রবিবারের আড্ডায় অতিথি হওয়ার অনুভূতি
আসসালামু আলাইকুম/আদাব আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু গন আমি @kibreay001 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ (২৬-০৬-২০২৩)
আসলামু আলাইকুম আমার স্টিম বন্ধু গন আশা করি আপনারা অনেক ভালো আছেন । আপনাদের দোয়ায় আমিও অনেক ভালো আছি। আমি @kibreay001 আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি রবিবারের আড্ডায় অতিথি হওয়ার অনুভূতি । আসলে বেশ কয়েকদিন ধরে বেশ ব্যস্ত সময় পার করতে হচ্ছে। মেস থেকে বাড়িতে আসার পরে আরো বেশি ব্যস্ত সময় পার করছি। গত পরশুদিন আব্বু বাড়ি থেকে গরু নিয়ে ঢাকায় গিয়েছে। আসলে এই জন্য আরও সব থেকে বেশি ব্যস্ত সময় পার করতে হচ্ছে। আজকে সকাল বেলায় ঘুম থেকে ওঠার পরে ভেবেছিলাম পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করব। কিন্তু ব্যস্ততার কারণে আর পোস্ট শেয়ার করে ওঠা হয়নি। তারপরে বাড়ির কাজ শেষ করে গোসল শেষ করে খাওয়া-দাওয়া করে আপনাদের মাঝে চলে আসলাম পোস্ট লেখা শুরু করতে। তবে চলুন আজকের পোস্ট নিচে ধাপে ধাপে শেয়ার করা যাক...........
রবিবারের আড্ডায় ২৫ তম পর্বে আমি অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ করেছিলাম। আসলে আমার কাছে বেশ ভাল লেগেছিল যখন আমার নামটি অ্যানাউন্সমেন্ট এর মাধ্যমে শুভ ভাই দিয়েছিল। আসলে আমার কাছে সব থেকে বেশি ভালো লেগেছিল আমাদের এলাকার মধ্যে থেকে সর্বপ্রথম আমি রবিবারের আড্ডায় অতিথি হিসেবে আসতে পেরেছিলাম বলে। রবিবারের আড্ডার কয়েকদিন আগে আমি আর মোস্তাফিজুর মামা এই বিষয় নিয়ে অনেক কথা বলছিলাম। আসলে এত সুন্দর একটি জায়গায় নিজেকে নিয়ে আসতে পেরে অনেক আনন্দিত। নিজের পরিবারের মতো আরেকটি পরিবার পেয়েছে এখানে।
গত বৃহস্পতিবারের দিন আমি আমার শরীর থেকে রক্ত দান করেছি আপনারা সবাই জানেন। তারপরেও হ্যাংআউটে যুক্ত ছিলাম। আসলে হ্যাংআউট শেষে সিয়াম ভাই আমাকে ডিএম করে বলছিল রবিবারের আড্ডায় থাকতে পারবো কিনা এই বিষয়ে। আমি তখন সিয়াম ভাইয়ের সাথে কথা বলেছিলাম আমি বলেছিলাম আমি থাকতে পারবো ভাই কোন সমস্যা নেই। তারপর সিয়াম ভাই আমাকে বলেছিল অবশ্যই ভালো নেটওয়ার্কে থাকার চেষ্টা করবেন তারপরে আপডেটগুলো আমি আপনাকে জানিয়ে দিব। আমি তখন বলছিলাম চেষ্টা করব ভাই ভালো নেটওয়ার্কে থাকার জন্য। তারপরে সিয়াম ভাই আমার পছন্দের গান আমার কাছ থেকে জেনে নিয়েছিল। উপরের স্ক্রিনশট ঠিক রবিবারের আড্ডায় নয়টার সময় আমি মেরে রেখে ছিলাম আপনাদের মাঝে শেয়ার করব বলে। এভাবেই রবিবারের দিন সন্ধ্যার দিকে সিয়াম ভাই আমাকে আবারও ডিএম করছিল। তখন আমি নামাজে থাকার কারণে সিয়াম ভাইয়ের ডিএম এর উত্তর দিতে পারি নাই। নামাজ থেকে বের হয়ে সিয়াম ভাইয়ের ডিএম এর উত্তর দিয়ে রবিবারের আড্ডায় জয়েন হয়েছিলাম। রবিবারের আড্ডার ঠিক দশ মিনিট আগে সিয়াম ভাই এবং শুভ ভাইয়ের সাথে বেশ মজার কিছু কথা হয়েছিল।
তারপরে রবিবারের আড্ডা আমার কাছে বেশ ভালই লেগেছিল। রবিবারের আড্ডায় অনেকে আমার অনেক রকমের প্রশ্ন করেছিল প্রশ্নগুলো বেশ মজার ছিল। আশা করি আপনাদের প্রশ্নগুলোর ঠিকঠাক উত্তর দিতে পেরেছি আমি। সকলের প্রশ্ন আমার কাছে বেশ চমৎকার ছিল। কিন্তু এর মধ্য থেকে তিনজন বিজয়ী বাছাই করতে হবে আমাকে বেশ ঝামেলার মধ্যে পড়ে যায় তখন আমি। সিয়াম ভাই আমাকে ডিএম করে সব প্রশ্নগুলো দিয়েছিল। সেখান থেকে আমি অনেকক্ষণ চেষ্টা করে তিনজন বিজয়ীকে খুঁজে বের করি। তারপরে সিয়াম ভাই কে ডিএম করে তিনজনের নাম পাঠিয়ে দিয়েছিলাম। আসলে প্রশ্নকারী সকলকে পুরস্কার দিতে পারলে আমার কাছে সব থেকে বেশি ভালো লাগতো।
এবার আপনার উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন রবিবারের আড্ডায় যখন সর্বোচ্চ ইউজার হয়েছিল তখন আমি একটি স্ক্রিনশট মেরে রেখে দিয়েছিলাম। আসলে প্রশ্নগুলো উত্তর দিতে আমার কাছে বেশ ভালই লেগেছিল। আমি এই কাজকে সবসময় উপভোগ করি। আসলে আড্ডার দিনে দাদা ছিল এ বিষয়টা আমার কাছে সব থেকে ভালো লেগেছিল। যে সকল ইউজার কালকে রবিবারের আড্ডায় উপস্থিত ছিল সকলকে জানাই আমার পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
এবার আপনার উপরে ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন । যে সকল প্রশ্নকারী আমাকে প্রশ্ন করছিল তাদের মধ্য থেকে তিনজন বিজয়ী এর নাম অ্যানাউন্সমেন্ট এর মাধ্যমে সিয়াম ভাই দিয়ে দিয়েছে। তারপরে রুপক ভাই অনেক সুন্দর ভাবে স্টিম গুলা পাঠিয়ে দিয়েছিল সকলকে সেটিও অ্যানাউন্সমেন্ট এর মাধ্যমে দিয়ে দিয়েছিল। আসলে দাদার পক্ষ থেকে এই গিফট ছিল। আসলে সবকিছু আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে।
এবার আপনার উপরে ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন। রবিবারের আড্ডা শেষে দাদা যখন গান বাজাতে ছিল তখন সকলেই আমরা জেনারেল চেটে কথা বলতে ছিলাম। তখন দেখি হঠাৎ করে দাদা আমাকে দশ স্টিম টিপস দিয়েছে। তখন আমি সেখানে লাভ ইমোজি দিয়েছিলাম। এবং সেই ছবিটি স্ক্রিনশট মেরে রেখে দিয়েছিলাম। আপনার উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন। আশা করি কালকের আড্ডা আপনাদের কাছে বেশ ভালো লেগেছে। সকলের মতামত নিচে কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে জানাবেন। সকলের জন্য আমার পক্ষ থেকে শুভকামনা রইল।
আমি মোঃ কিবরিয়া হোসেন। আমি বাংলাদেশ খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানায় কামারখালী গ্রামে বসবাস করি। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমি বর্তমানে একাদশ শ্রেণীর ছাত্র। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলতে এবং লিখতে অনেক ভালোবাসি। সব থেকে আমি বেশি পছন্দ করি ফটোগ্রাফি করতে। আমি বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন জায়গা ঘোরাঘুরি করে থাকি। কয়েকটি শখের মধ্যে আমার প্রধান শখ হচ্ছে ঘোরাঘুরি করা। সংক্ষিপ্ত আকারে আমি আমার নিজের পরিচয় শেয়ার করলাম আপনাদের মাঝে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।
(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )
VOTE @bangla.witness as witness
OR
https://twitter.com/GKibreay/status/1673248758967205889?t=hrQptUF05TpJeW_jgaoXUw&s=19
আপনাকে কালকে আড্ডায় দেখে বেশ ভালো লাগলো । আসলে রবিবারের আড্ডাটা আমরা সবাই উপভোগ করি । আপনারা রবিবারের আড্ডা বেশ ভালো ছিল । সবাই বেশ উপভোগ করেছে । বিস্তারিত দারুণভাবে লিখেছেন পড়ে ভালো লাগলো । ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ আপু আপনার গঠনমূলক মতামত শেয়ার করার জন্য।
গতকালের আড্ডায় যদিও আমি থাকতে পারিনি বাসে ছিলাম জন্য। কিন্তু ডিস্কোর্ড এর চ্যাটিং গুলো দেখছিলাম। আর আজকে আপনার পোষ্টের মাধ্যমে মনে হল যে আমি আড্ডাতেই বসে আছি। খুব চমৎকারভাবে আড্ডার প্রতিটি বিষয় উপস্থাপন করেছেন। ভাইয়া আপনার অনুভূতি পড়ে খুব ভালো লাগলো। ধন্যবাদ সুন্দরভাবে উপস্থাপনের জন্য।
আপু আপনি আড্ডায় না থাকতে পেরেও আপনি আমাদের সাথে যুক্ত ছিলেন জেনে বেশ ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান মতামত শেয়ার করার জন্য।
জি ভাইয়া গতকাল রবিবারের আডডায় আপনার কথা গুলো শুনেছিলাম। বেশ সুন্দর করে গুছিয়ে বলেছিলেন। বেশি ভালো লেগেছে আপনি আবেগের সথে সব কিছু খুলে বলছিলেন। খুব ইনজয় করেছি আড্ডাতে আপনার জন্য শুভ কামনা রইল ভালো থাকবেন।
ধন্যবাদ ভাই আপনার মূল্যবান মতামত শুনে আমার বেশ ভালো লেগেছে। আমিও বেশ ভালোভাবে উপভোগ করেছিলাম।
রক্ত দান করা সত্যিই অনেক ভালো একটি উদ্যোগ। ভাইয়া আপনার এই উদ্যোগটি আমার অনেক ভালো লেগেছে। যাই হোক আপনার ব্যস্ততার মাঝেও আপনি রবিবারের আড্ডায় অতিথি হিসেবে এসেছিলেন এবং আমাদেরকে সময় দিয়েছেন এজন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি। সময়টা সত্যিই দারুণ কেটেছে। আপনার অনুভূতি জেনে অনেক ভালো লাগলো ভাইয়া।
আসলে আপু রক্তদান করতে আমার নিজের কাছে অনেক ভালো লাগে আমি এখন থেকে প্রতি চার মাস পর পর রক্তদান করব ইনশাল্লাহ।
গতকাল শহর থেকে গ্রামে এসেছি তাই অনেক ব্যস্ত ছিলাম। কিন্তু রবিবার আড্ডার কথা একদম ভুলে গিয়েছিলাম তাই হঠাৎ করে মনে পড়ে ঢুকে দেখি রবিবার আড্ডা শেষ হয়ে গেল। কিন্তু আপনার পোস্টের অনুভূতি গুলো পড়ে অনেক ভালো লেগেছে। আপনার জন্য অনেক শুভকামনা রইল।
আসলে আপু ঈদ সামনে রেখে সবাই অনেক ব্যস্ত সময় পার করছে। যাই হোক আপনার মূল্যবান মতামত শুনে আমার বেশ ভালো লেগেছে ধন্যবাদ।
কালকে রবিবারের আড্ডা টি আমি সম্পূর্ণ শুনেছি। আপনি খুব সুন্দর করে কথা বলেছেন এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দিয়েছেন। ব্যস্ততার মাঝেও আপনি আড্ডা তো অতিথি হিসেবে আসলেন। তবে আপনার একটা উদ্যোগকে আমি স্বাগতম জানাই রক্ত দান করার উদ্যোক্তা। মানুষ মানুষের জন্য কথাটি আবার প্রমাণ করিয়ে দিলেন। ধন্যবাদ আপনাকে রবিবারের আড্ডার অনুভূতিটি শেয়ার করার জন্য।
অবশ্যই আপু মানুষ মানুষের জন্য এ কথাটি সবসময় আমরা বলি একে অন্যের উপকার করা আমি মনে করি অনেক ভালো একটি কাজ। ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান মতামত শেয়ার করার জন্য।
অনুভূতিটা সত্যিই অনেক ভালোলাগার। রবিবারের আড্ডা তে আপনি অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ করতে পেরেছেন এটা আপনার কাছে সত্যিই ভাল লাগার মত একটা বিষয়। আপনার পরবর্তী জীবনের পথ চলা আরো সুন্দর হোক সেই কামনাই করি।
ধন্যবাদ মামা এত সুন্দর ভাবে আপনার গঠনমূলক মতামত শেয়ার করার জন্য।