বাইকে তেল পোরার সময় কিছু অনুভূতি (১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য)
আসসালামু আলাইকুম/আদাব আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন আমি @kibreay001 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ (২৭-০৮-২০২২)
আসলামু আলাইকুম আমার স্ট্রিম বন্ধু গন আশা করি আপনারা অনেক ভালো আছেন । আপনাদের দোয়ায় আমিও অনেক ভালো আছি। আমি @kibreay001 আজকে আপনাদের মাঝে আমি শেয়ার করতে যাচ্ছি বাইকে তেল পোরার সময় কিছু অনুভূতি। বাইকে যখন আমি তেল নিতে গেলাম তখন আকাশ একদম পরিষ্কার ছিল। কিন্তু বাইকে তেল পোরা শেষ হওয়ার সাথে সাথে অনেক জোরে বৃষ্টি শুরু হল আসলে অবাক হয়ে গেলাম। তবে চলো নিচে ধাপে ধাপে শেয়ার করা যাক........
যখন বৃষ্টি শুরু হল তখন আমি আমার পকেট থেকে মোবাইল ফোন বের করে কিছু ছবি তুলে রাখলাম ভেবেছিলাম আপনাদের সাথে শেয়ার করব। আপনার ওপরে ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন তেল পাম্পের ভিতরে অনেক সুন্দর পরিবেশ। তেল পাম্পের চারি সাইডে অনেক সুন্দর ভাবে পাচির দেওয়া রয়েছে এবং পাশে অনেক সুন্দর লাইটিং রয়েছে আপনার ওপরে ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন।
এবার আপনারা দেখতে পারছেন তেল পাম্পে দুই তালা ঘর এখানে রয়েছে। তেল পাম্পের উপরে অনেক সুন্দর ভাবে অসংখ্য বাল্প সেট করা রয়েছে আপনার উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন। আসলে বাল্প গুলো দেখে আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছিল। যখন রাতের বেলায় সবগুলো গল্প একসাথে চালানো হয় তখন দেখতে সবথেকে বেশি ভালো লাগে। আমি কিছুদিন আগে এই পথ দিয়ে রাতের বেলায় বাড়ি গিয়েছিলাম আসলে দেখতে বেশ ভালো লেগেছিল আমার কাছে।
এবার আপনারা দেখতে পারছেন একটি লোক তেল নেওয়ার জন্য দাঁড়িয়ে রয়েছে। কিন্তু পাম্পে কারেন্ট নাই এর জন্য তেল দিতে পারছে না। কিন্তু জেনেটার স্টার্ট করতে গেলে লোকটি পানিতে ভিজে যাবে এই কারণে যেতে পারছে না তাই একটু দাঁড়িয়ে রয়েছে তেল নেওয়ার জন্য। এখন আমার কাছে মনে হচ্ছে শুধু তেলের নল বাইকের ট্যাংকের মধ্যে দিচ্ছে আর বের করছে বাংলাদেশে তেলের দাম এখন অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে এই কারণে।
এবার আপনারা খোলা আকাশের দিকে তাকালে দেখতে পারবেন অনেক জোরে পানি হচ্ছে তাই তেল নেওয়ার পরে হয়তো প্রায় আধা ঘন্টা আমি ওই তেল পাম্পের মধ্যে বসে আছি। বাড়ি থেকে মেহেরপুর যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। কিন্তু মনে হচ্ছে আজকে আর মেহেরপুর যাওয়া হবে না অনেক লেট হয়ে গিয়েছে। আস্তে আস্তে পানি অনেক জোরে হচ্ছে আমার কাছে মনে হচ্ছে।
এবার আপনারা দেখতে পারছেন তেল পাম্পে অনেক সুন্দর একটি টয়লেট ও অজুখানা ও মসজিদ রয়েছে। এখানে যদি কোন মানুষের নামাজ আদায় করার ইচ্ছে থাকে তাহলে অনেক সুন্দর ভাবে এখানে নামাজ আদায় করতে পারবে। এখানে সবকিছু ভিআইপি দেখে মনে হচ্ছে আমার কাছে।
সবার শেষে বাইকের উপরে বসে আমি তেল পাম্পের মধ্যে একটি সেলফি তুলে অনেক সুন্দর ভাবে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি আপনারা উপরের ছবির দিকে তাকালে লক্ষ্য করতে পারবেন। আশা করি আপনাদের সবার কাছে ভালো লাগবে। আপনাদের মতামত নিচে কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে জানাবেন সকলের জন্য শুভকামনা রইল।
🤝আমার নিজের পরিচয়🤝
আমি কিবরিয়া ব্লগ। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমি বর্তমান দশম শ্রেণীর ছাত্র। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলতে এবং লিখতে অনেক ভালোবাসি।সংক্ষিপ্ত আকারে আমি আমার নিজের পরিচয় শেয়ার করলাম আপনাদের মাঝে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।
বাইকে তেল নিতে যে কারেন্ট বা জেনারেটর লাগে সেটা আমি জানতাম না। আজ আপনার পোষ্ট পড়ার পর জানতে পারলাম। ধন্যবাদ একটি ব্যপার জানতে পারলাম। কি বোকা আমি...হা হা হা...
বোকার তো কোনো প্রশ্নই আসে না ভাই সব জিনিসই তো জানতে হবে এমন তো কোন কিছু নাই আসলে আপনাকে জানাতে পেরে নিজের কাছে অনেক ভালো লাগছে।
বাইকে তেল পোরার সময় আপনার অনুভূতিটি করে অনেক ভালো লাগলো । তাছাড়া আপনি অনেক সুন্দর হবে ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন।
আপনার জন্য শুভকামনা রইল
অনেক ধন্যবাদ ভাই মতামত প্রদান করার জন্য।
তেল পাম্পের জায়গাটি দেখতে খুবই সুন্দর লাগছে। খুবই খোলামেলা এবং পরিপাটি পরিবেশ। তেল পাম্পে মসজিদ এবং অজুখানা থাকার বিষয়টি জানতে পেরে আমার খুবই ভালো লেগেছে।
ঠিক বলেছেন মামা মসজিদ বিষয়টি প্রত্যেকটি পাম্পে থাকে না আসলে এই পাম্পটিতে ছিল।