়ার পানি খেয়েছিল সত্যিই সেই সময় আমরা সকলে মিলে বেশ হেসে ফেলেছিলাম সেখানে। এভাবে আমরা বেশ কিছু সময় আনন্দ এবং খুনসুটির মাধ্যমে গেটের পর্ব শেষ করেছিলাম।

আপনারা উপরে ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমি এবার আপনাদের মাঝে অনেক সুন্দর ভাবে বিয়ে বাড়ির খাওয়া-দাওয়া ছবি তুলে শেয়ার করেছি। আসলে বিয়ে বাড়িতে যখন বরযাত্রী এসে খাওয়া-দাওয়া করেছিল তখন আমি সেখানে দেখাশোনার কাজ করছিলাম। তাই ভেতর থেকে মোবাইল ফোন দিয়ে আমি বেশ কয়েকটি ছবি তুলে রেখেছিলাম আপনাদের মাঝে শেয়ার করব বলে। আমার সাথে সেখানে ডিএসএলআর ক্যামেরাম্যান ছিল অনেক সুন্দরভাবে ভিডিও করছিল। আসলে আপুর বিয়ের মুহূর্তগুলো কখনো ভোলার নয়। আশা করি আপনাদের কাছেও বেশ ভালো লাগবে। আপনাদের সকলের মতামত নিচে কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে জানাবেন। সকলের জন্য আমার পক্ষ থেকে শুভকামনা রইল।

আমি মোঃ কিবরিয়া হোসেন। আমি বাংলাদেশ খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানা কামারখালী গ্রামে বসবাস করি। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমি বর্তমানে দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলতে এবং লিখতে অনেক ভালোবাসি। সব থেকে আমি বেশি পছন্দ করি ফটোগ্রাফি করতে। আমি বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন জায়গা ঘোরাঘুরি করে থাকি। কয়েকটি শখের মধ্যে আমার প্রধান শখ হচ্ছে বিভিন্ন জায়গা ভ্রমণ করা। সংক্ষিপ্ত আকারে আমি আমার নিজের পরিচয় শেয়ার করলাম আপনাদের মাঝে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।