মামা ভাগ্নে ঝড়ের দিনে আম কুড়ানোর মুহূর্ত
আসসালামু আলাইকুম/আদাব আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু গন আমি @kibreay001 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ (২৪-০৫-২০২৩)
আসলামু আলাইকুম আমার স্টিম বন্ধু গন আশা করি আপনারা অনেক ভালো আছেন । আপনাদের দোয়ায় আমিও অনেক ভালো আছি। আমি @kibreay001 আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি মামা ভাগ্নে ঝড়ের দিনে আম কুড়ানোর মুহূর্ত । ঘটনাটি হচ্ছে গতকালকের ঘটনা। আসলে গতকাল সকালবেলা থেকেই বেশ ব্যস্ত সময় পার করছিলাম। সকাল বেলায় ঘুম থেকে উঠে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে মাঠের কাজে একটু সাহায্য করেছিলাম। বাড়িতে এসে হাতমুখ ধুয়ে গোসল করে কলেজে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। কলেজ থেকে বাড়িতে ফিরে আসতে প্রায় দুইটা বেজে গিয়েছিল। বাড়িতে আসার পরে কিছুক্ষণ বসে রেস্ট নিয়ে খাওয়া-দাওয়া শেষ করেছিলাম। তারপরে বাড়ির সবার সাথে একটু আড্ডা দিয়েছিলাম। হঠাৎ করে দেখি আকাশে মেঘ উঠেছে। ছাদের উপরে ধান ছিল ছাদ থেকে ধানগুলো নামিয়েছিলাম। তারপরে বাড়ি থেকে একটা বেগ নিয়ে আম কড়ানোর উদ্দেশ্যে বাগানের দিকে রওনা দিলাম। বাগানে গিয়ে দেখি সবার আগে সেখানে আমার বাংলা ব্লগের ইউজার @tuhin002 মামা হাজির হয়েছে। তারপরে দেখি মামা অনেক দূর থেকে আমাকে ডাকছে। আমি তখন মামার কাছে গিয়ে মামার সাথে কথা বললাম। তবে চলুন আজকের পোস্টে শেয়ার করা যাক.........
একই জায়গায় দুটি বাগান রয়েছে। মামা আমাকে বলল তুমি ওই বাগানে আম খোঁটো আমি এই বাগানে আম খুঁটি তাই বলে দুই মামা দুই বাগানে ভাগ হয়ে গেলাম আম খোঁটোর জন্য। তখন আকাশে অনেক জোরে ঝড় উঠেছে। আমি সেই বাগানে আম কুড়াতেছিলাম সেখানে মাত্র দুইটা আম পড়েছিল প্রায় আধাঘণ্টার মতো আম খোঁটার পরে। তারপরে আমি একটু মামার দিকে খেয়াল করে দেখি মামা আম কুড়িয়ে যাচ্ছে। মামা দেখি হাতে একটা বস্তা নিয়ে প্রায় আদা বস্তা আম লোড হয়ে গিয়েছে। তারপরে আমি মামাকে জোরে ডেকে বলি মামা এখানে তো আম পড়ছে না। মামা তারপরে আমাকে ওই বাগানে যেতে বলে আমি তখন মামার কাছে যাই। সেখানে গিয়ে দুজন মিলে ভালোভাবে আম কুড়িয়েছিলাম। আমিও প্রায় সাত থেকে আট কেজি মতো আম পেয়েছিলাম। মামা প্রায় ৩০ থেকে ৪০ কেজি আম পেয়েছিল। তখন দুজন মিলে আম কুড়াচ্ছি আর গল্প করছি মামা বলছে আমগুলো দিয়ে এবার আচার মারতে হবে। তারপরেও দুজন মিলে সেখানে বেশ ভালোভাবে আম কুড়িয়েছিলাম।
তার কিছুক্ষণ পরে দেখেছিলাম আরো জোরে ঝড় শুরু হল। তখন পর্যন্ত দুই মামা ভাগ্নে আম কুড়িয়ে যাচ্ছি। তখন থেকে বৃষ্টি আরম্ভ হওয়া শুরু করল আমরা দুজন তখন আম কুড়িয়ে যাচ্ছি। তারপরে আরো জোরে বৃষ্টি হওয়া শুরু করল দুই মামা তখন ভিজতে ভিজতে আম কুড়াচ্ছি এবং দুজনে শীতে কাপতেছে। তখন মামা বলছে চল ভাগ্নে বাড়ি চলে যায়। তারপরে দুজন সিদ্ধান্ত নিলাম বাড়ি চলে আসব তখন দেখি আরো জোরে ঝড় শুরু হল মনে হচ্ছে গাছ ভেঙে মাথার উপরে পড়বে। তখন দুজন দুজনের পায়ের স্যান্ডেল খুলে বস্তার মধ্যে নিয়েছিলাম। তারপরে আমগুলো মাথায় নিয়ে বাড়ির দিকে রওনা দিয়েছিলাম। বাড়ির সামনে এসে দেখি অনেক বড় একটি গাছ কারেন্টের খাম্বার উপরে পড়ে গিয়েছে। বাড়িতে এসে মামা ভাগ্নে আসবে বলেছিলাম আমাদের এলাকায় হয়তো দুই-একদিনের মধ্যে কারেন্ট আসবে না। তারপরে দেখি রাতে কারেন্ট চলে এসেছে কিন্তু আমাদের ওয়াইফাই একটু প্রবলেম হয়েছে। কালকের ঝড়ের কারণে এখন পর্যন্ত ওয়াইফাই ঠিক হয়নি। দেখা যাক ওয়াইফাই কবে ঠিক হয় তার আগ পর্যন্ত খুবই কষ্ট করে আপনাদের সাথে যুক্ত হতে হচ্ছে। আশা করি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে। সকলের মতামত নিচে কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে জানাবেন। সকলের জন্য আমার পক্ষ থেকে শুভকামনা রইল।
আমি মোঃ কিবরিয়া হোসেন। আমি বাংলাদেশ খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানায় কামারখালী গ্রামে বসবাস করি। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমি বর্তমানে একাদশ শ্রেণীর ছাত্র। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলতে এবং লিখতে অনেক ভালোবাসি। সব থেকে আমি বেশি পছন্দ করি ফটোগ্রাফি করতে। আমি বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন জায়গা ঘোরাঘুরি করে থাকি। কয়েকটি শখের মধ্যে আমার প্রধান শখ হচ্ছে ঘোরাঘুরি করা। সংক্ষিপ্ত আকারে আমি আমার নিজের পরিচয় শেয়ার করলাম আপনাদের মাঝে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।
(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )
VOTE @bangla.witness as witness
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
OR
https://twitter.com/GKibreay/status/1661339862522544128?t=AaiC1v8pHio2DCJtv0cXIQ&s=19
মামা ভাগ্নে মিলে ৩০ থেকে ৪০ কেজি আম পেয়েছিলেন বাহ্ দারুন। আসলে ঝড়ের দিনে এধরনের কাজ গুলো করতে ভীষণ ভালো লাগে। আপনার পোস্ট পরে ছোট বেলায় স্মৃতি মনে পড়ে গেলো। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া।
ঠিক বলেছেন ভাই আপনি মামা ভাগ্নে মিলে অনেক আম পেয়েছিলাম।
মামা ভাগ্নের ঝড়ের দিনে আম কুড়ানোর সুন্দর একটি মুহূর্ত পড়তে পেরে অনেক ভালো লাগলো ভাইয়া। আপনার মামা ৩০ থেকে ৪০ কেজি আম পেয়েছে শুনে অনেক ভালো লাগলো। এতো আম একা একা খাবেন না পেটের সমস্যা দেখা দিবে। আপনার পোস্ট পড়ে ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল। ধন্যবাদ আপনাকে
তাহলে আপনি ব্যাগ নিয়ে চলে আসেন আপু আপনাকে অল্প কিছু আম দিয়ে দি। তাহলে আর পেট খারাপ করবে না।
মামা - ভাগ্নের আম কুড়ানো পোস্ট পড়ে বেশ ভালো লাগলো। আপনার চাইতে আপনার মামা বেশি আম পেয়েছে।প্রায় ৩০ থেকে ৪০ কেজি আম। এতো আম দিয়ে এবার ভালোই আচার হবে।অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
ঠিক বলেছেন আপু আপনি আমগুলো দিয়ে এবার বেশ ভালো আচার হবে।
মামা ভাগ্নে মিলে ঝড়ে গিয়ে আম কুড়ানোর মুহূর্ত গুলো পড়ে আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। ঝড়ের দিনে এরকম যদি আম কুড়ানোর দৃশ্যগুলো সামনাসামনি দেখতে পারতাম খুবই ভালো হতো। আপনার মামাতো অনেক আম পেয়েছে প্রায় ৩০ থেকে ৪০ কেজির মতো। এতগুলো আম দিয়ে তো অনেক আচার তৈরি করতে পারবেন আচার তৈরি করে আমাদের জন্য পাঠিয়ে দিয়েন। ঝড়ের দিনে আম কুড়ানোর মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আপু এরকম আম কোড়ানোর দৃশ্য দেখতে হলে আমাদের এলাকাতে চলে আসতে হবে। যেহেতু গ্রাম অঞ্চলে এসব দেখা যায় বেশি।
আপনার আম কুড়ানোর কথা পড়ে আমার ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল। একবার আমাদের বাসায় উঠানে পাশের বাসার আম গাছের আম ঝড়ে পড়েছিল। এক ঝুড়ির বেশি আম ছিলো। পরে আমরা সব আম বাড়িওয়ালাকে দিয়ে দিয়েছিলাম । একটা আম ও আমরা রেখে দিয়েছিলাম না। আপনারা তো দেখছি অনেক আম কুড়িয়েছেন।
ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর ভাবে আপদন গঠনমূলক মতামত শেয়ার করে পাশে থাকার জন্য।
মামা আপনি তো দেখছি ঝড়ের দিনে বেশ বেশি আম কুড়িয়েছেন। অবশ্য আম কোড়ানোর মধ্যে রয়েছে অন্যরকম ভালোলাগা আর সুখ। তাই আপনার আজকের এই পোস্ট আমার অতীতের স্মৃতিগুলো যেন স্মরণ করে দিলো যখন আমরা বন্ধুরা মিলে আম কুড়াতে যেতাম।
ধন্যবাদ মামা এত সুন্দর ভাবে আপনার শেয়ার করা গঠনমূলক মতামত দিয়ে পাশে থাকার জন্য।