খালামনির জন্মদিন উদযাপন

আসলামু আলাইকুম আমার স্টিম বন্ধু গন আশা করি আপনারা অনেক ভালো আছেন । আপনাদের দোয়ায় আমিও অনেক ভালো আছি। আমি @kibreay001 আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি।খালামনির জন্মদিন উদযাপন‌। সকাল বেলায় ঘুম থেকে ওঠার পরে দেখি আমার আপু আমার মোবাইল ফোনে ফোন দিয়েছে। আমি হাতমুখ ধুয়ে আসার পরে ফোন ব্যাক করলাম আপুর কাছে। তারপরে আপু আমাকে বলল আজকে খালামণির জন্মদিন। গাংনী গেলে একটা কেক নিয়ে আনবি। আমি বললাম আচ্ছা ঠিক আছে আমি একটা কেক নিয়ে আনবোনে। প্রত্যেকদিন মতো আজকেও সকাল ৯ টার দিকে গাংনীর উদ্দেশ্যে রওনা দিয়ে। প্রথমে বাস থেকে নামার পরেই আমি কেক অর্ডার দিতে চলে যাই। প্রথমে যেই দোকানে গিয়েছিলাম সেই দোকানে অনেক ভিড় থাকার কারণে দোকানদার বলেছিল আজকে আর কোন কেকের অর্ডার নেওয়া হবে না। তারপরে আমি আবারো আরেকটি দোকানে যাই। পরে সেখানে আমি এক পাউন্ডের একটি কেক অর্ডার দি। দাম নিয়েছিল মোট ৩৮০ টাকা। তারপরে দোকানদার আমাকে জিজ্ঞেস করেছিল কখন নিবেন আপনি কেক। আমি বলেছিলাম বারোটার দিকে দিলেই হবে। তারপরে দোকানদার বলেছিল বারোটার দিকে নয় আপনি দুইটার দিকে আসবেন। আমি তখন বললাম আচ্ছা ঠিক আছে। তারপরে কেক নিয়ে আমি বাড়িতে চলে আসলাম।

এবার আপনারা দেখতে পারছেন আমার খালামনির জন্মদিনের কেক। আমার খালামণির নাম মোছাঃ তাসমিয়া খাতুন। আমার খালামণি জন্মগ্রহণ করেছিল ২০১৬ সালে। নভেম্বর মাসের ১ তারিখে সন্ধ্যা ৭:৪৫ মিনিটে। তাই ওই উপলক্ষে আমরাও আজকে সন্ধ্যা ৭:৪৫ মিনিটে কেক কেটেছি।

এবার আপনারা দেখতে পারছেন আমি কেকের ভিতরে অনেক সুন্দর ভাবে ছোট্ট মোমবাতি গুলো দাঁড় করিয়েছি। তারপরে আমি অনেক সুন্দর ভাবে একটি ছবি তুলে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। যখন আমি ছবিগুলো তুলেছিলাম তখন বিদ্যুৎ ছিল না। সৌর বিদ্যুতের আলো হালকা-পাতলা জ্বলছে তাই ভালো বোঝা যাচ্ছে না। আশা করি তাও আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।

এবার আপনারা দেখতে পাচ্ছেন আমার খালামণি আমাদের বাড়ির আশেপাশের প্রত্যেক ছেলে মেয়েকে ডেকে নিয়ে এসেছে জন্মদিন উদযাপন করার জন্য। আমার খালামণি বিকেল থেকেই ছেলেমেয়েদেরকে দাওয়াত করছিল আজকে আমার জন্মদিন সবাইকে দাওয়াত রইল বাড়িতে। তাই বাড়িতে ব্রাণীর রান্না করে ছেলেমেয়েদেরকে খাওয়ানো হয়েছিল।

এবার আপনারা দেখতে পারছেন মোমবাতিতে আমি অনেক সুন্দর ভাবে আগুন লাগিয়ে দিয়েছি। পাশে একটি ৬ লেখা মোমবাতি রয়েছে আপনারা দেখতে পারছেন। কারণ হচ্ছে আমার খালামণির বয়স আজকে ৬ বছর পূর্ণ হয়ে সাত বছরের পদার্পণ করল। আপনারা সকলে আমার খালামনির জন্য দোয়া করবেন।

এবার আপনারা দেখতে পারছেন আমার খালামণি অনেক সুন্দর ভাবে ফু দিয়ে মোমবাতিগুলো নিভিয়ে দিয়েছে। তারপরে চাকু হাতে নিয়ে কেক কাটা শুরু করে দিয়েছে। তখন ছেলে মেয়েরা অনেক আনন্দের সাথে বলতেছিল হ্যাপি বার্থডে টু ইউ।

তারপরে আমি আমার খালামনির সাথে অনেক সুন্দর ভাবে একটি সেলফি তুলে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। আপনারা উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে আমার এবং আমার খালামনির ছবি দেখতে পারবেন। আসলে আমি আমার খালামণিকে অনেক ভালোবাসি। যখন যা আবদার করে আমার কাছে আমি না দিয়ে কোন কথা বলতে পারি না। আমি যদি কোন কিছু না দিতে চাই তখন আমার আব্বুকে বলে দেয়।

এবার আপনারা দেখতে পারছেন কেক কাটার পরে ছেলেমেয়েরা অনেক সুন্দর ভাবে প্রত্যেকে প্রত্যেকজনের মুখে মাখিয়ে দিচ্ছিল। সত্যি বলতে তখন আমার কাছে তাদের আনন্দ দেখে আমারও অনেক ভালো লেগেছিল। মামা হিসাবে আমার দায়িত্ব ভাগ্নের জন্মদিনে একটি কেক উপহার দেওয়া। তাই আমি এবার ভাগ্নের জন্মদিনের কেক উপহার দিয়েছি। আশা করি সকলের কাছে অনেক ভালো লাগবে। আমার ভাগ্নের জন্য সকলে দোয়া করবেন। সকলের জন্য দোয়া ও শুভকামনা রইল।

আমি কিবরিয়া ব্লগ। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমি বর্তমান দশম শ্রেণীর ছাত্র। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলতে এবং লিখতে অনেক ভালোবাসি।সংক্ষিপ্ত আকারে আমি আমার নিজের পরিচয় শেয়ার করলাম আপনাদের মাঝে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।